History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

খ্রীষ্টান মতে আমিষ নিরামিষ খাবার ।christion vegetarian veg or non vegetarian non veg .

অনেকেই মনে করেন খ্রীষ্ট ধর্মে খাওয়া পড়ার কোনো বিধী নিষেধ নেই । যার যা মন চাই খেতে পারে আমিষ হোক বা নিরামিষ ** Omnipresent ** । আজো অনেক অজ গাঁয়ে শোনা যায় খ্রীষ্ট ধর্মের নামকরণ হয়েছে "খুষ্টা" জাতীয় শব্দ থেকে , যার অর্থ দ্বারাই অত্যন্ত নোংরা আর যাদের খাওয়া পরার কোন নির্দিষ্ঠতা নেই । তাই আবার নতুন করে বাইবেল গবেষণা , নতুন করে মানুষের বাইবেল বিষয়ে যে ভুল ধারনা রয়েছে তা ভেঙ্গে দেওয়ার ।
প্রথমে তাদের বলি যারা  খ্রীষ্টান শব্দের অর্থ হিসাবে নোংরামি কে চিহ্নিত করে । বাইবেলে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কথা । এমন কি মরা প্রানির সংস্পর্শে এলেও তাকে জামা কাপড় খুলে স্নান করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে আর এটাও বলা নাহলে সে সন্ধ্যা প্রযন্ত অশুচি বা অপবিত্র থাকবে । যেহেতু আজকের বিষয়টি শুধু খ্রীষ্ট ধর্মের খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে যে সাধারণ ভুল ধারনা রয়েছে সেগুলো আলোচনা করতে এসেছি তাই প্রথম বিষয়টি নিয়ে অন্যদিন বলবো।
বাইবেল,বাইবেল আমিষ,আমিষ,আমিষ খাবার,
আমিষ বিশয়ে কি বলে বাইবেল
# খ্রীষ্টানরা কি প্রথম থেকেই আমিশাষী non vegetarian non veg non vegetarian non veg ?
বাইবেল অনুসারে পরমাত্মা ঈশ্বর সৃষ্টির প্রথমে মানুষকে আমিশ খাবার ( ** non vegetarian non veg **)  পরামর্শ দেই নি , প্রথম অবস্থায় ঈশ্বর মানুষকে নিরামিষ খাবার ( **vegetarian veg **) অধিকার দিয়েছিলেন যেটা লেখা রয়েছে । বাইবেল পুরনো নিয়মের আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের ২৯ নং অনুচ্ছেদে -** ঈশ্বর বললেন, “আমি তোমাদের শস্যদায়ী সমস্ত গাছ ও সমস্ত ফলদাযী গাছপালা দিচ্ছি| ঐসব গাছ বীজযুক্ত ফল উত্‌পাদন করে| এই সমস্ত শস্য ও ফল হবে তোমাদের খাদ্য|**
সুতরাং বাইবেল মতে মানুষ প্রথমে নিরামিশাষী ( **vegetarian veg **) ছিল , আর ইতিহাস মতেও মানুষ প্রথম অবস্থায় গাছপালা ,ফলমূল , শিকড় জাতীয় খাবার খেত । পরবর্তী কালে পরমেশ্বর মানুষকে আমিষ খাবার ( ** non vegetarian non veg **)  জন্যও অনুমতি দিলেন - যেটা রয়েছে বাইবেল পুরনো নিয়মের আদিপুস্তকের ৯ অধ্যায়ের ৩ নং অনুচ্ছেদে - **অতীতে তোমাদের খাদ্য হিসেবে আমি শুধু সবুজ উদ্ভিদ তোমাদের দিয়েছিলাম| এখন থেকে সমস্ত জানোয়ারই তোমাদের খাদ্য হবে| পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আমি তোমাদের দিচ্ছি| সব কিছুই তোমাদের|** বাইবেলের এই দুটি অনুচ্ছেদ এটি প্রমান করে যে মানুষ সর্ব প্রথমে নিরামিশাষী ( **vegetarian veg **) ছিল পরবর্তী কালে ঈশ্বর মানুষদের আমিষ খাবার ( ** non vegetarian non veg **)  অনুমতি দিলে মানুষ আমিষ খাবারো শুরু করে ।
# খ্রীষ্টান হতে কি আমিশাষী হতে হই ?
অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণা রয়েছে খ্রীষ্টান হতে হলে তাকে অবশ্যই আমিশাষী  ( ** non vegetarian non veg **)  হতে হবে। এটা ঠিক যে পবিত্র বাইবেল আমিষ খাবার অনুমতি দিয়েছে , কিন্তু তার সাথে এটাও জানিয়ে দিয়েছে তুমি আমিষ খাবে কি নিরামিষ সেটা তোমার ইচ্ছা । একজন মানুষ শুধুমাত্র পরিষ্কার নিরামীশাষি হবার পরেও একজন ভালো খ্রীষ্টান হতে পারে । যার একটি প্রকৃষ্ট প্রমান রয়েছে বাইবেলের রোমিও ১৪ অধ্যায়ের ৩ অনুচ্ছেদে - **যে ব্যক্তি সব খাবারই খায় সে যেন যে কেবল সব্জীই খায়, তাকে হেয় জ্ঞান না করে৷ আর যে মানুষ কেবল সব্জী খায়, তারও উচিত সব খাবার খায় এমন লোককে ঘৃণা না করা, কারণ ঈশ্বর তাকেও গ্রহণ করেছেন৷**
তাই বাইবেল মতে তুমি নিরামীষ খাবে না আমিষ সেটা তোমার ব্যাক্তিগত পছন্দ , বাইবেলের একটিই দাবি ঈশ্বরকে ভালোবাসো আর ঈশ্বরের পথে চলো ।
# খ্রীষ্টানরা কি আমিষ  ( ** non vegetarian non veg **)  হিসাবে সব কিছু খেতে পারে ?
না বাইবেলে পৃথিবীর সব প্রানি খেতে পারো এমনটি কখনোই বলা হয় নি । বলা হয়েছে সমস্ত ধরনের প্রানি তুমি খেতে পারো , যার অর্থ এই দ্বারাই মানুষ হিসাবে তুমি জলচর , **যে সব জন্তুর পাযের খুর দুভাগে ভাগ করা, সেইসব জন্তু যদি জাবর কাটে তা হলে তোমরা সেই জন্তুর মাংস খেতে পারো|**
বাইবেল,বাইবেল খাবার, বাইবেলে খাবার যোগ্য প্রানি,বাইবেলে যোগ্য প্রানি,
বাইবেলে খাবার যোগ্য প্রানি
উভচর , স্থলচর , খেচর সব ধরনের প্রানি খেতে পারো , কিন্তু সব প্রানি তুমি খেতে পারো কোথাও বলা নেই । আর বাইবেলে মানুষের খাবার যোগ্য হিসাবে কিছু প্রানির নাম উল্লেখ্য করেছেন । যেগুলো রয়েছে বাইবেলের লেবীয় এর ১১ অধ্যায়ে এবাং তাছাড়াও দ্বিতীয় বিবরণের ১৪ অধ্যায়ে ( বিঃদ্রঃ এই সমস্ত অধ্যায়ের সব অনুচ্ছেদ লেখা সম্ভব না কারন এতে প্রতিবেদনটি অনেক বড় হয়ে যাবে ,তাই প্রয়োজনিয় কয়েকটি উল্লেখ্য করছি । )। যেখানে বাইবেলের লেবীয় ১১ অধ্যায়ের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে - 
আবার একিই ভাবে এই বিষয়টি লেখা রয়েছে বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণের ১৪ অধ্যায়ের ৬ অনুচ্ছেদে - **যেকোনোও পশু যাদের পাযে দুভাগে বিভক্ত খুর আছে এবং যারা জাবর কাটে তাদের তোমরা খেতে পারো|**
আর এমন প্রানির মধ্যে পরে - ছাগল , ভেড়া , গরু ইত্যাদি ইত্যাদি , এমনকি  বাইবেলে এই ধরনের প্রানি চিহ্নিত করেও দিয়েছে যেটি রয়েছে দ্বিতীয় বিবরণের ১৪ অধ্যায়ের ৪ এবং ৫ অনুচ্ছেদে - **(৪ অনুচ্ছেদ)তোমরা এই সমস্ত পশুদের খেতে পার - গরু, মেষ, ছাগল, (৫ অনুচ্ছেদ) হরিণ, বারশিঙ্গা হরিণ, ছোট হরিণী, বুনো মেষ, বুনো ছাগল, কৃষ্ণসার হরিণ এবং পার্বত্য মেষ|**
# আমিষ  ( ** non vegetarian non veg **) হিসাবে নিষিদ্ধ খাবার কোনগুলি
আমিশ  ( ** non vegetarian non veg **) হিসাবে অনেক খাবারি বাইবেলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । যেমন শিকারী পাখি , কালো রং এর পাখি এছাড়া আরো প্রচুর রয়েছে । বাইবেলে খাবার হিসাবে নিষিদ্ধ প্রানি হিসাবে অনেক জায়গাই বলা হয়েছে । যার কয়েকটি বলছি । লেবীয় ১১ অধ্যায়ের ৭ অনুচ্ছেদে - **অন্য কিছু জন্তুদের পাযের খুর দু’ভাগ করা, কিন্তু তারা জাবর কাটে না, ঐসব জন্তু খাবে না|**
আবার এই একি কথা বলা হয়েছে দ্বিতীয় বিবরণেরও আর এমন প্রানিদের মধ্যে পরে উট , পাহাড়ী শিফন , শুয়োর আরো বহু প্রানি । 
বাইবেল , নিষিদ্ধ প্রানি, বাইবেলে নিষিদ্ধ প্রানি , বাইবেল হিসেবে নিষিদ্ধ প্রানি
বাইবেল হিসেবে নিষিদ্ধ প্রানি
আর পাখিদের মধ্যেও এমন অনেক খেচর প্রানি রয়েছে যেখানে বাইবেল খেতে বারন করেছে । বাইবেল লেবীয়র ১১ অধ্যায়ের ১৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে - ** “ঈশ্বর যে সব পাখী খাওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সেইসব পাখীদের অখাদ্য বলে গণ্য করবে। এই পাখীগুলি তোমরা খাবে না: ঈগল, শকুনি, শিকারী পাখী, **
আর লেবীয় ১১ অধ্যায়ে সেই সমস্ত খেচর প্রানির নামো বলা হয়েছে যার কয়েকটি আমি উল্লেখ্য করছি - বাঁদুড় , পেঁচা , হংসি, শকুন, বাজপাখি , ইত্যাদি ইত্যাদি ।
# ঈশ্বর এগুলো খেতে বারন করেছেন কেন
ঈশ্বর মহান তিনি বাইবেলে নিজেকে আলফা এবং অামেগা বলেছেন । তিনি জানেন মানুষের জন্য কি ভালো আর কি মন্দ । কোন জিনিসটি মানুষের ক্ষতি করবে বা করতে পারে তাই ঈশ্বর সেই সমস্ত প্রানি গুলো বাইবেলে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন । আধুনিক বিজ্ঞানো এটি মেনে নিয়েছে যে বাইবেলে নিষিদ্ধ করা প্রানি গুলো খুব সহজেই ভাইরাসের কবলে পরে আর মানুষের বিভিন্ন রোগের কারন হতে পারে । উদাহরনস্বরুপ - বাইবেলে শুকোর নিষিদ্ধ আর শুকোর সোয়াইন ফ্লু ও ফিতা কৃমির জন্য দায়ী । এই বিষয়ে একটি জলন্ত উদাহরণ দিচ্ছি চিনের করোনা ভাইরাস , মনে করা হচ্ছে এটি বাঁদুর থেকে সৃষ্টি হয়েছে , আর বাঁদুর বাইবেল হিসাবে নিষিদ্ধ । আসলে , বাইবেল বিঙ্গানেরি নামান্তর । যার বিষয়ে ও আমি বিস্তারিত দুটি প্রতিবেদন লিখেছি যেটি । আমার ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন ।
(চলবে)
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন