দক্ষিন দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, দক্ষিন দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।
এছাড়াও মুসলিম আমলে এবং তার আগেও কিছু মন্দির তৈরি হয়েছিল, আর তাদের মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত মাহুর কিসমত গ্রামের পন্ঞ্চরথ মন্দির।
বর্তমানে অযত্নের ফলে এই মন্দিরটি এখন ধংসের মুখে, আর যার দরুন এই মন্দিরটির কিছু চুড়া সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এখানকার স্হানিয় লোকেদের দ্বারা বছরে একটি মেলার আয়োজন করা হয় আর সেই সময় এই পন্ঞ্চরথ মন্দিরের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
মন্দিরের নগরি
সত্যিই মন্দিরময় আমাদের এই দক্ষিণ দিনাজপুর , আর এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন কালের সেইসব ভগ্নপ্রায় মন্দির গুলো। কবি সন্ধ্যাকর নন্দি তার 'রামচরিত , গ্রন্থে সদুর গঙ্গারামপুরে অবস্থিত বানগড় ও তার পার্শবর্তি এলাকাএকসময়ের কোটিবর্ষ নগরকে মন্দিরের নগর হিসাবে উল্লেখ করেছেন, এমনকি তিনি এটাও উল্লেখ্য করেছেন যে গোটা ভারতে দক্ষিণ দিনাজপুরে অবস্থিত এই এলাকার মন্দিরগুলি বিশেষ সুনাম অর্জন করেছিল।এছাড়াও মুসলিম আমলে এবং তার আগেও কিছু মন্দির তৈরি হয়েছিল, আর তাদের মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত মাহুর কিসমত গ্রামের পন্ঞ্চরথ মন্দির।
PANCHARATH TEMPLE GANGARAMPUR |
পন্ঞ্চরথ মন্দির
পূর্বে পাঁচটি চুড়া বিশিষ্ট রথের প্রচলন ভারতে প্রচুর ছিল। মুসলিম শাষনের আগে ভারতে পাঁচটি চুড়া বিশিষ্ট মন্দিরের প্রচুর প্রচলন শুরু হয়। এই পন্ঞ্চরথ মন্দিরগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মন্দিরের চারকোনে চারটি চুড়া আর মাঝখানে একটি প্রধান চুড়া থাকে। আর এমনি একটি মন্দির হল গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত মাহুর কিসমত গ্রামের প্রাচীন পন্ঞ্চরথ মন্দির। এই মন্দিরটির দেওয়ালে পোরামাটির দ্বারা অঙ্কিত টেরাকোটার শিল্পকলার দ্বারা রামায়নের বিভিন্ন পর্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলো অনেক সুন্দর আর আকর্ষণীয়।বর্তমানে অযত্নের ফলে এই মন্দিরটি এখন ধংসের মুখে, আর যার দরুন এই মন্দিরটির কিছু চুড়া সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এখানকার স্হানিয় লোকেদের দ্বারা বছরে একটি মেলার আয়োজন করা হয় আর সেই সময় এই পন্ঞ্চরথ মন্দিরের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন