History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯

দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগন্জ দালানতলি এলাকার নদিগ্রাম ঐতিহাসিক ইমারত ধ্বংসের মুখে

দক্ষিণ দিনাজপুরের ইতিহাস নিয়ে  যত বেশী বলা  যাবে ঠিক ততটাই কম হয় আর মজার বিষয়টা হল প্রশাসন এই বিষয়ে একটু হলেও উদাসিন এমনকি প্রাচীন কালের ধংসাবশেষ গুলো কোথাই আছে আর কী অবস্থায় আছে সে বিষয়ে কোনো হেলদোল নেই যে সমস্ত ঐতিহাসিক স্থান গুলো কিছুটা পরিচিত লাভ করেছে শুধুমাত্র সেই গুলো প্রশসন রক্ষা করতে কিছুটা এগিয়ে এসেছে যেমন বানগড় ,মহিপালের নীলকুঠি, এছাড়া আরো কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান ও ধংসাবশেষ। কিন্তু সেই সমস্ত ঐতিহাসিক স্থান বা ধংসাবশেষের কী যেগুলো পরিচিতি পাইনি, বা মানুষের কাছে সম্পুর্ণভাবে অজানা। সেগুলো সম্পুর্ণভাবে অজত্নের  জন্য  ধংস হয়ে যাচ্ছে আর না বল্লে নই এর মধ্যেই অনেক প্রাচীন মন্দির কিংবা দরগা, বা মসজিদ ইতিমধ্যেই ধংস হয়ে গেছে আর দ্বিতীয় মজার বিষয়টি হলো প্রসাষণিক  ভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গাই ইতিহাস তুলেধরার কোন পরিকল্পনাই নেই যার জন্য সেই সমস্ত স্থানের লুকায়িত তথ্য ইতিহাস ধীরে ধীরে  হারিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি স্থান হল পতিরামে নাজিরপুর, বোটুল গ্রাম, হরিরামপুরের বৈরাষ্ঠা, কুষামন্ডির করঞি গ্রাম, হিলির বৈ গ্রাম, আরো বহু জায়গা আছে যেখানে খনন কার্যের প্রয়োজন আছে "ঠিক এমনি একটি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে পতিরাম মৌজার দালানতলিতে বা নদিগ্রামে।                       
কুমারগন্জ দালানতলি নদিগ্রাম ঐতিহাসিক ইমারত 

 দালানতলির এই ধংসাবশেষ টি বেশ বড়  আকারের আর বটগাছ ও পাকুর গাছের  আচ্ছাদনে সম্পুর্ণভাবে ঘিরে ধরেছে আর সেই গাছের কারণে এই দালানতালির এই প্রত্নতান্ত্রিক নিদর্শনটি ধংস্ব হওয়ার মুখে। প্রথম প্রথম আমিও দেশে অবাক হয়েছিলাম এই প্রান্তিক গ্রামে পরে থাকা এই ইমারত টিকে  দেখে ,কারণ এই প্রাচীন ইমারতের বিষয়ে আমার কাছে কোনো সঠিক তথ্য ছিল না, আর এই নিদর্শনটি প্রমান করে দিল যে একসময় আমাদের এই জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর কতটা উন্নত ছিল আর পাশাপাশি এটাও বুঝতে পারলাম আমাদের এই জেলার না জানি কতগুলো প্রত্নতান্ত্রিক নিদর্শন রয়েছে যেগুলো, মানুষেরতো বটেই প্রশাষনের কাছেও অজানা। বরাবারি আমি ভ্রমণ পিপাসু তাই পথ চলতি আমি এই প্রাচীন ইমারতটি উদ্ধার করি যার জন্য আমার কাছে এই প্রাচীন ইতিহাসিক ইমারতটির রিষয়ে তেমন কোনো তথ্য বা ধারণা নেই।

কুমারগন্জ দালানতলি নদিগ্রাম ঐতিহাসিক ইমারত

যখন ঘুরতে ঘুরতে এই নিদর্শনটি  দেখতে পাই তখন একপ্রকার সময় নষ্ট না করে আামি এর ভিতরে ঢুকার জন্য তৎপর হয়ে পরি, যদিও ফিরে এসে আমি এই ঐতিহাসিক ইমারত বিষয়ে জানার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছিলাম কিন্তু এই বিষয়ে কোনো তথ্যই পেলাম না যদিও আমি এখানকার গ্রামের কিছু লোকদের কাছে এই প্রাচীন ইমারতের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম তবে তারাও এই বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারলো না । গ্রামবাসীদের মতে এটি একটি মন্দির ছিল আর কিছু কিছু গ্রামবাসিদের মতে এটি কোন এক মসজিদ ছিল আর প্রাচীনত্বের বিষয়ে তাদের স্পষ্ট কোন ধারণা নেই, আর তার কারণ হিসাবে তারা বলেন তাদের আসার বহু আগে থেকেই এই প্রাচীন ইমারতটি এখানে রয়েছে। কার বক্তব্য কতটা সঠিক সেটা জানার জন্য আমি এই ইমারতটির ভিতরে প্রবেশ করি। তখন দেখতে পাই ছাদের বেশ বড় অংশ ভেঙ্গে পরেছে আর তার মধ্যে থেকে গাছের শিকরগুলো ঝুলে রয়েছে,  আর আমার যে অনুভূতি হচ্ছিল সেটা বলার ভাষা আমার কাছে নেই।
এবার আসি আমার অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া কিছু ধারণা। এর আগে আমি দক্ষিণ দিনাজপুরের যতগুলো ঐতিহাসিক স্থান ঘুরেছি, এটি তার মধ্যে থেকে সম্পুর্ণভাবে আলাদা, তার কারণ হল এর আগে আমি যতগুলো ঐতিহাসিক ইমারত দেখেছি তার সবগুলোতেই টেরাকোটার কাজ অবশ্যই ছিল, কিন্তু এই ইমারত সেটি নেই, তবুও এটি যদি কোন মন্দির হয়ে থাকে তবে এর প্রাচীনত্ব 800 বছরের বেশী হওয়া উচিত,  কারণ, 1204 খ্রীষ্টাব্দের পর থেকে আমাদের জেলাই মুসলিম শাষনের শুরু হয়, আর বাস্তবেই যদি এটি কোন মন্দির হয়ে থাকে তবে এর গায়ে অবশ্যই টেরাকোটার শিল্প থাকতো, সুতরাং এটি মন্দির হওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই। আর যদি এই ইমারতটি কোন মসজিদ হয়ে থাকে তবে বল্ব ঐতিহাসিক কালে যে পরিকল্পনার দ্বারা মসজিদ বানানো হত,  তার একটুও আমি এই ইমারতের মধ্যে লক্ষ্য করেনি, সুতরাং মসজিদ হওয়ার সুযোগটাও কম, তাহলে আমার মতে এটি কোন সুফি সন্তদের প্রচার স্থান হতে পারে। কারণ হিসাবে বলা যায়, 1204 খ্রীষ্টাব্দের পরবর্তী কালে ধর্মক্ষেত্রে এক অপূর্ব পরিবর্তন আসে যেটি সুফিবাদ নামে পরিচিত, ঠিক এমনি এক সুফিসন্ত আতা শাহের দরগা গঙ্গারামপুরের ধলদিঘীতে রয়েছে। আর বাংলাই মুসলিম রাজত্ব শুরু হলে সুফি সন্তরা খুব সহজেই তাদের মতবাদটি প্রচারের সুযোগ খুব ভালোভাবে পেয়ে যায়,।
সবশেষে আমি যেটা বলতে চাই সেটি হল, উপরি উক্ত যা কিছু বলেছি সেগুলো আমার ধারণা মাত্র, সত্য অন্যকিছু ও হতে পারে। তবে যেটা সত্য সেটা হল দক্ষিণ দিনাজপুরের এমন অনেক প্রাচীন ইমারত আছে যেগুলো রক্ষা করার দরকার, কারণ এগুলো সব আমাদের জেলার প্রাচীন ঐতিহ্য।
Ever such a nice boy SUMANTA HEMBROM,

WhatsApp

৩টি মন্তব্য:

  1. এটা মন্দিরই ছিল,মসজিদ নয়। টেরাকোটার কাজের নিদর্শনও ছিল। এখন কিছুই নেই। 2-3 মাস আগে ঝড়ে বট গাছের ওই ডালটি ভেঙে পড়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. এটা নদীপুরের ভগবতী মন্দির।

    আপনার সাথে সামনাসামনি দেখা করার ইচ্ছে থাকলো।

    উত্তরমুছুন
  3. অবশ্যই , আমি গঙ্গারামপুরের ছেলে, তাছাড়াও পৃথিবী এমনিতে ছোট, আশা রাখছি খুব শিঘ্রই দেখা হবে।

    উত্তরমুছুন