History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মালদার ইতিহাস পান্ডুয়া সমাধিস্থল।

মালদা আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, মালদার ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে মালদার ইতিহাস  ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে  মালদা জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য সকলে জানতে পারে।

পান্ডুয়া 

পান্ডুয়া মালদা জেলার একটি আকর্ষণীয় স্থান আর পর্যটকদের জন্য স্বর্গ রাজ্য। যার পিছনে প্রধান কারণ হল এখানকার ইতিহাস আর সেই সমস্ত ঐতিহাসিক স্থান , যেগুলো সেই ইতিহাসগুলোর প্রমান হিসাবে দারিয়ে রয়েছে। পুর্বে মালদা লখনাবতি নামে পরিচিত ছিল, এছাড়া মালদার পান্ডুয়া এলাকাটি রাজধানী হিসাবে পূর্ববঙ্গ ,পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার আর আসামের বেশ কিছু এলাকা এখান থেকেই শাসন করা হত। আর এই পান্ডুয়াতেই রয়েছে  সুলতান জালালুদ্দিন মহম্মদ শাহের কবর, যেটি পান্ডুয়া সমাধিস্থল বা একলাক্ষি সমাধি নামেও পরিচিত।
Malda PANDUA EKLAKHI adina
Malda EKLAKHI mausoleum 

আর এমন নামে পরিচিত হবার পিছনে একটি প্রধান কারণ আছে,  আর যেটি হল,  শোনা যায় যে এই সমাধিটি যে সময় তৈরি হয়েছিল সেই সময় এটি তৈরি করতে প্রায় একলক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, তাই এই সমাধিটির আরেক নাম একলাক্ষি সমাধি। এই সমাধিটির বিষয়ে জানার আগে এখানকার কিছু ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

রাজা গনেশ

রাজা গণেশ ছিলেন একজন হিন্দু শাসক। বাংলাই যখন সুলতানি শাসন শুরু হয় তখন সুলতানরা তাদের রাজকার্যে হিন্দুদের কেও নিযুক্ত করতেন। ঠিক এমনি একজন অমাত্য ছিলেন রাজা গণেশ, তিনি প্রথমে বর্তমান পূর্ববঙ্গের দিনাজপুরের ভাতুলিয়া এলাকার রাজা ছিলেন, আর বাংলার সুলতান আজম শাহের অধিনে কাজ করতেন,  আর এই অবস্থায় তিনি ধিরে ধিরে শক্তি জেলার করতে শুরু করেন। পরবর্তী কালে শক্তিশালী হয়ে উঠলে তিনি 1414 সালে বাংলার সুলতান ফিরোজ শাহকে সরিয়ে নিজে বাংলার অধিপতি হয়ে উঠেন। রাজা গণেশ মনেপ্রানে চাইতেন বাংলাই পুনরায় হিন্দু রাজত্ব শুরু হোক, আর সেই জন্য তিনি মুসলিমদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন।

নুর কুতুব আলম

ঠিক এই অবস্থায় মুসলিমদের ধর্মগুরু নুর কুতুব আলম মুসলিমদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন, প্রথমে তিনি রাজা গণেশকে মুসলিমদের উপর অত্যাচার করতে বারন করেন, কিন্তু তাতে রাজা গণেশ তার কথাই কর্ণপাত না করলে নুর কুতুব আলম রাজা গণেশকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য জৈনপুরের মুসলিম সুলতান ইব্রাহিম শাহ শুরকিকে এগিয়ে আসতে বলেন। ইব্রাহিম শাহ শুরকি মুসলিম ধর্মগুরু নুর কুতুব আলমের কথামত রাজা গণেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে রাজা গণেশ ভয় পেয়ে নুর কুতুব আলমের কাছে  আত্মসমর্পণ করেন।
নুর কুতুব আলম রাজা গণেশকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বললে রাজা গণেশ তার সন্তান যদুকে মুসলিম ধর্মে দিক্খিত করেন,  আর রাজ শিংহাষনে বসান।

জালালুদ্দিন মহম্মদ শাহ

রাজা গণেশের পুত্র যদু মুসলিম  ধর্ম গ্রহণ করলে তার নাম রাখা হয় সুলতান জালালুদ্দিন মহম্মদ শাহ । তিনি বাংলার সুলতান হিসাবে দুইবার শিংহাষনে বসেছিলেন প্রথমে 1415-1416 পর্যন্ত আবার 1418-1433 সাল পর্যন্ত। সুলতান জালালুদ্দিন মহম্মদ শাহ জন্মসুত্রে হিন্দু হলেও ,তিনি মনেপ্রানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই তিনি তার পিতা রাজা গণেশের দ্বারা ধংস্ব হয়ে যাওয়া মসজিদগুলো আবার তৈরি করেন।

একলাক্ষি সমাধি

সুলতান জালালুদ্দিন মহম্মদ শাহের মৃত্যু 1433 সালে হলে তার এই মৃতদেহটি এই একলাক্ষি সমাধিতে সমাধিস্থ করা হয়। তবে আপনি যদি এই সমাধিটির ভেতরে ঢুকেন তবে আপনি একটি নয় মোট তিনটি কবর দেখতে পাবেন, যার মাঝেরটি তার স্ত্রীর আর পুর্বের তার পুত্রের কবর। 
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন