History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

দক্ষিণ দিনাজপুরের পৌরাণিক স্থান ও কাহিনী সমূহ।


দক্ষিণ দিনাজপুর পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, কুশমন্ডি, পতিরাম এবং আরো অনেক স্থান রয়েছে যেখানে ঐতিহাসিক কাঠামো অবস্থিত। যে স্থানগুলোর অস্তিত্ব পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া যায়। তবে হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ অনুসারে দক্ষিণ দিনাজপুর ও তার কিছু পুরাণে বর্ণিত স্থান ও ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, আর যে সমস্ত হিন্দু ধর্মগ্রন্থে আমাদের জেলার বিষয়ে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রধান হল মহাভারত, শীবপুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, বৃহৎ কথাকোষ প্রভৃতি। তবে সেই বিষয়ে বলার আগে যেটা জানা উচিত সেটা হল, কাহিনি, কিংবদন্তি ও মিথ-পুরাণ অনুসারে আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কি নাম ছিল আর সেটি কোথাই থেকে এসেছিল।

নামকরণ 

মহাভারতে উল্লেখ আছে ক্ষত্রিয় রাজা বলি ছিলেন নিঃসন্তান  ,কিন্তু রাজা বলির পত্নী সুদেস্নার সঙ্গে দীর্ঘতমা নামের এক ঋষির মিলনে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ , সুক্ষ্ ও পুণ্ড্র নামে পাঁচটি পুত্রের জন্ম হয়৷ পরবর্তীকালে তারা নিজের নিজের নামেই পাঁচটি রাজা প্রতিষ্ঠা করেন৷ আর পুণ্ড্র রাজ্যটির মধ্যে আমাদের বর্তমান জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর অবস্থিত ছিল। আর এই সমস্ত ধর্মগ্রন্থগুলো থেকেই জানা যায় পরবর্তী কালে বংশানুক্রমিক ভাবেই তার বংশধরেরা এই পুন্ড্রভুমিতেই রাজত্ব করে আসছে ।

বানগড় ও বানরাজ

পৌরাণিক শাস্ত্র অনুযায়ী  পৌরাণিক যুগে রাজা বাণ এই অঞ্চলের শাসনকর্তা হিসেবে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন! তার নাম অনুসারেই এ রাজ্যের নাম হয় বাণরাজ্য এবং রাজধানীর নাম হয় বাণনগর৷ এই বাণনগরই
বর্তমানে বাণগড় (গঙ্গারামপুর থানা, দ দিনাজপুর) নামে পরিচিত৷
বানগড় 
এর পাশেই রয়েছে পুনর্ভবা ও ব্রাহ্মণী নদী | এই নদীর তীরে বাণ রাজায় ধন্যা ঊষার ঘর 'ঊষাতিটি' ছিল ! নারায়ণপুরের (গঙ্গারামপুর থানা, দিনাজপুর) নিকটে একটি বিশাল ডিপিকে স্থানীয় লোকেরা এখনও "ঊষাতিটি' বলে থাকেন! কথিত আছে যে, দ্বারকার রাজা  শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধের সাথে বানরাজ কন্যা ঊষার প্রেন হয়, বাণ রাজার অনুমতি ছাড়াই গোপনে তারা বিবাহ করেন, যদিও এই বিবাহে বানরাজের কোন ইচ্ছা ছিল না , তাই ঊষাকে বিবাহের পর অনিরুদ্ধ ঊষাকে নিয়ে ঊষাতিটিতে আশ্রয় নেই। তারপর একদিন ঊষাকে নিয়ে অনিরুদ্ধ পলায়ন ফরেন ৷ যে রাস্তা দিয়ে তারা পালিয়ে ছিল, সেই রাস্তা "ঊষাহরণ রোড' (কুশমণ্ডি খানা, দং দিনাজপুর) নামে পরিচিত ।
পরবর্তী কালে বানরাজ অনিরুদ্ধকে আটক করলে, দ্বারকার রাজা শ্রীকৃষ্ণের সাথে বানরাজের যুদ্ধ হয় ৷ এইযুদ্ধে শিবের শহস্র হস্তের বরপ্রাপ্ত বানরাজ যুদ্ধে বীরত্ব দেখালেও শ্রীকৃষ্ণের কাছে পরাজিত হয় এবং শ্রীকৃষ্ণ বানরাজার এক হাজার়টি হাতের মধ্যে মাত্র দুটি রেখে বাকি ৯৯৮ টি হাত ও করকেটে ফেলেন এবং পুনর্ভবা নদীর তীরে সেগুলি পুরিয়ে দেন, যে স্থানে হাত বা করগুলো দাহ করা হয়, সেই স্থানটিই বর্তমানে 'করদহ' বা (তপন থানা.দ দিনাজপুর) নামে পরিচিত , আর মনে করা হয় তাদের এই যুদ্ধটি পরিচালিত হয়েছিল নারায়নপুরের বিস্তৃন এলাকাই । শিব সেই স্থানে বানরাজকে দর্শন দিয়েছিল সেখানে এখন একটি মন্দির রয়েছে
বিরূপাক্ষ মন্দির 
যেটি বিরূপাক্ষ মন্দির নামে পরিচিত যেটি গঙ্গারামপুরের শিববাড়ীতে অবস্থিত এছাড়া শিববাড়ীর মিশন পারাতে ৪ টি স্তম্ভ রয়েছে, মনে করা হয় সেখানে ঊষা আর অনিরুদ্ধের মালাবদল হয়েছিল। এছাড়াও রাজা বান শিবের তর্পনের জন্য একটি দিঘি খনন করেন যেটি বর্তমানে তপন দীঘি নামে পরিচিত, এই তর্জন থেকেই এই স্থানের নাম হয় তপন।

বিদ্বেশ্বরী মন্দির পতিরাম 

সতি তার দেহ ত্যাগ করলে, মহাদেব  সতির সেই  মৃত দেহ কাঁধে নিয়ে গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করেন।যার ফলে ব্রম্ভার বানানো এই সুন্দর পৃথিবীতে প্রলয় আসতে শুরু করে তাই বাধ্য হয়ে বিষ্ণুর কাছে ব্রম্ভা তার সৃষ্টিকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে, অবস্থা বেগতিক দেখে বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতির শরির অনেকগুলো খন্ডে বিভক্ত করেন ,আর যে খন্ডগুলি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছরিয়ে পরে সেই সমস্ত জায়গায় একটি করে পীঠস্থান বা শক্তিপীঠ বা শক্তিস্থল গড়ে উঠে। মনে করা হয় সতির শরিরের একটি খন্ড পতিরামের এই স্থানে এসে পরে, সুতরাং বলা যায় যে পতিরামের এই বিদ্বেশরী মন্দিরটি ( দক্ষিণ দিনাজপুর ) হল সেই সমস্ত শক্তিপীঠের মধ্যে একটি শক্তিস্থল।

বিরাট রাজার রাজ্য 

পুরাণ শাস্ত্রে বিশেষ করে মহাভারতে উল্লিখিত  আছে যে পান্ডবেরা বারো বছর বনবাসের সময় ছদ্মবেশ ধারন করে বিরাট রাজার রাজ্য বসবাস করে , আর এই বিরাট রাজার বিশাল আকৃতির গোশালা ও রাজপ্রাসাদ ছিল যেটা আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের অঞ্চলের 'বৈরাট্টাতে, রয়েছে। আরো বলা হয়েছে প্রজাহৈতষি রাজা বিরাট গোশালার পশুদের জন্য অনেক দিঘি খনন করেন এছাড়াও আলতাদিথি. মালিয়ানদিধির মতো বিশাল জলাশয়গুলো রাজা বিরাটই তৈরি করান যেগুলো রানি ও রাজন্যাদের স্নানের জন্য যেগুলো বানানো হয়েছিল ।

ভিমরাজার রাজপ্রাসাদ 

কুশমণ্ডি থানার করঞ্জি নামের একটি গ্রাম রয়েছে  যে গ্রামের মাঝে রয়েছে উঁচু টিপি, যেটি স্থানিয় ভাষাই ভিমদেওল নামে ডাকা হয়, মনে করা হয় ভীম তার রাজধানী ও রাজপ্রাসাদ এখানেই বানিয়েছিলেন ।  এছাড়া আরো মনে করা হয়,  বিষ্ণু পুরাণে উল্লেখিত ঘটনা কৃষ্ণের নারায়নচক্র দ্বারা কংসের শিরশ্ছেদ করে, সেই কংস রাজার মুণ্ডটি এখানেই পরেছিল বলে মনে করা হয়। তাই প্রতি বছর মাঘপূর্ণিমায় এই স্থানে কংস উৎসব পালিত হয়ে  আর মেলার আয়োজন করা হয়৷

এছাড়া আরো কিছুস্থান রয়েছে যেগুলো হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গুলিতে উল্লেখ আছে, সেটা নিয়ে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে, এছাড়া আমি দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, ও উত্তর দিনাজপুরের ইতিহাস নিয়ে অনেক ভিডিও বানিয়েছি যেগুলো আপনারা আমার ইউটিউব চেনেলে গিয়ে দেখতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্তে একটি ভিডিও দিয়ে যাচ্ছি, আসা রাখছি আপনারা আমার চেনেল সাব্সক্রাইব করবেন। আমার হোয়াট্সএপ নং ৯৬১৪৬৬১৭১৯।
Ever such a nice boy SUMANTA HEMBROM

WhatsApp

1 টি মন্তব্য:

  1. Khub bhalo laglo. Ar, amader
    Bolla Rakkha Kali Khub bikkhato. Parti sukrabaar anno bhog hoy, bachhore rash purnimar r parer sukrabaar baar theke 4 din kali pujo o mela hoy. Anek loke er samagome ei chhoto gram ti bhore jay.
    Namoskar.

    উত্তরমুছুন