আদিবাসী সাঁওতাল সমাজ ব্যাবস্থায় নারী ও পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করে । কেননা নারী পুরুষের মধ্যে যে প্রাথমিক অধিকারের যে মহান আদর্শ দেখা যাই ,তা আদিবাসী সমাজে যুগ যুগান্তরে বর্তমান । নেহাত পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সভ্য সমাজের নারী বিরোধি পঙ্কিলতার নর্দমা থেকে বেরিয়ে আসার মক্ষম দাওয়াই আদিবাসীদের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন । পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর তথাকথিত আদিবাসী অসভ্য জগৎ থেকে যা পেয়েছিলেন তা তার গদ্যে "সভ্য ও অসভ্য" তে ভেসে উঠে । মহান পন্ডিত বিদ্যাসাগর অকোপটে স্বীকার করেছিলেন বিধাবা বিবাহের মহান আদর্শ তিনি আদিবাসীদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ।
আমার দৃড় বিশ্বাস নারী অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের যে আক্ষরিক অভিধান তা আদিবাসীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা উচিত, কেননা সভ্য সমাজে চলে আসা নারী নির্যাতন , যৌতুক , স্ব পছন্দের পাত্র নির্বাচনে বাধা আদিবাসী সমাজে দেখা যায় না , সর্বোপরি পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থাই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার আদিবাসী সমাজেই লক্ষ্যনিয় ।
আমার দৃড় বিশ্বাস নারী অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের যে আক্ষরিক অভিধান তা আদিবাসীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা উচিত, কেননা সভ্য সমাজে চলে আসা নারী নির্যাতন , যৌতুক , স্ব পছন্দের পাত্র নির্বাচনে বাধা আদিবাসী সমাজে দেখা যায় না , সর্বোপরি পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থাই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার আদিবাসী সমাজেই লক্ষ্যনিয় ।
আদিবাসী মহিলা নৃত্য |
আদিবাসী নারীদের নির্যাতন বন্ধ হোক
শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যতিত সামগ্রিকভাবে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অর্জন অনেক কম । কিন্তু আদিবাসী নারীদের উন্নয়ন এবং তাদের প্রতি সামাজিক সহিংসতা , যৌনাচার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন ঘটেনি। বরং নানাভাবে, নানা রূপে তাদের প্রতি নির্যাতন বাড়ছেই । আদিবাসী নারী ধর্ষনের প্রবাহমান ধারায় পশ্চিমবঙ্গের রায়গন্জে জমায়েত আদিবাসী বিরোধ সেই প্রবাহমানকে বাগে আনতে পারি নি । দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষন কান্ডের হিংস্রতা দেখে যখন গোটা ভারত স্তব্ধ তখন ঠিক একই প্রকারের দলগত ধর্ষনের শিকার হয়েছিল কুশমন্ডির এক আদিবাসী মহিলা , দিল্লীর কান্ডের মতন তার যোনি পথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার দন্ড , যার দরুন পাকস্থলির একাংশ বেরিয়ে পরে যোনি পথ দিয়ে । যে ঘটনাই তাৎক্ষনিকের জন্য নড়ে-চড়ে বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । কিন্তু সেই প্রবাহমান গতিধারা অব্যাহত রয়েছে এখনো।
অতিরীক্ত স্বাধীনতা
সামাজিকভাবে নেই নারীদের কাজের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই ।আদিবাসী সমাজে নারীদের অপ্রয়োজনীয় অতিরীক্ত স্বাধিনতা কখনো আদিবাসীদের সুনাম কখনো দুর্নাম কুড়িয়ে এনেছে । স্ব-জাতীয় পুরুষের বিপরীতে বিজাতীয় পুরুষের প্রতি আদিবাসী মহিলারা ঝুঁকছে ক্রমশঃ। এমন হেন পরিস্থিতীতে কিছু বিজাতীয় তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে চতুরতার সাথে , যার মধ্যে বিবাহ বন্ধন একটি । বলাবাহূল্য আদিবাসী পুরুষ সমাজে মদ ও নারী চর্চা কিঞ্চিত হলেও বেশি । তথাপি নারীরাও বে-পোরয়া অহংকারি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে ।
শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যতিত সামগ্রিকভাবে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অর্জন অনেক কম । কিন্তু আদিবাসী নারীদের উন্নয়ন এবং তাদের প্রতি সামাজিক সহিংসতা , যৌনাচার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন ঘটেনি। বরং নানাভাবে, নানা রূপে তাদের প্রতি নির্যাতন বাড়ছেই । আদিবাসী নারী ধর্ষনের প্রবাহমান ধারায় পশ্চিমবঙ্গের রায়গন্জে জমায়েত আদিবাসী বিরোধ সেই প্রবাহমানকে বাগে আনতে পারি নি । দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষন কান্ডের হিংস্রতা দেখে যখন গোটা ভারত স্তব্ধ তখন ঠিক একই প্রকারের দলগত ধর্ষনের শিকার হয়েছিল কুশমন্ডির এক আদিবাসী মহিলা , দিল্লীর কান্ডের মতন তার যোনি পথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার দন্ড , যার দরুন পাকস্থলির একাংশ বেরিয়ে পরে যোনি পথ দিয়ে । যে ঘটনাই তাৎক্ষনিকের জন্য নড়ে-চড়ে বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । কিন্তু সেই প্রবাহমান গতিধারা অব্যাহত রয়েছে এখনো।
অতিরীক্ত স্বাধীনতা
সামাজিকভাবে নেই নারীদের কাজের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই ।আদিবাসী সমাজে নারীদের অপ্রয়োজনীয় অতিরীক্ত স্বাধিনতা কখনো আদিবাসীদের সুনাম কখনো দুর্নাম কুড়িয়ে এনেছে । স্ব-জাতীয় পুরুষের বিপরীতে বিজাতীয় পুরুষের প্রতি আদিবাসী মহিলারা ঝুঁকছে ক্রমশঃ। এমন হেন পরিস্থিতীতে কিছু বিজাতীয় তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে চতুরতার সাথে , যার মধ্যে বিবাহ বন্ধন একটি । বলাবাহূল্য আদিবাসী পুরুষ সমাজে মদ ও নারী চর্চা কিঞ্চিত হলেও বেশি । তথাপি নারীরাও বে-পোরয়া অহংকারি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে ।
আদিবাসি মহিলা নৃত্য |
আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে নারিরা চাইলে নিজেরাই তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারে আর যে বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন সমাজের মোড়ল বা জোকমাঝি যেটি পরিচীত রাজারাজি বিবাহ হিসাবে । তবে পুরুষ প্রাধান্য নেই বললে তা বোকামি । উদাহরণ স্বরুপ সাঁওতাল সমাজে একটি বিবাহের প্রচলন রয়েছে যেখালে কোন যুবক চাইলেই পছন্দ করা যুবতীকে সুযোগ বুঝে যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে জোরপুর্বক তুলি নিয়ে গিয়ে পরবর্তী কালে সামাজিক বোঝাপরা ও অর্থদন্ডের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করা , যেটি আদিবাসী নারি স্বাধিনতার পরিপন্থী ।
মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন
মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে আদিবাসী নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে পিছিয়ে থাকার কারণে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। যদিও বর্তমানে কিছু স্বাধীনচেতা আদিবাসী নারী শিক্ষা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহনে রুচি দেখিয়েছে , যার দরুন রাজ্যেপালের আসনে দ্রোপদি মুর্মু , পাইলটের আসনে অনুপ্রিয়া লাকড়া , ও খেলজগৎ এ নমিতার মত আদিবাসী মহিলাদের দেখা সম্ভব হয়েছে । বলাবাহুল্য, ইতোমধ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদিবাসী নারীর সম-অধিকার ও সম-মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও বাস্তবে গুণগত মান নিয়ে সংশয় থেকেই যাই ।
সামাজিক অর্থে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা সমান অধিকারের ভাগিদারি । পারিবারিক প্রেক্ষাপটে নারী ক্ষমতায়ন অকপটে স্বীকার করতে হয় । নিজের জীবন সঙ্গি , পছন্দের কর্ম বেছে নেওয়ার সম্পূৰ্ণ অধিকার রয়েছে আদিবাসী নারীদের কাছে।
মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে আদিবাসী নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে পিছিয়ে থাকার কারণে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। যদিও বর্তমানে কিছু স্বাধীনচেতা আদিবাসী নারী শিক্ষা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহনে রুচি দেখিয়েছে , যার দরুন রাজ্যেপালের আসনে দ্রোপদি মুর্মু , পাইলটের আসনে অনুপ্রিয়া লাকড়া , ও খেলজগৎ এ নমিতার মত আদিবাসী মহিলাদের দেখা সম্ভব হয়েছে । বলাবাহুল্য, ইতোমধ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদিবাসী নারীর সম-অধিকার ও সম-মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও বাস্তবে গুণগত মান নিয়ে সংশয় থেকেই যাই ।
সামাজিক অর্থে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা সমান অধিকারের ভাগিদারি । পারিবারিক প্রেক্ষাপটে নারী ক্ষমতায়ন অকপটে স্বীকার করতে হয় । নিজের জীবন সঙ্গি , পছন্দের কর্ম বেছে নেওয়ার সম্পূৰ্ণ অধিকার রয়েছে আদিবাসী নারীদের কাছে।
আদিবাসী নারি |
বিতর্কীত মত দিতে চাই না ,বাস্তবের জীবনের অভিঙ্গতা থেকে বলছি - আমি এমন অনেক আদিবাসী মহিলা দেখেছি যারা দু-তিন স্বামি পরিত্যাগের পরেও সংসার ধর্ম পালনে কোন প্রকার শিথীলতা দেখাই নি, আবার এমনো দেখেছি যে নারি অষ্টম ক্লাসে আটোওয়ালার সাথে পালিয়ে যাই , সেই নারিই কলকাতা উচ্চ শিক্ষাকালিন অশোক নামের যুবককে বর হিসাবে পরিচয় করাই এবং শিক্ষা শেষে ডাক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় । উচ্চ শিক্ষাই শিক্ষিত হওয়া আর সু শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নই । উপরোক্ত বিষয়ের তাৎপর্যে অনুধাবন করা যেতেই পারে সমাজের চলন্তিকা হিসাবে এক পক্ষ নই নারী-পুরুষ নির্বীশেষে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন রাখছি। আদিবাসী নারিদের বর্তমান অবস্থার উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়ে পুরুষ অধিকার খর্ব না হয় । এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব শুধু নারীদের নই , তার সাথে পুরুষেরো , এই সমাজ সবার ।
আরো পড়ুন --- নারীবাদ এবং উগ্র নারীবাদের পার্থক্য
WhatsApp
UNIQUE KNOWLEDGE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন