অবিভক্ত দিনাজপুরের বলহরঘট্ট , সময়ের ব্যাবধানে আজ দ: দিনাজপুর জেলার সদর দফতর বালুরঘাটে পরিনত হয়েছে। না জানি কত ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে এই বালুরঘাট শহরের বুকের উপর দিয়ে।তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্যন্ত সব কিছুর উপরেই একটি অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করেছিল এই বালুরঘাট শহরটি ।কিন্তু সেটি এখন অতিত ছারা কিছুই নয়। কিন্তুু নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছে সেই অতিতটিকে ইতিহাসের রুপ দেওয়ার জন্য , যার জন্য ইতিমধ্যে দুটি পূৰ্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি তৈরি হচ্ছে দক্ষিন দিনাজপুর ও বালুরঘাটের স্বাধীনতার ইতিহাস কে নিয়ে ।
সেই সময়ের বলহরঘট্ট অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষি থাকলেও GOOGLE এ বালুরঘাটের ইতিহাসের উপরে তেমন কোন তথ্যই নেই । যদিও বা সার্চ করেন ,তবে ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে উঠে আসবে বালুরঘাটের ট্যাঙ্কমোড়ের ছবি । আপনাদের মনে হয়তো এই প্রশ্ন উঠে আসছে যে ,এই মোড়টির সাথে নিশ্চয় কোন ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে ।
বালুরঘাটের এই মোড়টির সাথে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে কিনা সেটা আমারো জানা নেই ,তবে যে যুদ্ধ অস্ত্র মারফত এই স্থানের নাম ট্যাঙ্ক মোড় পরেছে ,সেই ট্যাঙকটি অবশ্যই একটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যুক্ত । তাহলে সেই ইতিহাসটা কি জানা যাক ।
বাংলাদেশের পরাধীনতা
দেশভাগের পর , বাংলাদেশ তখন পাকিস্থানের অধিনে ছিল ,আর তখন বাংলাদেশ পরিচীত ছিল পূৰ্ব পাকিস্থান নামে।বাংলা ভাষার উপর ভর ভিত্তি করে আর " জয় বাংলা " শ্লোগানটিকে আঁকড়ে ধরে পাকিস্থানের হাত থেকে স্বাধিনতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পরে , আর যার পথ প্রদর্শক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান । বাংলাদেশ স্বাধিনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরলেও পরাধিন রাষ্ট্র হিসাবে সেটা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল ছিল ।
সেই সময়ের বলহরঘট্ট অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষি থাকলেও GOOGLE এ বালুরঘাটের ইতিহাসের উপরে তেমন কোন তথ্যই নেই । যদিও বা সার্চ করেন ,তবে ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে উঠে আসবে বালুরঘাটের ট্যাঙ্কমোড়ের ছবি । আপনাদের মনে হয়তো এই প্রশ্ন উঠে আসছে যে ,এই মোড়টির সাথে নিশ্চয় কোন ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে ।
বালুরঘাটের এই মোড়টির সাথে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে কিনা সেটা আমারো জানা নেই ,তবে যে যুদ্ধ অস্ত্র মারফত এই স্থানের নাম ট্যাঙ্ক মোড় পরেছে ,সেই ট্যাঙকটি অবশ্যই একটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যুক্ত । তাহলে সেই ইতিহাসটা কি জানা যাক ।
বাংলাদেশের পরাধীনতা
দেশভাগের পর , বাংলাদেশ তখন পাকিস্থানের অধিনে ছিল ,আর তখন বাংলাদেশ পরিচীত ছিল পূৰ্ব পাকিস্থান নামে।বাংলা ভাষার উপর ভর ভিত্তি করে আর " জয় বাংলা " শ্লোগানটিকে আঁকড়ে ধরে পাকিস্থানের হাত থেকে স্বাধিনতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পরে , আর যার পথ প্রদর্শক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান । বাংলাদেশ স্বাধিনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরলেও পরাধিন রাষ্ট্র হিসাবে সেটা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল ছিল ।
বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড় |
ভারতীয় সৈন্যের সহযোগিতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ
কিন্তু একপ্রকার বোকার মত পাকিস্থান ১৯৭১ সালের ৩ ই ডিসেম্বর স্বাধীন ভারতের কিছু এয়ার বেশে অকারনে আক্রমন করে বসে । ব্যাস আর কি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি . ভি গিরি পাকিস্থানকে শায়েস্তা করার জন্য যুদ্ধের আদেশ দিয়ে দেন , আর এদিকে সুযোগ বুঝে এই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির সাথে চুক্তি করেন , ভারতীয় সৈনিকদের সহযোগিতায় তৎকালিন পূৰ্ব পাকিস্থানের মুক্তি যোদ্ধা একত্রে মিলিত হয়ে "অপারেশন চেঙ্গিস খাঁ" নামে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান শুর করে , আর যেই যুদ্ধটি ইতিহাসের পাতায় পরিচীত ৭১ এর যুদ্ধ হিসাবে । ভারতের পক্ষ থেকে এই যুদ্ধের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জেনারেল মানেকশ, লেফটানেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং ,লেফটানেন্ট জি . জি গিরি , স্বাগত শিং প্রমুখ ', আর বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল জেনারেল মহঃ আতাউল গনি ওয়াহাবি , মেজর কে. এম সাফিউল্লা প্রমূখ । আর এই ৭১ এর যুদ্ধে ভারতের সৈন্য ও বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধা একত্রে মিলিত হয়ে খুব সহজে ও খুবি অল্প সময়ে পাকিস্থানকে পরাজিত করলে ,পাকিস্থান আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয় । যার পরিণতী স্বরুপ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্থান স্বাধিন হয়ে একটি নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম হয় ।ট্যাঙ্কমোড়ের সাথে ঐতিহাসিক যোগসূত্ৰ
অনেকের মনে হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে , তাহলে ৭১ এর যুদ্ধের সাথে বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড়ের কি কোন সম্পর্ক রয়েছে ? এবার তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর খুজি । বালুরঘাটের ট্যাঙ্ক মোড়ে যে ট্যাঙ্কটি রয়েছে সেটি আসলে সেই যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল । যুদ্ধ শেষ হলে ভারতীয় সৈন্য সকলে ফিরে আসার সময় এই ট্যাঙ্কটি নষ্ট হয়ে পরে , আর সেই নষ্ট ট্যাঙ্কটিকেই সেই যুদ্ধের স্মৃতি হিসাবে বালুরঘাটে রেখে দেওয়া হয় । পূৰ্বে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি ছিল , রাস্তা সম্প্রসারনের সময় সেই ট্যাঙ্কটিকে বালুরঘাটের এই মোড়ে নগরসৌন্দর্য ও সেই যুদ্ধের স্মৃতি হিসাবে স্থাপন করা হয় । পরবর্তি কালে এই ট্যাঙ্কটির উপরেই ভিত্তি করে এই এই স্থানের নাম হয়েছে ট্যাঙ্ক মোড় ।
অনেকের মনে হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে , তাহলে ৭১ এর যুদ্ধের সাথে বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড়ের কি কোন সম্পর্ক রয়েছে ? এবার তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর খুজি । বালুরঘাটের ট্যাঙ্ক মোড়ে যে ট্যাঙ্কটি রয়েছে সেটি আসলে সেই যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল । যুদ্ধ শেষ হলে ভারতীয় সৈন্য সকলে ফিরে আসার সময় এই ট্যাঙ্কটি নষ্ট হয়ে পরে , আর সেই নষ্ট ট্যাঙ্কটিকেই সেই যুদ্ধের স্মৃতি হিসাবে বালুরঘাটে রেখে দেওয়া হয় । পূৰ্বে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি ছিল , রাস্তা সম্প্রসারনের সময় সেই ট্যাঙ্কটিকে বালুরঘাটের এই মোড়ে নগরসৌন্দর্য ও সেই যুদ্ধের স্মৃতি হিসাবে স্থাপন করা হয় । পরবর্তি কালে এই ট্যাঙ্কটির উপরেই ভিত্তি করে এই এই স্থানের নাম হয়েছে ট্যাঙ্ক মোড় ।
আমি ওইসময়ে বালুঘাট শহরে শরণার্থি হিসেবে ছিলাম। গোটা নভেম্বর জুড়ে পাকিস্তানিরা বালুরঘাট শহরে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেক ভারতীয় নাগরিক শহিদ হন। এরমধ্যে একই পরিবারের ১০ জন ঘুমন্ত অবস্থায় শেলের আঘাতে শহিদ হন। অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়। এইসব শহিদ স্মরণে, দখলকরা পাকিস্তানি ট্যাংকটি ভারতীয় সেনরারা বালুরঘাটবাসীকে উপহার দেয়। আমি ভারত সরকারের অনুমতি পেয়েছি-এ বিষয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করার।
উত্তরমুছুন