অলৌকিক হলেও বাস্তব , প্রায় সারে চারশো বছর ধরে এখনো বহাল অবস্থাতেই রয়েছে এক মহান খ্রীষ্টীয় যাজকের মৃতদেহ । যে যাজকের মৃত্য হয়েছিল 1552 সালে , কিন্তু তার মৃতদেহে এখনো কোন প্রকার পচন ধরেনি । সেই অলৌকিক মৃতদেহটি হল সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের যার মৃতদেহ এখনো রাখা রয়েছে ভারতের গোয়া রাজ্যের সব থেকে পুরোনো একটি গীর্জা ঘরে ,যেই গীর্জা ঘরটির নাম বোম যীসাস চার্চ , যে চার্চটি রয়েছে গোয়ার পানাজিতে ।
প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের এই মৃতদেহ জনসাধারনের দর্শনের জন্য বের করে আনা হয় , তাই শেষ বারের মত সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ বের করা হয়েছিল 2014 সালে , খুব শীঘ্রই 2024 সালে আবার বের করে আনা হবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহটি । কিন্তু অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন দেহটির বিষয়ে বাড়তি তথ্য বলার আগে যেনে নিই - কে ছিলেন এই সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার ?
প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের এই মৃতদেহ জনসাধারনের দর্শনের জন্য বের করে আনা হয় , তাই শেষ বারের মত সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ বের করা হয়েছিল 2014 সালে , খুব শীঘ্রই 2024 সালে আবার বের করে আনা হবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহটি । কিন্তু অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন দেহটির বিষয়ে বাড়তি তথ্য বলার আগে যেনে নিই - কে ছিলেন এই সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার ?
# সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার SAINT FRACIS XEVIER
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার ( SAINT FRACIS XEVIER ) 1506 সালের 7 ই এপ্রিল ফ্রান্সের ফ্রান্সিস নামের একটি দূর্গে জন্মগ্রহন করেন । ছোট থেকেই তার মধ্যে খ্রীষ্টের প্রতি তার ভালোবাসা দেখতে পাওয়া যায় । 1525 সালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার মাত্র 19 বছর বয়সে পেরিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন , এবং সেখানকার রোগিদের সেবাযত্ন করতে শুরু করে , সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় ইগনেসিয়াস লয়োলার সাথে পরিচয় হয় যিনি সৈনিক হিসাবে যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন ।
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের তত্ত্বাবধানে ইগনেসিয়াস লয়োলা দ্রত সুস্থ হয়ে উঠেন , এবং সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের সংস্পর্শে এসে ইগনেসিয়াস লয়োলা খ্রীষ্টের পথে নিজের জীবন অতিবাহিত করতে শুরু করেন , এবং তিনিও পরবর্তিকালে সাধু হিসাবে পরিচয় লাভ করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করার পর ( SAINT FRACIS XEVIER ) সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার 1537 সালে যাজক হিসাবে অভিষিক্ত হন ।
সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার |
কিন্তু সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের জীবনে সবথেকে বড় কর্মস্থল ছিল ভারতের গোয়াই এসে খ্রীষ্টধর্ম প্রচার আর রোগি মানুষদের সেবা করা । তিনি 6 ই মে 1542 সালে ভারতের গোয়াই আসেন এবং সেখানকার স্থানিয়দের মধ্যে খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার আর মানুষদের সেবাই নিজের জীবন অতিবাহিত করতে শুরু করেন । পরবর্তীকালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিনে গেলে 1552 সালের 3 ডিসেম্বর জ্বরের কারনে চিনের মাকাও প্রদেশের সেঙ্গচুনে মারা যান । কথিত আছে যে তার মৃত্য হবার আগেই তিনি ভারতে কবরস্থ হবার ইচ্ছা জাহির করেছিলেন ।
# সাধু হিসাবে উপাধি
ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ( SAINT FRACIS XEVIER ) সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের কবর স্থানান্তরিত করার উদ্দেশ্যে তার মৃতদেহ কবর থেকে বের করে আনা হলে সকলেই দেখে অবাক হয়েছিলেন যে তার মৃতদেহ তখনো অক্ষত আর সুরক্ষিত অবস্থাই রয়েছে । এবং এই ভাবে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ মোট তিনবার কবরস্থ করে পুনরাই তুলে আনা হয় কিন্তু অলৌকিক ভাবে প্রত্যেকবারি তার মৃতদেহ একইরকম অক্ষত হিসাবেই দেখা যায় ।
এরপর পোপ পঞ্চম পোল 1619 সালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে ধন্য ব্যাক্তিত্ব বলে ঘোষনা করেন , এবং তারপরে পোপ গ্রেগরী 1626 সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে " সাধু " বা SAINT হিসাবে অভিষিক্ত করেন ।
# অন্নান্য বিষয়
একজন সাধারণ যাজক থেকে সাধু হবার পেছনে যে বিষয়টি বিশেষকরে স্বীকার্য সেটি হল , তার মৃত্যর পর ঘটে যাওয়া অলৌকিক ভাবে তার মৃতদেহের সংরক্ষন । কথিত আছে যে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহতে এখনো আগের মতই চুল , দাড়ী ,নখ এখনো বৃদ্ধি পাই । তার এই অলৌকিকতা স্বরণে রেখে প্রতি বছর তার মৃত্যর তারিখ হিসাবে 3 ডিসেম্বর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার পর্ব পালন করা হয় । এবং প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সেই পুণ্য তিথিতেই তার অক্ষত মৃতদেহ জনসাধারণের জন্য গীর্জা প্রাঙ্গনে আনা হয়ে থাকে ।
# সাধু হিসাবে উপাধি
ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ( SAINT FRACIS XEVIER ) সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের কবর স্থানান্তরিত করার উদ্দেশ্যে তার মৃতদেহ কবর থেকে বের করে আনা হলে সকলেই দেখে অবাক হয়েছিলেন যে তার মৃতদেহ তখনো অক্ষত আর সুরক্ষিত অবস্থাই রয়েছে । এবং এই ভাবে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ মোট তিনবার কবরস্থ করে পুনরাই তুলে আনা হয় কিন্তু অলৌকিক ভাবে প্রত্যেকবারি তার মৃতদেহ একইরকম অক্ষত হিসাবেই দেখা যায় ।
এরপর পোপ পঞ্চম পোল 1619 সালে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে ধন্য ব্যাক্তিত্ব বলে ঘোষনা করেন , এবং তারপরে পোপ গ্রেগরী 1626 সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফ্রান্সিস জেবিয়ারকে " সাধু " বা SAINT হিসাবে অভিষিক্ত করেন ।
# অন্নান্য বিষয়
একজন সাধারণ যাজক থেকে সাধু হবার পেছনে যে বিষয়টি বিশেষকরে স্বীকার্য সেটি হল , তার মৃত্যর পর ঘটে যাওয়া অলৌকিক ভাবে তার মৃতদেহের সংরক্ষন । কথিত আছে যে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহতে এখনো আগের মতই চুল , দাড়ী ,নখ এখনো বৃদ্ধি পাই । তার এই অলৌকিকতা স্বরণে রেখে প্রতি বছর তার মৃত্যর তারিখ হিসাবে 3 ডিসেম্বর সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ার পর্ব পালন করা হয় । এবং প্রত্যেক দশ বছর অন্তর অন্তর সেই পুণ্য তিথিতেই তার অক্ষত মৃতদেহ জনসাধারণের জন্য গীর্জা প্রাঙ্গনে আনা হয়ে থাকে ।
বোম যেসাস ক্যাথিড্রাল গোয়া |
পুর্বে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ এই পূৰ্ণ তিথীতে সকলের ছোঁয়ার সুবিধাও ছিল , কিন্তু কোন এক সময় সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ ছোঁয়া কালিন একটি মেয়ে সেই মৃতদেহে সুই দিয়ে আঘাত করলে সেখান থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে । সেই ঘটনার পর থেকে সাধু ফ্রান্সিস জেবিয়ারের মৃতদেহ কাচের বাক্সে রাখা হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন