মালদা জেলার গাজোল থানার অন্তগত মাজলিশবাগ গ্রামে প্রবেশের সাথে সাথে চোখে পরবে প্রায় প্রত্যেক বাড়ির উঠোনে চলছে বাঁসের ডালি , কুলা তৈরীর ব্যাস্ততা , যা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয়নি আমি এমন একটি গ্রামে প্রবেশ করেছি যেই গ্রামের অথনৈতিক স্বচ্ছলতা বাঁশের তৈরি ঘড়োয়া রকমারি বস্তু তৈরির উপর নির্ভরশিল । মজলিশবাগ গ্রামটি মূলত আদিবাসি সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস ,আর এই আদিবাসি সম্প্রদায়ের নাম হল মাহালী । এই মাহালী শব্দটি স্থানভেদে কোথাও কোথাও -মহলি , মালহে, মাহালি নামেও পরিচিত । ভাষাগত দিক দিয়ে এই জনগোষ্ঠির ভাষা সাঁওতাল ভাষায় সাথে অনেক খানি মিলে যায় কিন্তু সাঁওতাল সম্প্রদায় থেকে এই মাহালি সম্প্রদায় লোকের আলাদা ।
মজলিশবাগ গ্রামের শ্রেষ্ঠতা
এর আগে আমি মাহালি সম্প্রদায়কে নিয়ে দুইবার আলোচনা করেছি, যার একটি আলোচনায় বলেছিলাম যে মাহালী আদিবাসী সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পরার অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত শিল্প নির্ভর জাতি ।
মজলিশবাগ গ্রামের শ্রেষ্ঠতা
এর আগে আমি মাহালি সম্প্রদায়কে নিয়ে দুইবার আলোচনা করেছি, যার একটি আলোচনায় বলেছিলাম যে মাহালী আদিবাসী সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পরার অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত শিল্প নির্ভর জাতি ।
বাঁশের শিল্প কর্মে ব্যাস্ত শিল্পী |
যেখানে আমি বলেছিলাম যে মাহালি সম্প্রদায় মুলত বাঁশের শিল্প কর্মের সাথে যুক্ত আর বাঁশের তৈরি বস্তু সামগ্রিই হল মাহালী সমপ্রদায়ের ঐতিহ্যের অঙ্গ ।মাহালি সম্প্রদায়াদের লোকেরা মুলত বাঁশের তৈরী ডালা ,কুলা, টুপি ইত্যাদি জিনিস তৈরী করে কিন্তুু বর্তমানে প্লাস্টিকের ডালা ,কুলা, টুপি প্রত্যেকটি জিনিস তৈরী হওয়াই এই সরল মনের মাহালী জনজাতির লোকেরা অথনৈতিক দিক দিয়ে অনেক পিছনে পরছে ,,এবং এই প্রসঙ্গে আমি এটা বলেছিলাম যে - শিল্প যে কোন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় , কিন্তুু সেটা নির্ভর করে সময়ের পরিবর্তনের সাথে ,,তাই সময়ের সাথে সাথে শিল্পরিতির পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন বা শিল্প নিতির ভোল পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে ।
আর এই বিশেষ কাজটি করে দেখিয়েছে মাহালী আদিবাসী অধ্যূষিত এই মাজলিশবাগ গ্রামটি ।যেখানে এখন মাহালী জনজাতি প্রচলিত ধারায় তৈরী হওয়া ডালী, কুলার পাশাপাশি তৈরী হচ্ছে বাঁশের ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী, যেমন -টেবিল বাতি,দেওয়াল বাতি ,বাঁশের কৌট আরো প্রচুর ধরনের সামগ্রী । যার ফলে আদিবাসী মাহালী সম্পদায়ের ভেঙ্গে পরতে থাকা অর্থনৈতিক পরিস্থিতী নতুন করে আশার আলো দেখতে পেয়েছে । যার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধিনস্ত সংস্থা MANJUSA কে ।
MANJUSA কি?
Manjusa হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা ,যেটি মূল রুপে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার হস্তশিল্প কলাকে উন্নতি কল্পে বিশেষ ভাবে সাহায্য প্রদান করে । Manjusa নামে এই সংস্থাটি পরিচিত হলেও এর বাস্তবিক পরিচয় হল পশ্চিমবঙ্গ হস্তশিল্প বিকাশ কর্পোরেশন লিমিটেড (WEST BENGAL HANDYCRAFT DEVLOPMENT CORPORARTION LTD) । যেটি ১৯৭৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালি হস্ত শিল্পকে রক্ষা করতে, তথা তার বিকাশ, সংরক্ষন ও সেই শিল্পের সঠিক ভাবে প্রচারের উদ্দেশ্যে গড়ে উঠা একটি সংস্থা । আর সেই উদ্দেশ্য এই সংস্থাটি প্রাথমিক শ্রেনির কুটির শিল্প, হস্ত শিল্পের উপর ভিত্তি করে সেই শিল্পের প্রশিক্ষন প্রদান করা , শিল্পীদের অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি , আন্তর্জাতিক পন্য হিসাবে সেই সমস্থ শিল্পজাত বস্তু গুলোকে বিশ্বব্যাপি মর্যাদা অর্জন করা ।
Manjusa হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা ,যেটি মূল রুপে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার হস্তশিল্প কলাকে উন্নতি কল্পে বিশেষ ভাবে সাহায্য প্রদান করে । Manjusa নামে এই সংস্থাটি পরিচিত হলেও এর বাস্তবিক পরিচয় হল পশ্চিমবঙ্গ হস্তশিল্প বিকাশ কর্পোরেশন লিমিটেড (WEST BENGAL HANDYCRAFT DEVLOPMENT CORPORARTION LTD) । যেটি ১৯৭৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালি হস্ত শিল্পকে রক্ষা করতে, তথা তার বিকাশ, সংরক্ষন ও সেই শিল্পের সঠিক ভাবে প্রচারের উদ্দেশ্যে গড়ে উঠা একটি সংস্থা । আর সেই উদ্দেশ্য এই সংস্থাটি প্রাথমিক শ্রেনির কুটির শিল্প, হস্ত শিল্পের উপর ভিত্তি করে সেই শিল্পের প্রশিক্ষন প্রদান করা , শিল্পীদের অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি , আন্তর্জাতিক পন্য হিসাবে সেই সমস্থ শিল্পজাত বস্তু গুলোকে বিশ্বব্যাপি মর্যাদা অর্জন করা ।
অর্ডারের সামগ্রী তৈরির ব্যাস্ততা |
আমার বক্তব্য
মজলিশবাগ গ্রামের কথা এর আগে বিভিন্ন সংবাদপ্তর মার্ফত জেনে ছিলাম তবে ,এই গ্রামে প্রবেশ করার আগ মহুর্তে আমার কোন প্রকার ধারনায় ছিল না এই গ্রামের প্রকৃত নাম কি ? আমি এই গ্রামটিকে কানাইপুর নামেই চিনতাম । খুব শিঘ্রই সেই ভুলটা ভেঙ্গে গেল যখন বাঁশের শিল্পিদের সাথে কথা বলে জানলাম এই গ্রামের আরেকটি নাম মজলিশবাগ । আমি যেহেতু নিজেও একজন মাহালি তাই এখানকার লোকেদের সাথে মিশে যেতে সময় লাগলো না , বরং একটা আনন্দই অনুভব হচ্ছিল । আর সেই আনন্দটি ছিল নিজেদের লোকেদের সাথে কথা বলার । তাদের সাথে কথা বলার বিষয় বস্তুটিই ছিল বাঁশের শিল্পকর্মের উপরে । তাদের কাছে যা জানলাম তা আমার ধারনার বাইরে । পরিবর্তিত শিল্পকর্মটিকে গ্রহন করার পর তাদের ব্যাস্ততার কোন শেষ নেই , অর্ডারের উপর অর্ডার আসতেই থাকে ৫০০- ৬০০ পিস মালের , তাছাড়াও মেলার বাজার তো রয়েছেই । সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অনেকেই এখন অন্য লোকেদের বেতন ভিত্তিক প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন । আমার বলা সেই কথাটি এই প্রসঙ্গে সম্পুর্ন প্রজোয্য , মাহালি সমাজের শিল্পকর্মের একটি সামান্য পরিবর্তন , মাহালি সমাজের পুর্ব স্বর্ণময় মহুর্ত ফিরিয়ে আনার প্রথম সোপান হতে পারে ।
সুমন্ত হেমরম
মজলিশবাগ গ্রামের কথা এর আগে বিভিন্ন সংবাদপ্তর মার্ফত জেনে ছিলাম তবে ,এই গ্রামে প্রবেশ করার আগ মহুর্তে আমার কোন প্রকার ধারনায় ছিল না এই গ্রামের প্রকৃত নাম কি ? আমি এই গ্রামটিকে কানাইপুর নামেই চিনতাম । খুব শিঘ্রই সেই ভুলটা ভেঙ্গে গেল যখন বাঁশের শিল্পিদের সাথে কথা বলে জানলাম এই গ্রামের আরেকটি নাম মজলিশবাগ । আমি যেহেতু নিজেও একজন মাহালি তাই এখানকার লোকেদের সাথে মিশে যেতে সময় লাগলো না , বরং একটা আনন্দই অনুভব হচ্ছিল । আর সেই আনন্দটি ছিল নিজেদের লোকেদের সাথে কথা বলার । তাদের সাথে কথা বলার বিষয় বস্তুটিই ছিল বাঁশের শিল্পকর্মের উপরে । তাদের কাছে যা জানলাম তা আমার ধারনার বাইরে । পরিবর্তিত শিল্পকর্মটিকে গ্রহন করার পর তাদের ব্যাস্ততার কোন শেষ নেই , অর্ডারের উপর অর্ডার আসতেই থাকে ৫০০- ৬০০ পিস মালের , তাছাড়াও মেলার বাজার তো রয়েছেই । সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অনেকেই এখন অন্য লোকেদের বেতন ভিত্তিক প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন । আমার বলা সেই কথাটি এই প্রসঙ্গে সম্পুর্ন প্রজোয্য , মাহালি সমাজের শিল্পকর্মের একটি সামান্য পরিবর্তন , মাহালি সমাজের পুর্ব স্বর্ণময় মহুর্ত ফিরিয়ে আনার প্রথম সোপান হতে পারে ।
সুমন্ত হেমরম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন