History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০

হোলি খেলা ভারতের উৎসব ও তার উৎপত্তি । holy festival in india


কল্পনা মানুষকে আশ্বাস দেই , বিশ্বাস দেই তার সাথে দেই বেঁচে থাকার আদর্শ । কল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকেই সেই কল্পনাই ভর করে প্রতিনিয়ত করে চলেছে রঙ্গিন স্বপ্ন বোনার কারসাজি । তাইতো এই রং নিয়ে মাতামাতির উৎসবে ভারতের পাশাপাশি মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব । গোটা বিশ্বের কাছে এই উৎসবটি পরিচীত HOLY FESTIVAL নামে।
গোটা ভারতে HOLY FESTIVAL IN INDIA এই দিনটি পালিত হয়  দিনে কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ফাল্গুন মাসের পূৰ্নিমার তিথিতে পালন হলেও আমাদের পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয় দোল পূৰ্নিমাই ।
কিন্তু এই উৎসবের পালনের পিছনে রয়েছে অনেক কাহিনী । রাক্ষসি হোলিকার ধ্বংসের আনন্দে হোলি উৎসব পালিত হলেও , এই হোলির উৎস একটি নয় অনেকগুলো রয়েছে । 
ভারত, হোলি খেলা, ভারতের হোলি খেলা,
ভারতের হোলি খেলা
হোলিকা রাক্ষসির দমন
শিব পুরান আর বিষ্ণুপুরান মতে রাক্ষস রাজা হিরন্যকশিপু ব্রহ্মার কাছে বর পেয়েছিলেন তার দ্বারা কোন কিছুর দ্বারা তার মৃত্য ঘটবে না , তা সে নারি হোক বা পুরুষ , দিন হোক বা রাত্রি , কোন অস্ত্রশস্ত্র তার কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না । তাই রাক্ষস রাজ হিরন্যকশিপু গোটা রাজ্যে বিষ্ণুর বদলে তার পূজা করার আদেশ জারি করলেন । কিন্তু হিরন্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত , তাই তাকে হত্যা করার জন্য হিরন্যকশিপু বিভিন্ন ভাবে প্রয়াস করতে থাকেন , কিন্তু প্রত্যেকবারি বিষ্ণু তার ভক্তকে সেই মৃত্যর হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
রাক্ষসরাজ হিরন্যকশিপুর বোন হোলিকা একটি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারিনী ছিলেন যার জন্য আগুন তার কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারতো না । তাই রাক্ষসি হোলিকা প্রহ্লাদকে তার কোলে নিয়ে আগুনে বসলেন । কিন্তু ভক্ত প্রহ্লাদের ডাকে বিষ্ণু আবার প্রহ্লাদকে রক্ষা করলো এবং রাক্ষসি হোলিকা সেই আগুনে পুরে ভস্মিভূত হলেন । হোলিকার এই ভস্মিভূত হবার ঘটনাটিকে হিন্দু বিশ্বাসিদের মতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় হিসাবে মনে করে হোলি উৎসবটি পালন করে । হোলিকা দহন কে মান্যতা রেথে এখনো অনেক কৃষক এই বিশেষ দিনে ফসলের কিছু অংশ পুরিয়ে এই দিনের কৃতঙ্গতা স্বিকার ও  করেন ।
# শিব পার্বতির বিবাহ
শিবপুরানে উল্লেখিত বানরাজের কাহিনী ও বিরুপাক্ষ ধামের প্রতিষ্ঠাতা বানরাজ হিরন্যকশিপুর বংশধর হিসাবে উল্লেখ্য রয়েছে । কিন্তু তার আগে শিব পুরানে বর্নিত আছে যে কৈলাশে তপস্যারত শিবকে পাবার আশায় পার্বতি কঠোর তপস্যাই লিন হোন । আর এই তপস্যার ফলস্বরুপ ইন্দ্র আশা করেছিলেন শিব পার্বতিকে বিবাহ করবেন , কারন তিনি জানতেন একমাত্র শিব ও পার্বতির দ্বারা জন্ম হওয়া পুত্র তারকা রাক্ষসকে বধ করতে পারবে ।
হোলি, হোলি খেলা,বিদেশের হোলি খেলা,
বিদেশের হোলি খেলা
 সেই উদ্দেশ্যে ইন্দ্র কামদেবকে শিবের তপস্যা কালিন পাঠালে শিবের তপস্যা ভঙ্গ হয় এবং তিনি কামদেবকে ভস্মিভূত করেন । কিন্তু বাকি দেবতার অনুরোধে শিব পার্বতিকে বিবাহ করতে সম্মত হলেন । শিব পার্বতির সেই বিবাহ কে অনন্দ উৎসব হিসাবে হোলি খেলার HOLI FESTIVAL আয়োজন হয় ।
# পুতানা রাক্ষসির বধ
কংস তার বোন দেবকির সাথে বাসুদেবের বিবাহ দেন , দেবকির বিদায় পর্বে আকাশবাণী হয় দেবকির অষ্টম পুত্রের দ্বারা কংসের বধ অনিবার্য । তাই কংস তার বোন দেবকি ও বাসুদেবকে কারাগারে বন্দি করে এবং এক এক করে দেবকির জন্ম হওয়া সন্তানদের জন্মের পরেই হত্যা করতে থাকে । দেবকির অষ্টম পুত্র কৃষ্ণ রুপে জন্ম নিলে বাসুদেব সেই পুত্রকে মাতা যশোদার কাছে নিয়ে যান এবং যশোদার সদ্যজাত কন্যাকে কারাগারে ফিরিয়ে আনেন ।
কংশ পরে সেই কন্যাকে হত্যা করতে এলে আবার দৈব বানি আসে যে তাকে যে বধ করবে সে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করে ফেলেছে । কংশ সেই নবজাত শিশুটিকে হত্যা করার জন্য পুতানা রাক্ষসিকে নিযুক্ত করেন । সেই পুতানা রাক্ষসি সুন্দর নারি বেশে গ্রামে গিয়ে বিষ দুগ্ধ পানের মাধ্যমে কৃষ্ণকে হত্যা করতে গেলে পুতানা রাক্ষসির বধ হয় । হিন্দু শাস্ত্র মতে সেই দিনটি ছিল ফাল্গুন পূৰ্নিমার দিন , সেই দিনটিকে মনে রেখে হিন্দুরা হোলি উৎসব HOLI FESTIVAL পালন করে ।
রাধা,কৃষ্ণ,রাধা কৃষ্ণ,
রাধা কৃষ্ণ
# রাধা ও কৃষ্মের লিলা
রাধা কৃষ্ণের লিলাকেও হোলি খেলার আনন্দের সাথে যোগ করে দেখা হয় । যার জন্যে উত্তর প্রদেশের কিছু কিছু এলাকাই কৃষ্ণ রাধার লিলা খেলাকে স্বরনে রেখে লাঠ মার হোলির আয়োজন করা হয় । সত্যি যাই হোক রং খেলা ভারতের ঐতিহ্যের মধ্যে একটি , যেই দিন হিন্দু , মুসলিম , শিখ নির্বিশেষে এই উৎসব পালন করে , ভাতৃ বোধের প্রকৃত অর্থ গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেই আমাদের মহান দেশ ।
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন