আজকে সকাল থেকেই দেখছি যে আমাদের পৌরসভা ও সোশাল মাধ্যমে অনেক ব্যক্তি সমাজ সচেতন মূলক কথাবার্তা বলছে। জনতা কার্ফু সমর্থনে নব্য সংযোজন বাদ্যযন্ত্র বাজানো দেখে কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম ,যাক করোনা ভাইরাস বিদায় হল বিশৃঙ্খল আওয়াজের চোটে।
হ কিন্তু শেষে লক ডাউন
LOCK DOWN খবরটা পেতেই আমার ভবিষ্যৎ বাণি সত্যি হল, একদিনের জনতা কার্ফু ছিল ট্রায়াল মাত্র। লক ডাউন চলবে লাগাতার।
|
করোনা আটকাতে লকডাউন |
এই প্রথমবার রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চের কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য একপথেই হাঁটছে। পুলিশে ভরিয়ে দেওয়া হল রাস্তা। জারি হল কিছু বিধীনিষেধ- অযথা বাইরে বেরোনো যাবে না, চার জনের বেশি একত্রে থাকাও বারণ, সাধারণ মানুষ বাইরে থাকবে না, যানবাহন চলবে না, আইন অমান্য করলে ছয় মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা। তবে ছাড় দেওয়া হল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উপরে যেমন ঔষুধের দোকান, দুধ, হসপিটাল, কিছু মুদিখানার দোকান, সবজির দোকান।
কিন্তু বাঁধ সাধলো কিছু পুলিশ নামক গুন্ডাদের তান্ডবে কিছু ভিডিওতে উঠে এল সেই গুন্ডামির খন্ড চিত্র সবজির বাজার খোলা থাকবে কিন্তু সবজির বাজারে মানুষ সবজি আনতে যাবে না ওষুধের দোকানে ওষুধ আনতে যাবে না, মুদিখানা দোকান খোলা থাকবে কিন্তু মানুষ দোকানে যাবে না গেলেই পুলিশের কেলানি, দুধ ওয়ালাদেরো রেহাই নাই। মাস্ক না পরলেও চড়ম কেলানি- বিশ্ব সাস্হ্যসংস্থা বলছে মাস্ক এই জন্য পরা উচিত যাতে আপনার শরিরের ভাইরাস কাশি বা হাঁচি দেবার সময় অন্যের শরিরে না পৌছায়।
|
লকডাউনে বাজারের অবস্থা |
জানি এই কঠোর ও লাগাতার ২১ দিনের মানব কার্ফু নামক চড়ম পদক্ষেপের মানবীক একটি দিক রয়েছে,
করোনা ভাইরাসের ভারতে প্রভাব পরতে সময় নেবেনা। সবার আগে মানুষ সত্য। করোনা ভাইরাস খুবই দ্রত সংক্রমিত ভাইরাস , মহামারিতে পরিনত হতে সময় নেবে মহূৰ্তের মধ্যে। তাই সাধারন জনগন হিসাবে বিষয়টিকে সমর্থন করি আর সকলকে সচেতন ও বাইরে বেরোনোর কুপ্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরি।
তবুও সবদিক চিন্তা করে পরিকপ্লনা করা উচিত ছিল। সকলে যেখানে সবাই কার্ফু সমর্থনে বলছে 'আগে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে অনেক কিছু পরে খাওয়াও যাবে পরাও যাবে।' আবার অন্যদিকে এক দিনমজুরের কাছে যানতে চাওয়া হয়েছিল। সবাইকেতো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে আপনি বাইরে কেন।উত্তরে তিনি বলেছিলেন - 'মরলে আমি ক্ষুধায় মরব করোনায় মরবোনা , আমাদের পেট আছে তাই ক্ষিদাও আছে।' তাই আমি মনে করি সুবিধাবঞ্চিতদের আগে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করুক তাহলে আপনা আপনি সবাই সচেতন হবে। দয়া করে বিদেশের অনুকরণে ভারতের প্রতিটি ঘরে ঘরে মাথাপিছু নূন্যতম রেশনের/জীবন ধারণের ব্যবস্থা করুক, তবেই এই লকডাউন/কারফিউ সফল হতে পারে, কারণ এটা নই যে বাজারে গেলেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে না। আর সেটাও যদি সম্ভব না হয় তবে যারা অসহায় গরিব মানুষগুলো যারা দিন আনা দিন খায় তাদের জন্য আগে ফ্রি অফ কষ্টের প্যাকেজ তৈরি করা সবার আগে জরুরি।
|
গঙ্গারামপুর লকডাউন |
এমনটা নই যে সেটা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নই যেখানে শুধু রাষ্ট্রপতি ভবনের সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ হলো ২০ হাজার কোটি টাকা সেখানে সারা দেশের ১৩০ কোটি মানুষের করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা ইমার্জেন্সিতে মাত্র ১৫ হাজার কোটি। পাশাপাশি শিল্পপতিরাও এগিয়ে এসেছে, অক্ষয় কুমার এগিয়ে এসেছে সাহায্যের হাত নিয়ে। এমনাবস্থায় সকলকে সকলের তরে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
সুমন্ত মাহালী হেমরম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন