"দাঁ কুড়াল সম্পর্ক' "সাপ বেঁজীর সম্পর্ক ' এই দুটি একই প্রবাদ বহন করে। প্রচন্ড শক্তিশালী দুটি বিরোধী একে অপরকে শেষ করতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মঞ্চে উপস্থিত হয় একে অপরের সামনে এলেই। এক সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মোড়গ লড়াই, সাপ বেঁজীর লড়াই মানুষের কাছে বিনোদনের খোরাক যোগাত। একদিকে বিষধর সাপ অপরদিকে ক্ষীপ্র স্বভাবের নেউলে, যুদ্ধ চলে কোনো এক প্রতিদ্বন্দ্বির মৃত্যু পর্যন্ত।
বর্তমানে খুব অল্প কিছু প্রান্তে মোড়গ লড়াইয়ের অস্তিত্ব থাকলেও বাঁধ সেধেছে সাপ বেঁজীর লড়াইয়ে। ওয়াল্ড লাইফ প্রটেকশন এক্ট ১৯৭২ দ্বারা যা বন্ধ হয়ে পরে।
লড়াইগুলোতে সাপের দংশনে নেউলের কোনো প্রকার ক্ষতি হয়না। জনশ্রুতি আছে যে নেউলে বা বেঁজী বিষ প্রতিরোধের গোপন ভেষজের জানকারী রাখে। কিন্তু এটি একপ্রকার জনশ্রুতি, বাস্তবতা নয়। তাহলে বাস্তবতা কি, সাপ কামড়ালে বেজীর কেনো বিষ লাগেনা?
সাপের বিষে কি রয়েছে?
সাপের বিষে যেগুলি রয়েছে তার বেশিরভাগ রয়েছে প্রোটিনের যৌগ, কিছু ইনজাইম , এছাড়া বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ, যেমন - জিংক সালফাইড, ক্যাটালেজ ইত্যাদি মিশ্রিত হয়ে জটিল রাসায়নিক যৌগ বিভিন্ন প্রকারের টক্সিক তৈরি করে।
সাপ বেঁজীI |
বেঁজীর কেনো বিষ লাগেনা
শুধু বেঁজী নয়, ঘোড়ারও বিষ লাগেনা, তার কয়েকটি কারন আছে।
প্রথমতঃ বেঁজীর শরীর অতিরিক্ত লোমশ প্রকৃতির হবার ফলে, সাপের পক্ষে দংশন করে বিষ দাঁত দ্বারা বিষ বেঁজীর শরীরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভবপর হয় না।
দ্বিতীয়তঃ বেঁজী এবং সাপ একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বির রূপে দেখে থাকে, সুতরাং এই দুটি প্রজাতি সামনাসামনি এলে লড়াই অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে, যেখানে নেউলে শিকারীর ভূমিকাই, এবং সাপ শিকারের ভূমিকাই থাকে, ফলে বেঁজীর ক্ষিপ্রতার সামনে সাপের দংশনের সাফল্য খুব নগণ্য হয়ে পরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন