দক্ষিন দিনাজপুর আমাদের প্রীয় জেলা। আর এই জেলার বিভিন্ন এলাকাই ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাক্ষি বহনকারী বিভিন্ন ধংসাবশেষ। কিন্তু দুংখের বিষয় হল যদিও প্রশাসন এগুলি রক্ষার্তে এগিয়ে এসেছে, তবুও তা যথেষ্ট না। আর পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, দক্ষিন দিনাজপুরের ইতিহাস জেলাবাসির কাছে খুব একটা পরিচিত না, আর যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আর এটা আমার ছোট একটি প্রচেষ্টা যাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ এই জেলার প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারে।
বৃহৎ কথাকোষ অনুসারে চন্দ্রগুপ্ত পুন্ড্র বর্ধনের দেবকোটের একজন ব্রাহ্মণের পুত্র ছিলেন, যিনি ভারতের মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাচীনকালে গঙ্গারামপুর দেবিকোট নামে পরিচিত ছিল এবং এটি সেই সময়ের রাজধানী ছিল, আর এই নাগরিক ধ্বংসাবশেষগুলো এখনও পাওয়া যায় এবং গঙ্গারামপুরের বানগড়ের চারপাশে এটির প্রমাণ পাওয়া যায় ।
যাই হোক আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস সত্যিই খুব প্রাচীন, সার যোগসূত্র বিভিন্ন মহাকাব্য আর পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া যায়, যার মধ্যে প্রধান হল মহাভারত, শীবপুরান, বিষ্ণুপুরাণ আর না জানি কত গ্রন্থে বলা হয়েছে।
তবে আজকে যেটা নিয়ে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি সেটি একটি myth, বা এমন তিনটি পুকুরের কথা যেইসব পুকুরের একটি বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা ছিল, মনে করা হয় যে এই সমস্ত পুকুর গুলোর মানুষের জীবন দেওয়ার আর জীবন নেওয়ার এক পারলৌকিক ক্ষমতা ছিল। যার মধ্যে দুটি পুকুর (জীয়নপুকুর ও মরনপুকুর,) গঙ্গারামপুর শহরের মিশনপারাই অবস্থিত ঊষারানির কলাগাছের একটু পুর্বে (জীয়ণপুকুর) অবস্থিত আর একটি (মরণপুকুর) একই এলাকার আরো পুর্বে আর শিববাড়ি পিনুবাবুর মাঠের ঠিক পশ্চিমেই অবস্থিত ,আর একটি বানগড়ের ঠিক (জিয়নপুকুর) মাঝেই এমন একটি পুকুর অবস্থিত।
আবার একি ভাবে হয়ত মরনপুকুরের জলে বিষ মেশানাে থাকতাে, যাতে জলে নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মৃত্যু হয।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
,
UNIQUE KNOWLEDGE
গঙ্গারামপুরের কিছু ঐতিহাসিক তথ্য
গঙ্গারামপুর শহর আমার বাড়ির শহর, সেইজন্য আমি দক্ষিণ দিনাজপুরে অবস্থিত আমার শহরকে হৃদয় থেকে ভালোবাসি। দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা তার সমৃদ্ধশালী ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোর পৌরাণিক সংযোগের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, আর যে বিষয় সমূহ গুলো বিভিন্ন গ্রন্থে রয়েছে এছাড়াও অনেক পাণ্ডুলিপিতে বর্ণনা করা হয়েছে। পূর্বে পশ্চিমবাংলার অবিভাজিত দিনাজপুর জেলা সমূহ একটি অংশ হিসাবে পরিচিত ছিল যা প্রাচীনকালে পুন্ড্র বর্ধন নামে পরিচিত ছিল।বৃহৎ কথাকোষ অনুসারে চন্দ্রগুপ্ত পুন্ড্র বর্ধনের দেবকোটের একজন ব্রাহ্মণের পুত্র ছিলেন, যিনি ভারতের মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাচীনকালে গঙ্গারামপুর দেবিকোট নামে পরিচিত ছিল এবং এটি সেই সময়ের রাজধানী ছিল, আর এই নাগরিক ধ্বংসাবশেষগুলো এখনও পাওয়া যায় এবং গঙ্গারামপুরের বানগড়ের চারপাশে এটির প্রমাণ পাওয়া যায় ।
যাই হোক আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস সত্যিই খুব প্রাচীন, সার যোগসূত্র বিভিন্ন মহাকাব্য আর পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া যায়, যার মধ্যে প্রধান হল মহাভারত, শীবপুরান, বিষ্ণুপুরাণ আর না জানি কত গ্রন্থে বলা হয়েছে।
তবে আজকে যেটা নিয়ে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি সেটি একটি myth, বা এমন তিনটি পুকুরের কথা যেইসব পুকুরের একটি বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা ছিল, মনে করা হয় যে এই সমস্ত পুকুর গুলোর মানুষের জীবন দেওয়ার আর জীবন নেওয়ার এক পারলৌকিক ক্ষমতা ছিল। যার মধ্যে দুটি পুকুর (জীয়নপুকুর ও মরনপুকুর,) গঙ্গারামপুর শহরের মিশনপারাই অবস্থিত ঊষারানির কলাগাছের একটু পুর্বে (জীয়ণপুকুর) অবস্থিত আর একটি (মরণপুকুর) একই এলাকার আরো পুর্বে আর শিববাড়ি পিনুবাবুর মাঠের ঠিক পশ্চিমেই অবস্থিত ,আর একটি বানগড়ের ঠিক (জিয়নপুকুর) মাঝেই এমন একটি পুকুর অবস্থিত।
মরনপুকুর গঙ্গারামপুর শিববাড়ি |
জীবনদায়ী পুকুর (জীয়ন পুকুর)
বড়দিনের পর থেকেই গঙ্গারামপুরের বানগড়ের ধ্বংসাবশেষ, আর ঊষারানির কলাগাছ দেখার জন্য পর্যটকদের ভির উপচে পরে, কিন্তুু তারই পাশে যে আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে সেটা কেউ লক্ষ্যই করে না আর যে আকর্ষনের নাম জিয়নপুকুর । ঊষারানির স্তম্ভের পূর্বে যে জীয়নপুকুরটি রয়েছে সেই পুকুরটির আয়তন বেশ বড় এবং গভীর আর বানগড়ের মাঝে যে জীয়নপুকুরটি রয়েছে সেটির আয়তন মাঝারি আর গভীরতাও সময়ের সাথে সাথে কমে গেছে। কথিত আছে যে মৃতপ্রায় ব্যাক্তি ,বা মৃত ব্যক্তিকে এই পুকুরে নিক্ষেপ করলে তারা পুনরায় সুস্থ আর জীবিত হয়ে উঠত। প্রাচীনকালের প্রায় সব রাজপ্রাসাদের সংলগ্ন এমন জিয়নপুকুরের সন্ধান পাওয়া যেত। অনেকে এটিকে অমৃতপুকুর বলেও উল্লেখ করেছেন।মরণদায়ী পুকুর (মরন পুকুর)
শিববাড়ি মাঠের ঠিক পশ্চিমপারেই রয়েছে এই অদ্ভুত পুকুরটি, যার একটি বিশেষ ক্ষমতা ছিল আর যে ক্ষমতা ছিল যে কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু দান করা, কথিত আছে যে , যে বা যারা রাজার বিরুদ্ধাচরণ করত তারা বা যুদ্ধে পরাজিত বা আটক শত্রুসৈন্য বা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মৃত্যু দেওয়া জন্য এই পুকুরে ছুরে ফেলা হত যাতে তাদের মৃত্যু সুনিশ্চিত ভাবে হয় আর এইপুকুরটির নাম হল মরণপুকুর।ঐতিহাসিক সত্যতা
লােকশ্রুতি কিংবা ইতিহাসের যাই হার না কেন এমন ধরনের পুকুর যে ইতিহাসে ছিল তার বিষয়ে কিছু সমর্থন আর যুক্তি মেলে, আর সেই যুক্তিগুলো হল, প্রাচীনকালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ততটা উন্নত ছিল না তবে ভেষজ আর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাই ভারত অন্য দেশগুলোর তুলনায় বিশেষ উন্নতি করেছিল। যার প্রমান আমরা চরকসংহিতায় পেয়ে থাকি, এছাড়া আরো কয়েকটি গ্রন্থ আছে যেটি প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিষয়ে জানতে পারি। পুর্বে ভারতে ভেষজ চিকিৎসার পাশাপাশি অনশন,পত্রলেপন, মৃত্তিকা লেপন, সৌরচিকিৎসা ও জলচিকিৎসার প্রচলন ব্যাপকভাবে ছিল ।বিশেষ করে বিসূচিকা, সর্পদংশন বা যুদ্ধে আহত রােগীদের জলে নিক্ষেপ করার চল ছিল। হতে পারে এইসব পুকুর ভেষজ দ্রব্যাদি মিশিয়ে রাখা হত যাতে আহত বা মৃতপ্রায় সেনিকদের জলে নিক্ষেপ করলে তারা পুনরায় সুস্থ হতে পারে,আবার একি ভাবে হয়ত মরনপুকুরের জলে বিষ মেশানাে থাকতাে, যাতে জলে নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মৃত্যু হয।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন