History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২০

শয়তান নারী থেকে সাবধান । নারি হয়ে জন্ম নেওয়ার ফাইদা এরাই জানে । femenist problem in india bangla


সতর্কিকরণ - এই লেখাটি সেই সমস্ত মহিলাদের জন্য না , যারা যুক্তিহীন ও গবেট , এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য যারা সমনতা কি সেটা বোঝার ক্ষমতা রাখেন আর যুক্তিশীল।
আমার প্রতিবেদনে পরতে আসা প্রত্যেক পাঠকদের কাছে আমার একটা সরল প্রশ্ন -যারা যারা বিশ্বাস করেন নারি আর পুরুষ একই জিনিস তারা হাত তুলুন ?
আসা করছি পাঠকদের সকলেই হাত তুলবেন । কিন্তু আমি হাত তুলতাম না কারন আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি নারি ও পুরুষ এক জিনিস নই , তবে তার সাথে এটাও বিশ্বাস করি যে তাদের অধিকারগুলো এক হওয়া উচিত । আর এমন টা বলার অনেক বৈজ্ঞানিক  কারন ও যুক্তি রয়েছে , যাই হোক সেই যুক্তিগুলিতে এখন যেতে চাইনা । কিন্তু সমাজে নারি - পুরুষের মধ্যে এই পার্থক্যকে দুর করার পাশাপাশি ,এবং নারিরাও যাতে এই সমাজ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন না মনে করে তার জন্য উঠে এসেছে একটি নতুন চিন্তাধারা "নারিবাদ" 'feminism ' ।

Feminazi, নারিবাদ, শয়তান, শয়তান নারি,
উগ্র নারীবাদ

 নারীবাদের অর্থ
যে চিন্তাধারাই নারী এবং পুরুষের অধিকার গুলোকে সমান করার লক্ষ্যে বিংশ শতাব্দীতে উঠে আসা একটি দর্শন যা সভ্যতায় মানুষ হিসেবে পুরুষের তুলনায়  নারীর অধিকারের সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। যার উদ্দেশ্য হল নারীরাও যাতে সমাজে পুরুষের মতই সন্মানের সাথে জীবন যাপন করতে পারে , উদাহরণ স্বরুপ - একসময় মহিলাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল না , শিক্ষা ছিল শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য । বিভিন্ন শুভবুদ্ধি নারীবাদি সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যার ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারিরাও শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে । পুর্বে বড় বড় প্রশাষনিক পদগুলোতে নারিদের আধিকার ছিল না ,কিন্তু নারীবাদের জন্য আজ আমরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদে নারিদেরো লিডার হিসাবে দেখতে পাই । সুতরাং নারীবাদ হল সেই চিন্তা যে নিতীতে নারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় ।
 উগ্রনারীবাদ
কিন্তু বর্তমান সমাজে কিছু কিছু বদমাশ নারী নারীবাদের মহান আদর্শকে নিজেদের মত করে কাজে লাগিয়ে পুরুষদের শোষন করে । আসলে এই সমস্ত নারীরা জানতে পেরে গেছে যে - *** তারা যে নারী হয়ে জন্মেছে । নারী হওয়াই তাদের আসল শক্তি ।** আর এই উগ্রশীল নারীবাদকেই বলা হয় "feminazi" বা "উগ্রনারীবাদ" ।
এর আগে যদিও আমি ** নারীবাদ ও উগ্রনারীবাদ** এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য বলেছিলাম , যেখানে আমি বলেছিলাম - নারীবাদ হল সমাজের আশির্বাদ আর অন্যদিকে উগ্রনারীবাদ হল সমাজের পক্ষে ভয়ংকর অভিশাপ , আর সেটা অভিশাপ কেন সেটা আজ একটু বিস্তারিত আলোচনা করছি । আসলে উগ্রনারীবাদ হল নারীবাদেরি চরম রুপ , যেখানে নারীদের রক্ষার জন্য তৈরি করা আইন গুলিকেই হাতিয়ার বানিয়ে পুরুষদের শোষন করা হয়ে থাকে ।
Rape,fake rape,ধর্ষন,নকল ধর্ষন,
নকল ধর্ষনের মামলার চার্ট ২০১৩-১৪

 মিথ্যা ধর্ষনের মামলা
ভারতে ধর্ষন এখন সামাজিক সমস্যাই পরিণত হয়েছে । বিগত দশক থেকে এই ধর্ষনের পরিমান দিন কে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্দেহ নেয় । বরাবরই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ তার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাইছে তা মোটেও সুবিধার নয় । কারন - শারীরিক দিক দিয়ে একজন নারী একজন পুরুষের থেকে কম ক্ষমতাবান হওয়াই স্বাভাবিক । তাই নারীদের সুরক্ষার জন্য আমাদের ভারতে পাশ হয়েছে ৩৭৫ নং এক্ট । যেই এক্টটির মাধ্যমে একজন নারী তার আত্মসম্মান রক্ষা করতে পারে । যে এক্টে পরিষ্কার বলে কি কি পর্যায়ে , কি কি ঘটলে সেটিকে " ধর্ষন " বলা হবে, কিন্তু এই এক্ট টিকেও কিছু কিছু নারী পুরুষদের শোষনের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে । এমনিতেই আমাদের ভারতীয় সমাজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবন । কোন জায়গাই ধর্ষনের কোন কান্ড ঘটলেই জনগণ সেই অপরাধীর প্রশাষনিক বিচারের আগেই শাস্তি নিজেদের হাতেই দিতে চাই উদাহরণ স্বরুপ বিগত কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া পুলিশের ইনকাউন্টার কান্ড টি । এই প্রসঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত । ধর্ষকদের চরম শাস্তি হোক আমিও চাই , কিন্তু সেটা হোক আইনের পথে । বিচার হবার আগে ইনকাউন্টার কখন কখন বাস্তবকেও ঢেকে দেই ।* সুতরাং ভারতীয় সমাজ যে ধর্ষনের দিক দিয়ে একটু বেশিই আবেগ প্রবন সেটা বলার কোন অবকাশ রাখে না । কিন্তু কিছু কিছু নারীরা বুঝে গেছে মানুষের এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ কিভাবে হাসিল করা যায় । বিষয়টি বড্ড কঠিন হলেও বাস্তবে এটা সত্যি যে ভারতের বিভিন্ন থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া ধর্ষন মামলার অর্ধেকের বেশিই থাকে মিথ্যা মামলা । কারন বর্তমান পরিবর্তীত সমাজ ব্যবস্থার সাথে পরিবর্তন হয়েছে নারী চরিত্রও , তাই বর্তমানে কিছু কিছু নারীরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পিছ পা হোন না । এমনিতেই ভারতে ভীড়ের মাঝে যদি কোন নারী চেচিঁয়ে উঠে উঠে বাচাঁও বাচাঁও , তাহলে দোষ হয় পুরুষ জাতীর । আর এটারি সুযোগ নিয়ে কিছু অসভ্য নারিরা শোষন আর শাষন করে চলেছে পুরুষদের ।
 বিষয়টি কতটা বাস্তব
আমি যে এই বিষয়টি বানিয়ে বানিয়ে বলছি এমনটি নয় । পুরুলিয়ার টিকটক অভিনেত্রী স্বামীর কাছ থেকে দিল্লী ফেন ফেস্টিভেলে যোগ দিতে গেলে হারিয়ে যাই ,স্বামী থানাই নিরুদ্দেশ মামলা দায়ার করলে বিষয়টি জানাজানি হতে শুরু করে , ব্যাস আর কি উঠে এল নারি নির্যাতন আর ভাসুরের ধর্ষনের চেষ্টার মামলা , আশা করি এই ঘটনাটি জানেন ।
২০১৫ সালের এমনি একটি ভয়ংকর ঘটনার কথা বলছি । নাগাল্যান্ডের সৈয়াদ শারিফ খান , ধর্ষনের মামলায় জড়িয়ে পরে , তাকে থানাই নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছিল ,ঠিক সেই সময়েই কিছু উত্তেজিত জনতা দিমাপুর থানাই এসে সৈয়দকে টেনে বের করে নিয়ে যায়, তারপরে তাকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ,এমনকি তার লাশ রাস্তার রেলিং এ ঝুলিয়ে রাখা হল । পরের দিন সামাজিক মিডিয়াম ফেসবুকে ঝড় উঠে গেল , ধর্ষকের শাস্তি এমনি হওয়া উচিত । কিন্তু কয়েকদিন প্রশাষনিক অনুসন্ধানের পর জানা গেল , সৈয়দ শারিফ খান নির্দোষ ,মেয়েটি প্রতিহিংসা  বশতঃ তার উপরে মিথ্যা ধর্ষনের মামলা চাপিয়ে দেই । 
নাগাল্যান্ড দামাপুর কান্ডে নিহত নির্দোষ ব্যাক্তি

সৈয়দের মা তো তার সন্তান হারালো , কিন্তু সেই নারীর কি হল জানেন , কিছুই না , আইনের বিচারে নারীটি নির্দোষ । ঠিক এমন একটি ঘটনার স্বাক্ষি আমিও থেকেছি , যেখানে একজন ইংলিজ মিডীয়ামের শিক্ষককে শ্লীলতাহানির জন্য প্রথমে স্থানিয় লোকেদের মার খেতে হয়েছিল , আলাদা করে থানাই কেস ফাইল হয়েছিল , সেই মারমুখি ভিড়ের মাঝে আমি যদিও ছিলাম না তবুও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ মূলক পোষ্ট করে , এই শিক্ষক পেটানোর ঘটনাকে সমর্থন করেছিলাম - কারন শিক্ষকটি ছিল মাতাল স্বভাবের । কিন্তু পরে যা জানলাম সব দোষ ছিল সেই স্কুল ছাত্রির , কিন্তু কি আর করা যাবে ,সব তো ঘটেই গেছে - শিক্ষকটি তার চাকরি ,সম্মান সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে । 
 নারী নির্যাতন ও বধূ নির্যাতন
নারী বা বধূ নির্যাতন সমাজের বিশেষ সামাজিক সমস্যা , যার বিলোপ অবশ্যই হওয়া উচিত । যেখানে নারীবাদের বিশেষ আদর্শে নারী আর পুরুষের অধিকার সমান মনে করা হয়ে থাকে , সুতরাং নারীবাদ অনুসারে না কোন নারী পুরুষের উপর আঘাত করতে পারে , না কোন পুরুষের নারীর উপর আঘাত করা উচিত , যেহেতু পুরুষের থেকে নারীর শারীরিক ক্ষমতা কম হয়ে থাকে ,তাই সমাজের বিশাল অংশে নারী বা বধূ নির্যাতন দেখা যায় ,যেটা আমি মোটেও সমর্থন করি না , এবং এই বিরুপ সামাজিক সমস্যা থেকে নারীদের রক্ষার জন্য বিশেষ কিছু আইনের প্রাপধান রয়েছে , কিন্তু উগ্রনারীবাদের দ্বিতীয় ব্রম্ভাস্ত্রই  হল এই আইনটি , যারা নারী ও বধূ নিৰ্যাতনের আইন কে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ হাসিল করা ।
নকল, নির্যাতন, মামলা, নকল নির্যাতন,
নকল নির্যাতনের মামলা ২০১৩-১৪
 PENAL CODE 498 A সংক্ষিপ্ত পরিচয়
এই আইনটি ১৯৮৩ সালে পার্লামেন্টে গ্রহন করা একটি আইন ,যেটি নারীদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পাস হয়েছিল ।ভারতীয় পেনাল কোড section 498 a ধারায় কোন নারী পুরুষের দ্বারা অত্যাচারিত হলে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে পারে আর সেই অপরাধের অপরাধির জেল হবার পাশাপাশি গোটা পরিবারেরও জেল হতে পারে এবং নির্যাতিতার খোরপশের ব্যবস্থাও এই আইনে রয়েছে । কিন্তু কিছু দজ্জাল নারী এই আইনের ভয় দেখিয়ে তার শুধু স্বামীকেও নই ,সারা পরিবারকেই শোষন করে আসছে দিনের পর দিন । উদাহরনস্বরুপ - ২০১৫ তে কলকাতার মঞ্জু আগরওয়াল , নারী নির্যাতনের মামলা তার নিজের স্বামির বিরুদ্ধে নিয়ে আসে ,যেটি অল্প সময়ের মধ্যে মিডীয়ার দ্বারা ভাইরাল হলে নারিবাদী সংগঠনের অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানাতে শুরু করে আর মঞ্জু আগরওয়াল প্রতিবাদী নারী হিসাবে একটি বিশেষ জায়গা করেও নিয়েছিল । কিন্তু বাধ সাধলো একটি অডিও ক্লিপ , আসলে মঞ্জুর স্বামী চতুরতার সাথে তার সাথে মঞ্জুদেবীর পারিবারিক ঝগড়া চলা কালিন কথোপকোথন রেকর্ড করে ফেলে । যেই অডিও ক্লিপের দ্বারাই পরবর্তী কালে মঞ্জুদেবীকে দোষি নির্ধারণ করা হয় ।
 আমার কিছু বক্তব্য
আসলে সমাজে এখন এমন নারী প্রচুর আছে যারা এই আইনের সাহায্য নিয়ে গোটা পরিবারকেই ধংস্ব করে ফেলে । আমি নারীদের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সব-সময় সহমত পোষন করি । কিন্তু সেই সমস্ত নারীদের আমি কিছুতেই সমর্থন করতে পারি না যারা নারী হিসাবে কলঙ্ক । আসলে এই সমস্ত নারীদের প্রকৃত চাহিদা কি ? সেটা বোঝায় মুশকিল । আশা করি আমার এই প্রতিবেদন পরে কোন উগ্রনারীবাদের সমর্থক কেও বলে না বসে - নারীদের সম্মান করতে শেখো কারন ,নারীদের ,কেও সম্মান করেনা , তাই তাদের একমাত্র চাহিদা সামাজিক প্রতিপত্তি আর উচিত সম্মান ।
তাদের এই প্রশ্নের আগাম উত্তর দিয়ে রাখলাম  - মেডাম ! সম্মান দেওয়াও যাইনা আর নেওয়াও যাই না , সম্মান অর্জন করতে হয় । আর সেটা পাওয়ার একমাত্র উপায় হল "ভালো কাজ" । আপনি যদি ভালো কাজ করেন তাহলে সেই কাজের উপর ভিত্তী করেই মানুষের সম্মান করা হয় ,JUST BECOUSE OF GIRL NEED RESPECT , কথাটি বড্ড একতরফা । তবে হ্যাঁ সরলতা আর ভদ্রতার সাথে সবার সাথে কথা বলা উচিত, তা সে নারি হোক বা পুরুষ ,শিশু হোক বা বৃদ্ধ । 
শুধু সময়ের অপেক্ষা, সুন্দর সমাজ গড়ে উঠার, নারী পুরুষের অধিকার যেখানে এক মান্যেতা এক।
তার পরেও যদিও কেও বলে সমাজ নারীদের সাথে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে জানে না । তাহলে আমি আপনাদের সাথে একমত - বাস্তবে সমাজ কারো সাথেই সঠিক ব্যবহার করতে শেখে নি । সমাজ যদি সঠিক ব্যবহার করতে জানতো তাহলে কোনো অনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, তা সে নারীদের বিরুদ্ধেই হোক বা পুরুষের বিরুদ্ধে , কখনোই সেটা হত না ।
এবার সবাইকেই আমার ধন্যবাদ জানাই , আমার এই বিরক্তীকর প্রতিবেদন মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য । তাই আপনাদের মনোরঞ্জনের দ্বারা একটি রেপ সংগীত শুনিয়ে প্রতিবেদনটি শেষ করছি - নারীবাদ কা কারো জে , কারকে নারীবাদ তুমকো খারোচে , কানাফুসি বানতা হে ,ইসকে পাস জানতা হে , থোরা রোনাধোনা ওর সারা কাম বানতা হে ।
সুমন্ত মাহালি হেমরম


WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন