Adina mosjid |
মালদা আমার প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই,
মালদার ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে মালদার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে মালদা মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে।তো আজ আমি আপনাদের মালদার সেই জায়গার বিষয়ে বলব যেটি এখন ধ্বংস প্রাপ্ত কিন্তু মালদা বাসির কাছে খুব পরিচিত স্থান আর সেটি হল আদিনা মসজিদ ।
নির্মানকাল
আদিনা মসজিদ সুলতান সিকান্দার শাহ তার রাজত্ব কালে 1364 খ্রীঃ তৈরি করেন। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের মতে এই মসজিদের স্থাপত্যকাল বিভিন্ন রকম বলা হয়েছে। তবে যাই হোক এই মসজিদটি সেই সময় ভারতের সব থেকে বড় মসজিদ হিসাবে পরিচিত ছিল।বিশালতা
কথিত আছে যে এই মসজিদে একসাথে 1 লক্ষ তাদের নামাজ আদায় করতে পারত, তবে না বললে নয়, 1 লক্ষ না হলেও 10000 হাজার লোক অবশ্যই নামাজ আদায় করতে পারত। এই মসজিদটি দামাস্কাসের বৃহত্তম মসজিদ উমাইয়া মসজিদের আদলে তৈরি করার ফলে এই মসজিদের শিল্প রীতিতে পশ্চিমী শিল্পরুচির ভাব দেখতে পাওয়া যায়। এত বিশাল শিল্পস্হাপত হওয়ার ফলে এটি তৈরিতেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল। এই মসজিদটি তৈরি করতে প্রায়180 টি পাথরের স্তম্ভ আর এই মসজিদের চুড়ার সংখ্যা ও ছিল অনেক,287প্রায় টি। এই মসজিদটিকে দামাস্কাসের পরিচিত মসজিদের সাথে তুলনা করা হত।শিকান্দার শাহের পরিচিতি
শিকান্দার শাহ ছিলেন ইলিয়াস শাহ বংশের সুলতান । তিনি ছিলেন বাংলার দ্বিতীয় সুলতান আর শামসুদ্দিন এলিয়াস শাহের পুত্র। তিনি বাংলার বুকে 1358- 1394 পর্যন্ত রাজত্ব করেন।আর তিনি এই মালদার এই বিখ্যাত মসজিদটি তৈরি করেন।
শিকান্দার শাহ ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম শাষক। সুলতান বংশের মহিলারাও যাতে নামাজ আদায় করতে পারে তার জন্য তিনি মহিলাদের বসার জন্য একটি বিশেষ ভাবে বসার অয়োজন করেন যেটি বেশ উচু পাথরের পাটাতনের উপরেবাদশাহ এ তাখকিতৎ
তৈরি করা হয়েছে, যেটি বাদশাহ এ তাখরিকাৎ নামে ডাকা হত। যেটি এখনো সুরোখিত অবস্থায় আছে। এমনকি এমামের ধর্ম আলোচনা যাতে সবাই শুনতে পারে তার জন্য তিনি পূর্ব দিকে এমামের বসার জন্য একটি বিশেষ পাথরের সুন্দর খোদাই করা আসন তৈরি করেন যেটি এখন বহাল রয়েছে।
আপনারা যখন এই মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন প্রথমে যেটি আপনাদের নজরে যেটি প্রথমে আসবে সেটি হল সুলতান শিকান্দার শাহের কবর । তবে অনেকের মতে এটি শিকান্দার শাহের কবর নয়। সত্য যেটাই হোক আদিনার এই জামে মসজিদটি মালদার জনসাধারনের কাছে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন