ঈশ্বর প্রথমে বিশ্ব ব্রম্ভ্রান্ড তৈরি করেন তারপর পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের প্রাণী, পশু, এবং
সরীসৃপ সৃষ্টি করল,ঈশ্বর দেখলেন ও এসব দেখে খুশি হলেন। কোন মানুষও তখন পৃথিবীতে ছিল না। প্রভু ঈশ্বর তখন পৃথিবীর ধুলাে নিয়ে মানুষ
গড়লেন এবং তার নাকে ফু দিয়ে প্রাণুবায়ু ঢুকিয়ে দিলেন আর মানুষকে জীবিত করলেন, আর তাদের এই সমস্ত জীবিত প্রানির উপর প্রভুত্ব করার আদেশ দিলেন। ঈশ্বর মানুষকে নর ও নারী রূপে সৃষ্টি করে , নরের নাম রাখলেন আদম আর নারির নাম রাখলেন হেবা ও তাদের আশীর্বাদ করে বললেন, “তােমরা বংশ বৃদ্ধি
করাে। ঈশ্বর আরও বললেন, “দেখাে, আমি পৃথিবীতে বীজওয়ালা যাবতীয়
এরপরে ঈশ্বর ইডেন নামের এক বাগান তৈরী করে সেখানে তার সৃষ্ট মানুষকে রাখলেন। আর প্রভু ঈশ্বর সেখানের মাটিতে সব রকমের সুন্দর সুন্দর বাহারি গাছ ও মিষ্টি ফলের গাছ তৈরি করেন। সেই বাগানের মাঝখানে অনেকগুলো বিশেষ গাছ ছিল, যার মধ্যে একটি ‘জীবন-বৃক্ষ' বা ভালমন্দ-জ্ঞানের গাছ। ঈশ্বর আদম হেবাকে বললেন ,"তোমরা বাগানের যে কোনও গাছের ফল খেতে পার, কিন্তু জীবন গাছের ফল খেও না। যে দিন সেই গাছের ফল তোমরা খাবে,সেইদিন তােমাদের মৃত্যু হবে।”
শয়তান সেইসময় সাপের রূপ নিয়ে এসে হেবাকে প্রলুব্ধ করে সেই জীবন গাছের ফল খেতে বলে।
শয়তান রুপি সাপ তাদের বলে "যেদিন তােমরা এই গাছের ফল খাবে সেই দিনই তােমাদের চোখ খুলে যাবে, আর তােমরা ভালমন্দ জ্ঞানলাভ করে ঈশ্বরের সমান হয়ে যাবে।” হেবা শয়তানের সেই প্রলুব্ধে পা দিলেন আর তিনি তখন ওই গাছের ফল পেড়ে খেলেন এবং তার স্বামী আদমকেও দিলেন, আর আদমো তা খেলেন।
সেই ফল খাবার পর তাদের জ্ঞানলাভ হলে তারা নিজেদের উলঙ্গ অবস্থায় দেখে। ঠিক কয়েকদিন
পরে ঈশ্বর সেই বাগানে ভ্রমণে এলে ,আদম ও তার স্ত্রী প্রভু ঈশ্বরের সামনে থেকে সরে গিয়ে
বাগানের গাছপালার আড়ালে লুকোতে শুরু করে। প্রভু ঈশ্বর আদমকে ডেকে জিগ্গেশ করলেন “আদম', তুমি কোথায়?” আদম উত্তর দিয়ে জানালেন তিনি নিজেকে লুকোচ্ছেন কারণ তিনি ও তার স্ত্রী উলঙ্গ। প্রভু ঈশ্বর পুনরায় বললেন, “তুমি যে উলঙ্গ সে কথা তােমাকে কে
বলল? যে গাছের ফল খেতে আমি তােমাকে বারণ করেছিলাম, তুমি কি
তার ফল খেয়েছ?” আদম জানালেন তিনি ও তার সঙ্গিনী দুজনেই সেই ফল খেয়েছে আর যে নারীকে ঈশ্বর তার সঙ্গিনী হিসাবে দিয়েছিল সেই ওই গাছের ফল তাকে খেতে দিয়েছিল। আর এইভাবে মানুষ ঈশ্বরের কথা অমান্য করে তারা প্রথম পাপটি করেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন