বিজ্ঞান আর পবিত্র বাইবেল এই দুটির মধ্যে যে বিষয়টি সব থেকে বিতর্কিত সেই বিষয়টি হল "চার্লস ডারউইন" এর দেওয়া "বিবর্তনবাদ" তথ্যটি । অনেক আধুনিক যুক্তিবাদিরা ডারউইনের এই তথ্যর উপর ভিত্তি করে পবিত্র "বাইবেল" কে কল্পনার কিতাব হিসাবে প্রমান করে । কিন্তু পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞানের বিরোধিতা যে একটুও করেনা বরং বিজ্ঞানের স্বপক্ষে এমন অনেক কিছুই বলেছে যেগুলি বর্তমান বিজ্ঞানের আলোকে সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে । যেগুলি নিয়ে আমি আমার প্রথম দুটি প্রতিবেদনে আলোচনা করেছি । যে প্রতিবেদন গুলোর নাম ছিল -
***বাইবেলে বলা কিছু বিজ্ঞানভিত্তক তথ্য । বাইবেল কি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে ।*** আর দ্বিতীয় প্রতিবেদনের নাম ছিল
***বিজ্ঞান বনাম বাইবেল পবিত্র পুস্তক । বাইবেল কি বিজ্ঞান সমর্থন করে । ***
আজকের তার তৃতীয় অংশ হিসাবে সবার আগে আমি সব থেকে বড় বিতর্কের কারন "বিবর্তনবাদ" এর বিষয়ে তুলে ধরবো । এবং তার পক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা করবো যাতে করে কারো মনে এই সন্দেহ না থাকে যে আমি আমার ধর্মের বড়াই করছি । কিন্তু সে বিষয়ে আলোচনা করার আগে ডারউইন ও তার বিবর্তনবাদ কি ছিল সেটা জানা উচিত , আর বিবর্তনবাদের সাথে পবিত্র বাইবেলের কোন অংশটির বিতর্ক রয়েছে সেটিও জানা উচিত।
***বাইবেলে বলা কিছু বিজ্ঞানভিত্তক তথ্য । বাইবেল কি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে ।*** আর দ্বিতীয় প্রতিবেদনের নাম ছিল
***বিজ্ঞান বনাম বাইবেল পবিত্র পুস্তক । বাইবেল কি বিজ্ঞান সমর্থন করে । ***
আজকের তার তৃতীয় অংশ হিসাবে সবার আগে আমি সব থেকে বড় বিতর্কের কারন "বিবর্তনবাদ" এর বিষয়ে তুলে ধরবো । এবং তার পক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা করবো যাতে করে কারো মনে এই সন্দেহ না থাকে যে আমি আমার ধর্মের বড়াই করছি । কিন্তু সে বিষয়ে আলোচনা করার আগে ডারউইন ও তার বিবর্তনবাদ কি ছিল সেটা জানা উচিত , আর বিবর্তনবাদের সাথে পবিত্র বাইবেলের কোন অংশটির বিতর্ক রয়েছে সেটিও জানা উচিত।
বিবর্তনবাদ |
# চার্লস ডারউইন ও তার মতবাদ
বিখ্যাত প্রানিবিদ চার্লস ডারউইন তার বিবর্তনবাদ মতবাদটি সৃষ্টি করার আগে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ৪ - ৫ বছর বিগাল নামের একটি জাহাজে করে বিচরন করে বিভিন্ন প্রানি জগৎের বিশ্লেষনের মাধ্যমে বিশাল নোটস তৈরি করেন , এবং লক্ষ্য করেন প্রত্যেক জাতির প্রানির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে । ডারউইনের এই বিশ্লেষনের মাধ্যমে বিবর্তন বাদটির জন্ম দেন ।
বিবর্তনবাদ অনুসারে পৃথিবীর সমস্ত প্রানি জগৎ এককোষি প্রানি এ্যামিবা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ও বিবর্তনের এই ধারায় নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে উল্লেখ্য করেছেন। চার্লস ডারউইনের মতে - প্রত্যেক প্রানি তার অস্তিত্বকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিস্থীতি অনুযায়ি নিজেকে পরিবর্তন করে । তিনি আরো বলেন ক্রমিক বিকাশের দরুন কিছু প্রানি জলে ,কিছু প্রানি স্থলে ,কিছু প্রানি গাছে তো কিছু প্রানি উভয় স্থানে বসবাস করতে শুরু করে ,যার ফলে সেই প্রানিগুলোর অঙ্গ প্রতঙ্গ সেই হিসাবেই বিকশীত হতে শুরু করে ও লক্ষ লক্ষ বছরের অন্তরালে এই পার্থক্য এতটাই বেড়ে যায় যে নতুন নতুন প্রজাতিতে পরিনত হয় । ডারউইন তার বই "অরিজন অব স্পিসীজ" এ বলেন - প্রায় সাড়ে তিন আড়োব বছর আগে ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়, ব্যাকটেরিয়া থেকে এককোষি প্রানি এ্যামিবার সৃষ্টি হয় ,এ্যামিবা থেকে বহুকোষিয় প্রানি উদ্ভিদ ও প্রানিজগৎের সৃষ্টি হয় । ডারউইন তার মতবাদে বলেন প্রানিজগৎ তার বেচেঁ থাকার সংঘর্ষে নিজেদের ক্রমাগত পরিবর্তন করতে থাকে ,আর সেই সুত্র অনুযায়ি মানুষের অবির্ভাব বানর নামক প্রজাতির থেকে হয়েছে । যার জন্য মানুষকে হোমো সাপিয়েন্স বা বানর জাতির প্রতিনিধি হিসাবে মনে করা হয় ।
বিখ্যাত প্রানিবিদ চার্লস ডারউইন তার বিবর্তনবাদ মতবাদটি সৃষ্টি করার আগে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ৪ - ৫ বছর বিগাল নামের একটি জাহাজে করে বিচরন করে বিভিন্ন প্রানি জগৎের বিশ্লেষনের মাধ্যমে বিশাল নোটস তৈরি করেন , এবং লক্ষ্য করেন প্রত্যেক জাতির প্রানির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে । ডারউইনের এই বিশ্লেষনের মাধ্যমে বিবর্তন বাদটির জন্ম দেন ।
বিবর্তনবাদ অনুসারে পৃথিবীর সমস্ত প্রানি জগৎ এককোষি প্রানি এ্যামিবা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ও বিবর্তনের এই ধারায় নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে উল্লেখ্য করেছেন। চার্লস ডারউইনের মতে - প্রত্যেক প্রানি তার অস্তিত্বকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিস্থীতি অনুযায়ি নিজেকে পরিবর্তন করে । তিনি আরো বলেন ক্রমিক বিকাশের দরুন কিছু প্রানি জলে ,কিছু প্রানি স্থলে ,কিছু প্রানি গাছে তো কিছু প্রানি উভয় স্থানে বসবাস করতে শুরু করে ,যার ফলে সেই প্রানিগুলোর অঙ্গ প্রতঙ্গ সেই হিসাবেই বিকশীত হতে শুরু করে ও লক্ষ লক্ষ বছরের অন্তরালে এই পার্থক্য এতটাই বেড়ে যায় যে নতুন নতুন প্রজাতিতে পরিনত হয় । ডারউইন তার বই "অরিজন অব স্পিসীজ" এ বলেন - প্রায় সাড়ে তিন আড়োব বছর আগে ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়, ব্যাকটেরিয়া থেকে এককোষি প্রানি এ্যামিবার সৃষ্টি হয় ,এ্যামিবা থেকে বহুকোষিয় প্রানি উদ্ভিদ ও প্রানিজগৎের সৃষ্টি হয় । ডারউইন তার মতবাদে বলেন প্রানিজগৎ তার বেচেঁ থাকার সংঘর্ষে নিজেদের ক্রমাগত পরিবর্তন করতে থাকে ,আর সেই সুত্র অনুযায়ি মানুষের অবির্ভাব বানর নামক প্রজাতির থেকে হয়েছে । যার জন্য মানুষকে হোমো সাপিয়েন্স বা বানর জাতির প্রতিনিধি হিসাবে মনে করা হয় ।
# বাইবেলের কাহিনী
পবিত্র বাইবেল তার "আদিপুস্তক" বা জেনেসিস এ বলেন সৃষ্টিকালে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করার অনেক পরে মানুষ সৃষ্টি করেন , আর যেটি রয়েছে জেনেসিসের ১ অধ্যায়ের ২৭ অনুচ্ছেদে -
***তাই ঈশ্বর নিজের মতোই মানুষ সৃষ্টি করলেন| মানুষ হল তাঁর ছাঁচে গড়া জীব| ঈশ্বর তাদের পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করলেন|***
ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করার পর তাদের নাম রাখলেন (পুরুষ) আদম আর (স্ত্রী) হেওয়া , এবং তারা প্রথম অবস্থায় অন্য প্রানিদের মতন উলঙ্গ অবস্থাতেই থাকতেন । ঈশ্বর তাদের পৃথিবীতে থাকার সমস্ত ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন ,কিন্তু তাদের একটি বিশেষ গাছের আপেল খেতে বারন করেন , কিন্তু তারা ঈশ্বরের কথা অবাধ্য হয়ে সেই আপেল খেলে তারা জ্ঞান অর্জন করে ,আর তারা যে উলঙ্গ রয়েছে সেটা অনুধাবন করতে পারে । ঈশ্বর তাদের এই অবাধ্যতা জানতে পারলে তাদের অভিষিক্ত করে ।
***( পাঠকদের সুবিধার্তে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি , এর আগে আমি এই কাহিনীটির সম্পুর্ন বিবরণ দিয়েছি যার শির্ষক ছিল " আদম হেওয়া" ,তাই এখানে সম্পুর্ন বিবরণ না দিয়ে ততটুকুই দিয়েছি যেটি এই আলোচনার জন্য যথেষ্ট)***
পবিত্র বাইবেল তার "আদিপুস্তক" বা জেনেসিস এ বলেন সৃষ্টিকালে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করার অনেক পরে মানুষ সৃষ্টি করেন , আর যেটি রয়েছে জেনেসিসের ১ অধ্যায়ের ২৭ অনুচ্ছেদে -
***তাই ঈশ্বর নিজের মতোই মানুষ সৃষ্টি করলেন| মানুষ হল তাঁর ছাঁচে গড়া জীব| ঈশ্বর তাদের পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করলেন|***
ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করার পর তাদের নাম রাখলেন (পুরুষ) আদম আর (স্ত্রী) হেওয়া , এবং তারা প্রথম অবস্থায় অন্য প্রানিদের মতন উলঙ্গ অবস্থাতেই থাকতেন । ঈশ্বর তাদের পৃথিবীতে থাকার সমস্ত ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন ,কিন্তু তাদের একটি বিশেষ গাছের আপেল খেতে বারন করেন , কিন্তু তারা ঈশ্বরের কথা অবাধ্য হয়ে সেই আপেল খেলে তারা জ্ঞান অর্জন করে ,আর তারা যে উলঙ্গ রয়েছে সেটা অনুধাবন করতে পারে । ঈশ্বর তাদের এই অবাধ্যতা জানতে পারলে তাদের অভিষিক্ত করে ।
***( পাঠকদের সুবিধার্তে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি , এর আগে আমি এই কাহিনীটির সম্পুর্ন বিবরণ দিয়েছি যার শির্ষক ছিল " আদম হেওয়া" ,তাই এখানে সম্পুর্ন বিবরণ না দিয়ে ততটুকুই দিয়েছি যেটি এই আলোচনার জন্য যথেষ্ট)***
আদম হেওয়া |
# বিবর্তনবাদ ও বাইবেল
চার্লস ডারউইন তার বিখ্যাত বই " অরিজিন অব স্পিসিজ " এ তার দ্বারা প্রানিজগৎের বিশ্লেষনের মাধ্যমে বিবর্তনবাদ তথ্য তুলে ধরে বলেন যে - মানুষ বাদর থেকে সৃষ্টি , একি সাথে বাইবেল তার "আদিপুস্তক" এটা বর্ননা করেছে ,মানুষ বিবর্তনের ফসল নই বরং ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্ট আর সয়ং সম্পুর্ন । আপেক্ষিক ভাবে কোনটি সঠিক সেটা বলা মুসকিল তাই এখানে সঠিক বিষয়টি নির্বাচনের সঠিক পন্থাটি হল যুক্তি , তবে সেই যুক্তির প্রেক্ষাপট হওয়া উচিত বিজ্ঞানসম্মত । কারন যদি আপনারা আমার আগের প্রতিবেদন গুলো পরে থাকেন তবে পাবেন - যে বিজ্ঞান একসময় বাইবেলকে কল্পনা মনে করেছিল ,সেই বিজ্ঞানই পরবর্তী কালে বাইবেল কে বাস্তব বলেই প্রমান করেছে , আর আমি এটাই চাই যে এই বিষয়টিও বিজ্ঞানের দ্বারাই প্রমানিত হোক বাইবেল বাস্তব আর বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে না । তাহলে সেই বৈজ্ঞানিক যুক্তি গুলিকে নিচে আলোচনা করা হল ।
# প্রথমত
বিবর্তনবাদ অনুযায়ি মানুষ বানর থেকে সৃষ্টি হয়েছে । আর আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ি বিবর্তনবাদ যদি বাস্তবেই সত্যি হয়ে থাকে তবে বিবর্তনের ধারা সব প্রানির মধ্যে এক রকম হয় না , সেইদিক থেকে অন্য প্রানির থেকে বানরের বিকাশ দর অনেক বেশি । সুতরাং বিজ্ঞান অনুযায়ি এটা বলা যাই যদি বানর থেকেই মানুষের উৎপত্তি হয়ে থাকে তবে পৃথিবীতে এতদিনে কোন বাদরের অস্তিত্বই থাকতো না প্রত্যেকেরি এতদিনে মানুষ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল , যেমন - গোরিলা , শিপাঞ্জী ইত্যাদি । তার পরেও যদি ধরে নিই বাদররাই মানুষের পূৰ্বপুরুষ তাহলে এমন একটি প্রজাতি তো অবশ্যই থাকতো যেটি মানুষ ও বাদরের মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকতো , কিন্তু এমন কোন বাদরের অস্তিত্ব এখনো পাওয়া যাই নি ।
# দ্বিতীয়ত
ডারউইনের দ্বারা দেওয়া বিবর্তনবাদ শুধুমাত্র একটি তত্ত্ব , কোন বৈজ্ঞানীক প্রমান নই , পৃথিবীতে প্রানির উৎপত্তির উপরে এমন অনেক মতবাদ ও তত্ত্ব রয়েছে , যেমন - মিউটেশনবাদ , জার্মপ্লাজমাবাদ ইত্যাদি । তাছাড়াও পৃথিবীতে এমন অনেক বিজ্ঞানীই রয়েছেন যারা ডারউইনের মতবাদটিকে গ্রহন করেন নি , তাদের মতামত অনুযায়ি ডারউইনের এই মতবাদ আসলে একটি ভ্রান্ত মতবাদ যার কোন বাস্তবিক তথ্য প্রমান নেই । নোবেল বিজয়ী কয়েকশ বিজ্ঞানী আছেন যারা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করেন নি। স্যার ওয়াটসন ও ক্রীক তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
# তৃতীয়ত
বিভিন্ন সময়ের আবিষ্কার হওয়া ফসিলস্ এর মাধ্যমে অনেক বিজ্ঞানী এই বিবর্তনবাদকে সত্যি প্রমান করার চেষ্টা করলেও , এখন প্রযন্ত এমন কোন ফসিলস্ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি যেটি মানুষ আর বাদরের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে । আর যে সমস্ত ফসিলস্ গুলোর সাহায্য কিছু বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদ প্রমান করতে চেয়েছিল ,সেই সমস্ত ফসিলস গুলোর পরবর্তি কালে যাচাইয়ে সম্পুর্ন ভিন্ন প্রজাতির বাদরের অস্তিত্বের কথা জানতে পারা যায় ।
# চতুর্থত
যে সময় ডারউইন তার তত্ব প্রকাশ করেন , সেই সময় আধুনিক জীব বিজ্ঞান অত উন্নত ছিল না । তার অনেক পরে ডি.এন.এ ,ক্রোমোজম, জেনেটিক কোড ইত্যাদি আবিষ্কার হয় , যার দরুন বিবর্তনবাদে অনেক ভুল ব্যাখা যুক্ত হয়েছে ,যেগুলি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে । যার উদাহরন স্বরুপ বলা যায়- মনে করা হত "আর্কিওপটেরিক্স" পাখি আর সরিসৃপের মধ্যবর্তী রুপ ,কিন্তু চিনের এক প্রত্যন্ত স্থানে আবিষ্কার করা হয়েছে কিছু পাখির ফসিলস্ যেগুলো প্রমান করে আর্কিওপটেরিক্স এর বহু আগে থেকে পৃথিবীতে পাখির অস্তিত্ব রয়েছিল ।
জীব বিঙ্গান |
# পঞ্চমত
স্লাইডেন এবং সোয়ান যারা কোষ তত্ত্বের প্রবর্তক তাঁরা বলেছেন ”Every cell comes from a pre-existing cell” প্রত্যেকটি কোষ শূন্য থেকে আসে না। তার জন্য অবশ্যই একটি মাতৃকোষ দরকার। ভারউইনের বিবর্তবাদ এটির সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে না আর সে জন্য বিবর্তনবাদ একটি ভ্রান্ত তত্ত্বে পরিণত হয়েছে।
# ষষ্ঠত
আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে আমরা জেনেছি যে ডি.এন.এ হচ্ছে জীবনের রাসায়কি ভিত্তি। এবং এই এ ডি.এন.এ এর মূল উপাদান প্রধানত ৫টি , যেগুলি হল - কার্বন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও ফসফরাস। বিজ্ঞানের আলোকে আমরা এটাও জেনেছি যে ডি.এন.এ গুলো অ্যামিনো এসিড তৈরী করে আর এই অ্যামিনো এসিডগুলো প্রোটিন তৈরী করে যা কোষ সৃষ্টির প্রধান উপাদান । আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলে একটি ডি.এন.এ অনু কখনই নিজে থেকে তৈরি হয় না ,যদিও বা তা হত তবে তার সম্ভাবনা দাড়াতো ১/১০-২৬৮ যা শূন্যের কাছাকাছি। এমনকি বিশ্ব জগতের সব অনু- পরমানু একত্রিত করেও একটি ডি.এন.এ তৈরী করা সম্ভব না। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানের দ্বারা অতি উচ্চমানের গবেষনাগারেও বিজ্ঞানীরা শূন্য থেকে কোষ তৈরী করতে পারে নি।
# সপ্তম
বিবর্তবাদ অনুযায়ী প্রতিকূল পরিবেশে টিকে যাকার জন্য প্রানিগুলোর অঙ্গ প্রতঙ্গ সেই হিসাবেই বিকশীত হতে শুরু করে ও লক্ষ লক্ষ বছরের অন্তরালে এই পার্থক্য এতটাই বেড়ে যায় যে নতুন নতুন প্রজাতিতে পরিনত হয় । আজকের আধুনিক বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে পরিবেশের সাথে সাথে প্রানিদের মধ্যে কিছু জীনগত পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে জীবটির বৈশিষ্ট্যর সামান্য পরিবর্তন ঘটতে পারে কিন্তু সেটি কখনোই অন্য প্রজাতির আরেকটি প্রানিতে পরিণত হতে পারে না।
# অষ্টম
ডি.এন.এ এর পাশাপাশি ক্রোমোজম প্রানিজগতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে । কেননা প্রত্যেকটি প্রাণীর ক্রোমোজম সংখ্যা নির্দিষ্ট। আর এই সংখ্যার উপর কোন ফের বদল ঘটলে প্রক্যেকটি প্রাণী তার অস্তিত্ব হারায়। আর বিজ্ঞান এটা প্রমান করেছে যে বানরের ক্রোমোজম আর মানুষের ক্রোমোজম বড্ড আলাদা ,সুতরাং দুটি প্রানি কখনই একি ধারায় উৎপন্ন হয়নি এবং মানুষ ও বাদর দুটিই আলাদা ধরনের প্রানি ।
এছাড়া আরো বহু বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে যেগুলো প্রমান করে ডারউইনের বিবর্তনবাদ আসলে একটি সুনির্দীষ্ট কল্পনা কিন্তু বাস্তব সত্য নই । তবুও তর্কের খাতিরে যদি বিবর্তনবাদ মেনেও নিই তারপরেও পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞানের কোন প্রকার বিরোধিতা করে না । তার কারন হল , আপনি যদি বাইবেলের আদিপুস্তকের আদম- হেওয়ার কাহিনী পড়ে থাকেন ,তবে আপনি একটি জিনিস লক্ষ্য নিশ্চয় করেছেন । আদম আর হেওয়া যখন অমান্য করা আপেলটি খাই তখন তাদের জ্ঞানের পরিবর্তন ঘটে ,তারা তাদের লজ্জা ঢাকতে শুরু করে । অর্থাত তারা এক অবস্থা থেকে আরেকটি অবস্থায় এসে পৌছায় , আর সেই দিক থেকে বিচার করলে বাইবেল "বিবর্তনবাদ" এর কোন প্রকার বিরোধিতায় করে না ।
তবে বৈজ্ঞানিক সত্য যাই হোক , আমি পবিত্র বাইবেল আর বিজ্ঞান দুটিকেই বিশ্বাস করি , আর এটি আমার দৃড় বিশ্বাস বিজ্ঞান আবার নিজেই প্রমান করবে বাইবেল যা কিছু বলেছে তা বাস্তব আর চির সত্য ।
***সুমন্ত মাহালি হেমরম***
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন