History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০

আদিবাসী নারি ও তাদের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতী । CONDITION OF TRIBAL WOMEN


আদিবাসী সাঁওতাল সমাজ ব্যাবস্থায় নারী ও পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করে । কেননা নারী পুরুষের মধ্যে যে প্রাথমিক অধিকারের যে মহান আদর্শ দেখা যাই ,তা আদিবাসী সমাজে যুগ যুগান্তরে বর্তমান । নেহাত পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সভ্য সমাজের নারী বিরোধি পঙ্কিলতার নর্দমা থেকে বেরিয়ে আসার মক্ষম দাওয়াই আদিবাসীদের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন । পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর তথাকথিত আদিবাসী অসভ্য জগৎ থেকে যা পেয়েছিলেন তা তার গদ্যে "সভ্য ও অসভ্য" তে ভেসে উঠে । মহান পন্ডিত বিদ্যাসাগর অকোপটে স্বীকার করেছিলেন বিধাবা বিবাহের মহান আদর্শ তিনি আদিবাসীদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ।
আমার দৃড় বিশ্বাস নারী অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের যে আক্ষরিক অভিধান তা আদিবাসীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা উচিত, কেননা সভ্য সমাজে চলে আসা নারী নির্যাতন , যৌতুক , স্ব পছন্দের পাত্র নির্বাচনে বাধা আদিবাসী সমাজে দেখা যায় না , সর্বোপরি পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থাই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার আদিবাসী সমাজেই লক্ষ্যনিয় ।
আদিবাসি, আদিবাসি মহিলা,আদিবাসি নৃত্য,
আদিবাসী মহিলা নৃত্য
আদিবাসী নারীদের নির্যাতন বন্ধ হোক
শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যতিত সামগ্রিকভাবে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অর্জন অনেক কম । কিন্তু আদিবাসী নারীদের উন্নয়ন এবং তাদের প্রতি সামাজিক সহিংসতা , যৌনাচার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন ঘটেনি। বরং নানাভাবে, নানা রূপে তাদের প্রতি নির্যাতন বাড়ছেই । আদিবাসী নারী ধর্ষনের প্রবাহমান ধারায় পশ্চিমবঙ্গের রায়গন্জে জমায়েত আদিবাসী বিরোধ সেই প্রবাহমানকে বাগে আনতে পারি নি । দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষন কান্ডের হিংস্রতা দেখে যখন গোটা ভারত স্তব্ধ তখন ঠিক একই প্রকারের দলগত ধর্ষনের শিকার হয়েছিল কুশমন্ডির এক আদিবাসী মহিলা , দিল্লীর কান্ডের মতন তার যোনি পথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার দন্ড , যার দরুন পাকস্থলির একাংশ বেরিয়ে পরে যোনি পথ দিয়ে । যে ঘটনাই তাৎক্ষনিকের জন্য নড়ে-চড়ে বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । কিন্তু সেই প্রবাহমান গতিধারা অব্যাহত রয়েছে এখনো।
তিরীক্ত স্বাধীনতা
সামাজিকভাবে নেই নারীদের কাজের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই ।আদিবাসী সমাজে নারীদের অপ্রয়োজনীয় অতিরীক্ত স্বাধিনতা কখনো আদিবাসীদের সুনাম কখনো দুর্নাম কুড়িয়ে এনেছে । স্ব-জাতীয় পুরুষের বিপরীতে বিজাতীয় পুরুষের প্রতি আদিবাসী মহিলারা ঝুঁকছে ক্রমশঃ। এমন হেন পরিস্থিতীতে কিছু বিজাতীয় তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে চতুরতার সাথে , যার মধ্যে বিবাহ বন্ধন একটি । বলাবাহূল্য আদিবাসী পুরুষ সমাজে মদ ও নারী চর্চা কিঞ্চিত হলেও বেশি । তথাপি নারীরাও বে-পোরয়া অহংকারি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে । 
আদিবাসি,মহিলা,আদিবাসি মহিলা,আদিবাসি নৃত্য,
আদিবাসি মহিলা নৃত্য
আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে নারিরা চাইলে নিজেরাই তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারে আর যে বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন সমাজের মোড়ল বা জোকমাঝি যেটি পরিচীত রাজারাজি বিবাহ হিসাবে । তবে পুরুষ প্রাধান্য নেই বললে তা বোকামি । উদাহরণ স্বরুপ সাঁওতাল সমাজে একটি বিবাহের প্রচলন রয়েছে  যেখালে কোন যুবক চাইলেই পছন্দ করা যুবতীকে সুযোগ বুঝে যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে জোরপুর্বক তুলি নিয়ে গিয়ে পরবর্তী কালে সামাজিক বোঝাপরা ও অর্থদন্ডের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করা , যেটি আদিবাসী নারি স্বাধিনতার পরিপন্থী ।
মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন
মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে আদিবাসী নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে পিছিয়ে থাকার কারণে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। যদিও বর্তমানে কিছু স্বাধীনচেতা আদিবাসী নারী শিক্ষা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহনে রুচি দেখিয়েছে , যার দরুন রাজ্যেপালের আসনে দ্রোপদি মুর্মু , পাইলটের আসনে অনুপ্রিয়া লাকড়া , ও খেলজগৎ এ নমিতার মত আদিবাসী মহিলাদের দেখা সম্ভব হয়েছে । বলাবাহুল্য, ইতোমধ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদিবাসী নারীর সম-অধিকার ও সম-মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও বাস্তবে গুণগত মান নিয়ে সংশয় থেকেই যাই ।
সামাজিক অর্থে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা সমান অধিকারের ভাগিদারি । পারিবারিক প্রেক্ষাপটে নারী ক্ষমতায়ন অকপটে স্বীকার করতে হয় । নিজের জীবন সঙ্গি , পছন্দের কর্ম বেছে নেওয়ার সম্পূৰ্ণ অধিকার রয়েছে আদিবাসী নারীদের কাছে।
আদিবাসি,আদিবাসি নারি,আদিবাসি মহিলা,
আদিবাসী নারি
বিতর্কীত মত দিতে চাই না ,বাস্তবের জীবনের অভিঙ্গতা থেকে বলছি - আমি এমন অনেক আদিবাসী মহিলা দেখেছি যারা দু-তিন স্বামি পরিত্যাগের পরেও সংসার ধর্ম পালনে কোন প্রকার শিথীলতা দেখাই নি, আবার এমনো দেখেছি যে নারি অষ্টম ক্লাসে আটোওয়ালার সাথে পালিয়ে যাই , সেই নারিই কলকাতা উচ্চ শিক্ষাকালিন অশোক নামের যুবককে বর হিসাবে পরিচয় করাই এবং শিক্ষা শেষে ডাক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় । উচ্চ শিক্ষাই শিক্ষিত হওয়া আর সু শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নই । উপরোক্ত বিষয়ের তাৎপর্যে অনুধাবন করা যেতেই পারে সমাজের চলন্তিকা হিসাবে এক পক্ষ নই নারী-পুরুষ নির্বীশেষে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন রাখছি। আদিবাসী নারিদের বর্তমান অবস্থার উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়ে পুরুষ অধিকার খর্ব না হয় । এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব শুধু নারীদের নই , তার সাথে পুরুষেরো , এই সমাজ সবার ।

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন