History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

হিলি চোদ্দ হাত কালি মেলা ।

দক্ষিন দিনাজপুরের হিলি প্রদেশটি ছোট থেকেই চিনি । কারন একসময় আমি হিলিতেই ছিলাম , আজ আবার নতুন করে হিলি প্রদেশ ভ্রমন, উপলক্ষ্য একটি বিশেষ কাজ ,কিন্তু কাজের সময়ে কানে এল হিলির চোদ্দ হাত কালি মেলাটি শুরু হয়েছে । আর সাথে সাথে তরতরিয়ে পুরনো শিশু কালের স্মৃতি মাথায় চলে এল, বেশ বড় মাপের কালি ঠাকুর । এসেছিই যখন তাহলে সেই মেলাটিও ঘুরে আসি । হিলির আপ্তরে এই চোদ্দহাত কালি মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়, বাংলার ও পার থেকেও অনেকেই এই মেলায় শরিক হোন । বেশ বড় ধরনের মেলা , কাজ খতম করে রওনা হলাম আপ্তরের দিকে চোদ্দ হাত কালি মেলার উদ্দেশে ।

মেলার আকর্ষন

খুব বড় ধরনের আশা করেছিলাম ,যেমনটা ছোট বেলায় দেখেছি দুপুর হোক বা সন্ধ্যা সব সময়েই চুড়ান্ত পর্যায়ের ভিড় । কিন্তু সেই আশাটা কিছুটা ধাক্কা খেল ,কারন যে অভিঙ্গতা গুলি আমি ছোট বেলায় পেয়েছিলাম সেই মত এখন তেমন ভীড় হয়নি বললেই চলে । মেলাতে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখি দোকান গুলো বন্ধ হয়েই পরে আছে , আর বিশাল আকৃতির মন্দিরের ভিতরে চোদ্দ হাত উচুঁ কালি মুর্তি । এবারেও এই মেলায় এসেছিল নাগরদোলা, ব্রেকডান্স, ছোটদের নাগরদোলা ,আরো বিভিন্ন ধরনের হরেকরকম দোকান । এই চোদ্দ হাত মেলাটি হল হিলির সবথেকে বড় মেলা ।
হিলি চোদ্দ হাত কালি মেলা, হিলি চোদ্দহাত কালি, হিলি,চোদ্দহাত কালি,কালি ঠাকুর,কালি,
হিলি চোদ্দ হাত কালি
 মেলা চালু হওয়ার পিছনে কাহিনী
মেলাতে ঢুকেই ভাবছিলাম কিছু কেনার কথা , কিন্তু কেনার মত তেমন কিছুই পেলাম না । স্থানিয় লোকেদের কাছ থেকে জানতে পেলাম মেলাটি গতকাল থেকে শুরু হয়েছে আর এই মেলাটি চলবে পাক্কা এক সপ্তাহ।হিলিতে ঢোকার আগে  সিমান্ত শিখা নামের একটি ক্লাবের মাঠ পরে , তখন  যেখানে রয়েছে একটি শহিদ স্তম্ভ ,আর এই শহিদ স্তম্ভটি বানানো হয়েছে ৭১ এর ভারত পাকিস্থান যুদ্ধে শহীদ হওয়া সৈনিকদের সম্মানার্থে । অনেকেই হয়ত এটা জানেন না যে ,৭১ এর যুদ্ধে যারা মারা গিয়েছিল তাদের অনেকের কবরই দেওয়া হয়েছিল হিলির আপ্তর এলাকাই , যে এলাকাই এখন হিলির সবথেকে বড় মেলা চোদ্দ হাত কালি অনুষ্ঠিত হয় । এই মেলায় যখন এসেছি তখন  মন তো চাইছিল সেই কবর গুলোর সন্ধান বের করার , কিন্তু সেই শহিদগুলোকে কোথায় করা হয়েছিল সেটা স্থানিয়রাও সঠিক ভাবে বলতে পারলো না , তাছাড়াও মেলা প্রাঙ্গন সম্পুর্নভাবে দোকান পাঠে ছেয়ে গেছে ।
কথিত আছে যে ৭১ সালের যুদ্ধে শহিদদের এই স্থানে কবর দেওয়া হলে , এই এলাকাটির উপর একটি ভয়ের আবহাওয়া তৈরি হয়, আর সেই ভয় টিকেই কাটাতে এখানের স্থানীয় লোকেরা মহা ধুমধামে চোদ্দো হাতের কালি পুজার আয়োজন করে । যেটি ধিরে ধিরে একটি বড় মেলার রুপ নেয় ।

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন