History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

গঙ্গারামপুর ঊষারানির কলাগাছ ও তার ইতিহাস।

দক্ষিন দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, দক্ষিন দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।

ঐতিহাসিক স্থান সমূহ 

দক্ষিণ দিনাজপুর পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, কুশমন্ডি, পতিরাম এবং আরো অনেক স্থান রয়েছে যেখানে ঐতিহাসিক কাঠামো অবস্থিত। তাদের মধ্যে কয়েকটি আমি আলোচনা করেছি কিন্তু আজ আমি আপনাকে গঙ্গারামপুরের দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
গঙ্গারামপুরের অনেকগুলি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে যেমন বানগড়, আতা শাহ দর্গাহ, বখতিয়ার খলজীর সমাধি এবং আরও অনেক জায়গা এবং তাদের মধ্যে একটি হল ঊষারানী কোলাগাছ।
USHARANI KOLAGACCH

ঊষারানির কলাগাছ

উষারানী কলাগাছ় দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাসের অন্যতম আকর্ষণ। আর এই
উষারানী কলাগাছটি গঙ্গারামপুর 15 নং ওয়ার্ডের রাজীবপুর মিশন পারাই অবস্থিত । সেই এলাকার বাসিন্দা অনুসারে এই কাঠামো মহাভারতের (হিন্দু পাণ্ডুলিপি) কিছু অধ্যায়ের সাথে সম্পর্কিত।
হিন্দু পাণ্ডুলিপি মহাভারতের মতে হিন্দু প্রভু শ্রী কৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধের সাথে বানরাজ কন্যা ঊষার সাথে এই  স্থানে বিয়ে হয়, এই কাঠামোটি হল কলা গাছ যা দৈত্য পাথরের স্তম্ভে পরিণত হযেছে়। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে একসময় অনিরুদ্ধের দ্বারা বান রাজকন্যা ঊষাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং যে রাস্তায় ঊষাকে হরন করা হয়েছিল সেই রাস্তাটি এখন ঊষাহরন রাস্তা নামে পরিচিত।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব 

1942 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই স্থান খনন করা হয়েছিল, তাদের মতে এটি গুপ্ত প্রজন্মের একটি কাঠামো। এই চার স্তম্ভটি সেই সময়ের শিল্পকলার অন্যতম উদাহরণ। ইতিহাস বিদদের মতে এই কাঠামো সেই সময় পূজা ও ভক্তিমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা হত, পূজার সময় অতিরিক্ত জল নিষ্কাষনের জন্য এই ঐতিহাসিক কাঠামোর সাথে বিশেষ জলনিকাষী যুক্ত ছিল, এবং এটির বহির ভাগ  সিংহ মুখের আদলে তৈরি করা হয়েছে যা এখনও এই ঊষারানির কলাগাছের সঙ্গে লাগানো রয়েছে । যদি আপনি সেখানে যান আপনি এখনো এটিকে পরিদর্শন করতে পারবেন।

অনান্য বিষয় সমূহ 

যেহেতু স্থানীয় হিন্দু লোকেরা বিশ্বাস করে যে বা যারা এই সমস্ত স্তম্ভের সাথে সম্পুর্ন ভাবে আলিঙ্গন করতে পারবে তাদের মনস্কামনা পুর্ন হবে। যেহেতু এই ঐতিহাসিক কাঠামোটি হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্ক রাখে, তাই এই কাঠামোটি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ কারিগর কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ।
বর্তমানে গঙ্গারামপুর 15 নং ওয়ার্ডের শিববাড়ি এলাকাই প্রতিবছর একটি বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয় আর যেটি বারুনি মেলা নামে পরিচিত, উক্ত মেলার সময় এই কাঠামোটিকে নিয়ে একটি বিশেষ রীতি পালিত হয়, আর যেটি হল এই চারটি স্তম্ভ জরিয়ে ধরা।
একাধারে এটি দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কাঠামোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের সাথে যুক্ত যার ফলে এই কাঠামোটি গঙ্গারামপুরের মানুষকে গর্বিত করে তোলে।
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন