History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

মাহালি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও তাদের না জানা অবদান । west bengal mahali freedom fighter


ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন , বহু রক্ত ও বিদ্রোহের ফলাফল ,যেটি একদিনে পাওয়া সম্ভব হয় নি । আর স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসি সমাজের অনেকখানি বড় ভূমিকা যে বাস্তবে রয়েছে , সেটা বোধ হয় অনেকের জানা নেই । না বোল্লে নই স্বাধীনতা পাওয়ার প্রথম সত্যতাই হল বিপ্লব বা বিদ্রোহ , আর ভারতের বুকে  ইংরাজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ  হিসাবে ধরা হয় "সাঁওতাল বিদ্রোহ" কে , যার পথ পদর্শক ছিলেন সিধু ও কানু দুই ভাই । ১৮৫৫ সালে ঘটে যাওয়া এই বিদ্রোহ খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হলেও , এই আদিবাসী বিদ্রোহের চেহারা ছিল মারাত্মক । শুধুমাত্র যে সাঁওতালরাই আদিবাসি বিদ্রোহ করেছিল ,এমনটা নয় তাছাড়াও বীরসা মুন্ডার নেতৃত্বে চলেছিল "মুন্ডা" বিদ্রোহ (১৮৯৯) । 
West bengal, mahali, west bengal mahali,
সংগ্রামের ফসল স্বাধীনতা
কিন্তু এই সমস্ত বিদ্রোহের প্রকৃতি ছিল কৃষক বিদ্রোহের । কিন্তু তার পরেও কিছু কিছু আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামির নাম পাওয়া যায় ,যারা সরাসরি ইংরাজদের অনাচার থেকে নই , বরং পরাধিনতার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনে ঝাপিয়ে ছিল । আর এমনটাও নই যে এই স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোন ভূমিকা ছিল না ,বাস্তবে কুরমি, লেপচা, মুন্ডা, ওড়াও এছাড়া আরো বহু আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিল ।
এমনি একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম হল "মাহালী" । এই মাহালী সম্প্রদায়ের যে সমস্ত বীর সংগ্রামীর নাম জানতে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে প্রমুখ হলেন শংকর মাহালী আর লালো হেমব্রম ।
বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের একপ্রকার অনিচ্ছার জন্যই এদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্তারীত তথ্য জানা সম্ভব হয় নি । কেননা ব্রাক্ষ্মন বাদে জরিয়ে যাওয়া ভারতীয় সমাজে এই বীরদের সংগ্রাম আক্ষরিক অর্থে ছোট করে দেখা হয়েছে । মাহালী সমাজের বীর পুরুষ তথা শহীদ শংকর মাহালীর বিষয়ে আজ প্রায় সকল মাহালীই অজানাই রয়েছে ।
যদিও মাঝে মাঝে কিছু আদিবাসী সংগঠনের দ্বারা সরকারের কাছ থেকে এই সংগ্রামীদের প্রকৃত তথ্য জোগারের চেষ্টা করা হলেও , সরকার বাহাদুর এখন তার নেতিবাচক তথ্য প্রদান করতে পারে নি । এই সমস্ত সংগঠনের প্রভাবে কারা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তীতে ১৯৯৭ সালে ১৯৭ জন শহীদ বীরদের নাম ও তাদের ফাঁসী দেবার তারিখ বের করা হয়েছিল ,যার ১১৮ তম শহীদের নাম হিসাবে শংকর মাহালীর নাম উঠে আসে ।
ভারত,ভারতীয়,পতাকা,ভারতীয় পতাকা,
ভারতীয় পতাকা
 মাহালী বীর শংকর মাহালীর বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য হিসাবে জানানো হয় , বীর যোদ্ধা শংকর মাহালী ১৯৪৩ সালের ১৯ শে জুন , গান্ধিজীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূখ্য ভূমিকায় থাকার জন্য নাগপুর জেলে ফাঁশি দেওয়া হয় । এছাড়া আর কোনো জীবনপঞ্জি সরকার প্রদান করতেই পারেনি ।
ঠিক একই ভাবে ছোটনাগপুরের আরেক মাহালী সংগ্রামী লালো হেমব্রম ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে । যিনিও চৌরিচৌরার (১৯২২) ঘটনার পর গান্ধিজীর সত্যাগ্রহের সময় আত্মসমর্পন করেন । কিন্তু তারপর সেই বীর আন্দোলন কারীর কি হয়েছিল সেটার কোনো প্রকার তথ্যই জানা যায় না । এমনকি তাদের ছবি প্রযন্ত পাওয়া যায় নি ।
কিন্তু বর্তমানের কিছু আদিবাসী যুব সম্প্রদায় তাদের জায়গা ও তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কি ভূমিকা ছিল সেটা জানতে তৎপর হয়েছে । তারা জানতে চাইছে তাদের পুর্বপুরুষের দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন গুলোকে কেন মর্যাদার সাথে দেখা হচ্ছে না । তার পিছনে তাদের সংখ্যা লঘুতার কারণ নেই তো । আশা করছি বর্তমানের জাগ্রত শিক্ষিত আদিবাসি যুব সমাজ এই বিষয়ে আরো সচেতন হবে ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন