যমের বাহন হোয়ে করোনা ঘুরে বেড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে মতে যমের বাহন তান্ডব ঘটিয়েছে ১৭৮ টি দেশে এমনকি ভারত ও বাংলাদেশেও করোনার প্রভাব , বেসরকারি মতে সেই চড়ম তান্ডবে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৩৬,৭০৩ জন ও মৃত্যুবরন করেছেন প্রচুর। অবিলম্বে গোটা বিশ্ব জমের কাছে পার্থনা করছে তিনি যেন তার করোনা নামক বাহনকে ফিরিয়ে নেন। ভক্তিপূৰ্ণ প্রার্থনাই অকুতোভয় জম রাজ তার COVID-19 সরিয়ে নিতে নারাজ। শেষে চোদ্দ কোটি দেবতার মন্দিরের পশ্চাৎ দ্বারে হাজির কিছু ভক্তেরা বাটি হাতে তরল প্রসাদ পান করতে উৎসুক।
গোমূত্ৰ কি করোনার ঔষুধ |
তরল প্রসাদ রুপে গো মূত্ৰ COW URINE যমরাজের প্রেরিত বাহনের লাগাম পরাবার একমাত্র উপায়।
বিশ্বাসীদের প্রবচন
বিশ্বসীদের ভগবান অন্তরে বিরাজমান। গো মূত্ৰ ও গোবর ভগবানের প্রসাদ 'পবিত্র গোমূত্র প্রসাদম' , না বলতে নেই। ভক্তিতে সবি সম্ভব ,পারতে তোমাই হবেই তবে ছাড়ছিনা। একে একে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার 'গোমূত্র সেবন অনুষ্ঠানের আয়োজন, হিন্দু মহাসভার অধ্যক্ষ চক্রপাণি মহারাজ চিত্ত সুরে বললেন, " গোমূত্র সেবনে করোনা ভাইরাস থেকে নিজাদ পাওয়া সম্ভব।" সত্য যেথাই অগ্রসর মিথ্যা সেথাই করে ডর। সত্য লেখা আছে পুস্তকে `সুশ্রত সংহিতা' 'অষ্টাঙ্গ সংগ্রহ' তে অমৃত সমান।
অমৃত বাণী অমৃত সমান বিদ্যজনে পরিপূৰ্ণ ভারতবর্ষে বিজ্ঞ জনের মুখে মাতৃ ভক্তি উক্তি স্বামী দিলিপানন্দ "গো মাতার দুগ্ধে সোনা বিরাজমান।" , সাধ্বী প্রজ্ঞা 'গো মাতার শরিরে হাত বোলালে কর্কট মুক্ত সম্ভব।' গেরুয়া ধ্বজা ধারী রাজনৈতিক শিবির একের পর এক শহরে গোমূত্ৰ সেবনের অনুষ্ঠানিক আয়োজকের ভূমিকাই , অন্যদিকে কিছু অশিক্ষিত IT ধারি কেজরী পরিচ্ছনতার কথা বলে।
কতটা উপকারি গোমূত্ৰ COW URINE
গোমূত্ৰ |
যাহা অপাচ্য তাহাই রেচন ,তবে গোমাতার রেচন সর্বগুন সম্পন্ন। প্রমানের অপেক্ষা রাখে। গোমুত্রে রয়েছে ৯৫% জল,আর বাকি অংশে ইউরিয়া,পটাশিয়াম,সোডিয়াম ইত্যাদি ইত্যাদি। যে সকল জৈব রসায়ন রেচন রুপে নির্যাস হয় তা শরিরের পক্ষে অপ্রয়োজন তাই সেটাই বর্জ্য পদার্থ।স্তন্যপায়ি প্রানী সকলের বর্জ্য প্রায় একি প্রকার। ভারতের গোমাতার (বোস ইন্ডিকাস = বিজ্ঞানসম্মত নামকরন) মূত্ৰ তা হইতে পৃথক নই।
প্রাসাদরুপে 'পবিত্র গোমূত্র প্রসাদম' বিজ্ঞানের আলোকে বজ্য পদার্থ , এবং ইউরিয়া তার বর্জ্য। ফলে গোমূত্ৰ COW URINE পান করিলে সেই ইউরিয়া পুনরায় শরিরে ইউরিয়ার মাত্রা বাড়াবে।
শরির মধ্যস্থ্য ইউরিয়া ছাঁকুনির জন্য কর্মরত কিডনি একপ্রকার নাছোড় বান্দার মত কর্ম করতে থাকিবে, ফলে কিডনির ওপর পরিবে অতিরীক্ত চাপ, দেখা দিতে পারে বহুমূত্ৰ , কিংবা ঘন ঘন বমির ফলে জলের অপূৰ্ণতা। অতিরীক্ত গোমূত্ৰ সেবনে আবার হইতে পারে কিডনি বিকল।
গোমাতার মূত্ৰে উপাকারি নাই কহিলে ভুল হইবে, যেমনটা আপন মূত্ৰ সেবনে উপকারি রহিয়াছে কিছু নিয়ম ভিত্তিক সেবনে এবং কিঞ্চিৎ পরিমানে। অতিরীক্ত সেবনে হাসপাতাল বাস বাবা রামভক্ত তাহার উত্তম প্রমান।
গোমাতার মূত্ৰে উপাকারি নাই কহিলে ভুল হইবে, যেমনটা আপন মূত্ৰ সেবনে উপকারি রহিয়াছে কিছু নিয়ম ভিত্তিক সেবনে এবং কিঞ্চিৎ পরিমানে। অতিরীক্ত সেবনে হাসপাতাল বাস বাবা রামভক্ত তাহার উত্তম প্রমান।
দেশ কোন পথে
যাহারা আমার উত্তম বাণীতে বিদ্ধ হয়েছেন তাহাদেরকে ক্ষমাপ্রার্থনার সুরে বলিতে চাই বর্তমানে আমাদের ভারতমাতার যা অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ভালো সুযোগ হইলো করোনা প্রতিষেধকের ঔষৌধ রুপে গোমূত্র ও গোবর বিদেশে রপ্তানি করে গেরুয়া ধ্বজাধারি রাজনৈতিক শিবিরের আগামি নির্বাচনের অর্থ উপার্জন এবং হিন্দু মহাসভার নেতাদের সেই অর্থে সেবা প্রদান করা যাহাতে তাহারা তাহাদের এই উত্তম পরিক্ষা নিরীক্ষা মূলক বৈজ্ঞানিক কর্ম চালিয়ে যেতে পারেন।ভারতীয় গরু |
বলা বাহূল্য কোরোনার বাহানায় স্কুল,কলেজ,অফিস বন্ধ ভালো কথা। কিন্তু কোরোনা তাড়ানোর নামে গোমূত্র সেবন বন্ধ হইবে কবে?
ওহ গোমূত্র তো এক বিশেষ ধর্মীয় প্রজাতির কাছে অমৃত তাহার প্রচার এবং প্রসারে বাধা দিলে ধর্মীয় অনুভূতি আক্রান্ত হইবে। অবশ্য অবিজ্ঞানের চর্চা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন