History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

বিজ্ঞান বনাম বাইবেল পবিত্র পুস্তক । বাইবেল কি বিজ্ঞান সমর্থন করে । science and bible .

বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান , অর্থাৎ কোন কিছুর ভৌতিক ও জৈবিক পরিক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্তে আসার নামি হল বিজ্ঞান । আর এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে কোন কিছু তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় আবিষ্কার । উদাহরণ স্বরুপ প্রত্যেক বস্তুরি কোন না কোন ধর্ম থাকে , যেমন চুম্বক ,যার দুটি বিশেষ ধর্ম হল - লোহাকে আকর্ষন করা আর উত্তর ও দক্ষিন মেরু সর্বদা অনুসরন করা ,আর চুম্বকের এই ধর্মের উপর নির্ভর করে কম্পাস তৈরি ও বুলেট ট্রেন তৈরি করা হয়েছে । সুতরাং এটা বলা ভুল হবে না বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম চলে যাবে ,কিন্তুু ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান সম্পুর্ন ভাবে অন্ধ । এখানে আমার বিশেষ জ্ঞানে (বিজ্ঞান) আমার এটা বলা ভুল হবে না , বিজ্ঞান নতুন করে এখনো নতুন কিছু বানাতে পারেনি  অর্থাৎ বিজ্ঞান শুধুমাত্র সেই জিনিসের ভোল বদল করতে পারবে যেটি পৃথিবীতে প্রথম থেকেই ছিল বা রয়েছে । যার উদাহরন আমি আগেই দিয়েছি , কিন্তু সেই চুম্বকে দিক নির্নয়ের যোগ্যতা আর লোহাকে আকর্ষনের ক্ষমতা কোথা থেকে এল তার উত্তর বিজ্ঞান কখনই দিতে পারবে না ।
অনেক লোকেদের মতে পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে , কিন্তু বাস্তবে পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞানের স্বপক্ষে এমন অনেক কথাই আগেই বলে দেওয়া হয়েছে যেগুলো বিজ্ঞান পরবর্তী কালে জানতে পেরেছে , উদাহরন স্বরপ - পৃথিবীর আকৃতি , পৃথিবীর সৌরমন্ডলের অবস্থান , রক্তে জীবন শক্তি ইত্যাদি । যার কয়েকটি আমি আগের প্রতিবেদনে আলোচনা করেছি যার শীর্ষক ছিল ***বাইবেল কি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে*** । আজ সেই বিষয়ের অপর আমার দ্বিতীয় প্রতিবেদন ।
বাইবেল ও বিঙ্গান

#
বৃষ্টিচক্র
আমরা ছোট থেকেই পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে জেনে আসছি যে সূর্যের প্রখর রোদে পৃথিবীতে থাকা সকল নদি ,নালা, খাল, বিল, পুকুর , সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত হয়ে আকাশের দিকে উঠে যায় , এবং বায়ুতে থাকা বিভিন্ন ধূলিকনার মাধ্যমে জমাট বেধে মেঘের সৃষ্টি করে , যে মেঘ ক্রমাগত উপরে উঠলে ক্রমশঃ ঠান্ডা হতে শুরু করে , ও এই ঠান্ডায় জলীয় বাষ্প জমাট বেধে জলকনায় পরিণত হলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষনের টানে পৃথিবীতে নেমে এসে বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি করে । বৃষ্টি হবার প্রাথমিক এই ধারনা বিগত কয়েক শতক আগে প্রসার লাভ করেছে । প্রাচীনকালে এমন অনেক বর্বর জাতি ছিল যারা বৃষ্টির আগমনের জন্য বৃষ্টির দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলিও দিত । আজ মানুষ বিজ্ঞানের আলোকে বৃষ্টির কারন জানতে পেরেছে । যা থেকে বোঝা যাই বৃষ্টি প্রাকৃতিক ঘটনা । যেখানে পৃথিবীর জলকেই বাষ্পিভূত করে পুনরায় পৃথিবীতে বৃষ্টি আকারে নামিয়ে আনা হয় । কিন্তু বাইবেল প্রাকৃতিক এই ঘটনাটিকেই অনেক আগেই বলে দিয়েছিল , যেটি রয়েছে বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেন্টের " যোব" লিখিত সমাচারের ৩৬ অধ্যায়ের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদে । বলা হয়েছে -
***২৭-“ঈশ্বর পৃথিবী থেকে জল নিয়ে তাকে বৃষ্টিতে পরিণত করেন| ২৮-তাই মেঘ জল দেয় এবং বহু লোকের ওপর বৃষ্টি পড়ে।***
সুতরাং যে সময় বাইবেল লেখা হচ্ছিল , সেই সময় মানুষ এই মৌলিক ধারানাটি জানতো না ঠিকি ,কিন্তু বাইবেল সেই বিষয়টি আগেই যেনে গিয়েছিল ।
সমুদ্র,জল,সমুদ্রের জল, অতল সমুদ্র, সমুদ্রের গভিরতা, গভির সমুদ্র,
সমুদ্রের নিচে পাহাড়

# সমুদ্রের নিচে পাহার
পৃথিবীর প্রায় তিন ভাগ জল ও এক ভাগ স্থল , আর এই জলভাগের জন্যই পৃথিবীর নাম পরেছে নিল গ্রহ । বিজ্ঞানিদের মতে এই বিশাল জল রাশির তিন শতাংশোও এখনো জানা যাইনি , তবে কিছু কিছু তথ্য মানুষ ইতিমধ্যে অর্জন করেছে , যার মধ্য একটি হল সমুদ্রের গভিরতম খাত, যার নাম "মারিয়ানা খাত" । এই সমস্ত তথ্যর মধ্য নতুন সংযোজন হল সমুদ্রের মধ্য অবস্থিত পাহারের অস্তিত্ব ।
বাইবেল ওল্ড টেষ্টামেন্টের "যোনা" লিখিত একটি বিবরণিতে একটি ঘটনার উল্লেখ্য পাওয়া যাই , যেখানে যোনা তার বিবরণিতে বলেন ২ অধ্যায়ের ৬ অনুচ্ছেদে - 
***"আমি সমুদ্রের তলদেশে ছিলাম, যেখান থেকে পাহাড়গুলো আরম্ভ হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আমি এই কারাগারে সারা জীবনের জন্য বন্দী হয়ে গেছি।"**
যে বাক্যটি প্রমান করে যে যোনার দ্বারা লিখিত বিবরণটি বাস্তবিক ছিল , যোনার দ্বারা লিখিত বিবরণ হিসাবে সমুদ্রের নিচেও পাহাড় রয়েছে , আর এই বিবরণিটি প্রভু যিশু খ্রিষ্টের জন্মের অনেক আগেই লেখা হয়েছে । যেটি এই উনিশ শতকে এসে বাস্তব বলে প্রমানিত হয়েছে ।
# সমুদ্রের নিচে জলের উৎস
অনেকের হয়তো এমন মনে হতে পারে যে যোনার দ্বারা লিখিত বিবরণীটি কল্পনা হতে পারে ,কিন্তু পরবর্তিকালে সেটাই বাস্তবিক হয়ে দ্বারাই , তাহলে আমি বল্ব " বাইবেল কোন বিজ্ঞানভিত্তিক কিতাব নই , তবে বাইবেল বিজ্ঞানেরও পরিপন্থি নই " । বাস্তবে বাইবেল ধর্ম ভিত্তিক কিতাব হলেও ,এমন কিছু কিছু তথ্য প্রদান করে যেটি বর্তমান বিজ্ঞান সবে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে । যার প্রমান স্বরুপ সদ্য আবিষ্কার হওয়া তথ্য ,যেটি লিখিত আছে " যোব " লিখিত সমাচারের ৩৮ অধ্যায়ে , আর যেটি হল সমুদ্রের নিচেও এমন এনেক স্রোত রয়েছে যেগুলো সমুদ্রকে জলের যোগান দিয়ে থাকে । যোব লিখিত ৩৮ অধ্যায়ের ৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে -
***“ইয়োব, পৃথিবীর গভীর থেকে যখন সমুদ্র প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল তখন কে তা বন্ধ করার জন্য দ্বাব রুদ্ধ কষ্ঠরছিল?**
এখানে এই বাক্যটি একটু অনুধাবন করুন ***"পৃথিবীর গভীর থেকে যখন সমুদ্র প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল।"** এই বাক্য থেকে কি বোঝা যেতে পারে ? সমুদ্রের নিচেও এমন কিছু রয়েছে যেটি ক্রমাগত সমুদ্রের নিচে প্রবাহিত হতে থাকে আর সমুদ্রকে জলের যোগান দিয়ে থাকে ।
আবার একি ভাবে বুক অব জেনেসিস বা " আদিপুস্তক" এর ৭ অধ্যায়ের ১১ অনুচ্ছেদে একিই ভাবে সমুদ্রের নিচে জলের উৎসের কথা বলা হয়েছে । আর সেই অনুচ্ছেদটি হল -  ***নোহর ৬০০ তম বছরের দ্বিতীয় মাসের ১৭ তম দিনে সমস্ত ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণ ফেটে বেরিয়ে এল, মাটি থেকে জল বইতে শুরু করল| ঐদিন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল, বাঁধ ভেঙে গেল এবং সমস্ত পৃথিবী জলপ্লাবিত হলো| সেই একই দিনে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হল য়েন আকাশের সমস্ত জানালা খুলে গেল| 40 দিন 40 রাত ধরে সমানে বৃষ্টি হলো| সেই দিনটিতেই নোহ ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের তিন পুত্র শেম, হাম, য়েফত্‌ আর তাদের তিন স্ত্রী সকলেই নৌকোয প্রবেশ করল।***
এই অনুচ্ছেদের **১৭ তম দিনে সমস্ত ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণ ফেটে বেরিয়ে এল, মাটি থেকে জল বইতে শুরু করল|*** এই অংশটি লক্ষ্য করুন ।যেখানে বলা হয়েছে বন্যার পরে যখন পৃথিবী ডুবে গিয়েছিল পৃথিবীর গর্ভে থাকা প্রস্রবন বা জলের উৎস গুলো ফেটে বেরিয়ে এল , আর জল বইতে শুরু করলো । এই বাক্য থেকে আপনি কি বুঝলেন ,আশা করি আপনাদের বুঝতে এটা অসুবিধা হয়নি যে এটি জলের তলায় থাকা ,জলের উৎসের কথা বলা হয়েছে । আর সমুদ্রের নিচেও যে জলের বিশাল উৎস রয়েছে তার বিষয়ে প্রমান দিয়েছেন খোদ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসমোলজিষ্ট ডঃ মাইকেল ওয়েশেসন ।
# ভাইরাস ও ছোঁয়াচে রোগের বিষয়ে স্বাম্যক জ্ঞান
যে সময় চিকিৎসা বিজ্ঞান যেমন উন্নত হয়নি ,সেই সময় বাইবেল ছোয়াঁচে রোগের বিষয়ে ও ভাইরাসের বিষয়ে কিছু সাধারণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছিল , আর বাইবেলে এমন ভাবে তুলে ধরার পিছনে কারন হল ,সেই সময় এই জটিল বিষয়টি মানুষের দ্বারা বোঝা ছিল খুবই জটিল । তাই সহজ ভাবে এই বিষয়টিকে বুঝতে পারে তাই এই বিষয়ে দেওয়া উদ্ধৃতিটিও ছিল কিছুটা সরল । যেখানে "লেবি" এর লিখিত সমাচারে বলা হয়েছে  ১৩ অধ্যায়ের ৪৬ অনুচ্ছেদে - ***"যতক্ষন তার সংক্রামন ব্যাধি থাকবে ততক্ষন লোকটি হবে অশুচি । সে অবশ্যই একা থাকবে । তার বাড়ী অবশ্যই শিবিরের বাইরে থাকবে ।"**
সুতরাং বাইবেল জানতো ভাইরাসের বিষয়ে ,আর এই ভাইরাস ছরিয়ে না পরে , তার বিষয়ে বাইবেল বলে একটি বিশেষ প্রথা,
ডাক্তার, চিকিৎসা, ডাক্তারি,
চিকিৎসা কালিন ডাক্তার

যেটি আছে "লেবি" লিখিত সমাচারের ১৩ অধ্যায়ের ৪৫ অনুচ্ছেদে - ***“যদি এক ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অন্য লোকদের সাবধান করে দেবে| সেই লোকটি চেঁচিয়ে বলবে, “অশুচি, অশুচি|” লোকটির কাপড়ের দুই ধারের জোড়া অবশ্যই ছিঁড়ে ফেলা হবে| সে তার চুল অবিন্যস্ত করবে এবং মুখ ঢাকবে|"***
শেষের রেখাটি লক্ষ্য করুন ***"সে তার চুল অবিনস্ত করবে এবং মুখ ঢাকবে।"*** । বর্তমানে চিকিৎসাক্ষেত্ৰেও এই প্রথাটি লক্ষ্য করবেন , ডাক্তার যখন কোন রোগির অপরেশনের জন্য যান তখন কোন প্রকার ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া তাদের শরিরে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য মাথা আর মুখ ঢেকে নেন । এবার আপনারা প্রথম ও দ্বিতীয় রেখাটি  লক্ষ্য করুন -
***"যদি এক ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অন্য লোকদের সাবধান করে দেবে| সেই লোকটি চেঁচিয়ে বলবে, “অশুচি, অশুচি|”***
যদি কারো এমন রোগ হয়ে থাকে তাহলে তার কর্তব্য দ্বারাই সে যাতে অন্যদের সাবধান করে দেই ,তার কাছে আসতে ,যাতে করে তার শরিরের ভাইরাস অন্যদের শরিরে প্রবেশ না করতে পারে , যতখন না সে নিজে সুস্থ হচ্ছে ।
# মানুষ আর বাইবেল
মানুষ তার জ্ঞানের দ্বারা অনেক সাফাল্য অর্জন করেছে , যার দরুন আমরা আজ ২১ শতকের দ্বোরগড়ায় এসে পৌছেছি । মানুষ অনেক কিছুর রহস্যভেদ করতে পেরেছে , এবং আগামিতেও অনেক কিছুরি রহস্যভেদ করবে যেটি স্বীকার্য । কিন্তু মানুষ কক্ষনোই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের ন্যাই জ্ঞানি হতে পারবে না । কারন ঈশ্বর সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা এমনকি মানুষেরো । এই বিষয়ে বাইবেল বলে, যেটি রয়েছে "ইশাইয়া" লিখিত ৪০ অধ্যায়ের ২৮ অনুচ্ছেদে -
***"তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছো এবং জানো যে প্রভু ঈশ্বর অত্যন্ত জ্ঞানী| তিনি যা জানেন মানুষ তা শিখতে পারে না| প্রভু কখনও ক্লান্ত হন না এবং তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন নেই| প্রভু পৃথিবীর সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল সৃষ্টি করেছেন| তিনি চির কাল বেঁচে থাকবেন|"***
সুতরাং ঈশ্বর যা পারেন মানুষ তা কখনই পারবে না , এর পরের প্রতিবেদনে আমি ডারউইনের বিবর্তনবাদ আর সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো এখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি ,অর্থাৎ সেই বিষয় গুলি নিয়ে বলবো যেগুলি আবিষ্কার করা বর্তমান বিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না । তবে আমার দৃড় বিশ্বাস একদিন সেগুলোও আবিষ্কার হবে আর পুনরাই পবিত্র বাইবেল সত্য ও ঈশ্বরের বানি বলে প্রমানিত হবে । ততক্ষন আপনারা চাইলে আমার ব্লগ ফলো করতে পারেন ।
***সুমন্ত মাহালি হেমরম***
WhatsApp ,

1 টি মন্তব্য:

  1. আপনার বাংলা শেখা উচিৎ। ক্লাস টুয়ের বাচ্চাদের মতো বানান জ্ঞান নিয়ে ব্লগিং করছেন কেন?

    উত্তরমুছুন