ভারতের আদিবাসীরা আর্যদের ভারতে আসার পর থেকেই শোষন, শাষন, অস্পৃশ্যতা ,অত্যাচারের শিকার হয়ে আসছে , যা বর্তমান প্রজন্ম প্রযন্ত চলে আসছে । অনেকেই মনে করে আদিবাসীরা মূলত জঙ্গলবাসি , কিন্তু বাস্তবটা হল আদিবাসীরা জঙ্গলবাসী নয় , জঙ্গলবাসী বানানো হয়েছে । পক্ষান্তরে আদিবাসীরা ভারতের মূল নিবাসি , ভারতমাতার প্রথম সন্তান ।
WhatsApp
FINDING HISTORY BY ME
দীর্ঘ কাল আদিবাসীরা জঙ্গলবাসে জঙ্গলকেই জীবনের সব চাহিদার আধার বানিয়ে ফেলেছে । যদি আরো সঠিক ভাবে বলি জঙ্গল আদিবাসীদের মা স্বরুপ , আর আদিবাসীরা জঙ্গলের সন্তান স্বরুপ । তাই যতবারি এই জঙ্গলের উপরে সরকার তার কালে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ততবারি আদিবাসীরা মাতৃস্বরুপ জঙ্গলকে বাঁচানোর জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছে ।
# ভারতীয় অরন্য আইন
সিপাহি বিদ্রোহের আগে ও পরে আদিবাসিরা জঙ্গলে তার অধিকার রক্ষার্তে অনেকবার বিদ্রোহ করেছে । ১৮৫৭ মহা বিদ্রোহের পর ভারতের শাষনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকার গ্রহন করে । কিন্তু ধিরে ধিরে ব্রিটিশ সরকার আদিবাসী অধ্যূষিত অরন্যের উপর তার অধিকার কায়েম করতে শুরু করে , এবং এক এক করে ১৮৬৫ সালে "ভারতীয় অরন্যে আইন " পাশ করে , এবং এই অরন্যে আইনকে আরো শক্ত করার লক্ষ্যে ১৮৭৮ সালে আরো একটি অরন্যে আইন পাশ করা হয় । যার জন্য আদিবাসিরা পুনরাই জঙ্গলের প্রতি তার প্রকৃত অধিকার সেটা হারাতে শুরু করে । যার জন্য আদিবাসীরা জঙ্গলের উপর তার অধিকার রক্ষার্তে বার বার বিদ্রোহ শুরু করে ADIBASI BIDROHO। আর যে সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায় বিদ্রোহ করেছিল সেগুলো হলো - হো ,কোল , মুন্ডা, চাকমা , গারো , সাঁওতাল যার কোন শেষ নেই ।
# হো বিদ্রোহ
সিংভূমে হো নামক আদিবাসীদের উপর জমি সংক্রান্ত অত্যাচার চললে তারা ব্রিটিশ কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেই । কিন্তু এই হো উপজাতিরা সংখ্যায় কম হওয়ার ফলে তাদের এই বিদ্রোহ খুব সহজেই দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল , কিন্তু পরবর্তীকালে হো বিদ্রোহীরা একক বিপ্লবে না নেমে বরং কোল বিদ্রোহের সাথে নিজেদের যোগ করে ।
# কোল বিদ্রোহ
কোলরা হল ছোটনাগপুর ,রাঁচি, ও সিংভূম অঞ্চলের আদিবাসী উপজাতি । ১৮৩০ সাল নাগাদ ইংরাজরা ছোটনাগপুর ও সিংভূম দখল করতে শুরু করলে কোলরা বিদ্রোহ শুরু করে । এই সমস্ত স্থানে চড়া হারে খাজনা কোলদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ,যেগুলো পরিশোধ করা কোলদের পক্ষে খুব কঠিন হয়ে পরে । এছাড়াও তাদের উপর চলতো সামাজিক শাষন ও শোষন যার কোন শেষ ছিল না । তাই কোল উপজাতিরা বুদ্ধ ভগৎ , জোয়া ভগৎ, সুই মুন্ডা , ঝিনদাই মানকি এদের নেতৃত্বে কোল বিদ্রোহ শুরু করে ।
এই কোল বিদ্রোহ আরো ভয়ংকর আকার ধারন করে যখন এই কোলদের সাথে হো ,মুন্ডা , উড়াঁও এরাও মিলিত হয় ।
কোলদের বিদ্রোহ দমন করতে সরকার ক্যাপটেন উইলকিনসন কে নিযুক্ত করেন , যার দমন পিড়ন ,চড়ম হত্যালিলার ফলে এই বিদ্রোহ থেমে যাই ।
# গারো বিদ্রোহ
গারো উপজাতিরা অবিচ্ছিন্ন ভারতের ময়মনসিংহ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাই বসবাস করতো । ব্রিটিশ সরকারের আদিবাসী বিরোধি কার্য কলাপে গারোরা একত্রিত হতে শুরু করলে ১৮০২ সাল নাগাদ গারো নেতা ছাপাতি স্বাধীন গারো রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়ে যায়। পরবর্তি কালে টিপু গারোর নেতৃত্বে ১৮২৫ সালের দিকে শেরপুরে নতুন গারো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ সরকারের শাষন অগ্রাহ্য করে এবং বিদ্রোহের ডাক দেই । যেগুলো পরে কোম্পানির দমন পিড়নের ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় । গারো বিদ্রোহ ১৮০২ সাল থেকে ১৮৮২ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ছয়বার বিদ্রোহ করেছিল ।
# মুন্ডা বিদ্রোহ MUNDA BIDROHO
অরন্যের আইন সংকলনের পর ও মহাবিদ্রোহের পর মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল প্রথম আদিবাসীদের দ্বারা সবথেকে ভয়ংকর আদিবাসী বিদ্রোহ । যেটিকে ইতিহাসের পাতায় **"মুন্ডা উলগুলান"** বলে পরিচীত যার অর্থ হল ভয়ংকর ।
মুন্ডা বীর "বিরসা মুন্ডা" এর নেতৃত্বে মুন্ডা উপজাতিগন দুটি পর্যায়ে বিদ্রোহ করেছিল । মুন্ডারা প্রধানত শান্তিপ্রিয় উপজাতি , যারা "খুন্তাকাঠি" প্রথায় চাষবাস করতো এবং যারা নিজেদের জীবনযাত্রাই বাইরের হস্তক্ষেপ ( দিকু ) পছন্দ করতো না । কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি তাদের জামির উপর চড়া হারে কর ধার্য করে এবং খুন্তাকাঠি চাষবাস যোগ্য জমিতে হস্তক্ষেপ করলে মুন্ডারা বিদ্রোহ MUNDA BIDROHO করে ।
আদিবাসী বিদ্রোহ |
সিপাহি বিদ্রোহের আগে ও পরে আদিবাসিরা জঙ্গলে তার অধিকার রক্ষার্তে অনেকবার বিদ্রোহ করেছে । ১৮৫৭ মহা বিদ্রোহের পর ভারতের শাষনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকার গ্রহন করে । কিন্তু ধিরে ধিরে ব্রিটিশ সরকার আদিবাসী অধ্যূষিত অরন্যের উপর তার অধিকার কায়েম করতে শুরু করে , এবং এক এক করে ১৮৬৫ সালে "ভারতীয় অরন্যে আইন " পাশ করে , এবং এই অরন্যে আইনকে আরো শক্ত করার লক্ষ্যে ১৮৭৮ সালে আরো একটি অরন্যে আইন পাশ করা হয় । যার জন্য আদিবাসিরা পুনরাই জঙ্গলের প্রতি তার প্রকৃত অধিকার সেটা হারাতে শুরু করে । যার জন্য আদিবাসীরা জঙ্গলের উপর তার অধিকার রক্ষার্তে বার বার বিদ্রোহ শুরু করে ADIBASI BIDROHO। আর যে সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায় বিদ্রোহ করেছিল সেগুলো হলো - হো ,কোল , মুন্ডা, চাকমা , গারো , সাঁওতাল যার কোন শেষ নেই ।
# হো বিদ্রোহ
সিংভূমে হো নামক আদিবাসীদের উপর জমি সংক্রান্ত অত্যাচার চললে তারা ব্রিটিশ কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেই । কিন্তু এই হো উপজাতিরা সংখ্যায় কম হওয়ার ফলে তাদের এই বিদ্রোহ খুব সহজেই দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল , কিন্তু পরবর্তীকালে হো বিদ্রোহীরা একক বিপ্লবে না নেমে বরং কোল বিদ্রোহের সাথে নিজেদের যোগ করে ।
# কোল বিদ্রোহ
কোলরা হল ছোটনাগপুর ,রাঁচি, ও সিংভূম অঞ্চলের আদিবাসী উপজাতি । ১৮৩০ সাল নাগাদ ইংরাজরা ছোটনাগপুর ও সিংভূম দখল করতে শুরু করলে কোলরা বিদ্রোহ শুরু করে । এই সমস্ত স্থানে চড়া হারে খাজনা কোলদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ,যেগুলো পরিশোধ করা কোলদের পক্ষে খুব কঠিন হয়ে পরে । এছাড়াও তাদের উপর চলতো সামাজিক শাষন ও শোষন যার কোন শেষ ছিল না । তাই কোল উপজাতিরা বুদ্ধ ভগৎ , জোয়া ভগৎ, সুই মুন্ডা , ঝিনদাই মানকি এদের নেতৃত্বে কোল বিদ্রোহ শুরু করে ।
এই কোল বিদ্রোহ আরো ভয়ংকর আকার ধারন করে যখন এই কোলদের সাথে হো ,মুন্ডা , উড়াঁও এরাও মিলিত হয় ।
কোলদের বিদ্রোহ দমন করতে সরকার ক্যাপটেন উইলকিনসন কে নিযুক্ত করেন , যার দমন পিড়ন ,চড়ম হত্যালিলার ফলে এই বিদ্রোহ থেমে যাই ।
# গারো বিদ্রোহ
গারো উপজাতিরা অবিচ্ছিন্ন ভারতের ময়মনসিংহ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাই বসবাস করতো । ব্রিটিশ সরকারের আদিবাসী বিরোধি কার্য কলাপে গারোরা একত্রিত হতে শুরু করলে ১৮০২ সাল নাগাদ গারো নেতা ছাপাতি স্বাধীন গারো রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়ে যায়। পরবর্তি কালে টিপু গারোর নেতৃত্বে ১৮২৫ সালের দিকে শেরপুরে নতুন গারো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ সরকারের শাষন অগ্রাহ্য করে এবং বিদ্রোহের ডাক দেই । যেগুলো পরে কোম্পানির দমন পিড়নের ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় । গারো বিদ্রোহ ১৮০২ সাল থেকে ১৮৮২ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ছয়বার বিদ্রোহ করেছিল ।
# মুন্ডা বিদ্রোহ MUNDA BIDROHO
অরন্যের আইন সংকলনের পর ও মহাবিদ্রোহের পর মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল প্রথম আদিবাসীদের দ্বারা সবথেকে ভয়ংকর আদিবাসী বিদ্রোহ । যেটিকে ইতিহাসের পাতায় **"মুন্ডা উলগুলান"** বলে পরিচীত যার অর্থ হল ভয়ংকর ।
মুন্ডা বীর "বিরসা মুন্ডা" এর নেতৃত্বে মুন্ডা উপজাতিগন দুটি পর্যায়ে বিদ্রোহ করেছিল । মুন্ডারা প্রধানত শান্তিপ্রিয় উপজাতি , যারা "খুন্তাকাঠি" প্রথায় চাষবাস করতো এবং যারা নিজেদের জীবনযাত্রাই বাইরের হস্তক্ষেপ ( দিকু ) পছন্দ করতো না । কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি তাদের জামির উপর চড়া হারে কর ধার্য করে এবং খুন্তাকাঠি চাষবাস যোগ্য জমিতে হস্তক্ষেপ করলে মুন্ডারা বিদ্রোহ MUNDA BIDROHO করে ।
মুন্ডা বিদ্রোহ উলগুলান |
বিরসা মুন্ডা নিজেকে মুন্ডাদের রাজা হিসাবে ঘোসনা করে বিদ্রোহের ডাক দেই ,কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয় (১৮৯৫) । পরবর্তি কালে ১৮৯৭ সালে তাকে ছাড়া হলে বিরসা পুনরাই শক্তি সঞ্চয় করে আবার মুন্ডা বিদ্রোহ ঘোষনা করেন । যেই বিদ্রোহ টি চলে ১৮৯৯ থেকে ১৯০০ সাল প্রযন্ত । তার নেতৃত্বে ৬০০০ মুন্ডা উপজাতির লোকেরা অস্ত্র তুলে ধরেন । তার নেতৃত্বে রাঁচি , সিংভূমের গির্জাগুলোতে চলে হাঙ্গামা । পরবর্তি কালে পুলিশ তাদের শায়েস্তা করতে এলে মুন্ডা বিদ্রোহিরা একপ্রকার পুলিশদেরি শায়েস্তা করে ছেড়ে দেন । তাই বাধ্য হয়ে ব্রিটিশ কোম্পানি সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে এই মুন্ডা বিদ্রোহকে দমন করেন ।
# চাকমা বিদ্রোহ
চাকমা আদিবাসী উপজাতিরা অবিভক্ত বাংলাদেশের পাহাড়ীয়া এলাকার অধিবাসি । ১৭৬০ সালের নাগাদ কোম্পানির সাথে সিরাজ-উদ-দৌল্লার এক বিশেষ চুক্তির ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়িয়া এলাকাই খাজনা সংক্রান্ত সমস্ত অধিকার ইংরাজদের হাতে চলে যায় । ইংরাজ কোম্পানি এই চাকমা অধ্যূষিত পার্বত্য এলাকাই চড়া হারে খাজনা আদায় করতে শুরু করে । যার ফলে চাকমারা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । চাকমাদের রাজা শৈর সিং ও তার সেনাপতি রামু খাঁ গারো পাহাড়ে বিদ্রোহ শুরু করে কিন্তু কোম্পানি সেটি হিংস্রতার সাথে দমন করে ফেলে ।
# সাঁওতাল বিদ্রোহ SAUTAL BIDROHO
সাঁওতালরা আদিবাসিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি উপজাতি । যারা বিহাড়ের ভাগলপুর থেকে বীরভূম প্ৰযন্ত বিস্তৃত ছিল । ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে এরা দূরে সরে থাকতে "দামিন-এ-কোহ" নামের স্থান তৈরি করে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে । ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত শুরু হলে জমিদার ,মহাজন বা আদিবাসিদের ভাষায় দিকুরা তাদের জিবন-যাপনে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে এবং দামিন-এ-কোহ সমেত সমস্ত সাঁওতাল অধ্যূষিত এলাকাই রাজস্বের জন্য প্রচুর চাপ ও প্রয়োজনে অত্যাচার করতে শুরু করে ।যেই কাজে কোম্পানিও এইসব দিকুদের সাহায্য করতো , যে কারনে সাঁওতালরা চার ভাই সিধু ,কানু, চাঁদ ও ভৈরব এদের নেতৃত্বে ১৮৫৫ সালে বিদ্রোহ শুরু করতে বাধ্য হয় । এই সাঁওতাল বিদ্রোহ SAUTAL BIDROHO আরো ভয়ংকর আকার ধারন করে যখন অন্যান্য জাতির কৃষকেরাও এই বিদ্রোহে যোগ দেই । এই বিদ্রোহ আটকাতে প্রথম অবস্থায় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয় কিন্তু পুলিশ বিদ্রোহ আটকাতে গেলে কয়েকজন পুলিশের মৃত্য হয় । বাধ্য হয়ে কোম্পানি বিদ্রোহ দমনের জন্য মেজর বরোজের নেতৃত্বে সেনা পাঠাই ,কিন্তু সেটিও পরাজিত হয় ।
# চাকমা বিদ্রোহ
চাকমা আদিবাসী উপজাতিরা অবিভক্ত বাংলাদেশের পাহাড়ীয়া এলাকার অধিবাসি । ১৭৬০ সালের নাগাদ কোম্পানির সাথে সিরাজ-উদ-দৌল্লার এক বিশেষ চুক্তির ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়িয়া এলাকাই খাজনা সংক্রান্ত সমস্ত অধিকার ইংরাজদের হাতে চলে যায় । ইংরাজ কোম্পানি এই চাকমা অধ্যূষিত পার্বত্য এলাকাই চড়া হারে খাজনা আদায় করতে শুরু করে । যার ফলে চাকমারা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । চাকমাদের রাজা শৈর সিং ও তার সেনাপতি রামু খাঁ গারো পাহাড়ে বিদ্রোহ শুরু করে কিন্তু কোম্পানি সেটি হিংস্রতার সাথে দমন করে ফেলে ।
# সাঁওতাল বিদ্রোহ SAUTAL BIDROHO
সাঁওতালরা আদিবাসিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি উপজাতি । যারা বিহাড়ের ভাগলপুর থেকে বীরভূম প্ৰযন্ত বিস্তৃত ছিল । ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে এরা দূরে সরে থাকতে "দামিন-এ-কোহ" নামের স্থান তৈরি করে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে । ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত শুরু হলে জমিদার ,মহাজন বা আদিবাসিদের ভাষায় দিকুরা তাদের জিবন-যাপনে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে এবং দামিন-এ-কোহ সমেত সমস্ত সাঁওতাল অধ্যূষিত এলাকাই রাজস্বের জন্য প্রচুর চাপ ও প্রয়োজনে অত্যাচার করতে শুরু করে ।যেই কাজে কোম্পানিও এইসব দিকুদের সাহায্য করতো , যে কারনে সাঁওতালরা চার ভাই সিধু ,কানু, চাঁদ ও ভৈরব এদের নেতৃত্বে ১৮৫৫ সালে বিদ্রোহ শুরু করতে বাধ্য হয় । এই সাঁওতাল বিদ্রোহ SAUTAL BIDROHO আরো ভয়ংকর আকার ধারন করে যখন অন্যান্য জাতির কৃষকেরাও এই বিদ্রোহে যোগ দেই । এই বিদ্রোহ আটকাতে প্রথম অবস্থায় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয় কিন্তু পুলিশ বিদ্রোহ আটকাতে গেলে কয়েকজন পুলিশের মৃত্য হয় । বাধ্য হয়ে কোম্পানি বিদ্রোহ দমনের জন্য মেজর বরোজের নেতৃত্বে সেনা পাঠাই ,কিন্তু সেটিও পরাজিত হয় ।
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানু |
কোম্পানির সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে শুরু করলে , কোম্পানি নির্বিচারে সাঁওতাল হত্যায় মেতে উঠে । যার প্রসঙ্গে সাঁওতাল বিদ্রোহের জন্য প্রেরিত সেনাপতি জার্ভিস নিজেই বলেছেন - **" আমরা যুদ্ধ করিনি , করেছিলাম গনহত্যা ।"**। কোম্পানির চড়ম দমন নিতির ফলে ও সাঁওতালদের নেতা সিধু ও কানুর ধরা পরার পর ফাঁসি হলে এই বিদ্রোহ সমাপ্ত হয় ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
Very good information.Indian history is perverted history.Historians have willingly or unwillingly not composed the series of historical events related to India's struggle for freedom.Today we the entire tribal group are legging behind before all in all respect i.e. socially economically educationally and politically.We need unity,tribe should be our first identity then our sub caste whatsoever.
উত্তরমুছুন