খ্রীষ্ট ধর্ম ত্রিতত্বে (TRINITY) বিশ্বাসী পিতা,পুত্র ও পবিত্র আত্মা। এই তিনটি বিষয় আলাদা হলেও এক , উদাহরণ স্বরুপ যাহা জল তাহাই বরফ আবার তাহাই হাইড্রজেন ও অক্সিজেন। কিন্তু তবুও তা প্রমানের অপেক্ষা রাখে যেই পিতা , সেই পুত্র আবার সেই পবিত্র আত্মা।
তার পাশাপাশি আরো তিনটি খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস রয়েছে খ্রীষ্ট মৃত্যবরণ করেছেন , খ্রীষ্ট পুনর্জীবিত হয়েছেন , খ্রীষ্ট পুনরাই আগমণ করবেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যে পুনরাই পৃথিবীতে তার মহান মহাজাগতিক রুপ নিয়ে ফিরে আসবেন, এই কথাটি বাইবেলে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তার আগে এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন বাস্তবেই কি প্রভু যীশু মৃতদের মধ্যে থেকে জীবিত হয়েছিলেন। যতক্ষন না এটা প্রমান হই যে প্রভু যীশু পুনরুত্থান করেছিলেন ততক্ষন , তার পুনরাগমন বিষয়টিও কল্পনার ন্যায় মনে করাই বাঞ্চনীয়।
তার পাশাপাশি আরো তিনটি খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস রয়েছে খ্রীষ্ট মৃত্যবরণ করেছেন , খ্রীষ্ট পুনর্জীবিত হয়েছেন , খ্রীষ্ট পুনরাই আগমণ করবেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যে পুনরাই পৃথিবীতে তার মহান মহাজাগতিক রুপ নিয়ে ফিরে আসবেন, এই কথাটি বাইবেলে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তার আগে এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন বাস্তবেই কি প্রভু যীশু মৃতদের মধ্যে থেকে জীবিত হয়েছিলেন। যতক্ষন না এটা প্রমান হই যে প্রভু যীশু পুনরুত্থান করেছিলেন ততক্ষন , তার পুনরাগমন বিষয়টিও কল্পনার ন্যায় মনে করাই বাঞ্চনীয়।
প্রভু যীশুর স্বর্গোন্নয়ন |
প্রভু যীশুর স্বর্গোরোহন
প্রভু যীশু মানবজাতির পাপের ক্ষমার জন্য মারা গিয়েছিলেন তার একটা স্পষ্ট ধারনা আমি আগেই আলোচনা করেছি। প্রভু যীশুর মৃত্য ও পুনরুত্থান যে ঘটেছিল এবং প্রভু যীশুকে যে জিবিত অবস্থায় স্বর্গে উত্তরণ করা হয়েছে তার বিষয়ে বাইবেলের শিষ্যচরিৎ প্রথম অধ্যায়ের ৯ নং শ্লোকে বলা হয়েছে-প্রেরিতদের চোখের সামনে তাঁকে আকাশে তুলে নেওয়া হল৷ আর এক খানা মেঘ তাঁকে তাদের দৃষ্টির আড়াল করে দিল৷
প্রভু যীশুর জীবিত অবস্থাই স্বর্গোরোহণ বাস্তবেই ঘটেছিল এবং এটি যে কোন কাকতালীয় বিষয় যে নই তার প্রমান শুধু বাইবেলে নই পবিত্র কোরান ও হিন্দু পবিত্র গ্রন্থ ভবিষ্যপুরাণেও রয়েছে , যার একটি উদাহরণ দিয়ে রাখছি - পবিত্র কোরানের সূরা মারিয়াম: ৩৪
وَالسَّلٰمُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا
যার বাংলাই অর্থ দ্বারাই - আর আমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হয়েছিল, যেদিন আমি জন্মেছিলাম। যেদিন আমি মারা যাবো এবং যেদিন আমাকে জীবিত করে উত্থিত করা হবে।
প্রভু যীশু যে স্বর্গোরোহনের পর তিনি যে পুনরাই ফিরে আসবেন তার একটি পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায় যোহন লিখিত ১৪ অধ্যায়ের ২ নং ও ৩ নং শ্লোকে- ২ আমার পিতার বাড়িতে অনেক ঘর আছে, যদি না থাকতো আমি তোমাদের বলতাম৷ আমি তোমাদের থাকবার একটা জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি৷এবং তিন নং শ্লোকে বলা হয়েছে - সেখানে গিয়ে জায়গা ঠিক করার পর আমি আবার ফিরে আসব ও তোমাদের আমার কাছে নিয়ে যাব, যাতে আমি যেখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার৷
وَالسَّلٰمُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا
যার বাংলাই অর্থ দ্বারাই - আর আমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হয়েছিল, যেদিন আমি জন্মেছিলাম। যেদিন আমি মারা যাবো এবং যেদিন আমাকে জীবিত করে উত্থিত করা হবে।
প্রভু যীশুর বেঁচে উঠা |
প্রভু যীশু পুনরাই ফিরে আসবেন
প্রভু যীশুকে বাইবেলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাংকেতিক রুপে ডাকা হয়েছে, এমনকি প্রভু যীশু নিজেও নিজেকে বিভিন্ন সময় সাংকেতিক রুপে উল্লেখ করছেন, যেমন - ঈশ্বরের মেষ শাবক, উত্তম মেষ পালক, মানবপুত্র এছাড়া আরো বিভিন্ন ভাবে।প্রভু যীশুর জীবনে যা কিছু ঘটেছে (জন্ম থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত) তা ছিল ঈশ্বরের অনুগ্রহে পূৰ্ব পরিকল্পিত , যার উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতির কল্যান সাধন। এবং তিনি যে অন্তিম লগ্নে পুনরাই আকাশ পথে মহিমাপূৰ্ণ রুপে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন সে বিষয়ে প্রভু যীশু নিজেই বলেছেন অনেক বার , যার কয়েকটি আপনাদের জন্য উল্লেখ করছি যেমন মথি লিখিত ১৬ অধ্যায়ের ২৮ নং শ্লোক -
মানবপুত্র যখন তাঁর স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর পিতার মহিমায় আসবেন, তখন তিনি প্রত্যেক লোককে তার কাজ অনুসারে প্রতিদান দেবেন৷ এছাড়া মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৩০ নং শ্লোক -
‘সেই সময় আকাশে মানবপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে৷ তখন পৃথিবীর সকল গোষ্ঠী হাহুতাশ করবে; আর তারা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রম ও মহিমামণ্ডিত হয়ে আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবে৷
তিনি পুনরাই ফিরে আসবেন |
ফিরে আসার মহুর্ত
প্রভু যীশু স্বর্গোরোহনের আগে তার শিষ্যরা প্রভু যীশুকে তার আগমনের সন্ধিক্ষণ জানতে চাইলে প্রভু যীশু তার আগমনের সময় বিষয়ে বলেন , যেটা লেখা রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৪-৪৪ পদ প্রযন্ত( সব শ্লোক গুলি তুলে ধরছিনা,কারন এতে প্রতিবেদনটি বিশাল বড় হয়ে পরবে) এছাড়া আরো বহু জায়গাই। তবে আপনাদের সুবিধার্তে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরছি-
১ তোমরা নানা যুদ্ধের কথা শুনবে এবং তোমাদের কানে যুদ্ধের গুজব আসবে।
২ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে; আর এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে৷
৩ সর্বত্র দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে৷
৪ সেই সময় অনেক লোক বিশ্বাস থেকে সরে যাবে৷
৫ অনেক ভণ্ড ভাববাদীর আবির্ভাব হবে, যাঁরা বহু লোককে ঠকাবে৷
৬ অধর্ম বেড়ে যাওযার ফলে অধিকাংশ লোকদের মধ্য থেকে ভালবাসা কমে যাবে৷
এছাড়া আরো বিভিন্ন জায়গাই ( লুক ১৭ অধ্যায় ও ২১ অধ্যায় ,যোহন ) ,বহু কিছু বলেছেন প্রভু যীশু যেগুলো প্রভু যীশুর পুনরাই আগমনের পূৰ্বে আগামি দিনে ঘটতে চলেছে উদাহরণ স্বরুপ মহামারী, জলপ্রলয়, দুর্ভিক্ষ ,ভূমিকম্প ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এই বিষয়ে সতর্ক করে প্রভু যীশু বলেছেন, যেটি রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৮ নং শ্লোকে- কিন্তু এসব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ মাত্র৷
এবং বাইবেলে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে পৃথিবী ধ্বংসের আগের মহুর্ত গুলিতে এগুলি ঘটতে চলেছে, এবং এই সমস্থ ঘটনার পর মহূৰ্তে ঠিক পৃথিবী ধ্বংসের সময় প্রভু যীশু আগমন করবেন যেটিকে আক্ষরিক অর্থে DOOMS DAY বলা হয়ে থাকে , যার আগে এই সমস্ত ঘটনা গুলো ঘটবে , এবং পৃথিবী ধ্বংসের মহূৰ্তেই তিনি আসবেন, যেটি লেখা রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ২৯ নং শ্লোকে - মহাক্লেশের সেইদিনগুলির পরই, ‘সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না৷ তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে৷’
১ তোমরা নানা যুদ্ধের কথা শুনবে এবং তোমাদের কানে যুদ্ধের গুজব আসবে।
২ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে; আর এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে৷
৩ সর্বত্র দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে৷
৪ সেই সময় অনেক লোক বিশ্বাস থেকে সরে যাবে৷
৫ অনেক ভণ্ড ভাববাদীর আবির্ভাব হবে, যাঁরা বহু লোককে ঠকাবে৷
৬ অধর্ম বেড়ে যাওযার ফলে অধিকাংশ লোকদের মধ্য থেকে ভালবাসা কমে যাবে৷
এছাড়া আরো বিভিন্ন জায়গাই ( লুক ১৭ অধ্যায় ও ২১ অধ্যায় ,যোহন ) ,বহু কিছু বলেছেন প্রভু যীশু যেগুলো প্রভু যীশুর পুনরাই আগমনের পূৰ্বে আগামি দিনে ঘটতে চলেছে উদাহরণ স্বরুপ মহামারী, জলপ্রলয়, দুর্ভিক্ষ ,ভূমিকম্প ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এই বিষয়ে সতর্ক করে প্রভু যীশু বলেছেন, যেটি রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৮ নং শ্লোকে- কিন্তু এসব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ মাত্র৷
এবং বাইবেলে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে পৃথিবী ধ্বংসের আগের মহুর্ত গুলিতে এগুলি ঘটতে চলেছে, এবং এই সমস্থ ঘটনার পর মহূৰ্তে ঠিক পৃথিবী ধ্বংসের সময় প্রভু যীশু আগমন করবেন যেটিকে আক্ষরিক অর্থে DOOMS DAY বলা হয়ে থাকে , যার আগে এই সমস্ত ঘটনা গুলো ঘটবে , এবং পৃথিবী ধ্বংসের মহূৰ্তেই তিনি আসবেন, যেটি লেখা রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ২৯ নং শ্লোকে - মহাক্লেশের সেইদিনগুলির পরই, ‘সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না৷ তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে৷’
মন পরিবর্তনের সময় এসে গেছে
সেই সময় আর দেরি নই যে সময় প্রভু যীশু পুনরাই ফিরে আসবেন। সুতরাং সময় হয়েছে সকল মানবজাতির মন পরিবর্তনের। প্রভু যীশু পুনরাই আগমনের আগে যা যা ঘটার ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন তার প্রায় সবগুলোই বর্তমান পৃথিবীতে লক্ষ্য করা যাই। নেপালের ভূমিকম্প, সুনামি, করোনার ভাইরাসের মহামারী,সিরিয়ার দুর্ভিক্ষ, সব কিছু যেন একের পর এক ঘটেই চলেছে। সুতরাং সেই দিন আর দেরি নেই যেদিন প্রভু যীশু তার স্ব মহিমায় আকাশপথে ফিরে আসবেন। সুতরাং মানবজাতির সকলের মন পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে , প্রভু যীশু নিজেই বলেছেন যেটি রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৩৩ নং শ্লোকে - যখন তোমরা দেখবে এসব ঘটছে, বুঝবে মানবপুত্রের পুনরাগমনের সময় এসে গেছে, তা দরজার গোড়ায় এসে পড়েছে৷ফিরে আসার কারন
ধ্বংসের শেষ মহূৰ্তে তিনি ফিরে আসবেন কারন ধ্বংসের শেষ মহূৰ্তে পৃথিবীতে পাপাচার বেড়ে যাবে , শুধুমাত্র তার মনোনিত ব্যাক্তিরাই সেদিন রক্ষা পাবেন , প্রভু যীশু নিজেই স্বর্গে উত্তোলনের আগে বলেছিলেন - আমি তোমাদের থাকবার একটা জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি৷(যোহন লিখিত ১৪ অধ্যায়)ঠিক একই ভাবে বলেন তিনি পুনরাই ফিরে আসবেন এবং তার মনোনিত লোকেদের তিনি তার সাথে নিয়ে যাবেন এবং সেই মহুর্তে কিভাবে তার মনোনিত ব্যাক্তিদের বেছে নেওয়া হবে সেটি লেখা রয়েছে মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ৩১ নং শ্লোকে -খুব জোরে তূরীধ্বনির সঙ্গে তিনি তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠাবেন৷ তাঁরা আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের জড়ো করবেন৷
এই মনোনিত ব্যাক্তি তারাই যারা শেষ মহূৰ্ত প্রযন্ত ঈশ্বরের পথে চলবেন ( মথি লিখিত ২৪ অধ্যায়ের ১৩ নং শ্লোক -শেষ পর্যন্ত যে নিজেকে স্থির রাখবে, সে রক্ষা পাবে৷)
ক্রুশে যীশুর মৃত্যু |
এই ১,৪৪,০০০ জন লোক হলেন তাঁরা যাঁরা স্ত্রীলোকদের সংসর্গে নিজেদের কলুষিত করেন নি, কারণ তাঁরা খাঁটি৷ তাঁরা মেষশাবক যেখানে যান সেখানেই তাঁকে অনুসরণ করেন৷ পৃথিবীর লোকদের মধ্য থেকে এই ১,৪৪ ,০০০ জন লোককে মুক্ত করা হয়েছে৷ ঈশ্বর ও মেষশাবকের উদ্দেশ্যে তাঁরা মনুষ্যদের মধ্য থেকে অগ্রিমাংশরূপে গৃহীত হয়েছেন৷
সুতরাং এখনো মন পরিববর্তন করুন ও সত্যের পথে ফিরে আসুন কারন স্বর্গে যাবার পথ হিসাবে প্রভু যীশু নিজেই বলেছেন , যেটি রয়েছে যোহন লিখিত ১৪ অধ্যায়ের ৬ নং শ্লোকে - যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমিই পথ, আমিই সত্য ও জীবন৷ পিতার কাছে যাবার আমিই একমাত্র পথ৷
সুমন্ত মাহালী হেমরম
Bengali Christian Articles
উত্তরমুছুনLink - https://bsbbca.blogspot.com/?m=1