# মাহালী MAHALI Tribe
মাহালী ভারত তথা দক্ষিন-এশিয় এলাকাই বসবাসকারি একটি ক্ষুদ্র আদিবাসি সম্প্রদায় । যাদের মাতৃভাষা মাহালী যেটি শুনতে অপভ্রংশ সাঁওতালী ভাষার মত মনে হয় । এই জাতী ভারতীয় অন্য জাতীদের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রমী আর শান্ত স্বভাবের । একসময় ভারতের বুকে এই জাতী তাদের শিল্পকলার দ্বারা বিশেষ জায়গা করে নিয়ে ছিল , যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ "মনসামঙ্গল" গ্রন্থে পাওয়া যায় , বাঁশের শিল্প সামগ্রী নিয়ে চাঁদ সদাগরের সমুদ্র ভ্রমন । কিন্তু এই মাহালী জনজাতি বর্তমান আবস্থাই তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে ।
মাহালী ভারত তথা দক্ষিন-এশিয় এলাকাই বসবাসকারি একটি ক্ষুদ্র আদিবাসি সম্প্রদায় । যাদের মাতৃভাষা মাহালী যেটি শুনতে অপভ্রংশ সাঁওতালী ভাষার মত মনে হয় । এই জাতী ভারতীয় অন্য জাতীদের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রমী আর শান্ত স্বভাবের । একসময় ভারতের বুকে এই জাতী তাদের শিল্পকলার দ্বারা বিশেষ জায়গা করে নিয়ে ছিল , যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ "মনসামঙ্গল" গ্রন্থে পাওয়া যায় , বাঁশের শিল্প সামগ্রী নিয়ে চাঁদ সদাগরের সমুদ্র ভ্রমন । কিন্তু এই মাহালী জনজাতি বর্তমান আবস্থাই তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে ।
মাহালি mahali tribe |
# বাসস্থান
মাহালীরা দক্ষিন-এশিয় আদিবাসী সম্প্রদায় গুলির মধ্যে একটি । এই জনজাতীর মূল বাসস্থান বা উৎপত্তি স্থল হিসাবে ভারতের ঝাড়খন্ড জেলার "ডুমকা" জেলাকে মনে করা হয় । যার জন্য মাহালীরা ডুমকা প্রদেশটিকে "মারে দিশম " বা প্রাচীন ভূমি বলে অভিহীত করে ।
তবে বর্তমানে মাহালী জনজাতির মানুষেরা মূলত বাংলাদেশ, নেপাল ,ভূটান ও ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র সংখ্যক আদিবাসী সম্প্রদায় , তবে এদের মূল ভূ-খন্ড হিসাবে ভারতীয় বাসিন্দা , এবং এই মাহালীদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খন্ড ,বিহার, উড়িষ্যা,এছাড়াও অন্য রাজ্যগুলিতেও কিঞ্চীত সংখ্যায় দেখা যায় রাজ্যে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্ৰে তানোর, ঠাকুরগাঁউ,সিলেট, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগা, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধাতে দেখতে পাওয়া যায়।
# জাতী পরিচীতি MAHALI tribe
মাহালি জনগোষ্ঠির লোকেরা মূলত অস্ট্রোরয়েড গোষ্ঠীর মধ্যে পরে, জাতিসত্তাগতভাবে এরা সাঁওতাল জানজাতির কাছাকাছি হলেও এরা সাঁওতাল থেকে সম্পুর্নরুপে আলাদা , কারন মাহালী জনজাতীর নিজেস্ব স্বকীয় ** ১ পেশা , ২ পরিচয় আর ৩ সংস্কৃতি** রয়েছে । কিন্তু তা আজ লুপ্ত হবার মুখে ।
**১ পেশা **
মাহালীদের অন্যজাতী গুলো থেকে আলাদা করার একটাই পন্থা রয়েছে , সেটি হল ঐতিহ্যগত ভাবে চলে আসা মাহালীদের পেশা ,যেটি সম্পর্কিত বাঁশের শিল্প কর্মের সাথে । এই জনজাতীর প্রধান ও জাতিগত পেশাই হল বাঁশের শিল্প সামগ্রী তৈরি করা ।
** ২ পরিচয় **
যে কোন জাতীর পরিচয় বহন করে মূলত তার পদবি , মাহালীদের মূলত যে সমস্থ পদবি হয়ে থাকে সেগুলি হল কারকুশা, তুমরাঁং, ডুমরি, কাউরিয়া, কেশরিয়া,বারে, খাংগের,মানড্রি ইত্যাদি ইত্যাদি । যেগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে সাঁওতালী পদবিতে পরিণত হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ মাহালিদের "মান্ড্রি " হয়েছে মারান্ডি বা মার্ডিতে, তেমনি "কারকুশা" হয়েছে "কিস্কু", "খাংগের" হয়েছে "বাস্কে", "কাউরিয়া " হয়েছে "সরেন", "ডুমরি" পরিবর্তিত হয়েছে মুর্মুতে,"বারে "পদবি পরিবর্তিত হয়েছে" টুডু" পদবিতে ।
**সংস্কৃতি**
মাহালীরা খুবই শান্তিপ্রীয় আর আমোদপ্রীয় জাতি । যাদের স্বকীয় শিল্পকলার পাশাপাশি স্বকীয় সংস্কৃতিও আছে , যার একটি প্রকৃষ্ট প্রমান হল মাহালীদের স্বকীয় সাংস্কৃতিক নাচ ও গান যা গোটা ভারতকে মাদলের তালে ভুলিয়ে রাখতে পারে " ঝুমের নাচ " ,আর এই নাচ যে গানের তালে বর্তমানে গোটা বাংলাকে মাতিয়ে রেখেছে সেটি পরিচীত "ঝুমুর গান" হিসাবে । তবে মজার বিষয়টি হল গোটা বাংলা ঝুমুর তালে গা দোলালেও ,মাহালিদের কাছেই এই চর্চাটি আজ লুপ্ত ।
মাহালীরা দক্ষিন-এশিয় আদিবাসী সম্প্রদায় গুলির মধ্যে একটি । এই জনজাতীর মূল বাসস্থান বা উৎপত্তি স্থল হিসাবে ভারতের ঝাড়খন্ড জেলার "ডুমকা" জেলাকে মনে করা হয় । যার জন্য মাহালীরা ডুমকা প্রদেশটিকে "মারে দিশম " বা প্রাচীন ভূমি বলে অভিহীত করে ।
তবে বর্তমানে মাহালী জনজাতির মানুষেরা মূলত বাংলাদেশ, নেপাল ,ভূটান ও ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র সংখ্যক আদিবাসী সম্প্রদায় , তবে এদের মূল ভূ-খন্ড হিসাবে ভারতীয় বাসিন্দা , এবং এই মাহালীদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খন্ড ,বিহার, উড়িষ্যা,এছাড়াও অন্য রাজ্যগুলিতেও কিঞ্চীত সংখ্যায় দেখা যায় রাজ্যে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্ৰে তানোর, ঠাকুরগাঁউ,সিলেট, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগা, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধাতে দেখতে পাওয়া যায়।
সকালে বাঁশের ডালা মাথাই মাহালি |
# জাতী পরিচীতি MAHALI tribe
মাহালি জনগোষ্ঠির লোকেরা মূলত অস্ট্রোরয়েড গোষ্ঠীর মধ্যে পরে, জাতিসত্তাগতভাবে এরা সাঁওতাল জানজাতির কাছাকাছি হলেও এরা সাঁওতাল থেকে সম্পুর্নরুপে আলাদা , কারন মাহালী জনজাতীর নিজেস্ব স্বকীয় ** ১ পেশা , ২ পরিচয় আর ৩ সংস্কৃতি** রয়েছে । কিন্তু তা আজ লুপ্ত হবার মুখে ।
**১ পেশা **
মাহালীদের অন্যজাতী গুলো থেকে আলাদা করার একটাই পন্থা রয়েছে , সেটি হল ঐতিহ্যগত ভাবে চলে আসা মাহালীদের পেশা ,যেটি সম্পর্কিত বাঁশের শিল্প কর্মের সাথে । এই জনজাতীর প্রধান ও জাতিগত পেশাই হল বাঁশের শিল্প সামগ্রী তৈরি করা ।
** ২ পরিচয় **
যে কোন জাতীর পরিচয় বহন করে মূলত তার পদবি , মাহালীদের মূলত যে সমস্থ পদবি হয়ে থাকে সেগুলি হল কারকুশা, তুমরাঁং, ডুমরি, কাউরিয়া, কেশরিয়া,বারে, খাংগের,মানড্রি ইত্যাদি ইত্যাদি । যেগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে সাঁওতালী পদবিতে পরিণত হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ মাহালিদের "মান্ড্রি " হয়েছে মারান্ডি বা মার্ডিতে, তেমনি "কারকুশা" হয়েছে "কিস্কু", "খাংগের" হয়েছে "বাস্কে", "কাউরিয়া " হয়েছে "সরেন", "ডুমরি" পরিবর্তিত হয়েছে মুর্মুতে,"বারে "পদবি পরিবর্তিত হয়েছে" টুডু" পদবিতে ।
ঝুমের নাচ ও গান |
মাহালীরা খুবই শান্তিপ্রীয় আর আমোদপ্রীয় জাতি । যাদের স্বকীয় শিল্পকলার পাশাপাশি স্বকীয় সংস্কৃতিও আছে , যার একটি প্রকৃষ্ট প্রমান হল মাহালীদের স্বকীয় সাংস্কৃতিক নাচ ও গান যা গোটা ভারতকে মাদলের তালে ভুলিয়ে রাখতে পারে " ঝুমের নাচ " ,আর এই নাচ যে গানের তালে বর্তমানে গোটা বাংলাকে মাতিয়ে রেখেছে সেটি পরিচীত "ঝুমুর গান" হিসাবে । তবে মজার বিষয়টি হল গোটা বাংলা ঝুমুর তালে গা দোলালেও ,মাহালিদের কাছেই এই চর্চাটি আজ লুপ্ত ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
সুন্দর লেখা । মাহালি জাতির উতসব গুলো ািবস্তারিত জানতে চাই ।
উত্তরমুছুনমাহালি জাতির গোত্রের ইতিহাস শুরু কিভাবে একটু বিস্তারিত দিবেন কোন গ্রন্থে আছে সেটা।
উত্তরমুছুন