History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার ও তার অলৌকিক মৃতদেহ । যেটি সারে চারশো বছর পরেও পচন হয়নি । SAINT FRACIS XEVIER


অলৌকিক হলেও বাস্তব , প্রায় সারে চারশো বছর ধরে এখনো বহাল অবস্থাতেই রয়েছে এক মহান খ্রীষ্টীয় যাজকের মৃতদেহ । যে যাজকের মৃত্য হয়েছিল 1552 সালে , কিন্তু তার মৃতদেহে এখনো কোন প্রকার পচন ধরেনি । সেই অলৌকিক মৃতদেহটি হল সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের যার মৃতদেহ এখনো রাখা রয়েছে ভারতের গোয়া রাজ্যের সব থেকে পুরোনো একটি গীর্জা ঘরে ,যেই গীর্জা ঘরটির নাম বোম যীসাস চার্চ , যে চার্চটি রয়েছে গোয়ার পানাজিতে ।
প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের এই মৃতদেহ জনসাধারনের দর্শনের জন্য বের করে আনা হয় , তাই শেষ বারের মত সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ বের করা হয়েছিল 2014 সালে , খুব শীঘ্রই 2024 সালে আবার বের করে আনা হবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহটি । কিন্তু অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন দেহটির বিষয়ে বাড়তি তথ্য বলার আগে যেনে নিই - কে ছিলেন এই সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার ?

# সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার SAINT FRACIS XEVIER
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার ( SAINT FRACIS XEVIER ) 1506 সালের 7 ই এপ্রিল ফ্রান্সের ফ্রান্সিস নামের একটি দূর্গে জন্মগ্রহন করেন । ছোট থেকেই তার মধ্যে খ্রীষ্টের প্রতি তার ভালোবাসা দেখতে পাওয়া যায় । 1525 সালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার মাত্র 19 বছর বয়সে পেরিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন , এবং সেখানকার রোগিদের সেবাযত্ন করতে শুরু করে , সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় ইগনেসিয়াস লয়োলার সাথে পরিচয় হয় যিনি সৈনিক হিসাবে যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন ।
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের তত্ত্বাবধানে ইগনেসিয়াস লয়োলা দ্রত সুস্থ হয়ে উঠেন , এবং সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের সংস্পর্শে এসে ইগনেসিয়াস লয়োলা খ্রীষ্টের পথে নিজের জীবন অতিবাহিত করতে শুরু করেন , এবং তিনিও পরবর্তিকালে সাধু হিসাবে পরিচয় লাভ করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করার পর ( SAINT FRACIS XEVIER ) সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার 1537 সালে যাজক হিসাবে অভিষিক্ত হন । 
SAINT FRACIS XEVIER , সাধু ফ্রান্সিস , সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার , সাধু জেবিয়ার , SAINT  XEVIER , ST. XEVIER ,
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার
কিন্তু সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের জীবনে সবথেকে বড় কর্মস্থল ছিল ভারতের গোয়াই এসে খ্রীষ্টধর্ম প্রচার আর রোগি মানুষদের সেবা করা । তিনি 6 ই মে 1542 সালে ভারতের গোয়াই আসেন এবং সেখানকার স্থানিয়দের মধ্যে খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার আর মানুষদের সেবাই নিজের জীবন অতিবাহিত করতে শুরু করেন । পরবর্তীকালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিনে গেলে 1552 সালের 3 ডিসেম্বর জ্বরের কারনে চিনের মাকাও প্রদেশের সেঙ্গচুনে মারা যান । কথিত আছে যে তার মৃত্য হবার আগেই তিনি ভারতে কবরস্থ হবার ইচ্ছা জাহির করেছিলেন ।
# সাধু হিসাবে উপাধি
ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ( SAINT FRACIS XEVIER )  সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের কবর স্থানান্তরিত করার উদ্দেশ্যে তার মৃতদেহ কবর থেকে বের করে আনা হলে সকলেই দেখে অবাক হয়েছিলেন যে তার মৃতদেহ তখনো অক্ষত আর সুরক্ষিত অবস্থাই রয়েছে । এবং এই ভাবে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ মোট তিনবার কবরস্থ করে পুনরাই তুলে আনা হয় কিন্তু অলৌকিক ভাবে প্রত্যেকবারি তার মৃতদেহ একইরকম অক্ষত হিসাবেই দেখা যায় ।
এরপর পোপ পঞ্চম পোল 1619 সালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে ধন্য ব্যাক্তিত্ব বলে ঘোষনা করেন , এবং তারপরে পোপ গ্রেগরী 1626 সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে  " সাধু " বা SAINT হিসাবে অভিষিক্ত করেন ।
# অন্নান্য বিষয়
একজন সাধারণ যাজক থেকে সাধু হবার পেছনে যে বিষয়টি বিশেষকরে স্বীকার্য সেটি হল , তার মৃত্যর পর ঘটে যাওয়া অলৌকিক ভাবে তার মৃতদেহের সংরক্ষন । কথিত আছে যে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহতে এখনো আগের মতই চুল , দাড়ী ,নখ এখনো বৃদ্ধি পাই । তার এই অলৌকিকতা স্বরণে রেখে প্রতি বছর তার মৃত্যর তারিখ হিসাবে 3 ডিসেম্বর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার পর্ব পালন করা হয় । এবং প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সেই পুণ্য তিথিতেই তার অক্ষত মৃতদেহ জনসাধারণের জন্য গীর্জা প্রাঙ্গনে আনা হয়ে থাকে ।
Cathidral,goa,jesus,bome jesus cathidral,SAINT FRACIS XEVIER , সাধু ফ্রান্সিস , সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার , সাধু জেবিয়ার , SAINT  XEVIER , ST. XEVIER ,
বোম যেসাস ক্যাথিড্রাল গোয়া
পুর্বে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ এই পূৰ্ণ তিথীতে সকলের ছোঁয়ার সুবিধাও ছিল , কিন্তু কোন এক সময় সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ ছোঁয়া কালিন একটি মেয়ে সেই মৃতদেহে সুই দিয়ে আঘাত করলে সেখান থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে । সেই ঘটনার পর থেকে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ কাচের বাক্সে রাখা হয়েছে ।
WhatsApp ,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন