"পড়তে হয় নইলে, পিছিয় পড়তে হয়" বাস্তবসম্মত টেগলাইন , কিন্তু বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের একটিই অসুবিধা , পড়াই যে মন বসে না। তার উপর আধুনিকতার হাত ধরে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে চঞ্চলতা বাড়ছে দিন দিন। আবার অনেকেই আছে যাদের ঘুম না ধরলে পড়তে বসতে চাই, কারন ঘুম ধরানোর মোক্ষম দাওয়াই পড়তে বসা।
সুতরাং পড়াশোনাই মন লাগানোর বিশেষ পন্থা থাকা দরকার। সেই পন্থা গুলো কি দেখে নেওয়া যাক।
পড়াশোনা |
ধ্যান
পড়তে বসতে গেলেই ছাত্র ছাত্রীদের মূল যেটি সমস্যা ,সেটা হল পড়ার মাঝে অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়া। চোখের সামনে বই খোলা অবস্থাই থাকে, কিন্তু ছোট ছোট বিষয় মনসংযোগ নষ্ট করে। এখন প্রশ্ন হল এর থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে। তবে সেটা কি?
মস্তিষ্ক নিংশ্বাসের 20% অক্সিজেন গ্রহন করে, আর যেটি ব্রেন পাওয়ার আর কোনো জিনিসের প্রতি একাগ্রতা বাড়াই। প্রতিনিয়ত ধ্যান যে কোনো জিনিসের উপর মনসংযোগ বাড়ানোর কাজ করে থাকে, সুতরাং সকাল সকাল পড়তে বসার আগে পনেরে মিনিটের পদ্মাসনে বসে ধ্যান করার অভ্যাস করাতে হবে। ধ্যান যে আপনাদের মনসংযোগ বাড়াবে এটি একশো শতাংশ সত্য।
নিজের প্রসংশা
প্রতিনিয়ত পড়তে বসার আগে নিজের তারিফ করা বা শেষে নিজের তারিফ করাও পড়াই মন বসানোর দিক দিয়ে দারুন ভূমিকা পালন করে। তাই বলে প্রথম দিন থেকেই দীর্ঘ সময় পড়তে বসে ,নিজের তারিফ করতে বলছি না , শুরুটা অল্প সময়ের জন্যই করা ভালো।
সুবিধা হবে পড়াকে কয়েকটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে পড়া শুরু করা , এবং এবং সেই ভাগগুলো পূৰ্ণ হলে নিজের একবার হলে প্রশংসা করা, চাইলে নিজেকে একটা পুরষ্কার দিয়ে সান্তনা নিতে পারো।
অবাঞ্চিত বস্তু দূরে রাখা
পড়াশোনার সময় সেই সমস্ত জিনিস সাথে না রাখাই ভালো যেগুলো মনসংযোগ সরাতে পারে। উদাহরণ স্বরুপ - মোবাইল, লেপটপ, আরো বহু জিনিস রয়েছে। যার মধ্যে মোবাইল হল প্রধান যেটি মনসংযোগ সরানোর জন্য প্রধান। সুতরাং মোবাইল পড়ার সময় সাথে না রাখাই ভালো।
পড়ো আনন্দে |
এখন অনেকেই আছে যারা মোবাইলে পি ডি এফ ফর্মাটে পড়তে চাই। তাদের জন্য বলবো , মোবাইলে পড়তে বসার আগে নেট অফ করে রাখতে হবে আর যতক্ষন না পড়া শেষ হচ্ছে ততক্ষন নেট অফ রাখতে হবে।
বন্ধুদের সাথে চর্চা
ছাত্র জিবনে সব ধরনের বন্ধুর পাওয়া যাই। আর সব জীবনে চলতে গেলে সব ধরনের বন্ধু থাকাই ভালো, তবে সব কিছু বিষয় সবার সাথে আলোচনা করা যাই না, সুতরাং সেই সমস্ত বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা বিষয়ে আলোচনা করতে পারো যারা পড়াশোনাই একটু বেশি সক্রিয়। এতে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
হাসি খুশি থাকা
বিভিন্ন পরিক্ষাই দেখা গেছে পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হোক বা সামাজিক ক্ষেত্রেই, অতিরিক্ত ট্রেস মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাই। সুতরাং অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ পড়াশোনাই মনযোগ কমিয়ে দেই , তাই ছাত্র জীবনে হাসি খুশি থাকাই শ্রেয়।
এই ক্ষেত্রে বাবা মায়েদের বিশেষ যত্নশিল হতে হবে। ছোট খাটো বিষয় গুলো বাবা মায়ের সাথে শেয়ার কর, বন্ধুদের সহযোগিতাও নেওয়া যেতে পারে।
পড়া মনে রাখার উপাই , জানতে চেপে ধরুন
WhatsApp UNIQUE KNOWLEDGE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন