রবীন্দ্রভারতী, মালদার পর এবার বারাসাত শিক্ষাঙ্গনে । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের গান এখন রোদ্দুর রায়ের বিকৃত সঙ্গীত । কিভাবে একজন বাঙ্গালী হয়েও বাঙালীর ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি পরম্পরা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে বাংলার গর্ব রবীন্দ্র সংগীতকে । ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে পরেছে রোদ্দুর রায়ের বিকৃত সঙ্গীত ।
বিশেষত স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের মুখে এই শব্দ, মেনে নেওয়া যায় না। একসাথে অনেকগুলো অন্যায় হয়েছে। গান , সংস্কৃতির, বিশ্বকবির , বাঙালির, সকল ছাত্রসমাজের , শিক্ষক শিক্ষিকাদের,বাবা মায়ের এমনকি একই সাথে বিশ্ব বাংলা অপমান করেছে , একই সাথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে নিজেদের। এত সাবলীলভাবে যে চুড়ান্ত অশ্লীলতার প্রকাশ করা যায়, তাও স্কুল কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা, কল্পনার অতীত। তাদের জন্য কোন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, আমি জানি না।
আসলে সংস্কৃতি অবক্ষয়ে যুক্তি মনস্কদের সাপোর্ট করতে দেখলে সমাজের সর্বস্তর যে অবক্ষয়ে চলেছে বোঝা যায় । সব দোষ সমাজের । কোন নায়িকার কত খোলামেলা ছবি পোস্ট করছেন তা নিয়ে মিডিয়ার trp ঠিক হচ্ছে সব জায়গায় বাঙালি ছেলেপুলেরদের কথার মাত্রা "লিঙ্গ সম্মোধন" আমরা তো খুব ব্যাকডেটেড তাই চুলের হিন্দি প্রতিশব্দ নিয়ে যে বাংলা ভাষায় এত খেলাধুলো করা যায় এসব আগে এতটা ভাবিনি । সমাজকে খাঁটি বাঙ্গালিয়ানা থেকে সরিয়ে বাড়ীর দোয়ারে সস্তা অথচ ভঙ্গুর বিদেশী সংষ্কৃতি দূরদর্শন ও মোবাইল মারফত টেনে আনছি । গানের মধ্যে যৌন্যতা আর খিস্তী না থাকলে সেটা আজ অচল। কি জানি হয়তো এখন এসব ভাষাতেই কথা বলতে হয় নইলে পিছিয়ে পড়তে হয় । বলতে বাধ্য হচ্ছি যদিও এটি বাস্তব "সতিত্ব হারানোর থেকে মোবাইল হারানো অত্যন্ত বেদনাদায়ক' সরল হওয়া আর ভদ্র হওয়া আজ দূৰ্বলতার প্রতিক , ব্যাক্তিস্বাধীনতা নামক ঘোমটার আড়ালে সতর্ক দৃষ্টিতে উঁকি মারছে চড়ম উত্তেজনাময় অসভ্যতা । বিশৃঙ্খলা ও অসভ্যতাই আজ আনন্দের পাথেই । সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো এরাও কখনো বাবা মা হবে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিয়ে 'মানুষ' করবে। নিজেরা মানুষ হতে পেরেছে কিনা সে প্রশ্ন আর করলাম না।
বলা বাহুল্য রবীন্দ্রভারতী, মালদার পর এবার বারাসাত শিক্ষাঙ্গনের ঘটনাই যারা বিদ্রুপ করছে তারা অনেকেই অহরহই শব্দগুলো ব্যবহার করে আমি নিশ্চিত যদিও রেকর্ড হয় না ও ভিডিও হয়না। মালদার ক্ষেত্রে বলি - এদের বয়স কম তাই ভুল করে ভিডিও করে আপলোড করেছে। অপরাধ বলতে এটাই। এই শব্দগুলো ওরা তৈরি করেনি, প্রথম ব্যবহার করছে না। এদের এই কাজ অনেকটাই অনভিজ্ঞতা বশত ও বড়দের দেখে শেখা। তাদের দ্বারা যা ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা ভুল কিন্তু অন্যায় নই । এদের দু'চারটা কথার জন্য বাঙালি জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল এমন কিছু আমার মনে হয় না।
তবে এটা সত্য, ভুল আর অন্যায়ের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য বিদ্যমান।
পরবর্তীতে মালদার ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়াই কয়েকজন সবার সামনে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাইছে । যদিও এই সাহসটা সকলের থাকেনা, কিন্তু সেই ক্ষমা চাওয়া যে অনুশোচনা থেকে এসেছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
বাঙ্গালিদের জন্মজাত বৈশিষ্ঠ , নিজের দোষ পরের উপরে চাপিয়ে পরের সমালোচনা করা । ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে পরিবারের আস্কারাকে দোষ দেবার আগে আমরা বাঙালিরা নিজের সংস্কৃতির কথা ভাবি। কোন পথে চলেছি আমরা। আমরাও এর জন্য দায়ী। কারণ আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা হয়তো সঠিক দিতে পারছি না । ভাবতেও অবাক লাগে গাঁজা খোর রোদ্দুর রায় অনেকের চোখে সমাজ ব্যাবস্থার বিদ্যামান বিদ্রোহি কবির সাথে তুলনা করে নিজেদের আইডল হিসাবে ছাত্র সমাজের অনেকেই গ্রহন করছে ।এই বিকৃত মানসিকতা ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে কেন তৈরি হচ্ছে তা আমাদের ই ভাবতে হবে । সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা , সুস্থ জীবন বোধ সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীরা কি আর কোন অনুপ্রেরণা পাচ্ছে না ? সমাজের পঙ্কিলতা ছাত্র মনে প্রভাব ফেলছে । আধুনিকতার নাম দিয়ে অসভ্যতামিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে । নোংরামি ও অসভ্যতা , বিশৃঙ্খল সমাজে চলমান ঘটনা , টিভি সিরিয়াল , রাজনৈতিক অবক্ষয় , রাজনৈতিক দলের কুকর্ম , কেউ ই এর দায় অস্বীকার করতে পারে না । শিক্ষাক্ষেত্রে মনিষীদের বানী ও জীবন সংগ্রামের মহান আদর্শ বেশি করে সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত হোক । সব ঝামেলা শেষ হবে, যদি অপ্রাপ্ত বয়সে শিশুদের হাত থেকে মোবাইল এবং সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যুনতম বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়, আর সাথে কোনো একটা পরিচয়পত্রকে বাধ্যতামূলক করা হয়।
WhatsApp
UNIQUE KNOWLEDGE
বিশেষত স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের মুখে এই শব্দ, মেনে নেওয়া যায় না। একসাথে অনেকগুলো অন্যায় হয়েছে। গান , সংস্কৃতির, বিশ্বকবির , বাঙালির, সকল ছাত্রসমাজের , শিক্ষক শিক্ষিকাদের,বাবা মায়ের এমনকি একই সাথে বিশ্ব বাংলা অপমান করেছে , একই সাথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে নিজেদের। এত সাবলীলভাবে যে চুড়ান্ত অশ্লীলতার প্রকাশ করা যায়, তাও স্কুল কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা, কল্পনার অতীত। তাদের জন্য কোন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, আমি জানি না।
বসন্ত উৎসব |
বলা বাহুল্য রবীন্দ্রভারতী, মালদার পর এবার বারাসাত শিক্ষাঙ্গনের ঘটনাই যারা বিদ্রুপ করছে তারা অনেকেই অহরহই শব্দগুলো ব্যবহার করে আমি নিশ্চিত যদিও রেকর্ড হয় না ও ভিডিও হয়না। মালদার ক্ষেত্রে বলি - এদের বয়স কম তাই ভুল করে ভিডিও করে আপলোড করেছে। অপরাধ বলতে এটাই। এই শব্দগুলো ওরা তৈরি করেনি, প্রথম ব্যবহার করছে না। এদের এই কাজ অনেকটাই অনভিজ্ঞতা বশত ও বড়দের দেখে শেখা। তাদের দ্বারা যা ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা ভুল কিন্তু অন্যায় নই । এদের দু'চারটা কথার জন্য বাঙালি জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল এমন কিছু আমার মনে হয় না।
পরবর্তীতে মালদার ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়াই কয়েকজন সবার সামনে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাইছে । যদিও এই সাহসটা সকলের থাকেনা, কিন্তু সেই ক্ষমা চাওয়া যে অনুশোচনা থেকে এসেছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
আজকের যুব সমাজ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন