History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

কোচবিহার রাজবাড়ী অন্দরমহল ও ইতিহাস ।। COOCHBIHAR RAJBARI AND ITS HISTORY.

 রাজারানির কাহিনী আর কিংবদন্তি আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি, সেটা কখনো ঠাকুমার ঝুলি হিসাবে, আর কখন ইতিহাসের পরা হিসাবে । রাজা রানিদের গল্প শুনতে তো বেশ ভালোই লাগে,  কিন্ত ইতিহাস হিসাবে মনে রাখতে খুব বিরক্তিকর লাগে। কিন্তু আবার হিন্দি ফিল্মে ঐতিহাসিক রাজাদের উত্থান পতন দেখলে প্রান জুরে যাই।  ঠিক এমনি মনরোন্ঞ্জন পুর্ন কাহিনী রয়েছে কোচবিহারের রাজবাড়ীর আর রাজপরিবারের। মুলত একটি জাতি (মেচিয়া)  বা কোচ জাতিকে জি আই টেগ হিসাবে ধরে নিয়ে,  উত্তরবঙ্গের শেষ জেলার নাম হয়েছে কোচবিহার। আর এই  কোচবিহার জেলার প্রধান আকর্ষণি হল কোচবিহার রাজবাড়ীটি , এই  কোচবিহার রাজবাড়ীটি ছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, তবে সেগুলোর বেশির ভাগই কোচ রাজাদের শাসন কালো তৈরি।
কোচবিহার রাজবাড়ী coochbihar rajbari
যেহেতু আমি এই পর্বে শুধুমাত্র কোচবিহার রাজবাড়ীর বিশয়ে আলোচনা করতে চাইছি, তাই , রাজপরিবারের উত্থান পতন নিয়ে তেমন আলোচনা করব না,  কিন্তু যেগুলো এই কোচবিহার রাজবাড়ীর আলোচনার জন্য  প্রাথমিক  শুধুমাত্র সেগুলো প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ।

কোচ রাজত্ব 

পাল বংশের শেষ রাজা দেবপাল মারা গেলে কামরুপ রাজ্য সহ বাংলাই বিচ্ছিন্ন বাদি কিছু গোষ্ঠী তাদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠে আর কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে  ভাগ হয়ে পরে।
 মোট বারোটি গোষ্ঠী নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রায়শই একে অপরের উপর আঘাত হানত । এই বারোটি গোষ্ঠীকেই বারভূঞা বলে ডাকা হত। অন্যদিকে কামরুপ রাজ্য ভেঙ্গে গেলে বারভূঞা রাজ্য ও কমতা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় । আর, এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী কালে সেই সময়ের কোচ (মেচ) জনগোষ্ঠীর নেতা হাড়িয়া মণ্ডলের সন্তান বিশু বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে আর বারভূঞাদের পরাজয় ঘটিয়ে সমগ্র কমতা রাজ্যের শাসন নিজের হাতে নিয়ে নেন ও বিশ্ব সিংহ উপাধি  নিয়ে কোচ রাজ্য তৈরি করেন , এবং বংশপরম্পরাই ভাবে নারায়ন যুক্ত নাম নিয়ে রাজত্ব করতে থাকে। আর এই কোচ বংশের রাজা মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ১৮৮৭ সালে লন্ডনের বাকিংহাম পেলেসের আদলে এই কোচবিহার রাজবাড়িটি তৈরি হয়েছিল৷

রাজবাড়ীর বিষয়ে কিছু তথ্য। 

লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদের আদলে এই কোচবিহার  রাজবাড়িটি তৈরি করার জন্য মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণকে বহু অর্থ খরচ করতে হয়েছে,  মুলত সেই সময়ের বিখ্যাত   আর্কিটেক্ট কোম্পানি মার্টিন এন্ড বার্ন এই সুন্দর কোচবিহার রাজমহল মোট ৫১,৩০৯ বর্গফুট  এলাকার উপর তৈরি করে । যদিও এই শিল্পকর্মে ইংরেজরা সাহায্য করেছিল, এই জন্য এই শিল্পকর্মে সম্পুর্ণভাবে ক্যাসিক্যাল ওয়েস্টার্ন শৈলীর দেখা মেলে। এমনকি রাজমহলের অন্দর সজ্জা জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল, যার বেশির ভাগ আসবাবপত্র এর অন্দরমহলে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এই সুন্দর কোচবিহার রাজবাড়ীটি প্রায় ৩৯৫ ফুট লম্বা ও ২৯৬ ফুট চওড়া। শুরুর প্রথম দিকে কোচবিহারের এই রাজবাড়ির নাম ছিল ভিক্টর জুবিলি প্যালেস , কিন্তু পরবর্তী কালে জনসাধারণের কৃপাই এটি এখন পরিচিত কোচবিহার শহরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান কোচবিহার রাজবাড়ী হিসাবে।

 অন্যান্য তথ্য 

মহারাজা বীর রাজেন্দ্র নারায়ন এই রাজবাড়ীটিকে সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন । বর্তমানে রাজপরিবারের সকল সদস্যরাই লন্ডনে বসবাস করছেন যেমন মহারাজা রাজেন্দ্র নারায়নের সন্তান মহারাজা ইন্দ্রজিৎ নারায়ন । এই রাজবাড়ীটিতে ছোট বড় রুম মিলে প্রায় ৫০ টি রুম রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ডাইনিং রুম,  ড্রেসিং রুম, বেডরুম ,  লাইব্রেরী, লেডিজ গ্যালারি ইত্যাদি। বর্তমানে এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দখলে দেখাশোনাই রয়েছে, আর  দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, তাই আপনি চাইলে এই সুন্দর কোচবিহার রাজবাড়ীটিকে দেখা আসতে পারেন। তবে সেটার জন্য আপনাকে কোচবিহার যেতে হবে। 
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন