উত্তর দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, উত্তর দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে উত্তর দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।
এছাড়া পূর্বের দেওয়ালে পোরামাটির দ্বারা অঙ্কিত টেরাকোটার শিল্পকলাটি এই মন্দিরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। মন্দিরের ভিতরের অংশটি খুব সংকীর্ণ আর এই মন্দিরটির গম্বুজ টি উজ্ঝ অবস্থায় দেখা যায়। যার ফলে দুর থেকে দেখলে এই মন্দিরটিকে মুসলিমদের দরগা বলে মনে হয়। মুলত মুঘল সময়ে এটি তৈরি হয়েছিল বলেই এই মন্দিরটির মধ্যে কিছুটা মুসলিম শিল্পকলার ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। আর এই মন্দিরের ভিতরেই রয়েছে দেবী ভৈরবীর কালো পাথরের তৈরি মূর্তি ।
এইবার আসছি এই মন্দিরটির দ্বিতীয় পরিপক্ব ইতিহাস নিয়ে। মুঘল সাম্রাজ্যর শাসনকালে বাংলাই তখনো জমিদারি প্রথা চালু ছিল, এবং অবিভক্ত দিনাজপুরে তখন জমিদার মহারাজা প্রাণনাথ রায় জমিদারি চালাতেন, আর এই জমিদার মহারাজা প্রাণনাথ রায় 1722 সালে এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
,
UTTAR DINAJPUR HISTORY
ভৈরবী মন্দির
টেরাকোটার অলংকার যুক্ত রায়গন্জের অদূরে বিন্দোলে অবস্থিত ভৈরবী মন্দিরটি মধ্যযুগীয় শিল্পকলার অন্যতম নিদর্শন। প্রায় 25 ফুট লম্বা আর প্রায় 25 ফুট চওড়া বিশিষ্ট এই মন্দিরটির সামনের দিকে ও পূর্ব দিকে তিনটে করে পাথর ও ইটের সমন্বয়ে তৈরি থামের দেখা মেলে। এবং বাইরের দিকে কালো পাথরের কিছু নক্সা দেখতে পাওয়া যায়।BINDOL VAIRABI temple |
এছাড়া পূর্বের দেওয়ালে পোরামাটির দ্বারা অঙ্কিত টেরাকোটার শিল্পকলাটি এই মন্দিরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। মন্দিরের ভিতরের অংশটি খুব সংকীর্ণ আর এই মন্দিরটির গম্বুজ টি উজ্ঝ অবস্থায় দেখা যায়। যার ফলে দুর থেকে দেখলে এই মন্দিরটিকে মুসলিমদের দরগা বলে মনে হয়। মুলত মুঘল সময়ে এটি তৈরি হয়েছিল বলেই এই মন্দিরটির মধ্যে কিছুটা মুসলিম শিল্পকলার ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। আর এই মন্দিরের ভিতরেই রয়েছে দেবী ভৈরবীর কালো পাথরের তৈরি মূর্তি ।
নির্মাণ
এই মন্দিরটির তৈরি ঘিরে দুটি কাহিনী জরিয়ে আছে। পূর্বে বিন্দোল ও তার চারেপাশের এলাকা জঙ্গলে পরিপুর্ন ছিল, যার ফলে এই এলাকাটি ডাকাতদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠে। ডাকাতেরা ডাকাতি দেবার আগে কালি পুজা করত , আর এই মন্দিরটি সেই সময় ডাকাত দলেরা ডাকাতি করার আগে পুজা দেওয়ার জন্য এই মন্দিরটি বানিয়েছে(লোকমুখে শোনা কথা) ।এইবার আসছি এই মন্দিরটির দ্বিতীয় পরিপক্ব ইতিহাস নিয়ে। মুঘল সাম্রাজ্যর শাসনকালে বাংলাই তখনো জমিদারি প্রথা চালু ছিল, এবং অবিভক্ত দিনাজপুরে তখন জমিদার মহারাজা প্রাণনাথ রায় জমিদারি চালাতেন, আর এই জমিদার মহারাজা প্রাণনাথ রায় 1722 সালে এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন