সমাজে নারি - পুরুষের মধ্যে এই পার্থক্যকে দুর করার পাশাপাশি ,এবং নারিরাও যাতে এই সমাজ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন না মনে করে তার জন্য উঠে এসেছে একটি নতুন চিন্তাধারা "নারিবাদ" 'feminism ' ।
# নারীবাদ কি 'feminism ' ?
১৮৩৭ খ্রিঃ ফরাসি দার্শনিক ও ইউটোপীয় সমাজবাদী চার্লস ফুরিয়ে প্রথম 'নারীবাদ' বা ' feminism ' শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয় । নারী এবং পুরুষের অধিকার গুলোকে সমান করার লক্ষ্যে নারীবাদ বিংশ শতাব্দীতে উঠে আসা একটি দর্শন যা সভ্যতায় মানুষ হিসেবে পুরুষের তুলনায় নারীর অধিকারের সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। নারীবাদ অনুসারে নারী পুরুষের তুলনায় শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হলেও ,পুরুষের মত নারীরাও সকল প্রকার কাজে সক্ষম ,আবার অন্যদিকে সামাজিক অবদানের দিক দিয়ে পুরুষ থেকে কম নয়। নারীবাদ সমাজের একটি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন দিক যেটি নারী ও পুরুষের মধ্যে লৈঙ্গিক বৈষম্যে দূর করার জন্য আনা হয়েছে । নারীরাও যাতে সমাজে পুরুষের মতই সন্মানের সাথে জীবন যাপন করতে পারে ,সেই বিষয়ে কথা বলে । উদাহরণ স্বরুপ - একসময় মহিলাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল না , শিক্ষা ছিল শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য ।
# নারীবাদ কি 'feminism ' ?
১৮৩৭ খ্রিঃ ফরাসি দার্শনিক ও ইউটোপীয় সমাজবাদী চার্লস ফুরিয়ে প্রথম 'নারীবাদ' বা ' feminism ' শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয় । নারী এবং পুরুষের অধিকার গুলোকে সমান করার লক্ষ্যে নারীবাদ বিংশ শতাব্দীতে উঠে আসা একটি দর্শন যা সভ্যতায় মানুষ হিসেবে পুরুষের তুলনায় নারীর অধিকারের সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। নারীবাদ অনুসারে নারী পুরুষের তুলনায় শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হলেও ,পুরুষের মত নারীরাও সকল প্রকার কাজে সক্ষম ,আবার অন্যদিকে সামাজিক অবদানের দিক দিয়ে পুরুষ থেকে কম নয়। নারীবাদ সমাজের একটি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন দিক যেটি নারী ও পুরুষের মধ্যে লৈঙ্গিক বৈষম্যে দূর করার জন্য আনা হয়েছে । নারীরাও যাতে সমাজে পুরুষের মতই সন্মানের সাথে জীবন যাপন করতে পারে ,সেই বিষয়ে কথা বলে । উদাহরণ স্বরুপ - একসময় মহিলাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল না , শিক্ষা ছিল শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য ।
উগ্ৰনারী বাদ বা FAMINAZI |
বিভিন্ন শুভবুদ্ধি নারীবাদি সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যার ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারিরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে । পুর্বে বড় বড় প্রশাষনিক পদগুলোতে নারিদের আধিকার ছিল না ,কিন্তু নারীবাদের জন্য আজ আমরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদে নারিদেরো লিডার হিসাবে দেখতে পাই ।
সুতরাং নারীবাদ হল সেই চিন্তা যেটি সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি নারী মর্যাদা, নারী অধিকার, সাম্যেতা বজায় রাখার একটি বাস্তববাদী নিতী, যে নিতীতে নারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে । আর এই অধিকারগুলোকে বজায় রাখার জন্য সকল দেশেই বিভিন্ন আইন রাখা হয়েছে । যে বাস্তববাদী চিন্তাধারার সাথে আমি সহমত , আর যারা এই চিন্তাধারার সপক্ষে যারা রয়েছে তারা ' নারীবাদী ' ' feminist ' ,আর **আমিও সেই দিক দিয়ে একজন 'নারীবাদি' বা ' feminist ' চিন্তাধারার প্রসংশক ।**
সুতরাং নারীবাদ হল সেই চিন্তা যেটি সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি নারী মর্যাদা, নারী অধিকার, সাম্যেতা বজায় রাখার একটি বাস্তববাদী নিতী, যে নিতীতে নারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে । আর এই অধিকারগুলোকে বজায় রাখার জন্য সকল দেশেই বিভিন্ন আইন রাখা হয়েছে । যে বাস্তববাদী চিন্তাধারার সাথে আমি সহমত , আর যারা এই চিন্তাধারার সপক্ষে যারা রয়েছে তারা ' নারীবাদী ' ' feminist ' ,আর **আমিও সেই দিক দিয়ে একজন 'নারীবাদি' বা ' feminist ' চিন্তাধারার প্রসংশক ।**
উগ্র নারী বাদ |
# উগ্রনারীবাদ "feminazi"
কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু মেয়ে বা মহিলা আছে ,যারা এই নারিবাদের এই মূল ধারনার বারোটা বাজিয়ে সমাজকে কুলোষিত করছে । সমাজের কিছু কিছু নারী জানতে পেরে গেছে যে - *** তারা যে নারী হয়ে জন্মেছে । নারী হওয়াই তাদের আসল শক্তি ।**
এই সমস্ত নারীদের কাজই হল পুরুষদের পায়ের তলায় রাখা আর পুরুষদের শোষন করা । যারা মনে করে যেহেতু আমি নারী হয়ে জন্ম নিয়েছি তাই সম্মান আমার জন্মগত অধিকার । যাদের বিচারে - আমরা নারী তাই সবকিছুতেই আমাদের প্রথম অধিকার আর কর্তৃত আমার প্রাপ্য । আর এই অদ্ভুত চিন্তাধারা থেকে জন্ম নিয়েছে একটি নতুন শব্দ "উগ্র নারীবাদ" বা "feminazi" ।
# শব্দের উৎপত্তী
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালিন "Nazi" ছিল জার্মানের হিটলার বাহিনীর নাম , যাদের কাজই ছিল অন্যদের বিরক্ত করা । এই feminazist দের কাজো ঠিক একি রকম । পুরুষদের অবমাননা আর বিরক্ত করা । যেমন ভাবে সেই সময় হিটলারের নাজি বাহিনীর দ্বারা বিরোধী দলের সাথে করা হয়েছিল ।
এটি নারীবাদের চরম রূপ এবং সাধারণত তারা যা বলে তা সম্পূর্ণ ভণ্ডামি।
সাধারণত উগ্রনারীবাদের সমর্থক রা নারীর মৌলিক অধিকার গুলোকে রক্ষা করার জন্য আনা আইন-কানুন গুলিকেই নিজেদের রক্ষা কবচ হিসাবে ব্যাবহার করে ।
আপনাদের কি মনে হয় এই সমস্ত নারিরা মৌলিক অধিকারের জন্য লড়ছে । এরা কোন কন্যা সন্তানের অল্প বয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে , এরা কি আফ্রিকার ছোট্ট কন্যা সন্তানদের সেক্সুয়াল অনৈতিকের বিষয়ে লড়ছে , তেমনটা একটুও না । এদের দাবি নারি-পুরুষ নির্বিশেষে সমান প্রাপধান , উদাহরণ স্বরুপ -** " FREE THE NIPPLES " ** বক্ষপ্রদর্শনের সমতা ।
# FREE THE NIPPLES
নারীবাদের চরমদিক এখন উগ্রনারীবাদ । তাদের মতে নারি-পুরুষ যদি সমান হয়ে থাকে ,তাহলে পুরুষেরা খালি গায়ে থাকতে পারে তাহলে নারিরা কেন পারবে না । আর এই ধারনার সঙ্গে সহমত হয়ে প্রায় প্রতি বছরি বিশ্বের কিছু কিছু দেশে এই সমস্ত ফালতু মেয়েরা সম্পূৰ্ন উপরের আচ্ছাদন খুলে রাস্তায় রেলি প্রযন্ত বের করে । দাবি একটাই পুরুষরা করতে পারলে আমরা কেন পারবো না । এখন এই সমস্ত আধ-পাগল মেয়েদের কে বোঝাবে , মেডাম সমান অধিকারের মানে এই নয় যে তোমরা সমান সমান শারিরীক বৈশিষ্ট পেয়েছ । মেডাম একজন পুরুষের বক্ষ একজন নারিকে যতটা না আকর্ষন করে ,তার থেকে বহুগুন বেশি একজন নারির বক্ষ একজন পুরুষকে আকর্ষন করে । ঠিক আছে ধরে নিলাম অাপনি পুরুষদের মত খালি গায়ে ঘুরতে চাইছেন ,ঘুরুন অসুবিধা নেই - কিন্তু রাস্তার পাশে দাড়িঁয়ে থাকা ফকোটিয়া ছেলেরা যদি আপনাদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে ,তবে তাদের দোষ যেন না দেন - কারন তাদেরো তো চোখ আছে ,কোন কিছু দেখার অধিকার রয়েছে ।
Free the nipple ,বক্ষ প্রদর্শন রেলি |
আশা করি আমার এই ছোট্ট প্রতিবেদনের মাধ্যমে নারীবাদ আর উগ্র নারীবাদের যে পার্থক্য সেটা পরিষ্কার করতে পেরেছি । আসলে নারীবাদ সমাজের আশির্বাদ । কিন্তু উগ্রনারীবাদ সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা পরের প্রতিবেদনে আলোচনা করব ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন