History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

বাইবেলের কাহিনী নোহার নৌকা ও মহাপ্লাবন।। BILBLE STORY NOA ARK.

আজ বাইবেলের এমন ঘটনা বলতে যাচ্ছি, যেটি ইতিহাসের দিক দিয়ে অনেক ইতিহাসজ্ঞ সত্য বলে উল্লেখ্য করছেন, যেটি বাইবেলে " মহাপ্লাবন" নামে ডাকা হয়েছে, এই গল্পে বলা হয়েছে ঈশ্বর কিভাবে মানুষকে তার পাপের শাস্তি দেবার জন্য কিভাবে বন্যা আনিয়েছেন আর সেই ঘটনার শাক্ষি হিসাবে মননোয়ন করেছিলেন। মজার বিষয়টি হল অনেক দেশের প্রাচীন কাহিনীতে মহাপ্লাবনের কথা উল্লেখ আছে।

নোহাকে ঈশ্বরের আদেশ

পৃথিবী যখন পাপে ভরেগেল, মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে ভুলে গিয়ে যখন মূর্তি পুজা করতে শুরু করে, তখন ঈশ্বর তার অন্যতম ভক্ত তথা ধার্মিক ব্যক্তি নোহা ও তার পরিবারকে মনোনীত করলেন। এক কথায় বলতে গেলে সেই সময় পৃথিবীতে নােহাই ছিলেন একমাত্র ধার্মিক লোক ৷ নোহা ছিলেন বিবাহিত ও নােহের ছিল তিন ছেলে, শেম, হাম আর যাকব ৷ একদিন ঈশ্বর নোহার কাছে আসলেন আর বললেন, একটা নৌকা তৈরী করতে ৷ কারণ এখন পৃথিবী পাপে ভরে গেছে , তাই তিনি এই  গোটা পৃথিবীতে মহাপ্লাবন পাঠাবেন। আর সেই নৌকাই ভালো জাতের কাঠ ও সেই নৌকার আয়তন কতটা হবে  ও নৌকার ভেতরে আর বাইরে আলকাতরা মাখিয়ে দেবার কথা সেটাও তিনি বলে দেন, এরপর ঈশ্বর নোহাকে  নির্দেশ দেন নোহা যেন তার সাথে তার পরিবার স্রীকে ,পুত্র ও পুত্রবধূদের সঙ্গে নেই | এছাড়াও ঈশ্বর আরো নির্দেশ দেন পৃথিবীর সকল প্রকার প্রানি ও পাখি নারি ও পুরুষ হিসাবে একজোড়া করে তার নৌকাই মজুত করতে ও নিজেদের জন্য ও পশুপাখিদের জন্য সব রকমের খাদ্যদ্রব্য নৌকায় মজুত রাখার জন্য নির্দেশ দেন। শুধু মাত্র সেই নৌকায় থাকা প্রানিকুল ছাড়া পৃথিবীর সকল প্রানিই ঈশ্বরের সেই পাঠানো মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে যাবে।
নোহার নৌকাই প্রানিদের আগমন। 

মহাপ্লাবনের আগমন

ঈশ্বরের কথা মতো নােহ সব কাজ ও বিশাল নৌকা তৈরি করলেন ,সেই সঙ্গে সব রকমের পশুপাখিদের স্ত্রী -পুরুষ হিসেবে নিয়ে ও তার পরিবারের সকলকে নিয়ে সেই নৌকায় উঠালেন । ঈশ্বর বাইরে থেকে সেই নৌকার দরজা বন্ধ করেদিলেন। এরপর টানা চল্লিশদিন বৃষ্টি  পরলো পৃথিবীতে , যার ফলে ভয়ংকর বন্যা নামলো পৃথিবীতে ৷ প্রভু ঈশ্বরের নির্দেশে বানানো নৌকাটি ভাসতে শুরু করে দিল।
চল্লিশ দিনের বৃষ্টিতে নোহার নৌকা 

এই মহাপ্লাবনের এতটাই প্রকপ ছিল যে বিশাল বিশাল পাহার পর্বতমালাও জলের তলায় ডুবে গেছিল ।চল্লিশদিন বৃষ্টি হবার পর বৃষ্টি থেমে গেলে নােহা নৌকার ছাদ খুলে দিলেন , নোহা দেখতে পেলেন চারিদিকে জল আর জল অবশেষে এক সপ্তাহ পর তিনি একটি পাইরাকে ছেড়ে দিলেন , কিন্তু সে পায়রা পুনরায় ফিরে এল। নোহা বুঝতে পারলেন কোথাও এখনো স্থলভাগের দেখা মেলেনি । পরের সপ্তাহ তিনি আবার পায়রা থাকলেন, তবে এবার সে আর ফিরে এলো না, নােহ বুঝলেন, জল নেমে গেছে৷ জল পুরোপুরি শুকনো না পর্যন্ত নোহা সেই নৌকাতেই থাকলেন।

স্থলে প্রতাবর্তন

এরপর বন্যার জল সম্পুর্ণভাবে শুকিয়ে গেলে নোহা তার পরিবারকে নিয়ে নৌকা থেকে বার হয়ে এলেন ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন। নৌকায় থাকা সমস্ত রকমের প্রানি সেই নৌকা থেকে বেরিয়ে এল, এবং নিজেদের জিবনশৈলিতে ফিরে গেল। ঈশ্বর এই মহাপ্লাবনের কথা ভেবে অনুশোচনা করে ছিলেন, তাই তিনি পুনরায় নোহাকে দেখা দিয়ে জানালেন, তিনি ভবিষ্যতে এমন ভয়ংকর মহাপ্লাবনের প্রলয় পৃথিবীতে আনবেন না, আর তার চিহ্নস্বরুপ তিনি আকাশে রামধনু একে দিলেন। 
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন