# ভারতের বর্তমান পরিস্থিতী
রাষ্ট্রের ছত্র ছায়ায় যখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী লালন করা হয় তখন দাঙ্গা তো বাধবেই । একটি দেশের দেশ / রাজ্যে/শহর/গ্রাম পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে সাম্প্রদায়িক উস্কানী মুলক আচারন নির্দেশনা প্রদান করে তখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা তাদের হিংসাত্বক মুলক কার্যকলাপ করতে স্পৃহা পায় । খবর কাগজ ,সোশাল মিডিয়া , দুরদর্শনের খবর চেনেল সবগুলোতেই দেখছি সবাই পতাকা উড়াতে ব্যাস্ত।
সংখ্যার দিক দিয়ে যে যায়গায় যে ধর্ম বেশি তারাই বর্বর। মসজিদ জ্বলে, মন্দির জ্বলে,মানুষ জ্বলে, পুস্তক জ্বলে। মন জ্বলে, ধন জ্বলে, সকল সৃষ্ট ফল জ্বলে।
রাষ্ট্রের ছত্র ছায়ায় যখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী লালন করা হয় তখন দাঙ্গা তো বাধবেই । একটি দেশের দেশ / রাজ্যে/শহর/গ্রাম পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে সাম্প্রদায়িক উস্কানী মুলক আচারন নির্দেশনা প্রদান করে তখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা তাদের হিংসাত্বক মুলক কার্যকলাপ করতে স্পৃহা পায় । খবর কাগজ ,সোশাল মিডিয়া , দুরদর্শনের খবর চেনেল সবগুলোতেই দেখছি সবাই পতাকা উড়াতে ব্যাস্ত।
সংখ্যার দিক দিয়ে যে যায়গায় যে ধর্ম বেশি তারাই বর্বর। মসজিদ জ্বলে, মন্দির জ্বলে,মানুষ জ্বলে, পুস্তক জ্বলে। মন জ্বলে, ধন জ্বলে, সকল সৃষ্ট ফল জ্বলে।
দাঙ্গা হাঙ্গামা |
# ভারতীয় হিসাবে আমাদের কর্তব্য
প্রত্যেক ধর্মেই ধার্মিক নামের কিছু দলগত সন্ত্রাসী থাকে যারা অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়ে তৃপ্তি উঠায় কিন্তু তার মানে এই নয় যে ঐ ধর্মের সকল জাতিই দুষিত হয়ে গেছে তবে সর্বোপরি একটাই কথা আছে তা হলো হামলাকরি বা ধর্ম বিক্রেতাদের মূলতই কোন ধর্ম নেই তাই সবাই সকল ধর্ম ব্যবসায়ীদের উস্কানি থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি হিন্দুর বিপদে মুসলিম দাঁড়াবে আর মুসলিমের বিপদে হিন্দু দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই পৃথিবীর সকল ধর্মীয় গোষ্ঠী গুলো যার তার ধর্ম নিয়ে স্বাধীন ভাবে পালন করুক এবং সবাই সকলের সাথে ভাতৃত্ত্ব সম্পর্ক বজায় থাকুক। ভারতীয় শোষণ এখন চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এমনাবস্থায় আমাদের দায়িত্ব এই শোষনের বিরুদ্ধে দাড়ানো ,যদি এই শোষণের বিরুদ্ধে দাড়াতে ব্যর্থ হোন, তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস্বের মুখে পড়বে। তাই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভারতের এই দাঙ্গার বিরুদ্ধে গনআন্দোলন গড়ে তুলুন।
# মানুষ এখনো বেঁচে আছে
একপাশে হানাহানি আর ধ্বংসযজ্ঞের লীলাখেলা, অন্যপাশে সম্প্রীতি আর ভালোবাসার অদ্ভুত এক মেলবন্ধন। আক্রান্ত মুসলমানদের রক্ষার জন্যে গুরুদ্বারের দরজা খুলে দিয়েছে শিখ সম্প্রদায়, দলিতেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে পাড়া, যাতে বহিরাগত কেউ তাদের মুসলমান ভাই-বোনদের ওপর হামলা করতে না পারে ।
প্রত্যেক ধর্মেই ধার্মিক নামের কিছু দলগত সন্ত্রাসী থাকে যারা অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়ে তৃপ্তি উঠায় কিন্তু তার মানে এই নয় যে ঐ ধর্মের সকল জাতিই দুষিত হয়ে গেছে তবে সর্বোপরি একটাই কথা আছে তা হলো হামলাকরি বা ধর্ম বিক্রেতাদের মূলতই কোন ধর্ম নেই তাই সবাই সকল ধর্ম ব্যবসায়ীদের উস্কানি থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি হিন্দুর বিপদে মুসলিম দাঁড়াবে আর মুসলিমের বিপদে হিন্দু দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই পৃথিবীর সকল ধর্মীয় গোষ্ঠী গুলো যার তার ধর্ম নিয়ে স্বাধীন ভাবে পালন করুক এবং সবাই সকলের সাথে ভাতৃত্ত্ব সম্পর্ক বজায় থাকুক। ভারতীয় শোষণ এখন চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এমনাবস্থায় আমাদের দায়িত্ব এই শোষনের বিরুদ্ধে দাড়ানো ,যদি এই শোষণের বিরুদ্ধে দাড়াতে ব্যর্থ হোন, তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস্বের মুখে পড়বে। তাই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভারতের এই দাঙ্গার বিরুদ্ধে গনআন্দোলন গড়ে তুলুন।
# মানুষ এখনো বেঁচে আছে
একপাশে হানাহানি আর ধ্বংসযজ্ঞের লীলাখেলা, অন্যপাশে সম্প্রীতি আর ভালোবাসার অদ্ভুত এক মেলবন্ধন। আক্রান্ত মুসলমানদের রক্ষার জন্যে গুরুদ্বারের দরজা খুলে দিয়েছে শিখ সম্প্রদায়, দলিতেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে পাড়া, যাতে বহিরাগত কেউ তাদের মুসলমান ভাই-বোনদের ওপর হামলা করতে না পারে ।
প্রয়োজন ধর্মিও মেলবন্ধন |
একদিকে আরএসএস ক্যাডারেরা হামলা চালাচ্ছে, ভাংচুর করছে সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি, পিটিয়ে মেরে ফেলছে মানুষ, আবার স্থানীয় নেতা ছুটে এসে বাঁচাচ্ছে আক্রান্ত মুসলমানের প্রাণ, বুক চিতিয়ে দাঁড়াচ্ছে আগুয়ান ভীড়ের সামনে- হিংসার সামনে জিতে যাচ্ছে মনুষ্যত্ব, জিতে যাচ্ছে ভালোবাসা- এই ছবিগুলোও দিল্লির আনাচে কানাচে ঘটছে এখন।
যার জলন্ত প্রমান ,মানুষটির নাম প্রেমকান্ত বাঘেল। যিনি গতকাল দিল্লীর অস্থির পরিস্থিতির শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
অনেক গৃহহীন মুসলিম পরিবারকে হিন্দুরা নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছে৷ কাল এক জায়গায় হিন্দুরা মানববন্ধন করে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল থেকে বাড়ি ফিরিয়েছে। আরেক জায়গায় হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি পাহারা দিয়েছে৷
শিখ ধর্মের মানুষেরা তাদের ধর্মস্থান গুরুদ্বারা খুলে দিয়েছে ওই এলাকায়, যে কেউ এসে থাকতে ও খেতে পারে।
এই তো আমার ভারতবর্ষ। এই তো আপনার ভারতবর্ষ৷
যার জলন্ত প্রমান ,মানুষটির নাম প্রেমকান্ত বাঘেল। যিনি গতকাল দিল্লীর অস্থির পরিস্থিতির শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
অনেক গৃহহীন মুসলিম পরিবারকে হিন্দুরা নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছে৷ কাল এক জায়গায় হিন্দুরা মানববন্ধন করে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল থেকে বাড়ি ফিরিয়েছে। আরেক জায়গায় হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি পাহারা দিয়েছে৷
শিখ ধর্মের মানুষেরা তাদের ধর্মস্থান গুরুদ্বারা খুলে দিয়েছে ওই এলাকায়, যে কেউ এসে থাকতে ও খেতে পারে।
এই তো আমার ভারতবর্ষ। এই তো আপনার ভারতবর্ষ৷
# এমন পরিস্থিতীর কারন
আপনি হিংসা ছড়াতে না চাইলেও কিছু বায়াসড মিডিয়া তার হেডলাইন দিয়ে ও কিছু মূর্খ, স্বার্থপর মানুষ হিংসা ছড়াচ্ছে । বাস্তব সত্য দাঙ্গা করে দাঙ্গাবাজ ও রাজনৈতিক নেতারা।
আপনি হিংসা ছড়াতে না চাইলেও কিছু বায়াসড মিডিয়া তার হেডলাইন দিয়ে ও কিছু মূর্খ, স্বার্থপর মানুষ হিংসা ছড়াচ্ছে । বাস্তব সত্য দাঙ্গা করে দাঙ্গাবাজ ও রাজনৈতিক নেতারা।
দাঙ্গা করে দাঙ্গা বাজ |
সাধারণ হিন্দু - মুসলিম শান্তিতে থাকতে চায়৷ কিন্তু তাদের নিজেদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে ভাবনাতেই সময় ফুরিয়ে যায়। এই সুযোগে কাশ্মিরের গনহত্যা, বাবরী মসজিদের বিতর্কিত রায় এর পর মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাদ দেওয়ার মাধ্যমে হিন্দুবাদিত্বের আস্ফালন প্রকাশ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিছু উগ্র ধর্ম পরিপন্থির দিশারী । আবার একিসাথে ভারতের উঠতি যুবসমাজ কে ভূল বুঝিয়ে ধর্মের নামে সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন, নিপিড়নে উৎসাহি করছে । যার পরিনতি স্বরুপ ধর্মের বা বর্ণের নামে কিছু অসাধু নেতা(রাজনৈতিক /ধর্মীয়) উস্কানীর দ্বারা সাধারণ মানুষ একে অপরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায় তখন কোনোও একপক্ষের হয়ে এই দাঙ্গার পক্ষ নেওয়া মানুষগুলো দাঙ্গাবাজদের মতই তার মানবিকতা বিসর্জন দিয়ে ফেলে।যার পরিনতি এখন উপলব্ধী করতে পারছে সকলে ।
# পরিস্থীতি কোন দিকে
সত্যিই কি দারুন পরিহাস, বিচারপতি মুরলীধরনকে দিল্লির থেকে বদলি করে দেওয়া হলো কারণ তার অপরাধ তিনি নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারকে স্টেপ নিতে বলেছেন,তাই তাকে এই দন্ডে দন্ডিত করা হলো।
# পরিস্থীতি কোন দিকে
সত্যিই কি দারুন পরিহাস, বিচারপতি মুরলীধরনকে দিল্লির থেকে বদলি করে দেওয়া হলো কারণ তার অপরাধ তিনি নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারকে স্টেপ নিতে বলেছেন,তাই তাকে এই দন্ডে দন্ডিত করা হলো।
দাঙ্গায় জ্বলছে গাড়ী |
এরপর সাধারণ মানুষের বিচার ব্যবস্থার ওপর আর কি ভরসা থাকবে।
কাল রাতে দোভালজি বললেন সব শান্ত, তারপরেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গণতন্ত্রে একচ্ছত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার ফল ভোগ করতেই হবে। আলেকজান্ডারের ঐ উক্তি টি এখানে মনে আসছে "সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র দেশ এই ভারতবর্ষ"।
কাল রাতে দোভালজি বললেন সব শান্ত, তারপরেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গণতন্ত্রে একচ্ছত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার ফল ভোগ করতেই হবে। আলেকজান্ডারের ঐ উক্তি টি এখানে মনে আসছে "সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র দেশ এই ভারতবর্ষ"।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন