বড়দিন খুব শিঘ্রই আসছে , এই বিশেষ দিনটি যত কাছে আসছে ঠিক তোতটাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আমার উৎফুল্লতা । এই বড়দিন উৎসবটি এখন শুধুমাত্র খ্রীষ্টানদের মধ্যেই যে সীমাবদ্ধ আছে এমনটা নয় , এটা এখন সকল ধর্মপ্রান লোকের কাছেই একটি বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পরিচীত । বড়দিন আসার এক মাস আগে থেকেই প্রায় সব পরিবারেই চলতে থাকে এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে বিশেষ বিশেষ পরিকল্পনা, কারো বা থাকে বন ভোজনের পরিকল্পনা ,আবার কারো বা থাকে কোন বিশেষ যায়গা পরিভ্রমনের পরিকল্পনা । এই বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার পিছনে সবার একটাই উদ্দেশ্য সেটি হল বড়দিনের এই দিনটিকে আনন্দের সাথে নিজের মত কাটানো । বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অল্প বিস্তর খ্রীষ্ট বিশ্বাসিদের দেখা মেলে । যার জন্য স্থানভেদে এই দিনটি পালনের কিছু বিভিন্নতা দেখা যায় । এই বিভিন্নতার পাশাপাশি বড়দিনকে ঘিরে রয়েছে কিছু বিশেষ তথ্যের জন্ম দেয় যেগুলো সাধারণত অনেক মানুষের কাছেই অজানা , আর সেই সমস্ত অজানা তথ্য নিয়েই আজকে আমার এই প্রতিবেদন ।
WhatsApp
CHRISTIANITY
,
UNIQUE KNOWLEDGE
বড়দিন পালনের ভিন্ন দিন
আমরা সকলেই জানি বড়দিন হল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্ম উৎসব , যেটি পালিত হয় ইংরাজির ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে । কিন্তু অনেকেই হয়ত এটা জানেন না ২৫ শে ডিসেম্বর ছাড়াও একটি বিশেষ দিন ও তারিখ আছে যেটি বড়দিন হিসাবে পালন করা হয় , আর সেই দিনটি হল ৩ ও ৭ ই জানুয়ারি । আর এমনটা হওয়ার পিছনে কারন হল প্রভু যীশুখ্রীষ্ট কোন দিন জন্মগ্রহন করেছিলেন তার কোন ঐতিহাসিক প্রমান বা কোন তথ্য নেই এমনকি খ্রীষ্টানদের পবিত্র বাইবেলেও সেই বিশেষ দিনটির তারিখ বিশয়ে কোন কিছু বলা ছিলনা । প্রভু যীশুখ্রীষ্টের জন্ম বিশয়ে বাইবেলে মাত্র দুই জায়গাই উল্লেখ্য করা হয়েছে এক লুক লিখিত ,আর দ্বিতীয় মথি লিখিত ।বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালন করলেও ,বিশ্বের এমন কয়েকটি দেশ আছে যারা ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালন না করে ৩ ও ৭ ই জানুয়ারি তারিখটিকে বড়দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালিত হয় । উদাহরন স্বরুপ - রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মত রাষ্ট্রগুলোতে ৭ ই জানুয়ারি বড়দিন হিসাবে পালন করা হয় । যার পিছনে কারন হল কারন হল খ্রীষ্টানদের ধর্মপ্রধান পোপ জুলিয়াস ৩৩৬ খ্রীঃ গ্রেগেরীয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালনের ঘোষনা করে ।
অন্যদিকে উপরক্ত দেশগুলোর ইষ্টার্ন ন্যাশনাল চার্চগুলো জুলিবয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ৭ ই জানুয়ারি দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালন করে থাকে ।
খ্রীষ্টমাস আসলে দুটো শব্দ
আমরা বড়দিনের ইংরাজি শব্দ খ্রীষ্টমাস কে একটি শব্দ হিসাবে মনে করে থাকি ,কিন্তু আসলে দুটি পৃথক পৃথক শব্দের মেলবন্ধন ,যাদের অর্থ গুলিও ভিন্ন । মূলত গ্রীক শব্দ ক্রাষ্টস আর লাটিন শব্দ মাস ,এই দুটি শব্দ মিলিত হয়ে খ্রীষ্টমাস শব্দটি এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্রাষ্টস যার অর্থ পবিত্র , আর লাটিন শব্দ মাস যার অর্থ উৎসব , সুতরাং বলতে হয় খ্রীষ্টমাস শব্দেস প্রকৃত অর্থ হল পবিত্র দিন । আর এই বড়দিন একটি পবিত্রদিন হিসাবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে পালিত হয় । মোটামোটি ভাবে ষোড়শ শতকের দিকে রোমান প্রদেশে এই শব্দটি ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয় ,আর বর্তমানে এই শব্দটি গোটা বিশ্বের কাছে আনন্দের দিন ।
সবথেকে বেশি নামে পরিচিত উৎসব
পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশেই বহু উৎসব পালিত হয় ,যেগুলি হয়ত হাতে গুনেও শেষ করা যাবেনা , আর এই উৎসব গুলিও স্থানভেদেও বেশির ভাগ ক্ষেত্ৰে প্ৰায় একি নামেই পরিচিত , উদাহরণ স্বরুপ - আমাদের দেশে পালিত দুর্গা পুজা বিদেশেও সেই একিই নামে পরিচিত । কিন্ত বড়দিনের বিষয়ে এমনটি নয় , একটি বিশেষ সূত্ৰ অনুযায়ি বড়দিন হল বিশ্বের সবথেকে বেশি নামে পরিচিত উৎসব । যেই উৎসবটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত ,যেমন - এক্সমাস, খ্রীষ্টমাস , নেটিভীটি, নুয়েল আরো বহু আলাদা আলাদা নাম রয়েছে এই উৎসবের ।
সান্তাক্লজ একটি বাস্তব চরিত্র
বড়দিনকে যেমন কেক ছাড়া কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি বড়দিনকে সান্তাক্লজ ছাড়াও কল্পনা করা যায় না । কল্প কাহিনী অনুসারে সান্তাক্লজ উড়ন্ত বল্গাহরিনে চেপে এসে ভালো ও সহজ সরল শিশুদেরকে বড়দিনের দিন ভালো ভালো উপহার দিয়ে থাকেন । অনেকের মতে এই সান্তাক্লজ চরিত্রটি শুধুমাত্র একটি গ্রীক আর বাইজানইনের কল্প কাহিনীরি একটি চরিত্র , কিন্তু বাস্তবে এমনটি নয় । আসলে কল্পকাহিনীর চরিত্র আর বাস্তব চরিত্র দুটিকেই একত্রিত করে সান্টাক্লজের চরিত্রটি তৈরি হয়েছে । সেই বাস্তব চরিত্রটির নাম হল ফ্রান্সের সাধু নিকোলাস , এই সাধু নিকোলাস ছিলেন একজন খ্রীষ্টান যাযষ তথা একজন বিশপ । তিনি ফ্রান্সের একটি ছোট গ্রাম পাটারাতে জন্মগ্রহন করেছিলেন । এই সাধু নিকোলাসই বড়দিনের সময় একটি বিশেষ ধরনের পরিধান পরে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে ছোট ছোট শিশুদের উপহার প্রদান করতেন । পরবর্তী কালে সাধু নিকোলাসের এই বাস্তব চরিত্র আর গ্রীক দেশের কল্পকাহিনীর চরিত্র দুটিকে এক করে দেওয়া হয় যেটিকে আমরা সান্তাক্লজ হিসাবে চিনি ।
সান্তাক্লজকে নিয়ে আরেকটি অজানা তথ্য আছে সেটি হল , আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি - সান্তাক্লজ দেখতে কেমন ও তার পোষাক পরিচ্ছদ কেমন ,তাহলে হয়তো আপনি বলবেন মুখভর্তি সাদা দাড়ী , মাথায় লাল টুপি , আর তার সম্পুর্ন পোষাকটিই লাল । কিন্তু সান্তাক্লজের পোষাক বাস্তবে এমন নয় । সান্তাক্লজ প্রথম থেকেই নিলাভ সবুজ রং এর জামা কাপর পরতেন । কিন্তু ১৯৩০ সালে বিখ্যাত পানীয় সংস্থা পেপসিকো তার পানীয় প্রচারের জন্য সান্তাক্লজকে মোডেল হিসাবে বেছে নেয় , এবং পেপসিকো সংস্থা সান্তাক্লজের পোষাকটিকে নিলাভ সবুজ না দেখিয়ে বরং লাল রং টিকে বেছে নেয় , এবং এই পোষাক পরিবর্তনের এই বিষয়টি মানুষের মধ্যে বিশেষ সারা ফেলেছিল ,যার পর থেকে নিলাভ সবুজকে নই বরং লাল পোষাককেই সান্তাক্লজের প্রচলন হতে শুরু করে, আর যার ফল স্বরুপ এখন সান্তাক্লজকে লাল কাপড় ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। এছাড়া বড়দিনকে নিয়ে আরো অনেক তথ্য আছে যেগুলো মানুষের কাছে প্রায় অজানা । যদি সুযোগ পাই তবে সেই সমস্ত তথ্য গুলিও একদিন তুলে ধরবো ।
আমরা সকলেই জানি বড়দিন হল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্ম উৎসব , যেটি পালিত হয় ইংরাজির ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে । কিন্তু অনেকেই হয়ত এটা জানেন না ২৫ শে ডিসেম্বর ছাড়াও একটি বিশেষ দিন ও তারিখ আছে যেটি বড়দিন হিসাবে পালন করা হয় , আর সেই দিনটি হল ৩ ও ৭ ই জানুয়ারি । আর এমনটা হওয়ার পিছনে কারন হল প্রভু যীশুখ্রীষ্ট কোন দিন জন্মগ্রহন করেছিলেন তার কোন ঐতিহাসিক প্রমান বা কোন তথ্য নেই এমনকি খ্রীষ্টানদের পবিত্র বাইবেলেও সেই বিশেষ দিনটির তারিখ বিশয়ে কোন কিছু বলা ছিলনা । প্রভু যীশুখ্রীষ্টের জন্ম বিশয়ে বাইবেলে মাত্র দুই জায়গাই উল্লেখ্য করা হয়েছে এক লুক লিখিত ,আর দ্বিতীয় মথি লিখিত ।বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালন করলেও ,বিশ্বের এমন কয়েকটি দেশ আছে যারা ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালন না করে ৩ ও ৭ ই জানুয়ারি তারিখটিকে বড়দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালিত হয় । উদাহরন স্বরুপ - রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মত রাষ্ট্রগুলোতে ৭ ই জানুয়ারি বড়দিন হিসাবে পালন করা হয় । যার পিছনে কারন হল কারন হল খ্রীষ্টানদের ধর্মপ্রধান পোপ জুলিয়াস ৩৩৬ খ্রীঃ গ্রেগেরীয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসাবে পালনের ঘোষনা করে ।
বড়দিন |
খ্রীষ্টমাস আসলে দুটো শব্দ
আমরা বড়দিনের ইংরাজি শব্দ খ্রীষ্টমাস কে একটি শব্দ হিসাবে মনে করে থাকি ,কিন্তু আসলে দুটি পৃথক পৃথক শব্দের মেলবন্ধন ,যাদের অর্থ গুলিও ভিন্ন । মূলত গ্রীক শব্দ ক্রাষ্টস আর লাটিন শব্দ মাস ,এই দুটি শব্দ মিলিত হয়ে খ্রীষ্টমাস শব্দটি এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্রাষ্টস যার অর্থ পবিত্র , আর লাটিন শব্দ মাস যার অর্থ উৎসব , সুতরাং বলতে হয় খ্রীষ্টমাস শব্দেস প্রকৃত অর্থ হল পবিত্র দিন । আর এই বড়দিন একটি পবিত্রদিন হিসাবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে পালিত হয় । মোটামোটি ভাবে ষোড়শ শতকের দিকে রোমান প্রদেশে এই শব্দটি ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয় ,আর বর্তমানে এই শব্দটি গোটা বিশ্বের কাছে আনন্দের দিন ।
সবথেকে বেশি নামে পরিচিত উৎসব
পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশেই বহু উৎসব পালিত হয় ,যেগুলি হয়ত হাতে গুনেও শেষ করা যাবেনা , আর এই উৎসব গুলিও স্থানভেদেও বেশির ভাগ ক্ষেত্ৰে প্ৰায় একি নামেই পরিচিত , উদাহরণ স্বরুপ - আমাদের দেশে পালিত দুর্গা পুজা বিদেশেও সেই একিই নামে পরিচিত । কিন্ত বড়দিনের বিষয়ে এমনটি নয় , একটি বিশেষ সূত্ৰ অনুযায়ি বড়দিন হল বিশ্বের সবথেকে বেশি নামে পরিচিত উৎসব । যেই উৎসবটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত ,যেমন - এক্সমাস, খ্রীষ্টমাস , নেটিভীটি, নুয়েল আরো বহু আলাদা আলাদা নাম রয়েছে এই উৎসবের ।
সান্তাক্লজ একটি বাস্তব চরিত্র
বড়দিনকে যেমন কেক ছাড়া কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি বড়দিনকে সান্তাক্লজ ছাড়াও কল্পনা করা যায় না । কল্প কাহিনী অনুসারে সান্তাক্লজ উড়ন্ত বল্গাহরিনে চেপে এসে ভালো ও সহজ সরল শিশুদেরকে বড়দিনের দিন ভালো ভালো উপহার দিয়ে থাকেন । অনেকের মতে এই সান্তাক্লজ চরিত্রটি শুধুমাত্র একটি গ্রীক আর বাইজানইনের কল্প কাহিনীরি একটি চরিত্র , কিন্তু বাস্তবে এমনটি নয় । আসলে কল্পকাহিনীর চরিত্র আর বাস্তব চরিত্র দুটিকেই একত্রিত করে সান্টাক্লজের চরিত্রটি তৈরি হয়েছে । সেই বাস্তব চরিত্রটির নাম হল ফ্রান্সের সাধু নিকোলাস , এই সাধু নিকোলাস ছিলেন একজন খ্রীষ্টান যাযষ তথা একজন বিশপ । তিনি ফ্রান্সের একটি ছোট গ্রাম পাটারাতে জন্মগ্রহন করেছিলেন । এই সাধু নিকোলাসই বড়দিনের সময় একটি বিশেষ ধরনের পরিধান পরে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে ছোট ছোট শিশুদের উপহার প্রদান করতেন । পরবর্তী কালে সাধু নিকোলাসের এই বাস্তব চরিত্র আর গ্রীক দেশের কল্পকাহিনীর চরিত্র দুটিকে এক করে দেওয়া হয় যেটিকে আমরা সান্তাক্লজ হিসাবে চিনি ।
সান্তাক্লজ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন