বিগত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি পোষ্টের নিচে অনেকগুলো কমান্ট পেলাম । যার কিছু কিছু দেখে আমার একটু বাড় - বাড়ন্ত মনে হল । মানুষের মধ্যে যে পরধর্ম বিষয়ে যে সহিষ্ণুতা থাকার কথা সেটি নেই বললেই চলে । আমি তো বড্ড আমার মত , এক্যায়াম আদ্বিতীয়াম ,GOD IS ONLY ONE , লা ইলাহ ইল্লালাহ এই তিনটি শ্লোকের উপর সমান বিশ্বাসী । কিন্তু সেই পোষ্টের কমান্টগুলো পড়ে আমার মনে হল , এই বিষয়ের উপর কিছু লেখা দরকার , তাও নিরপেক্ষ চিন্তাধারাই , ধর্মগ্রন্থে সেই বিষয়ে কি লেখা রয়েছে , আর বৈজ্ঞানীক চিন্তাধারাকে মান্যতা দিয়ে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য - পোষ্ট টি ছিল একটি সংবাদ মাধ্যমের পোষ্ট , যেখানে একজন ব্যাক্তি ঈশ্বরের আশির্বাদে মানুষকে সুস্থ করছেন , যে পোষ্টটি খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত ছিল । কমান্ট পরে যা বুঝলাম অনেকের মতে এটা ভন্ডামি আবার কারো মতে ধর্ম পরিবর্তনের প্রথম ধাপ ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য - পোষ্ট টি ছিল একটি সংবাদ মাধ্যমের পোষ্ট , যেখানে একজন ব্যাক্তি ঈশ্বরের আশির্বাদে মানুষকে সুস্থ করছেন , যে পোষ্টটি খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত ছিল । কমান্ট পরে যা বুঝলাম অনেকের মতে এটা ভন্ডামি আবার কারো মতে ধর্ম পরিবর্তনের প্রথম ধাপ ।
আবার কারো কারো মত এতটাই বিষাক্ত যে তাদের মানবিক ধর্মটাই বিসর্জন দিয়ে ফেলেছে বলে মনে হল।
# বিজ্ঞান এ বিষয়ে কি বলে ?
আজ বিজ্ঞানের দৌলতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষ অনেক উন্নতি সাধন করেছে সেটা বলার প্রয়োজন রাখে না । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান নিজেই বলে মানুষের শরির বড্ড জটিল এবং এই শরিরে অবস্থিত প্রত্যেক অঙ্গ তার নিজের নিজের কাজ করে চলেছে শরির কে সুস্থ রাখতে । শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা জানেন , শরিরের কোন অংশ সেলাইয়ের পর সেই শরিরের সেলুলোজ বা মাংস পেশি নিজে থেকেই তার শরির জোড়া লাগানোর বাকি কাজ করতে থাকে , আর যেটি জটিল শারিরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে , আর যে জটিল প্রক্রিয়া গুলি কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত -
1 **রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বা হেমোস্টেসিস ।**
2 ** প্রদাহ । **
3 ** টিস্যু বৃদ্ধি বা প্রসারণ । **
4 ** টিস্যু পুনর্নির্মাণ বা পরিপক্কতা । **
অর্থাৎ মানুষের শরিরে এমন একটি শক্তি রয়েছে যার দ্বারা সে নিজে থেকেই সুস্থ হবার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে , আর এই সুস্থতা শুধু শারিরিক দিক দিয়েই নই, মানষিক দিক দিয়েও হয়ে থাকে । আর এই শক্তি কিছু কিছু হরমোনসের দ্বারা পরিচালিত হয় , যার মধ্যে প্রধান হল ইনসুলিন হরমোন ।
ঠিক একই ভাবে গাছের ক্ষেত্রেও গাছের কোন ডাল কাটলে সেই স্থানে জিব্বারেলিন হরমোনস তার কাজ সম্পন্ন করে সেই স্থানটিকে সারিয়ে তোলে আর সম্পুর্ণ ভাবে ঢেকে দেই । সুতরাং বলা যায় মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সুস্থ হতে পারে ।
# বিজ্ঞান এ বিষয়ে কি বলে ?
আজ বিজ্ঞানের দৌলতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষ অনেক উন্নতি সাধন করেছে সেটা বলার প্রয়োজন রাখে না । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান নিজেই বলে মানুষের শরির বড্ড জটিল এবং এই শরিরে অবস্থিত প্রত্যেক অঙ্গ তার নিজের নিজের কাজ করে চলেছে শরির কে সুস্থ রাখতে । শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা জানেন , শরিরের কোন অংশ সেলাইয়ের পর সেই শরিরের সেলুলোজ বা মাংস পেশি নিজে থেকেই তার শরির জোড়া লাগানোর বাকি কাজ করতে থাকে , আর যেটি জটিল শারিরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে , আর যে জটিল প্রক্রিয়া গুলি কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত -
1 **রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বা হেমোস্টেসিস ।**
2 ** প্রদাহ । **
3 ** টিস্যু বৃদ্ধি বা প্রসারণ । **
4 ** টিস্যু পুনর্নির্মাণ বা পরিপক্কতা । **
অর্থাৎ মানুষের শরিরে এমন একটি শক্তি রয়েছে যার দ্বারা সে নিজে থেকেই সুস্থ হবার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে , আর এই সুস্থতা শুধু শারিরিক দিক দিয়েই নই, মানষিক দিক দিয়েও হয়ে থাকে । আর এই শক্তি কিছু কিছু হরমোনসের দ্বারা পরিচালিত হয় , যার মধ্যে প্রধান হল ইনসুলিন হরমোন ।
ঠিক একই ভাবে গাছের ক্ষেত্রেও গাছের কোন ডাল কাটলে সেই স্থানে জিব্বারেলিন হরমোনস তার কাজ সম্পন্ন করে সেই স্থানটিকে সারিয়ে তোলে আর সম্পুর্ণ ভাবে ঢেকে দেই । সুতরাং বলা যায় মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সুস্থ হতে পারে ।
ঈশ্বর সুস্থতা প্রদান করে |
# প্লাসিবো এফেক্ট Placebo
প্লাসিবো এফেক্ট আপনাদের কাছে হয়তো নতুন শব্দ , তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান জগৎে এই শব্দটি খুবই পরিচীত । প্লাসিবো (Placebo) এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে কোন ঔষধের প্রয়োজন পরে না । আর বিনা ঔষধে এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি অবৈজ্ঞানীক নই বরং বৈজ্ঞানীক ।
** প্লাসিবো এফেক্ট Placebo কি ? **
বিজ্ঞান মতে মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ১০ % - ১৫ % ব্যবহার করতে পারে । মানুষের মস্তিষ্ক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে , বিনা ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে , শুধুমাত্র মানুষের আত্ম - বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সুস্থ করার পদ্ধতিকে প্লাসিবো এফেক্ট বলে ।
উদাহরণ স্বরুপ - মাঝে মাঝে কিছু স্পেশাল ট্রিটমেন্টের নাম করে ডাক্তারেরা রোগিদের কিছু স্পেশাল ঔষধ দিয়ে থাকে , আর সে স্পেশাল ট্রিটমেন্টের স্পেশাল ঔষধ খেয়ে মাঝে মাঝে রোগি সুস্থ ও হয়ে উঠে । কিন্তু বাস্তবে সেটি স্পেশাল কোন ঔষধি নই , বরং কিছু সাধারণ ভিটামেন বা শর্করা জাতিয় কিছু বড়ি ।
এই ক্ষেত্রে মানুষের সেরে উঠার যে আকাঙ্খা সেটিই একমাত্র কাজ করে । তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় বড় ডাক্তার গণ অস্ত্রপ্রচারের পর এই বিশেষ প্লাসিবো এফেক্ট ব্যবহার করে থাকেন । আর মানুষের মধ্যে এই শক্তিশালি মানুষিক শক্তি প্রথম থেকেই শরিরের মধ্যে রয়েছে ,যার জন্য দায়ী বহু হরমোনস ,যার কয়েকটি আমি উল্লেখ্য করছি - এন্ডোক্যানাবিনয়েডস , এন্ডজেনাস অপিওয়েডস এবং আরো কিছু পদার্থের উপস্থিতি প্লাসিবো এফেক্টকে প্রভাবিত করে।
# বাইবেল এ বিষয়ে কি বলে ?
বাইবেলে প্রভু যীশু তার ঐশ্বরিক শক্তির মাধ্যমে অনেক অসুস্থ লোকেদের সুস্থ করেছেন ।
প্লাসিবো এফেক্ট আপনাদের কাছে হয়তো নতুন শব্দ , তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান জগৎে এই শব্দটি খুবই পরিচীত । প্লাসিবো (Placebo) এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে কোন ঔষধের প্রয়োজন পরে না । আর বিনা ঔষধে এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি অবৈজ্ঞানীক নই বরং বৈজ্ঞানীক ।
** প্লাসিবো এফেক্ট Placebo কি ? **
বিজ্ঞান মতে মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ১০ % - ১৫ % ব্যবহার করতে পারে । মানুষের মস্তিষ্ক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে , বিনা ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে , শুধুমাত্র মানুষের আত্ম - বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সুস্থ করার পদ্ধতিকে প্লাসিবো এফেক্ট বলে ।
উদাহরণ স্বরুপ - মাঝে মাঝে কিছু স্পেশাল ট্রিটমেন্টের নাম করে ডাক্তারেরা রোগিদের কিছু স্পেশাল ঔষধ দিয়ে থাকে , আর সে স্পেশাল ট্রিটমেন্টের স্পেশাল ঔষধ খেয়ে মাঝে মাঝে রোগি সুস্থ ও হয়ে উঠে । কিন্তু বাস্তবে সেটি স্পেশাল কোন ঔষধি নই , বরং কিছু সাধারণ ভিটামেন বা শর্করা জাতিয় কিছু বড়ি ।
এই ক্ষেত্রে মানুষের সেরে উঠার যে আকাঙ্খা সেটিই একমাত্র কাজ করে । তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় বড় ডাক্তার গণ অস্ত্রপ্রচারের পর এই বিশেষ প্লাসিবো এফেক্ট ব্যবহার করে থাকেন । আর মানুষের মধ্যে এই শক্তিশালি মানুষিক শক্তি প্রথম থেকেই শরিরের মধ্যে রয়েছে ,যার জন্য দায়ী বহু হরমোনস ,যার কয়েকটি আমি উল্লেখ্য করছি - এন্ডোক্যানাবিনয়েডস , এন্ডজেনাস অপিওয়েডস এবং আরো কিছু পদার্থের উপস্থিতি প্লাসিবো এফেক্টকে প্রভাবিত করে।
# বাইবেল এ বিষয়ে কি বলে ?
বাইবেলে প্রভু যীশু তার ঐশ্বরিক শক্তির মাধ্যমে অনেক অসুস্থ লোকেদের সুস্থ করেছেন ।
সুস্থতা প্রদান কারি প্রভু |
প্রভু যীশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র তাই তার কাজগুলো অলৌকিক হিসাবেই ধরে নিলেই ভালো বা যে বিষয়গুলোর কোন বৈজ্ঞানীক ব্যাক্ষা পাওয়া যায় না বা বিজ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌছাই নি যে এর বৈজ্ঞানীক ব্যাক্ষা দিতে পারবে, তাই এ নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন চিহ্ন আনতে চাই না । তাছাড়াও প্রভু যীশুর সুস্থতা প্রদানের বিষয়ে অনেক জায়গাই বলা হয়েছে , আর সেগুলি বলা হয়েছে মথি লিখিত অধ্যায় 5 অনুচ্ছেদ 4 , মথি লিখিত অধ্যায় 18 শ্লোক নং 19 ,মথি লিখিত অধ্যায় 9 অনুচ্ছেদ 22 ,মথি লিখিত অধ্যায় 8 শ্লোক নং 13 ,মথি লিখিত অধ্যায় 12 শ্লোক নং 15 ,মার্ক 2 লিখিত অধ্যায় 10 শ্লোক নং 12 , লুক লিখিত অধ্যায় 4 শ্লোক নং 40 ,জন লিখিত অধ্যায় 9 শ্লোক নং 2 , আরো বহু জায়গাই । কিন্ত প্রভু যীশুর চলে যাবার পর সাধারণ মানুষের দ্বারা মানুষকে সুস্থ করার বিষয়ে কি বলা হয়েছে সেটা জানতে হবে , আর সেটা জানলে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে । বাইবেল এই বিষয়ে কি বলছে সেটা দেখা যাক ।
প্রভু যীশুর স্বর্গে যাবার পূৰ্বে প্রভু যীশু তার শিষ্যদের মানুষের পাপ ক্ষমা , অন্যান্ন অলৌকিক কাজ আর মানুষকে সুস্থ করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন , আর যেটি লেখা রয়েছে মার্ক লিখিত অধ্যায় 16 ও শ্লোক নং 18 ** হাতে করে সাপ তুলবে এবং মারাত্মক কিছু খেলেও তাদের কোন ক্ষতি হবে না; আর তারা অসুস্থ লোকের ওপর হাত রাখলে তারা সুস্থ হবে৷’** এবং প্রভু যীশুর বারোজন শিষ্য যে ঈশ্বরের নামে অনেক লোকেদের সুস্থ করেছেন এবং অনেক অলৌকিক কাজ করেছেন আর এই বিষয়ে বলা হয়েছে - মার্ক লিখিত সু - সমাচারের 16 অধ্যায়ের 20 নং শ্লোকে ** আর তাঁরা গিয়ে সব জায়গায় সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন, এবং প্রভু তাঁদের সঙ্গে কাজ করলেন, আর অলৌকিক কাজের মধ্য দিয়ে তাঁর সুসমাচারের সত্যতা প্রমাণ করলেন৷ **
এছাড়াও শিষ্যচরিতের 2 অধ্যায়ের 43 নং শ্লোকে - ** প্রেরিতেরা অনেক অলৌকিক ও আশ্চর্য কাজ করতে লাগলেন; প্রত্যেকের অন্তরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গভীর ভক্তি ছিল৷ **
# নিরপেক্ষ বিচার
এতক্ষন পর্যন্ত আমরা যা জানলাম , বিজ্ঞান বলছে - মানুষ তার মানষিক শক্তি আর তার বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কখন কখন নিজে থেকেই সুস্থতা লাভ করতে পারে । আর সেই বিশ্বাসটি আরো বেশি মজবুত হতে পারে যখন ধর্ম বিশ্বাস তার সাথে যুক্ত হয় । সেই দিক থেকে এটি যে প্লাসিবো এফেক্টের চরম রুপ সেটা বলা যেতে পারে । সুতরাং এটা যে সর্বদা ভন্ডামি সেটা বলাটা বোকামি হবে । তাছাড়াও এই বিষয়ে আরেকটি কথা চরম ভাবে স্বিকার করতে হয় যে , সবার দ্বারা মানুষের মধ্যে সেই বিশ্বাসটা জাগিয়ে তোলা সম্ভবপর না , আর সেই জায়গাতেই হয়তো সেই প্রচারকের উপর ঈশ্বরের অনুগ্রহ কাজ করতে পারে । আবার মার্কিন প্রদেশের একজন ধর্ম প্রচারক নিজেই তার কু কির্তির কথা তুলে ধরে এই কথা বলেছিলেন যে তিনি শৈশবে এই ভাবে অনেক মানুষকেই সুস্থ করেছিলেন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য ।
তাহলে এখন প্রশ্ন উঠে আসছে - তাহলে কাদের কথাই বিশ্বাস করা উচিত । এই বিষয়ে বাইবেলের একটি শ্লোক বলতে চাই , যেটি রয়েছে 16 অধ্যায়ের 20 অনুচ্ছেদে - ** ‘আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে৷ তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, যেন লোকদের ঠকাতে পারে৷ যদি সন্ভব হয় এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে৷ **
এছাড়াও শিষ্যচরিতের 2 অধ্যায়ের 43 নং শ্লোকে - ** প্রেরিতেরা অনেক অলৌকিক ও আশ্চর্য কাজ করতে লাগলেন; প্রত্যেকের অন্তরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গভীর ভক্তি ছিল৷ **
# নিরপেক্ষ বিচার
এতক্ষন পর্যন্ত আমরা যা জানলাম , বিজ্ঞান বলছে - মানুষ তার মানষিক শক্তি আর তার বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কখন কখন নিজে থেকেই সুস্থতা লাভ করতে পারে । আর সেই বিশ্বাসটি আরো বেশি মজবুত হতে পারে যখন ধর্ম বিশ্বাস তার সাথে যুক্ত হয় । সেই দিক থেকে এটি যে প্লাসিবো এফেক্টের চরম রুপ সেটা বলা যেতে পারে । সুতরাং এটা যে সর্বদা ভন্ডামি সেটা বলাটা বোকামি হবে । তাছাড়াও এই বিষয়ে আরেকটি কথা চরম ভাবে স্বিকার করতে হয় যে , সবার দ্বারা মানুষের মধ্যে সেই বিশ্বাসটা জাগিয়ে তোলা সম্ভবপর না , আর সেই জায়গাতেই হয়তো সেই প্রচারকের উপর ঈশ্বরের অনুগ্রহ কাজ করতে পারে । আবার মার্কিন প্রদেশের একজন ধর্ম প্রচারক নিজেই তার কু কির্তির কথা তুলে ধরে এই কথা বলেছিলেন যে তিনি শৈশবে এই ভাবে অনেক মানুষকেই সুস্থ করেছিলেন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য ।
তাহলে এখন প্রশ্ন উঠে আসছে - তাহলে কাদের কথাই বিশ্বাস করা উচিত । এই বিষয়ে বাইবেলের একটি শ্লোক বলতে চাই , যেটি রয়েছে 16 অধ্যায়ের 20 অনুচ্ছেদে - ** ‘আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে৷ তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, যেন লোকদের ঠকাতে পারে৷ যদি সন্ভব হয় এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে৷ **
ঈশ্বরের নামে সুস্থতা প্রদান |
সুতরাং বলা চলে যারা মানুষদের ঈশ্বরের অনুগ্রহে সুস্থ করে তুলছে ,তাদের সকলকে বিশ্বাস না করাই ভালো । যদি কেও বলে আমার কাছে আসো আমি তোমাদের সুস্থতা দেব , তাহলে সেটা ভন্ডামি বলা যেতে পারে , কিন্তু কেও যদি বলে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস করো তোমার বিশ্বাসী তোমাকে সুস্থ করবে , তাহলে তিনি বাইবেল আর বিজ্ঞান মতে কোন ভুল কাজ করছেন না । এছাড়াও এই বিষয়ে আরো অনেক বিষয় রয়েছে সেগুলোর আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল ,যেটি না হয় অন্যদিন বলা যাবে । আর এই প্রসঙ্গে আমার সর্বশেষ কথা বাইবেল থেকে বলতে চাই ,যেটি রয়েছে সামসঙ্গীত 30 অধ্যায়ের 2 অনুচ্ছেদে **প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম| এবং আমার প্রার্থনা শুনে আপনি আমায় আরোগ্য করে তুলেছেন| **
**সুমন্ত মাহালী হেমরম **
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন