মাহালি জনজাতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়
WhatsApp
UNIQUE KNOWLEDGE
ভারত বহু জাতী ও ভাষা-ভাষীর রাষ্ট্র ।তবুও এত বৈচিত্রের মধ্যে কোথাও যেন আন্তরিক মিল পাওয়া যায় , যার জন্য ইতিহাসবিদ ভিনসেন্ট স্মিথ যথার্থই ভারতের এই বৈশিষ্টকে বলেছিলেন "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " । ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন রাজ্য গুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জাতি ও ভাষা চর্চা দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মাত্র বিহার প্রদেশেই মোটামুটি ভাবে ৬০ এর উপরে জাতি দেখতে পাওয়া যায় ,যার মধ্যে ভারতীয় সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংখ্যা রয়েছে ৩০ টি, যাদের কয়েকটি হল বানজারা,
ভূমিজ ,ছানাবড়াইক ,কিষাণ ,কোরা ,লোহরা ,মহলি, মালপাহাড়িয়া, মুন্ডা,ওঁরাও, সাঁওতাল, সাউরিয়া ,পাহাড়িয়া , আরো অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়। তবে এতগুলো জাতির মধ্যে আমি যে জাতির বিষয়ে আজ কথা বলতে চাই, সেই জাতিটির নাম মাহালি।
মাহালিদের বাসস্থান
ভূমিজ ,ছানাবড়াইক ,কিষাণ ,কোরা ,লোহরা ,মহলি, মালপাহাড়িয়া, মুন্ডা,ওঁরাও, সাঁওতাল, সাউরিয়া ,পাহাড়িয়া , আরো অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়। তবে এতগুলো জাতির মধ্যে আমি যে জাতির বিষয়ে আজ কথা বলতে চাই, সেই জাতিটির নাম মাহালি।
মাহালি আদিবাসী নাচ |
মাহালি জনজাতির মানুষেরা মূলত বাংলাদেশ, নেপাল , ভূটান ও ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী সম্প্রদায় , অত্যন্ত অল্প সংখ্যক এই জনজাতির লোকেদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খন্ড ,বিহার, উড়িষ্যা, রাজ্যে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্ৰে তানোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগা, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধাতে দেখতে পাওয়া যায়। তবে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিচার করলে বাংলাদেশে ৪০ হাজার, ভারতে ২,৭৮,০০০, আর নেপাল বসবাসকারী মাহালিদের সংখ্যা মাত্র ২০ হাজার। মাহালিদের বিশ্বাস মতে, মাহালিদের আদি বাসস্থান বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের দুমকা জেলা, সেই জন্য মাহালিরা ঝাড়খন্ডের দুমকা জেলাটিকে "মারে দিশম" বলে উল্লেখ্য করে থাকে, যার অর্থ হল পুরোনো ভূমি বা পুরোনো দেশ ।
বাঁশ কাজের ব্যস্ততা |
জাতি পরিচিতী
মাহালি জনগোষ্ঠির লোকেরা মূলত অস্ট্রোরয়েড গোষ্ঠীর মধ্যে পরে, জাতিসত্তাগতভাবে এরা সাঁওতাল জানজাতির কাছাকাছি হলেও এরা সাঁওতাল থেকে আলাদা। মাহালী জাতিগত হিসাবে খুবই শান্তিপ্রিয়, ভারতে এই জাতিকে পৃথক আদিবাসী জাতির মর্যাদা দেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আলাদা জাতির দর্জা দেওয়া হয় নি, বাংলাদেশে এখনো মাহালি জাতিকে সাঁওতাল জনজাতির অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। মাহালিদের পদবি মূলত ডুমরি, কারকুশা, বারে, কাউরিয়া, কেশরিয়া, তুমরাঁং, খাংগের,মানড্রি ইত্যাদি হয়ে থাকে যেগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন সাঁওতালী পদবিতে পরিণত হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ মাহালিদের "বারে "পদবি পরিবর্তিত হয়েছে" টুডু" পদবিতে, তেমনি "মান্ড্রি " হয়েছে মারান্ডি বা মার্ডি, "কারকুশা" হয়েছে "কিস্কু", "খাংগের" হয়েছে "বাস্কে", "কাউরিয়া " হয়েছে "সরেন", "ডুমরি" পরিবর্তিত হয়েছে মুর্মুতে।তবে, এই পদবি পরিবর্তনের কারনটা কি সেটা জানার জন্য বিশেষ অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মাহালি আছেন যারা তাদের জাতিগত পরিচয় ধরে রাখার জন্য মাহালি শব্দটিকেই তাদের পদবি হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।
মাহালি জনগোষ্ঠির লোকেরা মূলত অস্ট্রোরয়েড গোষ্ঠীর মধ্যে পরে, জাতিসত্তাগতভাবে এরা সাঁওতাল জানজাতির কাছাকাছি হলেও এরা সাঁওতাল থেকে আলাদা। মাহালী জাতিগত হিসাবে খুবই শান্তিপ্রিয়, ভারতে এই জাতিকে পৃথক আদিবাসী জাতির মর্যাদা দেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আলাদা জাতির দর্জা দেওয়া হয় নি, বাংলাদেশে এখনো মাহালি জাতিকে সাঁওতাল জনজাতির অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। মাহালিদের পদবি মূলত ডুমরি, কারকুশা, বারে, কাউরিয়া, কেশরিয়া, তুমরাঁং, খাংগের,মানড্রি ইত্যাদি হয়ে থাকে যেগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন সাঁওতালী পদবিতে পরিণত হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ মাহালিদের "বারে "পদবি পরিবর্তিত হয়েছে" টুডু" পদবিতে, তেমনি "মান্ড্রি " হয়েছে মারান্ডি বা মার্ডি, "কারকুশা" হয়েছে "কিস্কু", "খাংগের" হয়েছে "বাস্কে", "কাউরিয়া " হয়েছে "সরেন", "ডুমরি" পরিবর্তিত হয়েছে মুর্মুতে।তবে, এই পদবি পরিবর্তনের কারনটা কি সেটা জানার জন্য বিশেষ অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মাহালি আছেন যারা তাদের জাতিগত পরিচয় ধরে রাখার জন্য মাহালি শব্দটিকেই তাদের পদবি হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।
মাহালিদের বাঁশের কাজ |
সংস্কৃতি ও ব্যবহার
মাহালিরা জাতি হিসাবে বড্ড শান্তি প্রীয় আদিবাসি জনজাতি ,যাদের নিজস্ব পোশাক-আশাক, রিতি-নীতি, ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই মূলত মাহালি জনজাতির মানুষেরা পেশা হিসাবে বাঁশ ও বেতের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন দ্রব্য তৈরী করেন, যেই কাজটিকে মাহালিরা "বিতি" বলে থাকেন, এই বাঁশের বিতি তৈরির কাজটিই মাহালিদের সংস্কৃতির অভিন্ন অঙ্গ। তবে বর্তমানে অনেকেই কৃষিকার্যের পাশাপাশি বাইরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যায়। মাহালিদের ঐতিহ্য পরিধান হিসাবে পুরুষেরা দুপ্রস্থ পোষাক পরেন ও নারিরা লুংগি ও ওড়নার সংমিশ্রিত পোশাক পরেন যেটিকে পাঞ্চি পারহাট বলে। মাহিলিদের মাতৃভাষা "মাহালি" যেই ভাষার সাথে সাঁওতালী ভাষার অসংখ্য মিল পাওয়া যায়।
মাহালি নামকরন
"মাহালি" শব্দটির উৎপত্তি বিষয়ে দুটো কাহিনী বর্তমান রয়েছে তবে প্রথম কাহিনীটিই সকলের কাছে বেশী স্বীকার্য, মূলত মাহালি শব্দটি আদিবাসী শব্দ "মান্ড" শব্দ থেকে এসেছে বলে অনেকে মনে করেন, আর এই মান্ড শব্দের অর্থ হল বাঁশ। যেহেতু এই জনজাতিরা মূলত বাঁশের কাজ করে তাই এই জনজাতির নাম হয়েছে মাহালি, আবার কারো কারো মতে "মহাল" শব্দ থেকে মাহালি শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে।
সত্যি যাই হোক এই সাদামনের মাহালি আদিবাসী মানুষেরা আজ লুপ্ত হবার মুখে যেগুলো বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার, এছাড়া মাহালিদের অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আলোচনা সাপেক্ষ্যে , সেগুলো নিয়েও অন্য সময় আলোচনা করব।
সুমন্ত হেমরম
মাহালিরা জাতি হিসাবে বড্ড শান্তি প্রীয় আদিবাসি জনজাতি ,যাদের নিজস্ব পোশাক-আশাক, রিতি-নীতি, ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই মূলত মাহালি জনজাতির মানুষেরা পেশা হিসাবে বাঁশ ও বেতের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন দ্রব্য তৈরী করেন, যেই কাজটিকে মাহালিরা "বিতি" বলে থাকেন, এই বাঁশের বিতি তৈরির কাজটিই মাহালিদের সংস্কৃতির অভিন্ন অঙ্গ। তবে বর্তমানে অনেকেই কৃষিকার্যের পাশাপাশি বাইরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যায়। মাহালিদের ঐতিহ্য পরিধান হিসাবে পুরুষেরা দুপ্রস্থ পোষাক পরেন ও নারিরা লুংগি ও ওড়নার সংমিশ্রিত পোশাক পরেন যেটিকে পাঞ্চি পারহাট বলে। মাহিলিদের মাতৃভাষা "মাহালি" যেই ভাষার সাথে সাঁওতালী ভাষার অসংখ্য মিল পাওয়া যায়।
মাহালি নামকরন
"মাহালি" শব্দটির উৎপত্তি বিষয়ে দুটো কাহিনী বর্তমান রয়েছে তবে প্রথম কাহিনীটিই সকলের কাছে বেশী স্বীকার্য, মূলত মাহালি শব্দটি আদিবাসী শব্দ "মান্ড" শব্দ থেকে এসেছে বলে অনেকে মনে করেন, আর এই মান্ড শব্দের অর্থ হল বাঁশ। যেহেতু এই জনজাতিরা মূলত বাঁশের কাজ করে তাই এই জনজাতির নাম হয়েছে মাহালি, আবার কারো কারো মতে "মহাল" শব্দ থেকে মাহালি শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে।
সত্যি যাই হোক এই সাদামনের মাহালি আদিবাসী মানুষেরা আজ লুপ্ত হবার মুখে যেগুলো বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার, এছাড়া মাহালিদের অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আলোচনা সাপেক্ষ্যে , সেগুলো নিয়েও অন্য সময় আলোচনা করব।
সুমন্ত হেমরম
নিজের জাতিসত্তা সম্পর্কে লিখতে তথের বিষয়ে যত্নশীল হতে হয়। বাংলাদেশে জনসংখ্যার দিকদিয়ে ৪০হাজার মাহালি নেই। এর কোন যথা প্রমান লেখক দিতে পারবেনা। সরকারি ও বেসরকারি জরিপ বলছে ১৫ হাজারের মতো। মাহালীদের যে অবস্থান তিনি বর্ণনা করেছেন তা ভুল। বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁ , সিলেট জেলার মাহালি সম্পর্কে, আমার মনে হই তিনি জানেন না।
উত্তরমুছুনami bangladesh jorip dekhe jodio ei post likheni, ta6arao ami bharoter bashinda .wikipedia te bolahoye6e bangladesh e 40 hajar mahali roye6e, asa kori apne wikipedia er thekeo beshi gyaani, tobuo dhonnobad ... agami te apner ka6 theke aro valo tothho pabo bole asa kor6i, apnader ka6 theke ashirbad chai6i jate aro beshi kore tottho prodan korte pari,
মুছুন