বর্তমানে আমাদের দেশ ভীষন দুরবস্তার মধ্যে রয়েছে । একদিকে যেমন বেকারত্বের হার বাড়ছে , তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে অসন্তোষের মাত্রা । এমনাবস্থায় সংরক্ষনের বিরোধিতা যে বাড়বেই সেটা আগাম কল্পনা করাই যায় । সঠিক অর্থেই এই জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্ণর রঘুরাম রাজন বলেছিলেন - "সংরক্ষন উঠিয়ে দেওয়া উচিত , কারন এতে কিছু যুবক সম্প্রদায় নিজেদের বঞ্চিত মনে করবে । " কথাটি বাস্তবেই সত্যি মোটেও ফেলে দেবার নয় ।
ভারতের গরিবী |
# সংরক্ষন কি ব্যাকরত্বের জন্য দায়ি ?
কিন্তু প্রশ্ন হলো সংরক্ষন তুলে দিলেই কি এই বেকার সমস্যার সমাধান হবে । চলুন তারপরেও মেনে নিলাম সংরক্ষন তুলে নিলে বেকার সমস্যা মিটে যাবে কিন্তু এতে জাতিভেদ মিটবে কি ? কিংবা তপশিল জাতি বা তপশিলি উপজাতি সামাজিক , অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে কি ? এক কথায় এর উত্তর হল না । এতে উল্টো জাতিভেদের গোঁড়ামি আরো বেড়ে যাবে । আর যারা মনে করে সংরক্ষনের কারনেই দেশে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে তাদেরকে জানিয়ে দিই বিশ্ব ব্যাঙ্কের রেকর্ড অনুযায়ি ভারত এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নয়নশিল রাষ্ট্র , যেই দেশের মাথাপিছু আয় উর্দ্ধমুখি , এই কথাটিও সত্যে কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও সত্যে ভারতের GDP অনেক কমে গেছে । এমন দুমোখা অর্থনৈতিক থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় দেশের অর্থের বেশিভাগটাই পুঞ্জিপতিদের হাতে চলে গেছে , যেখানে দেশের সাধারন মানুষের কাছে কোন অর্থ নেই । সুতরাং বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থায় এখন কাজের যোগান অনেক বেশি ও তার সাথে যোগ্য কর্মচারির প্রয়োজনো প্রচুর তার সাথে আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি , ভারতের চাকরি জগতে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির পরিমান সব থেকে বেশি ৯৮ % , যেখানে সরকারি ক্ষেত্রে মাত্র ২ % । আর মজার কথা হল বেসরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষনের কোন ব্যাবস্থায় নেই । তাহলে সংরক্ষন বেকারত্বের জন্য কি করে দায়ি হল ।
# বেকারত্ব মুক্তির উপায়
বর্তমানে এই বেকার সমস্যার আর সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি ভিত্তীক কর্মচারি নিয়োগ করে চলেছে অনবরত , আর চাকরি হারানোর ভয়ে অনেক বেকার ছেলেরাই আছে যারা পুনরাই বেকার হওয়ার ভয়ে বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোতে অল্প বেতনে ধার্য করা সময় থেকেও বেশি কাজ করে যায় । তাই বলছি সংরক্ষন তুলে দেওয়ার জন্য চেঁচামেচি না করে সেই সমস্ত বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুক্তি ভিত্তিক কর্মের বদলে স্থায়িকরনের জন্য চেঁচামেচি করুন , এতে বেকারত্বের সমস্যাও মিটবে । তার সাথে আরেকটি জিনিস জানিয়ে রাখি বর্তমানে অনেক সংগঠন রয়েছে যারা বেসরকারি ক্ষেত্রেও সংরক্ষনের দাবি রেখেছে । দেশের ভালো যদি চান তাহলে সেই আন্দোলনে যোগ দিন । যদি তারপরেও আপনাদের মনে হয় সংরক্ষন দেশের ক্ষতি করছে । তাহলে একবার মন্ডল কমিশনের খসরা দেখে আসুন ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো সংরক্ষন তুলে দিলেই কি এই বেকার সমস্যার সমাধান হবে । চলুন তারপরেও মেনে নিলাম সংরক্ষন তুলে নিলে বেকার সমস্যা মিটে যাবে কিন্তু এতে জাতিভেদ মিটবে কি ? কিংবা তপশিল জাতি বা তপশিলি উপজাতি সামাজিক , অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে কি ? এক কথায় এর উত্তর হল না । এতে উল্টো জাতিভেদের গোঁড়ামি আরো বেড়ে যাবে । আর যারা মনে করে সংরক্ষনের কারনেই দেশে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে তাদেরকে জানিয়ে দিই বিশ্ব ব্যাঙ্কের রেকর্ড অনুযায়ি ভারত এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নয়নশিল রাষ্ট্র , যেই দেশের মাথাপিছু আয় উর্দ্ধমুখি , এই কথাটিও সত্যে কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও সত্যে ভারতের GDP অনেক কমে গেছে । এমন দুমোখা অর্থনৈতিক থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় দেশের অর্থের বেশিভাগটাই পুঞ্জিপতিদের হাতে চলে গেছে , যেখানে দেশের সাধারন মানুষের কাছে কোন অর্থ নেই । সুতরাং বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থায় এখন কাজের যোগান অনেক বেশি ও তার সাথে যোগ্য কর্মচারির প্রয়োজনো প্রচুর তার সাথে আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি , ভারতের চাকরি জগতে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির পরিমান সব থেকে বেশি ৯৮ % , যেখানে সরকারি ক্ষেত্রে মাত্র ২ % । আর মজার কথা হল বেসরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষনের কোন ব্যাবস্থায় নেই । তাহলে সংরক্ষন বেকারত্বের জন্য কি করে দায়ি হল ।
# বেকারত্ব মুক্তির উপায়
বর্তমানে এই বেকার সমস্যার আর সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি ভিত্তীক কর্মচারি নিয়োগ করে চলেছে অনবরত , আর চাকরি হারানোর ভয়ে অনেক বেকার ছেলেরাই আছে যারা পুনরাই বেকার হওয়ার ভয়ে বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোতে অল্প বেতনে ধার্য করা সময় থেকেও বেশি কাজ করে যায় । তাই বলছি সংরক্ষন তুলে দেওয়ার জন্য চেঁচামেচি না করে সেই সমস্ত বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুক্তি ভিত্তিক কর্মের বদলে স্থায়িকরনের জন্য চেঁচামেচি করুন , এতে বেকারত্বের সমস্যাও মিটবে । তার সাথে আরেকটি জিনিস জানিয়ে রাখি বর্তমানে অনেক সংগঠন রয়েছে যারা বেসরকারি ক্ষেত্রেও সংরক্ষনের দাবি রেখেছে । দেশের ভালো যদি চান তাহলে সেই আন্দোলনে যোগ দিন । যদি তারপরেও আপনাদের মনে হয় সংরক্ষন দেশের ক্ষতি করছে । তাহলে একবার মন্ডল কমিশনের খসরা দেখে আসুন ।
সরকারি চাকরি |
ভারতে এখন দরিদ্র সিমার নিচে রয়েছে ৫.৫% , কিন্তু তার জন্য সংরক্ষন দায়ি নই । তার থেকেও অবাক করার বিষয়টী হল ভারতে এই মহুর্তেও লক্ষ খানেক স্কুল রয়েছে যেখানে মাত্র একটি শিক্ষক দ্বারাই কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে , মোদ্দাকথা সরকারের শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে লক্ষাধিক চাকরি রয়েছে কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না । নিজের দিঁকে তাকিয়ে দেখুন আর বিচার করুন তো গত বছর রেলের NTPC এর পরিক্ষা হয়েছে কিনা একটু যাচাই করে দেখে নিয়েন , এখনো প্রযন্ত ফর্ম ফিলাপ এ সার । সরকার যে বেকারদের সাথে ছেলে খেলা করছে বোঝা যায় । তাহলে বেকারত্বের জন্য সংরক্ষন নই দায়ি যদি হয়ে থাকে তবে সেটি সরকারের ভ্রান্ত নিতি ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন