দক্ষিন দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, দক্ষিন দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল,
পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, হে ভগবান।
আজ আপনাদের সেই জায়গার বিষয়ে বলব যেটি খুবই Speciel কারন আপনারা ইতিহাসে অনেক বার পরেছেন কিন্তু সেটা যে আপনার জেলারি ইতিহাস, সেটা হয়ত আপনার জানা ছিল না।
আজ আপনাদের দক্ষিণ দিনাজপুরের সেই এলাকাই নিয়ে যাবো যেটা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল।
কারন এই জায়গাই ঘটেছিল তেভাগা আন্দোলন। আর এই স্থানের সাথে ইতিহাসের যোগসূত্র কোথাও, আর এটি কোথাও অবস্থিত সেটা জানার নিশ্চয় ইচ্ছা করছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের জেলা পূর্বে পুন্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। এর আগে আরো কয়েকটি নাম ছিল যেটা আমি আগেই আপনাদের বলেছি। তবে আজ সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব না, আজ সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেটি স্বাধীনতার সাথে যুক্ত।
আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এমন কোন কোন এলাকা আছে যেগুলো ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু কিছু এলাকা আছে যেগুলো স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত, আর যার মধ্যে অন্যতম হল পতিরাম ও তার পার্শবর্তি এলাকা ,কুশমন্ডি এ তার পার্শবর্তি এলাকা, হিলি প্রসঙ্গে একটা কথা না বললে না, সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর আজকের মত এতগুলো অংশ বিভক্ত ছিল না।
এমনকি হিলি ভারতের অংশ না হয়ে বাংলাদেশের অংশ হতে পারত কিন্তু কিছু লোকের একক প্রচেষ্টায় হিলি আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের অংশ হিসাবে রয়েছে।আর সে ইতিহাস না হয় অন্যদিন বলব।
আজ আপনাদের যে জায়গার বিষয়ে বলব সেই জায়গার নাম খাঁপুর। এই জায়গার বিষয়ে আপনারা হয়ত অনেক বার শুনেছেন ইতিহাসের পাতায়।
তেভাগা আন্দোলন ভারতের কৃষকদের বুকে জমে উঠা সেই অগ্নি যেটা বৃটিশদের বুঝিয়ে দিয়েছিল ,আর নয় জমিদারদের অন্যায় দাবি মেনে নেওয়ার। আর এই আন্দোলনটিই ছিল যেটি বৃটিশদের কাছে তুলে ধরেছিল । তেভাগা যার অর্থ তিন ভাগ।পূর্বে কৃষকদের এমন অবস্থা ছিল যে তাদের উৎপাদিত শস্য এর অর্ধেকটাই খাজনা হিসাবে বর্গাদারদের দিয়ে দিতে হত। যদিও পরবর্তী কালে এই নিয়মটি পরিবর্তন করা হয়, কিন্তুু তবুও তা যথেষ্ট ছিল না। এমন অবস্থায় কৃষকদের স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি রাজনৈতিক দল গরে উঠে, আর যাদের মধ্যে অন্যতম হল কিষান সভা।
আর এই কিষান সভা এই সালে তেভাগা আন্দোলন শুরু করে। আসলে কৃষকেরা যে ফসলের উৎপাদন করত তার তিন ভাগের এক ভাগ বর্গাদার অথবা জমিদারদের খাজনা হিসাবে দিয়ে দিতে হত। আর এমন অবস্থায় কিষান সভার নেতৃত্ব পেয়ে এই খাঁপুরের কৃষকেরা আন্দোলন শুরু করে 1946 সালে। আর এই আন্দোলনের প্রভাব এত বেশি ছিল যে তা সমগ্র বাংলাদেশে ছরিয়ে পরে। আর কিছু কিছু এলাকাই এটি হিংসার রূপ ধরন করে। আর এই আন্দোলনটি বড় আকার ধারণ করলে বৃটিশ সরকার বন্দুকের সাহায্য এই আন্দোলন দমন করে আর যার ফলে 20 শে ফেব্রুয়ারি 1947 সালে অনেক আন্দোলন কারির মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে অন্যতম হল খোতো বর্মন , প্রমুখ।
সত্যি কতটা অবাক করা ইতিহাস রয়েছে আমাদের জেলায়।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল,
পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, হে ভগবান।
আজ আপনাদের সেই জায়গার বিষয়ে বলব যেটি খুবই Speciel কারন আপনারা ইতিহাসে অনেক বার পরেছেন কিন্তু সেটা যে আপনার জেলারি ইতিহাস, সেটা হয়ত আপনার জানা ছিল না।
আজ আপনাদের দক্ষিণ দিনাজপুরের সেই এলাকাই নিয়ে যাবো যেটা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল।
কারন এই জায়গাই ঘটেছিল তেভাগা আন্দোলন। আর এই স্থানের সাথে ইতিহাসের যোগসূত্র কোথাও, আর এটি কোথাও অবস্থিত সেটা জানার নিশ্চয় ইচ্ছা করছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের জেলা পূর্বে পুন্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। এর আগে আরো কয়েকটি নাম ছিল যেটা আমি আগেই আপনাদের বলেছি। তবে আজ সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব না, আজ সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেটি স্বাধীনতার সাথে যুক্ত।
আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এমন কোন কোন এলাকা আছে যেগুলো ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু কিছু এলাকা আছে যেগুলো স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত, আর যার মধ্যে অন্যতম হল পতিরাম ও তার পার্শবর্তি এলাকা ,কুশমন্ডি এ তার পার্শবর্তি এলাকা, হিলি প্রসঙ্গে একটা কথা না বললে না, সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর আজকের মত এতগুলো অংশ বিভক্ত ছিল না।
এমনকি হিলি ভারতের অংশ না হয়ে বাংলাদেশের অংশ হতে পারত কিন্তু কিছু লোকের একক প্রচেষ্টায় হিলি আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের অংশ হিসাবে রয়েছে।আর সে ইতিহাস না হয় অন্যদিন বলব।
Khapur patiram |
আজ আপনাদের যে জায়গার বিষয়ে বলব সেই জায়গার নাম খাঁপুর। এই জায়গার বিষয়ে আপনারা হয়ত অনেক বার শুনেছেন ইতিহাসের পাতায়।
এবার তাহলে সম্পুর্নরুপে আলোচনা করা যাক,তেভাগা আন্দোলন ভারতের কৃষকদের বুকে জমে উঠা সেই অগ্নি যেটা বৃটিশদের বুঝিয়ে দিয়েছিল ,আর নয় জমিদারদের অন্যায় দাবি মেনে নেওয়ার। আর এই আন্দোলনটিই ছিল যেটি বৃটিশদের কাছে তুলে ধরেছিল
তেভাগা আন্দোলন ভারতের কৃষকদের বুকে জমে উঠা সেই অগ্নি যেটা বৃটিশদের বুঝিয়ে দিয়েছিল ,আর নয় জমিদারদের অন্যায় দাবি মেনে নেওয়ার। আর এই আন্দোলনটিই ছিল যেটি বৃটিশদের কাছে তুলে ধরেছিল । তেভাগা যার অর্থ তিন ভাগ।পূর্বে কৃষকদের এমন অবস্থা ছিল যে তাদের উৎপাদিত শস্য এর অর্ধেকটাই খাজনা হিসাবে বর্গাদারদের দিয়ে দিতে হত। যদিও পরবর্তী কালে এই নিয়মটি পরিবর্তন করা হয়, কিন্তুু তবুও তা যথেষ্ট ছিল না। এমন অবস্থায় কৃষকদের স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি রাজনৈতিক দল গরে উঠে, আর যাদের মধ্যে অন্যতম হল কিষান সভা।
আর এই কিষান সভা এই সালে তেভাগা আন্দোলন শুরু করে। আসলে কৃষকেরা যে ফসলের উৎপাদন করত তার তিন ভাগের এক ভাগ বর্গাদার অথবা জমিদারদের খাজনা হিসাবে দিয়ে দিতে হত। আর এমন অবস্থায় কিষান সভার নেতৃত্ব পেয়ে এই খাঁপুরের কৃষকেরা আন্দোলন শুরু করে 1946 সালে। আর এই আন্দোলনের প্রভাব এত বেশি ছিল যে তা সমগ্র বাংলাদেশে ছরিয়ে পরে। আর কিছু কিছু এলাকাই এটি হিংসার রূপ ধরন করে। আর এই আন্দোলনটি বড় আকার ধারণ করলে বৃটিশ সরকার বন্দুকের সাহায্য এই আন্দোলন দমন করে আর যার ফলে 20 শে ফেব্রুয়ারি 1947 সালে অনেক আন্দোলন কারির মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে অন্যতম হল খোতো বর্মন , প্রমুখ।
সত্যি কতটা অবাক করা ইতিহাস রয়েছে আমাদের জেলায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন