History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

ছোট জামা কাপড় কি ধর্ষনের কারন ? বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গি ও সামাজিক সমস্যা ।। social problem about dress up

দিনে দিনে পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে, ঠিক সেই হারেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা । চারে দিকে চলছে আধুনিকতার নাম দিয়ে পুরোনোকে অবহেলা , তা সে কোন সংস্কার হোক বা কোন পুরোনো নীতি। আধুনিকতার এই যুগে সবাই  তার অধিকার গুলিকে নিয়ে সজাগ, কেও তার অধিকার হারাতে চাই না, যে লক্ষ্যেনটি বাস্তবেই শুভ দিকের অনুসারি, কিন্তু তাদের বেলাই কি বলবেন যারা  নোংরামিকে আধুনিকতার নাম দিয়ে সমাজকে কলুষিত করছে। কেই বা তাদের বোঝাবে "আধুনিকতার অর্থ হল সমাজের খারাপ দিক ও বিষয়গুলিকে সরিয়ে ,ভালো দিক গুলোকে গ্রহন করে এগিয়ে চলার নাম হলো আধুনিকতা ।" এই আধুনিকতার আড়ালে সকলেই তার ব্যাক্তি স্বাধিনতা নিয়ে সজাগ, যে স্বাধিনতার একটি বিকৃত রুপও চোখে পরছে সবার । আর এই বিকৃত ব্যাক্তি স্বাধিনতার আড়ালে কিছু নারি হাজির হয়েছে স্বল্প পরিধান নিয়ে । যার থেকে জন্ম নিয়েছে একটি নতুন বিতর্কের " ছোট জামাকাপড় ধর্ষনের কারন কি কারন নয় ।" এই বিতর্কিত বিষয়ে দু পক্ষই সজাগ , একপক্ষ  যুক্তিতে বলে - ছোট জামাকাপড়  যদি ধর্ষনের কারন হয়ে থাকে তবে শারি পরা বা বোরখা পরা নারিরাও কেন ধর্ষিত হন , ঠিক এর অপর পক্ষ আবার যুক্তি দেখাই - দোকানে রাখা খাবার যদি খোলা অবস্থায় থাকে তাহলে ইন্দুঁর তো খাবেই ।
যুক্তি দুই পক্ষেরি জোরালো ,তাই এই সমস্ত জটিল বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও ধার্মিক প্রমান ও যুক্তির উপর নির্ভর করা ভালো , বিষয়টি বড্ড জটিল তবে সেটা অসম্ভবও না । তাহলে চলুন বিষয়টি বিজ্ঞানও ধর্মিও আলোকে বিচার করা যাক । 
Social inequality, dark side of fashion,todays love, nawadays love,social injustice,

বিজ্ঞান ও ধর্ষন

এই প্রসঙ্গে আলোচনা করার আগে এটা জানিয়ে রাখি কামনা বাসনা মানুষের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ঠ্য ,তবে একটা নারি যতটা না পুরুষের উপর আকৃষ্ট হয় তার অনেক বেশি একজন পুরুষ একটি নারির উপর আকৃষ্ট হয় ,যার পিছনে প্রধান কারন হল হরমোনস। আর যে সমস্ত হরমোনস কামুকতার জন্য দায়ি সেগুলো হল টেষ্টোস্টেরন হরমোন ও অক্সিটোসিন হরমোন, এর মধ্যে টেষ্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয় পুরুষের অন্ডকোষ থেকে আর অক্সিটোসিন হরমোন  ক্ষরিত হয় মস্তিষ্ক থেকে । এই হরমোনগুলির এই বিশেষ বৈশিষ্ঠের জন্য এদের বিশেষ নামে ডাকা হয়, যেমন টেষ্টোস্টেরন হরমোনকে বলা হয় সেক্স হরমোন আর অক্সিটোসিন হরমোনকে ডাকা হয় ভালোবাসার হরমোন হিসাবে ।  টেষ্টোস্টেরন হরোমনি বাইরের পরিবেশের পর্যালোচনা করে  কাম উত্তেজনা মস্তিষ্কে সংকেত হিসাবে পাঠাই ।
এবার একটু বিস্তারিত আলোচনা করছি , পুর্বেই বলেছি একটি নারি যতটা না পুরুষের উপর আকৃষ্ট হয় তার থেকে অনেক বেশি একজন পুরুষ একটি নারির প্রতি আকৃষ্ট হয়, যার পিছনে দায়ি হল সেক্স হরমোনস আর যেটি নারি ও পুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক । কিন্তু যখন নারিরা স্বল্প বস্ত্র পরিধান করে তখন পুরুষের সেই আকর্ষন বহুগুন বেড়ে যায় । বিষয়টি একটি উদাহরন দ্বারা বোঝা যাক - একটি নারি ভিড়ের মাঝে স্বল্প পরিধানে একটি পুরুষের প্রতি লক্ষ্যে করে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি করছে , এমনাবস্থায় হরমোনসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুরুষটির মধ্যে কাম উত্তেজনা তৈরি হবে সেটা স্বাভাবিক , কিন্তু সেটার বহিঃ প্রকাশ ঘটবে কি ঘটবে না সেটা নির্ভর করে সেই সময়ের পরিস্থিতীর উপরে । আর এই বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে , মানুষের সচেতন মন আর অবচেতন মন ।
এই বিষয়টি বোঝা খুবই গুরত্বপুর্ন কারন পুরুষ এই এহেন পরিস্থিতিতে হরমোনসের প্রভাবে যৌন উত্তেজনায়  উত্তেজিত হয়েও, চেতন মন সংযত থাকার  সংকেত মস্তিষ্কে চালনা করে কিন্তু একি সাথে অবচেতন মনে চলতে থাকে ঠিক এর বিপরিত পরিস্থিতি । চেতন মনের প্রভাবে দমিয়ে রাখা এই  সমস্ত অতৃপ্ত যৌন লালসা জমা হয় মানুষের অবচেতন মনে , যেটি ক্রমে জমতে জমতে একটি নোংরা মানষিকতার তৈরি করে । আর এই অবচেতন মনে জমে থাকা যৌন লালসা সুযোগ বুঝে হঠাৎ বেরিয়ে  "ধর্ষন" নামক জঘন্য কাজ ঘটাই , যে অতৃপ্ত যৌন লালসার শিকার কখনো কখনো শিশু ,বৃদ্ধা এমনকি পশুরাও হয়ে থাকে ।

ধর্মের ভিত্তিতে যুক্তি

পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থ গুলিতে পুরুষ ও নারির পরিধান কেমন হবে সেই বিষয়ে প্রায় একই রকম কথা বলা হয়েছে । হিন্দু ধর্মের অনেক গ্রন্থেই উল্লেখ আছে যে ঋৃষি ও মনিদের তপস্যা ভংগ করার জন্য অপ্সরাদের প্রেরন করা হত । যেটি প্রমান করে যে নারিদের প্রতি পুরুষের যৌন আকর্ষন কতটা বেশি এছাড়া পবিত্র বাইবেল ও পবিত্র কোরানে পরিধান বিষয়ে পুরুষ ও নারির প্রায় একি রকম বিষয় বলা হয়েছে , যেমন - ১ তোমরা পুরুষেরা নারির ,আর তোমরা নারিরা পুরুষের পরিধান পরবে না , ২ তোমরা উভয়েই পা থেকে গলা পর্যন্ত ঢাকা পরিধান পরবে । তবে নারিদের পরিধান বিষয়ে একটি অতিরিক্ত কথা বলা হয়েছে সেটি হল - তোমরা নারিরা এমন পরিধান পরবে না যেটি তোমার শরিরের অবয়ব পরিষ্ফুটিত করে । (ধর্ম নিয়ে এই বিষয়ের উপর বেশি আলোচনা করতে চাইছি না কারন ধর্ম মানুষের আস্থার সাথে জরিত ,আর আমার এই অধিকার নেই সেই আস্থাকে কোনপ্রকার আঘাত দেওয়ার, তবুও এই অল্প আলোচনা সাপেক্ষে কারো আস্থাই আঘাত লাগে  তবে তার জন্য   আমার ক্ষমা প্রার্থনীয়)
আধুনিকতা নাকি অসভ্যতা?
আমার কিছু বক্তব্য
সকলের এটা বোঝা উচিত যৌন ক্রিয়াকলাপ মানুষের জীবনে একটি স্বাভাবিক বিষয় ,যেটি নির্ভর করে মানুষের হরমোনস এর উপর । তাই ছোট জামাকাপড় ধর্ষনের কারন কি কারন না সেটা না হয় পরে আলোচনা করা যাবে , যদিও বা এটা মেনে নিই যে ছোট জামা কাপড় ধর্ষনের কারন নই, তাহলে এটাও আপনাকে মেনে নিতে হবে ছোট জামা কাপড় পরা কোন গর্বের বিষয়ও নই । জানি বেশি ভাগ মানুষের মাথায় এই কথাটি গেঁথে আছে যে ধর্ষনের পেছনে প্রধান কারন হল মানুষের নোংরা মানষিকতা , কথাটি বাস্তবেই সত্যি এই প্রসঙ্গে আমারো কোন দ্বিমত নেই , কিন্তু সময় হয়েছে সেই বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা , যদি বা ধর্ষনের জন্য নোংরা মানুষিকতা দায়ি ,তাহলে এই নোংরা মানুষিকতা গুলো আসে কোথাই থেকে এটিও ভাবার বিষয় । যদি বাস্তবেই ধর্ষন আটকাতে হয় ,তবে আপনাকে নোংরা মানষিকতা তৈরির জায়গা গুলিকেও আটকাতে হবে । এই কথাটি আমি বলছি না বরং এই কথাটি বলছে বিজ্ঞান, ছোট জামাকাপড়ের জন্য ধর্ষন হয় না এটি যতটা বাস্তব সত্য ,ঠিক ততটাই বাস্তব সত্য হল ছোট পরিধানের ফলে যে নোংরা মানষিকতার তৈরি হয় সেটি ধর্ষনের জন্য অনেকখানি দায়ি ।ধর্মের হিসাবেও  যদি সঠিক পর্যালোচনা করেন তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে প্রত্যেক ধর্মেই মার্জিত ও ভদ্র পরিধানের কথাই বলা হয়েছে । তাছাড়াও বর্তমান সমাজে পরিধান আপনার ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত ,তাই পরিধান  আপনার এমন হওয়া উচিত যার দ্বারা আপনার বিবেকের পরিচয় পাওয়া যায় এবং যেটি পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন ।
এই জটিল বিষয়ে আপনাদের ভদ্রতার সাথে সুষ্ঠ নৈতিক ও যুক্তিযুক্ত মতামতের আশা রাখছি ,কারন শুধু আপনার পরিধান নয় , আপনার কথাবার্তা ও ব্যবহারো আপনার ব্যাক্তিত্বের অংশ ।
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন