History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

মালদা পান্ডুয়ার বড় দরগাহ , লক্ষন সেন দালান , জুম্বা মসজিদ ও জালালুদ্দিন শাহ তাবরজের ইতিহাস । MALDA PANDUA BORO DORGAH HISTORY .


কেন যেন যেদিকেই দেখছি , শুধু ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদি চোখে পরছে । আর এমন পরিবেশে আমার মত ছেলের পক্ষে থাকা মুশকিল । আমি যতটুকু জানি ধর্ম মানুষকে ভেদাভেদ নই বরং ভালেবাসতে শেখাই , তাই ছোট থেকেই পরধর্ম সহিস্নুতা জন্ম নিয়েছে আমার মধ্যে । যাই হোক ধর্ম নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না , নইলে আবার অন্ধভক্তরা আমাকে দেশদ্রোহি আর না জানি কার মুখ থেকে কি কি শুনতে হবে । আমার বিচারে এই দেশ না হিন্দুদের ,না মুশলিমদের , না বৌদ্ধদের, না খ্রীষ্টানদের ,এই দেশ তাদের যারা এই দেশকে ভালোবাসে ।
তাই আমার মত কিছু বখাটে ছেলেরা কখন মন্দির , কখন মসজিদ বা বৌদ্ধ মঠ গুলিতে ঘুড়ে বেড়াই , আর এমনটা করার পিছনে প্রধান কারন হল মানষিক শান্তি । তার সাথে আরেকটি বিষয় আমি যোগ করতে চাই , সেটি হল - সেই মন্দির বা মসজিদ যদি ঐতিহাসিক হয় তবে তো সোনায় সোহাগা ।
আর সেই তৃপ্তি পেতেই আমার এই স্থানে আসা । যে জায়গাটি রয়েছে মালদার পান্ডুয়াতে , পরিচীত নাম " বড় দরগাহ " । আর তার আদের স্টপেজে রয়েছে আদিনা মসজিদ । 
মালদা,পান্ডুয়া,মালদা পান্ডুয়া,দরগাহ,পান্ডুয়া দরগা, পান্ডুয়া দরগাহ,মালদা দরগাহ,বড় দরগাহ পান্ডুয়া,
মালদা পান্ডুয়া বড় দরগাহ 
# পান্ডুয়া
বাংলাই সুলতানি শাষন শুরু হবার আগে গোটা বাংলাই ছিল হিন্দুদের রাজত্ব  , কিন্তু ১২০৬ সালে বখতিয়ার খিলজী বাংলাই আক্রমনের পর সমগ্র ছবিটাই পাল্টে যাই এবং বাংলাই শুরু হয় মুসলিম রাজত্ব । ঠিক এই সময়ে ১৩৫২ - ১৪৫০ প্রযন্ত মালদার পান্ডুয়া ছিল বাংলার রাজধানি । যেটি একসময় ফিরোজাবাদ নামেও পরিচীত ছিল । যার ইতিহাস প্রথম খুঁজে বের করেন আলেকজান্ডার কানিংহাম ।
# বড় দরগাহ
এই পান্ডুয়াতেই রয়েছে মসজিদ সহ একটি দরগাহ , যেটি পরিচীত " বড় দরগাহ " নামে । মনে করা হয় এই বড় দরগাহটি লক্ষন সেন তৈরি করেন এবং বিখ্যাত মুসলিম সুফি সাধক হজরত জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজকে উপহার স্বরুপ প্রদান করেন । কথিত আছে যে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে রাজা লক্ষন সেন এই জায়গাটি প্দান করেন ।
এই বড় দরগাহটিতে আপনি একটি ঐতিহাসিক জিনিস নই অনেকগুলো ঐতিহাসিক সাক্ষ্যে পাবেন , যেমন - দাখিল দরওয়াজা , লক্ষন সেনের দালান , জুম্বা মসজিদ , আরো কয়েকটি জিনিস এছাড়াও একটি অতিব পবিত্র জিনিস , যেটি সবার শেষে বলবো ।
# লক্ষন সেনের দালান
আমি যখন এই স্থানে আসি তখন এখানে নামাজ আদায়ের কাজ চলছিল । নামাজ আদায় হতেই প্রবেশ করলাম মসজিদ প্রাঙ্গনে । ঢোকার প্রথমেই হাতের বাঁদিকে লক্ষন সেনের দালান ।
লক্ষন সেন , লক্ষন সেন দালান, দরগা, মালদা, পান্ডুয়া,মালদা পান্ডুয়া
লক্ষন সেন দালান
 নামাজ আদায় কারি একজনের মুখে শুনলাম , মাঝে মাঝেই রাজা লক্ষন সেন জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের সাথে আলাপ-চারিতার জন্য আসতেন । তাদের আলাপচারিতার জন্যে এই লক্ষন সেনের দালান তৈরি করা হয়েছিল তাও আবার একবেলার মধ্যে ।
# জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ
বড় দরগাহের ইতিহাস সম্পূৰ্ণ হবে না যদি জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ কে ছিলেন সেটা না বললে । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত মুসলিম সাধক । যিনি ইরানের তাবরেজ নামের একটি জায়গাই জন্ম গ্রহন করেছিলেন এবং মুসলিম সাধক হিসাবে ভারতে আসলে কুতুবউদ্দিন আইবক তাকে সাদরে সম্মান করেন এবং তারকাছেই কয়েকটি বছর কাটিয়ে দেন ।
দিল্লি থেকে তিনি বাংলাই মুসলিম ধর্মের বাণী নিয়ে পরবর্তীকালে প্রবেশ করেন আর মালদা জেলার পান্ডুয়াতে আশ্রয় নেন । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ একবার রাজা লক্ষন সেনের কাছে তুর্কি আক্রমনের ভবিষ্যত বাণী করে সতর্ক থাকতেও বলেছিলেন । যা পরবর্তীকালে ঘটেও ছিল । সেই সমস্ত সাল গুলো বলছিনা কারন ,সেই সময় ভারতে কয়েকজন একিই নামের ব্যাক্তির বিষয়ে জানা যায় , যার জন্য তথ্যগুলো অসম্পুর্ণ থেকে যাবে ।
# জুম্বা মসজিদ
লক্ষন সেনের দালান পার করলেই পাওয়া যায় জুম্বা মসজিদ । আর এই জুম্বা মসজিদের ডানদিকেই রয়েছে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের ভান্ডার খানা ও রান্নাঘর । সবকিছু দেখার পরে ডুকলাম জুম্বা মসজিদে । 
জুম্বা মসজিদ, বড় দরগা,মালদা,পান্ডুয়া,মালদা পান্ডুয়া,
জুম্বা মসজিদের ভেতরে
গোটা প্রাঙ্গনের সবথেকে পবিত্র স্থান এইটিই - কারন জুম্বা মসজিদের ভেতরেই রযেছে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের সমাধিক্ষেত্রটি । আমি বাইরে থেকে যা কিছু এনেছিলাম তা এখানেই সমর্পন করি । তার পাশাপাশি জুম্বা মসজিদের ভেতরে আরেকটি পবিত্র জিনিস দেখার সুযোগ পেলাম , মসজিদের ভেতর থাকা সকলেই জানালেন  এটি  হল বিশ্ব নবী হজরত মহম্মদের পদচিহ্ন । সেটা দেখার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে খুবি গর্বের বিষয় ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম **
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন