ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন , বহু রক্ত ও বিদ্রোহের ফলাফল ,যেটি একদিনে পাওয়া সম্ভব হয় নি । আর স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসি সমাজের অনেকখানি বড় ভূমিকা যে বাস্তবে রয়েছে , সেটা বোধ হয় অনেকের জানা নেই । না বোল্লে নই স্বাধীনতা পাওয়ার প্রথম সত্যতাই হল বিপ্লব বা বিদ্রোহ , আর ভারতের বুকে ইংরাজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ হিসাবে ধরা হয় "সাঁওতাল বিদ্রোহ" কে , যার পথ পদর্শক ছিলেন সিধু ও কানু দুই ভাই । ১৮৫৫ সালে ঘটে যাওয়া এই বিদ্রোহ খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হলেও , এই আদিবাসী বিদ্রোহের চেহারা ছিল মারাত্মক । শুধুমাত্র যে সাঁওতালরাই আদিবাসি বিদ্রোহ করেছিল ,এমনটা নয় তাছাড়াও বীরসা মুন্ডার নেতৃত্বে চলেছিল "মুন্ডা" বিদ্রোহ (১৮৯৯) ।
সংগ্রামের ফসল স্বাধীনতা |
কিন্তু এই সমস্ত বিদ্রোহের প্রকৃতি ছিল কৃষক বিদ্রোহের । কিন্তু তার পরেও কিছু কিছু আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামির নাম পাওয়া যায় ,যারা সরাসরি ইংরাজদের অনাচার থেকে নই , বরং পরাধিনতার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনে ঝাপিয়ে ছিল । আর এমনটাও নই যে এই স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোন ভূমিকা ছিল না ,বাস্তবে কুরমি, লেপচা, মুন্ডা, ওড়াও এছাড়া আরো বহু আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিল ।
এমনি একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম হল "মাহালী" । এই মাহালী সম্প্রদায়ের যে সমস্ত বীর সংগ্রামীর নাম জানতে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে প্রমুখ হলেন শংকর মাহালী আর লালো হেমব্রম ।
বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের একপ্রকার অনিচ্ছার জন্যই এদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্তারীত তথ্য জানা সম্ভব হয় নি । কেননা ব্রাক্ষ্মন বাদে জরিয়ে যাওয়া ভারতীয় সমাজে এই বীরদের সংগ্রাম আক্ষরিক অর্থে ছোট করে দেখা হয়েছে । মাহালী সমাজের বীর পুরুষ তথা শহীদ শংকর মাহালীর বিষয়ে আজ প্রায় সকল মাহালীই অজানাই রয়েছে ।
যদিও মাঝে মাঝে কিছু আদিবাসী সংগঠনের দ্বারা সরকারের কাছ থেকে এই সংগ্রামীদের প্রকৃত তথ্য জোগারের চেষ্টা করা হলেও , সরকার বাহাদুর এখন তার নেতিবাচক তথ্য প্রদান করতে পারে নি । এই সমস্ত সংগঠনের প্রভাবে কারা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তীতে ১৯৯৭ সালে ১৯৭ জন শহীদ বীরদের নাম ও তাদের ফাঁসী দেবার তারিখ বের করা হয়েছিল ,যার ১১৮ তম শহীদের নাম হিসাবে শংকর মাহালীর নাম উঠে আসে ।
মাহালী বীর শংকর মাহালীর বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য হিসাবে জানানো হয় , বীর যোদ্ধা শংকর মাহালী ১৯৪৩ সালের ১৯ শে জুন , গান্ধিজীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূখ্য ভূমিকায় থাকার জন্য নাগপুর জেলে ফাঁশি দেওয়া হয় । এছাড়া আর কোনো জীবনপঞ্জি সরকার প্রদান করতেই পারেনি ।
ঠিক একই ভাবে ছোটনাগপুরের আরেক মাহালী সংগ্রামী লালো হেমব্রম ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে । যিনিও চৌরিচৌরার (১৯২২) ঘটনার পর গান্ধিজীর সত্যাগ্রহের সময় আত্মসমর্পন করেন । কিন্তু তারপর সেই বীর আন্দোলন কারীর কি হয়েছিল সেটার কোনো প্রকার তথ্যই জানা যায় না । এমনকি তাদের ছবি প্রযন্ত পাওয়া যায় নি ।
কিন্তু বর্তমানের কিছু আদিবাসী যুব সম্প্রদায় তাদের জায়গা ও তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কি ভূমিকা ছিল সেটা জানতে তৎপর হয়েছে । তারা জানতে চাইছে তাদের পুর্বপুরুষের দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন গুলোকে কেন মর্যাদার সাথে দেখা হচ্ছে না । তার পিছনে তাদের সংখ্যা লঘুতার কারণ নেই তো । আশা করছি বর্তমানের জাগ্রত শিক্ষিত আদিবাসি যুব সমাজ এই বিষয়ে আরো সচেতন হবে ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
এমনি একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম হল "মাহালী" । এই মাহালী সম্প্রদায়ের যে সমস্ত বীর সংগ্রামীর নাম জানতে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে প্রমুখ হলেন শংকর মাহালী আর লালো হেমব্রম ।
বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের একপ্রকার অনিচ্ছার জন্যই এদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্তারীত তথ্য জানা সম্ভব হয় নি । কেননা ব্রাক্ষ্মন বাদে জরিয়ে যাওয়া ভারতীয় সমাজে এই বীরদের সংগ্রাম আক্ষরিক অর্থে ছোট করে দেখা হয়েছে । মাহালী সমাজের বীর পুরুষ তথা শহীদ শংকর মাহালীর বিষয়ে আজ প্রায় সকল মাহালীই অজানাই রয়েছে ।
যদিও মাঝে মাঝে কিছু আদিবাসী সংগঠনের দ্বারা সরকারের কাছ থেকে এই সংগ্রামীদের প্রকৃত তথ্য জোগারের চেষ্টা করা হলেও , সরকার বাহাদুর এখন তার নেতিবাচক তথ্য প্রদান করতে পারে নি । এই সমস্ত সংগঠনের প্রভাবে কারা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তীতে ১৯৯৭ সালে ১৯৭ জন শহীদ বীরদের নাম ও তাদের ফাঁসী দেবার তারিখ বের করা হয়েছিল ,যার ১১৮ তম শহীদের নাম হিসাবে শংকর মাহালীর নাম উঠে আসে ।
ভারতীয় পতাকা |
ঠিক একই ভাবে ছোটনাগপুরের আরেক মাহালী সংগ্রামী লালো হেমব্রম ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে । যিনিও চৌরিচৌরার (১৯২২) ঘটনার পর গান্ধিজীর সত্যাগ্রহের সময় আত্মসমর্পন করেন । কিন্তু তারপর সেই বীর আন্দোলন কারীর কি হয়েছিল সেটার কোনো প্রকার তথ্যই জানা যায় না । এমনকি তাদের ছবি প্রযন্ত পাওয়া যায় নি ।
কিন্তু বর্তমানের কিছু আদিবাসী যুব সম্প্রদায় তাদের জায়গা ও তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কি ভূমিকা ছিল সেটা জানতে তৎপর হয়েছে । তারা জানতে চাইছে তাদের পুর্বপুরুষের দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন গুলোকে কেন মর্যাদার সাথে দেখা হচ্ছে না । তার পিছনে তাদের সংখ্যা লঘুতার কারণ নেই তো । আশা করছি বর্তমানের জাগ্রত শিক্ষিত আদিবাসি যুব সমাজ এই বিষয়ে আরো সচেতন হবে ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন