দক্ষিন দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, দক্ষিন দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।
মুখে প্রচারিত হত। পরে তা গ্রন্থাকারে লেখা হয়।ভদ্রবাহু ও জম্বুস্বামির কথপকোথনের উপর রচিত কল্পসূত্র হল জৈনদের প্রথম লিখিত গ্রন্থ। এতে চোদ্দোটি পর্বে মহাবীরের ।
জীবনী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দ্বাদশ আঙ্গা:
আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মূলভদ্রের উদ্যোগে পাটলিপুত্রে প্রথম জৈন সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে জৈনধর্মের উপদেশগুলি বারোটি খণ্ডে সংকলিত হয়।এটি দ্বাদশ অঙ্গ’ বা সিদ্ধান্ত’ নামে পরিচিত। এরপর খ্রিস্টীয় পন্চম শতকে গুজরাটের বলভীতে দ্বিতীয় জৈন সংগীতির অধিবেশন বসে। এখানে।
‘দ্বাদশ অঙ্গের' পুনর্মুূল্যায়ন করে এর সঙ্গে আরও
বারোটি অনুশাসন যোগ করা হয়। প্রাকৃত ভাষায় রচিত এই অনুশাসনগুলি ‘দ্বাদশ উপাঙ্গ ’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অঙ্গ, উপাঙ্গ, মূল ও সূত্র।
পরবর্তীকালে সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘জৈন কল্পসূত্র, জৈন ভাগবতীসুত্র,পরিশিষ্টপার্বণ
প্রভৃতিও উল্লেখযোগ্য ধর্মগ্রন্থ।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
নিতপুর
গঙ্গারামপুর দক্ষিণ দিনাজপুরের বুকে না জানি কতগুলো ইতিহাস ধরে পরে রয়েছে যার কিছুটা মানুষ জানে আর বেশির ভাগটাই মানুষ জানে না। এমনি একটি এলাকা হল নিতপুর গ্রাম, আর এই গ্রামেই রয়েছে জৈন ধর্মের অন্তিম কৈবলৌ বা সর্বশেষ পুর্নঙ্গানি জম্বুস্বামির কবর, এছাড়া এই নিতপুরের চারেদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু দরগার ধংস্বাবশেষ যেগুলি বাংলার মুসলিম আমলে তৈরি হয়েছিল। তো সেই জম্বুস্বামি কে আর ইতিহাসের পাতায় তার অবদান কতখানি সেটা যেনে নেওয়া যাক।PANCH DORGA NITPUR GANGARAMPUR |
জম্বুস্বামি
জৈনধর্ম মতে জম্বুস্বামি ছিলেন সময়ের অর্ধেক চক্রের শেষ কেভালী (সর্বজ্ঞ) ছিলেন। মহাবিরের পরে তিনি তৃতীয় এবং শেষ অন্নবোধ কেভালি ছিলেন। 39 বছর ধরে শিক্ষা দেওয়ার পর, জাম্বুস্বামী তার জীবনের অন্তিমকালে গঙ্গারামপুরের এই এলাকা আসেন আর এখানে জৈন ধর্মের প্রচার করেন, আর সেই সময় গঙ্গারামপুর পুন্ডবর্ধন নামে পরিচিত ছিল।এর পুন্ডবর্ধনেই তিনি নিরভন লাভ করেন। তাই বলা যার জম্বুস্বামি ছিলেন জৈন ধর্মের অন্তিম কৈবলৌ বা সর্বশেষ পুর্নঙ্গানি, আর জৈনদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ দ্বাদশ অঙ্গের রচয়িতা।দ্বাদশ অঙ্গ
জৈনধর্মের বাণীগুলি প্রথমদিকে মুখে।মুখে প্রচারিত হত। পরে তা গ্রন্থাকারে লেখা হয়।ভদ্রবাহু ও জম্বুস্বামির কথপকোথনের উপর রচিত কল্পসূত্র হল জৈনদের প্রথম লিখিত গ্রন্থ। এতে চোদ্দোটি পর্বে মহাবীরের ।
জীবনী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দ্বাদশ আঙ্গা:
আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মূলভদ্রের উদ্যোগে পাটলিপুত্রে প্রথম জৈন সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে জৈনধর্মের উপদেশগুলি বারোটি খণ্ডে সংকলিত হয়।এটি দ্বাদশ অঙ্গ’ বা সিদ্ধান্ত’ নামে পরিচিত। এরপর খ্রিস্টীয় পন্চম শতকে গুজরাটের বলভীতে দ্বিতীয় জৈন সংগীতির অধিবেশন বসে। এখানে।
‘দ্বাদশ অঙ্গের' পুনর্মুূল্যায়ন করে এর সঙ্গে আরও
বারোটি অনুশাসন যোগ করা হয়। প্রাকৃত ভাষায় রচিত এই অনুশাসনগুলি ‘দ্বাদশ উপাঙ্গ ’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অঙ্গ, উপাঙ্গ, মূল ও সূত্র।
পরবর্তীকালে সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘জৈন কল্পসূত্র, জৈন ভাগবতীসুত্র,পরিশিষ্টপার্বণ
প্রভৃতিও উল্লেখযোগ্য ধর্মগ্রন্থ।
যাবার রাস্তা
আপনারা দক্ষিণ দিনাজপুরের ফুলবারি থেকে খুব সহজেই প্রানসাগরের যানবাহন পেয়ে যাবেন, আর প্রানসাগর পৌছানোর আগেই পাবেন নিতপুর মোর। সেখান থেকে আপনাকে পায়ে হেটে যেতে হবে পাচঁদরগাই। এছাড়া আরেকটি ভালো রাস্তা রয়েছে যেটি গঙ্গারামপুর কালদিঘী হসপিটালের পাশে রয়েছে, যে পথটি ধরে আপনি খুব সহজেই এই স্থানে যেতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন