কেন যেন যেদিকেই দেখছি , শুধু ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদি চোখে পরছে । আর এমন পরিবেশে আমার মত ছেলের পক্ষে থাকা মুশকিল । আমি যতটুকু জানি ধর্ম মানুষকে ভেদাভেদ নই বরং ভালেবাসতে শেখাই , তাই ছোট থেকেই পরধর্ম সহিস্নুতা জন্ম নিয়েছে আমার মধ্যে । যাই হোক ধর্ম নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না , নইলে আবার অন্ধভক্তরা আমাকে দেশদ্রোহি আর না জানি কার মুখ থেকে কি কি শুনতে হবে । আমার বিচারে এই দেশ না হিন্দুদের ,না মুশলিমদের , না বৌদ্ধদের, না খ্রীষ্টানদের ,এই দেশ তাদের যারা এই দেশকে ভালোবাসে ।
তাই আমার মত কিছু বখাটে ছেলেরা কখন মন্দির , কখন মসজিদ বা বৌদ্ধ মঠ গুলিতে ঘুড়ে বেড়াই , আর এমনটা করার পিছনে প্রধান কারন হল মানষিক শান্তি । তার সাথে আরেকটি বিষয় আমি যোগ করতে চাই , সেটি হল - সেই মন্দির বা মসজিদ যদি ঐতিহাসিক হয় তবে তো সোনায় সোহাগা ।
আর সেই তৃপ্তি পেতেই আমার এই স্থানে আসা । যে জায়গাটি রয়েছে মালদার পান্ডুয়াতে , পরিচীত নাম " বড় দরগাহ " । আর তার আদের স্টপেজে রয়েছে আদিনা মসজিদ ।
তাই আমার মত কিছু বখাটে ছেলেরা কখন মন্দির , কখন মসজিদ বা বৌদ্ধ মঠ গুলিতে ঘুড়ে বেড়াই , আর এমনটা করার পিছনে প্রধান কারন হল মানষিক শান্তি । তার সাথে আরেকটি বিষয় আমি যোগ করতে চাই , সেটি হল - সেই মন্দির বা মসজিদ যদি ঐতিহাসিক হয় তবে তো সোনায় সোহাগা ।
আর সেই তৃপ্তি পেতেই আমার এই স্থানে আসা । যে জায়গাটি রয়েছে মালদার পান্ডুয়াতে , পরিচীত নাম " বড় দরগাহ " । আর তার আদের স্টপেজে রয়েছে আদিনা মসজিদ ।
মালদা পান্ডুয়া বড় দরগাহ |
# পান্ডুয়া
বাংলাই সুলতানি শাষন শুরু হবার আগে গোটা বাংলাই ছিল হিন্দুদের রাজত্ব , কিন্তু ১২০৬ সালে বখতিয়ার খিলজী বাংলাই আক্রমনের পর সমগ্র ছবিটাই পাল্টে যাই এবং বাংলাই শুরু হয় মুসলিম রাজত্ব । ঠিক এই সময়ে ১৩৫২ - ১৪৫০ প্রযন্ত মালদার পান্ডুয়া ছিল বাংলার রাজধানি । যেটি একসময় ফিরোজাবাদ নামেও পরিচীত ছিল । যার ইতিহাস প্রথম খুঁজে বের করেন আলেকজান্ডার কানিংহাম ।
# বড় দরগাহ
এই পান্ডুয়াতেই রয়েছে মসজিদ সহ একটি দরগাহ , যেটি পরিচীত " বড় দরগাহ " নামে । মনে করা হয় এই বড় দরগাহটি লক্ষন সেন তৈরি করেন এবং বিখ্যাত মুসলিম সুফি সাধক হজরত জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজকে উপহার স্বরুপ প্রদান করেন । কথিত আছে যে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে রাজা লক্ষন সেন এই জায়গাটি প্দান করেন ।
এই বড় দরগাহটিতে আপনি একটি ঐতিহাসিক জিনিস নই অনেকগুলো ঐতিহাসিক সাক্ষ্যে পাবেন , যেমন - দাখিল দরওয়াজা , লক্ষন সেনের দালান , জুম্বা মসজিদ , আরো কয়েকটি জিনিস এছাড়াও একটি অতিব পবিত্র জিনিস , যেটি সবার শেষে বলবো ।
# লক্ষন সেনের দালান
আমি যখন এই স্থানে আসি তখন এখানে নামাজ আদায়ের কাজ চলছিল । নামাজ আদায় হতেই প্রবেশ করলাম মসজিদ প্রাঙ্গনে । ঢোকার প্রথমেই হাতের বাঁদিকে লক্ষন সেনের দালান ।
বাংলাই সুলতানি শাষন শুরু হবার আগে গোটা বাংলাই ছিল হিন্দুদের রাজত্ব , কিন্তু ১২০৬ সালে বখতিয়ার খিলজী বাংলাই আক্রমনের পর সমগ্র ছবিটাই পাল্টে যাই এবং বাংলাই শুরু হয় মুসলিম রাজত্ব । ঠিক এই সময়ে ১৩৫২ - ১৪৫০ প্রযন্ত মালদার পান্ডুয়া ছিল বাংলার রাজধানি । যেটি একসময় ফিরোজাবাদ নামেও পরিচীত ছিল । যার ইতিহাস প্রথম খুঁজে বের করেন আলেকজান্ডার কানিংহাম ।
# বড় দরগাহ
এই পান্ডুয়াতেই রয়েছে মসজিদ সহ একটি দরগাহ , যেটি পরিচীত " বড় দরগাহ " নামে । মনে করা হয় এই বড় দরগাহটি লক্ষন সেন তৈরি করেন এবং বিখ্যাত মুসলিম সুফি সাধক হজরত জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজকে উপহার স্বরুপ প্রদান করেন । কথিত আছে যে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে রাজা লক্ষন সেন এই জায়গাটি প্দান করেন ।
এই বড় দরগাহটিতে আপনি একটি ঐতিহাসিক জিনিস নই অনেকগুলো ঐতিহাসিক সাক্ষ্যে পাবেন , যেমন - দাখিল দরওয়াজা , লক্ষন সেনের দালান , জুম্বা মসজিদ , আরো কয়েকটি জিনিস এছাড়াও একটি অতিব পবিত্র জিনিস , যেটি সবার শেষে বলবো ।
# লক্ষন সেনের দালান
আমি যখন এই স্থানে আসি তখন এখানে নামাজ আদায়ের কাজ চলছিল । নামাজ আদায় হতেই প্রবেশ করলাম মসজিদ প্রাঙ্গনে । ঢোকার প্রথমেই হাতের বাঁদিকে লক্ষন সেনের দালান ।
লক্ষন সেন দালান |
# জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ
বড় দরগাহের ইতিহাস সম্পূৰ্ণ হবে না যদি জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ কে ছিলেন সেটা না বললে । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত মুসলিম সাধক । যিনি ইরানের তাবরেজ নামের একটি জায়গাই জন্ম গ্রহন করেছিলেন এবং মুসলিম সাধক হিসাবে ভারতে আসলে কুতুবউদ্দিন আইবক তাকে সাদরে সম্মান করেন এবং তারকাছেই কয়েকটি বছর কাটিয়ে দেন ।
দিল্লি থেকে তিনি বাংলাই মুসলিম ধর্মের বাণী নিয়ে পরবর্তীকালে প্রবেশ করেন আর মালদা জেলার পান্ডুয়াতে আশ্রয় নেন । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ একবার রাজা লক্ষন সেনের কাছে তুর্কি আক্রমনের ভবিষ্যত বাণী করে সতর্ক থাকতেও বলেছিলেন । যা পরবর্তীকালে ঘটেও ছিল । সেই সমস্ত সাল গুলো বলছিনা কারন ,সেই সময় ভারতে কয়েকজন একিই নামের ব্যাক্তির বিষয়ে জানা যায় , যার জন্য তথ্যগুলো অসম্পুর্ণ থেকে যাবে ।
# জুম্বা মসজিদ
লক্ষন সেনের দালান পার করলেই পাওয়া যায় জুম্বা মসজিদ । আর এই জুম্বা মসজিদের ডানদিকেই রয়েছে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের ভান্ডার খানা ও রান্নাঘর । সবকিছু দেখার পরে ডুকলাম জুম্বা মসজিদে ।
বড় দরগাহের ইতিহাস সম্পূৰ্ণ হবে না যদি জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ কে ছিলেন সেটা না বললে । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত মুসলিম সাধক । যিনি ইরানের তাবরেজ নামের একটি জায়গাই জন্ম গ্রহন করেছিলেন এবং মুসলিম সাধক হিসাবে ভারতে আসলে কুতুবউদ্দিন আইবক তাকে সাদরে সম্মান করেন এবং তারকাছেই কয়েকটি বছর কাটিয়ে দেন ।
দিল্লি থেকে তিনি বাংলাই মুসলিম ধর্মের বাণী নিয়ে পরবর্তীকালে প্রবেশ করেন আর মালদা জেলার পান্ডুয়াতে আশ্রয় নেন । জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজ একবার রাজা লক্ষন সেনের কাছে তুর্কি আক্রমনের ভবিষ্যত বাণী করে সতর্ক থাকতেও বলেছিলেন । যা পরবর্তীকালে ঘটেও ছিল । সেই সমস্ত সাল গুলো বলছিনা কারন ,সেই সময় ভারতে কয়েকজন একিই নামের ব্যাক্তির বিষয়ে জানা যায় , যার জন্য তথ্যগুলো অসম্পুর্ণ থেকে যাবে ।
# জুম্বা মসজিদ
লক্ষন সেনের দালান পার করলেই পাওয়া যায় জুম্বা মসজিদ । আর এই জুম্বা মসজিদের ডানদিকেই রয়েছে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের ভান্ডার খানা ও রান্নাঘর । সবকিছু দেখার পরে ডুকলাম জুম্বা মসজিদে ।
জুম্বা মসজিদের ভেতরে |
গোটা প্রাঙ্গনের সবথেকে পবিত্র স্থান এইটিই - কারন জুম্বা মসজিদের ভেতরেই রযেছে জালালুদ্দিন শাহ তাবরেজের সমাধিক্ষেত্রটি । আমি বাইরে থেকে যা কিছু এনেছিলাম তা এখানেই সমর্পন করি । তার পাশাপাশি জুম্বা মসজিদের ভেতরে আরেকটি পবিত্র জিনিস দেখার সুযোগ পেলাম , মসজিদের ভেতর থাকা সকলেই জানালেন এটি হল বিশ্ব নবী হজরত মহম্মদের পদচিহ্ন । সেটা দেখার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে খুবি গর্বের বিষয় ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম **
**সুমন্ত মাহালী হেমরম **
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন