ভারতের স্বাধিনতা লাভের পূৰ্বে কৃষক বিদ্রোহে ছেয়ে গিয়েছিল প্রায় সমগ্র ভারতে । যার মূল আংশটিই ছিল বাংলার বুকে, । বাংলার কৃষক ভাইদের উপরে সেই নির্মম অত্যাচার সহ্য করেনি বাংলার কৃষকেরা । তাই এক এক করে দেখা দেই নিল বিদ্রোহ , তেভাগা আন্দোলন , আরো বহু বিদ্রোহ । যার কিছু কিছু তৎকালিন দিনাজপুর মোটেও আন্দোলনের দিক দিয়ে মোটেও পিছিয়ে ছিল না ।
# নিল চাষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভারত উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমনের বহু আগে থেকেই ভারতে নিল চাষ শুরু হয়েছিল । পরাধীন ভারতে নিল চাষ করে রপ্তানী করা যে খুব লাভজনক হতে পারে সেটি ব্রিটিশ আর ফরাসি উভয়েই বুঝতে পারেন । তাই ১৯৭৭ ফরাসি ব্যবসায়ী লুই বার্নাড বিঙ্গানসম্মত ভাবে নিলচাষের পদ্ধতি ভারতে নিয়ে আসেন ।
পরাধীন ভারতের অবিভক্ত বাংলার হুগলি নদির তীরবর্তি স্থান , মালদা, মুর্শিদাবাদ , দিনাজপুরের কিছু এলাকা , যশোর ,কালনা এছাড়া আরো বহু স্থান ছিল নিল চাষের পক্ষে উপযুক্ত । মূলত হুগলি নদির গোন্দালপারা ও তালডাঙ্গাতে লুই বার্নাডের দ্বারা আমেরিকার বিঙ্গানসম্মত উপায়ে নিল চাষ ১৭৯৯ সালে শুরু হলেও তার কয়েক বছর আগে থেকেই তৎকালিন দিনাজপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছিল নিল চাষ ।
# দক্ষিন দিনাজপুরের নিলকুঠি
বর্তমানের দক্ষিন দিনাজপুর সেই সময়ের অবিভক্ত দিনাজপুরের অংশ ছিল যার কিছু কিছু স্থান ছিল নিল চাষের পক্ষে উপযুক্ত । অষ্টাদশ শতকের দিকে ইংরাজদের প্রচেষ্টাই তৎকালিন দিনাজপুরের আর বর্তমানের দক্ষিন দিনাজপুরের মহিপাল আর মদনাবতিতে গড়ে উঠে নিল কুঠি । যার ধ্বংসাবশেষ আজও দেখতে পাওয়া যায় । তবে আজ মদনাবতির নিলকুঠির বিশয়ে আলোচনা করতে চাই ।
# মদনাবতি নিল কুঠির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
মদনাবতি দক্ষিন দিনাজপুরের বংশিহারি থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম পন্ঞ্চায়েত এলাকা । যেখনে ১৭৬১ সালে গড়ে উঠেছিল একটি নিল কুঠি ,ইংরাজ সাহেব উডনির প্রচেষ্টায় । তার নেতৃত্বে মদনাবতি ও বর্তমান বুনিয়াদপুর আর বংশিহারি থানা এলাকার বেশ কিছু এলাকাই চলতো নিল চাষ । কিন্তু পরবর্তী কালে বিঙ্গান পদ্ধতিতে নিল চাষ শুরু হলেও , সেটি উডনি সাহেবের পক্ষে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পরে ।
তাই তিনি মাত্র ৩০০ পাউন্ডের বিনিময়ে এই মদনাবতির নিলকুঠিটি ইংরাজ সাহেব উইলিয়াম কেরির কাছে বিক্রী করে দেন । তার নেতৃত্ব কিছু দিন যাবৎ নিল চাষ করা হলেও তার পক্ষেও সেটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে উঠে পরেছিল কঠিন বিষয় , কেননা এই স্থান থেকে নিল উৎপাদন করে বহিঃ বিশ্বে পাঠানো ছিল খরচাসাপেক্ষ , পাশাপাশি কৃষকদের নিল চাষে তেমন কোন লাভ না হওয়ার ফলে তারাও নিল চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন । তাই এই নিলকুঠিটি দাপট ধিরে ধিরে অবলুপ্ত হতে শুরু করে ।
# নিল চাষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভারত উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমনের বহু আগে থেকেই ভারতে নিল চাষ শুরু হয়েছিল । পরাধীন ভারতে নিল চাষ করে রপ্তানী করা যে খুব লাভজনক হতে পারে সেটি ব্রিটিশ আর ফরাসি উভয়েই বুঝতে পারেন । তাই ১৯৭৭ ফরাসি ব্যবসায়ী লুই বার্নাড বিঙ্গানসম্মত ভাবে নিলচাষের পদ্ধতি ভারতে নিয়ে আসেন ।
মদনাবতি নিলকুঠির ধ্বংসাবশেষ |
# দক্ষিন দিনাজপুরের নিলকুঠি
বর্তমানের দক্ষিন দিনাজপুর সেই সময়ের অবিভক্ত দিনাজপুরের অংশ ছিল যার কিছু কিছু স্থান ছিল নিল চাষের পক্ষে উপযুক্ত । অষ্টাদশ শতকের দিকে ইংরাজদের প্রচেষ্টাই তৎকালিন দিনাজপুরের আর বর্তমানের দক্ষিন দিনাজপুরের মহিপাল আর মদনাবতিতে গড়ে উঠে নিল কুঠি । যার ধ্বংসাবশেষ আজও দেখতে পাওয়া যায় । তবে আজ মদনাবতির নিলকুঠির বিশয়ে আলোচনা করতে চাই ।
মদনাবতির নিলকুঠির সামনে আমি |
মদনাবতি দক্ষিন দিনাজপুরের বংশিহারি থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম পন্ঞ্চায়েত এলাকা । যেখনে ১৭৬১ সালে গড়ে উঠেছিল একটি নিল কুঠি ,ইংরাজ সাহেব উডনির প্রচেষ্টায় । তার নেতৃত্বে মদনাবতি ও বর্তমান বুনিয়াদপুর আর বংশিহারি থানা এলাকার বেশ কিছু এলাকাই চলতো নিল চাষ । কিন্তু পরবর্তী কালে বিঙ্গান পদ্ধতিতে নিল চাষ শুরু হলেও , সেটি উডনি সাহেবের পক্ষে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পরে ।
নিলকুঠির স্মারক ও আমি |
সুমন্ত মাহালি হেমরম
আপনার ব্লগ টি পড়লে নতুন নতুন অনেক কিছু জানা যায়
উত্তরমুছুনঘুরে আসুন আমাদের ব্লগে