History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

এই দেশ তাদের যারা দেশকে ভালোবাসে । Citizen of india .


দিল্লীর ঘটে যাওয়া দাঙ্গা ভারতীয় citizen of india জনমানবের কিছু উগ্র  সাম্প্রদায়িকদের মধ্যে সুপ্ত থাকা ক্ষোপের বহিঃ প্রকাশ , ভারতীয়দের মধ্যে প্রশ্ন ছুড়ে ফেলে মাতৃ রুপী ভারতবর্ষের সন্তান কারা , কাদেরি বা এই দেশ ? ভারতের মধ্যে এতজাতি , এত ভাষা , এত ধর্ম রয়েছে যে , অচিরেই কোন সম্প্রদায়কে ভারত নাগরিক বললে , তবে সেটা সাম্প্রদায়িকতার নামান্তর ।
ভারত এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিপদে জন্ম নিয়েছে হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম , জৈন ধর্ম , শিখ ধর্ম ।
ভারত,ভারতবর্ষ,ধর্ম,নিরপেক্ষ,ধর্ম নিরপেক্ষ,
এক দেশ ধর্ম অনেক
 যে ধর্মগুলো মানবতার প্রতিক হিসাবে ভারতীয়দের দেশ ভক্তি ও মানবতার পাঠ পড়িয়ে আসছে । তার সাথে একক ভাবে লক্ষনীয় কিছু বহিঃ বিশ্বের থেকে যুক্ত হওয়া ধর্ম বিশ্বাস ইসলাম, খ্রীষ্ট ,বাহাই, জুদাইজম, । প্রত্যেকের মনেই ভারত মাতার প্রতি জন্মলগ্ন থেকে অসিম ভালোবাসা প্রকাশ পাই  ।
২০১১ জনগননাই জানা যাই ভারতে হিন্দু ৭৯.৮% , ইসলাম১৪.২%,খ্রীষ্টান ২.৩% , শিখ ১.৭% , বৌদ্ধ ০.৭%, জৈন ০.৪%, অন্ন্যান্য ০.৭ আর নাস্তিক রয়েছে ০.২% । ভারতে ধর্মভিত্তীক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে , আবার তার সাথে রয়েছে জাতি ভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা । এবার প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করি ভারত তাহলে কাদের দেশ ?
# ইতিহাস কি বলে
এই দেশের প্রকৃত সন্তান কারা , ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ভারতের সিন্ধু , মেহেড়গড় সভ্যতা । যে সভ্যতার উন্নত বিকাশের ধারাবাহিকতায় বাধ সাধে আর্যরা , যারাও বহিঃ বিশ্ব থেকে এসে ভারতে হিন্দু ধর্মের রচনা করেন । যারা ভারতে প্রথম লগ্ন থেকে রয়েছে তারা আজ অছুঁত আর দলিত আদিবাসী । তাহলে ভারতের প্রকৃত সন্তান কারা ?
সময় গড়ানোর সাথে সাথে চললো ভারতের মাটিতে বহিঃ বিশ্ব থেকে আসা মুসলিমদের আক্রমন সুলতান মামুদ , বাবর, খিলজী । কিন্তু তারাও এই মাটিকে ভালোবেসে ভারতের সন্তান বলে পরিচীত আজ । করেছে ৭০০ বছরের বেশি রাজত্ব , ভারতকে উপহার দিয়েছে তাজমহল ,লালকেলা কিছু মুখরোচক খাবার । 
ভারত,ভারতবর্ষ,তাজ,তাজমহল,
ভারতের গর্ব তাজমহল
সেই ধারাবহিকতায় আসলো ইংরাজ , বয়ে আনলো খ্রীষ্ট ধর্মের মানবপ্রিতী মতবাদের আরেক দর্শন । ভারতের নাগরিকদের  citizen of india কিছু অংশ গ্রহন করলো সেই ধর্ম বিশ্বাস । কিন্তু পরাধিন ভারতে গর্জে উঠলো স্বাধীন হবার হুংকার , দির্ঘদিনের সাম্প্রদায়িকতাও দেখা গিয়েছে সেই সময় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা জায়গাই জায়গাই । জাতীর পিতা মহাত্মা করলেন অনশন ভারতমাতার দুই সন্তান রুপে প্রতিষ্টা করতে চাইলেন হিন্দু মুসলিমদের , তবুও স্বাধিনতার পর জিন্নার দাবিতে ধর্ম বিভেদে ভেঙ্গে গেল দুই দেশ । দেশ ত্যাগের দুঃখ টা কি সেটা দেখেছে সে সময়ের ভারতীয়রা , কিন্তু তারা থেকে গেলেন এই দেশেই যারা এই দেশকে জন্ম লগ্ন থেকে ভালোবেসে এসেছে ।
আবার প্রশ্নটা ফিরে এল দেশটা তাহলে কাদের ?
# সংবিধান কি বলে
স্বাধীন ভারত স্বাধীনতার আলো দেখলো ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্টে । ১৯৫০ সালে ডঃ আম্বেদকরের দক্ষতাই তৈরি হল স্বাধীন ভারতের সংবিধান । ইতিহাসের প্রত্যেক ধারার উপর গভির পর্যবেক্ষন ও বিচারে দেশকে কোন জাতি , ধর্ম ,বর্ণ হিসাবে নয় বরং ভারতকে বানানো হল এমন একটি রাষ্ট্র যার নাগরিক সকলেই । সকলেই ভারতের জনগন citizen of india , তাই সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা হল - **WE THE PEOPLE OF INDIA /  আমরা ভারতের জনগন ।**
সাম্প্রদায়িকতা , শোষনমুক্ত সমাজ মুক্ত সমাজ গড়তে সংবিধানের তৃতীয় অংশে যুক্ত হল মৌলিক অধিকার । যেখানে প্রত্যেক ধর্মের লোক তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে তাই মৌলিক অধিকারের ২৫-২৮ নং ধারায় ধর্মীও স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে । তার সাথে সকলকেই দেওয়া হয়েছে শোষনের বিরুদ্ধে ও সাম্যের অধিকার ।
আমাদের দেশ কোন একজনকে নিয়েই সুন্দর দেশ গড়ে উঠেনি উঠেছে সকলকে নিয়েই । বিস্তারিত আলোচনাই যা বোঝা যায় **এই দেশ না হিন্দুদের ,না মুসলিমদের , না বৌদ্ধদের, না খ্রীষ্টানদের ,না শিখদের এই দেশ তাদের যারা এই দেশ কে ভালোবাসে ।**
দাঙ্গা,হাঙ্গামা,
দাঙ্গা হাঙ্গামা
# সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে কিছু কথা
সম্প্রদায়িক হিংসা করে লাভ কি, মানুষ মানুষের জন্য, ক্ষতিটা হচ্ছে নিজ মাতৃভূমির, আজ চিন বা সৌদি তোমাদের দেশকে আক্রমণ করলে, প্রত্যেকেই নিজ দেশকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করে যাবে। বিলিয়ে দিবে নিজের প্রান।তখন থাকবে না কোন সম্প্রদায় না ধর্ম, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করে যাবে যুদ্ধ। দিল্লির ঘটনা শুনে খুব কষ্ট পেলাম,নিজ দেশের নিজ মাতৃভূমির মানুষদের কি করে অত্যাচার করা হয় ,**সত্যিই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।**
কোন মানুষ কোন মানুষের উপর আঘাত না করার জন্য মানুষের একমাত্র অবলম্বন হওয়া উচিৎ । কোন ধর্মই অন্য কোন ধর্মের ব্যক্তিকে আঘাত করতে বলে না বা করা উচিৎ না। তাছাড়া মানুষ মানুষের জন্য। প্রত্যেক মানুষই প্রত্যেক মানুষের উপর নির্ভরশীল। মানুষ মানুষ ছাড়া বাঁচতে পারে না। তাই ধর্মের অযুহাতে কখনো কোন মানুষ কোন মানুষের আঘাত বা অনিষ্ট করা অনুচিৎ। মানুষকে ভালবাসা হোক সবচেয়ে বড় ধর্ম। তবেই পৃথিবীতে শান্তি বর্তাবে।
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন