History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

মালদার আদিনা ডিয়ার পার্ক ফরেষ্ট কেন পিকনিকের জন্য যাবেন ? Adina deer park Malda forest .


শীতের মরশুর মানেই পিকনিকের মরশুম ডিসেম্বর মাস পরার সাথে সাথে সকলে তাদের প্লান তৈরী করে এ বছর কে কোথাও যাবে - প্রতি বছরি  আমি আর আমার পরিচিতরা প্লান করি পিকনিকের যাবার ,কিন্তুু প্রত্যেক বারি শেষ বেলায় সেই প্রোগ্রামটা বাতিল হয়ে যায় ,কোন না কোন কারণে তাই এবার কোন আগাম প্লান না করেই ছুট ,,গৌন্তব্য আদিনা ডিয়ার পার্ক,, ।
ইতি মধ্যে আপনারা  যদি প্লান করেই  ফেলেই যে  আপনারাও এই পিকনিকের  গৌন্তব্য হিসাবে আদিনা যাবেন  আর সেখানে  গিয়ে আপনি  কি করবেন আর এই ডিয়ার পার্ক মনোরঞ্জন করি বা কি  ববস্তা  আছে  তার আগাম  জানরারি  আমি দিচ্ছি ,,
তো চলুন শুরু করা যাক - উওরবঙ্গে যতগুলি টুরিষ্ট প্লেস রয়েছে তার মধ্য এটি অন্যতম ,তাই  প্রত্যেক বছর , বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে এই ডিয়ার পার্কে উপচে পরে ভিড় ।এই পার্কের মূল আকর্ষনটিই হল চিতল হরিণ । তবে যেহেতু আমি আপনাদের গাইডের দায়িত্ব নিয়েছি তাই আপনাদের আমি বাড়তি তথ্যও দিব , যাতে করে আদিনা ঘুরতে গিয়ে আপনারা সেগুলো মিস না করেন ।
চিতল হরিণ ,হরিণ ,হরিন ,
চিতল হরিণ

আদিনা ফরেষ্টের বিষয়ে কিছু কথা
আদিনা ডিয়ার ফরেষ্ট পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার গাজোল থানার অন্তর্গত , পরিবেশ বান্ধব ও ক্ষুদ্ৰ আকারে চিতল হরিণ সংরক্ষন ও প্রজননের জন্য একটি পার্ক , যেটি ১৯৮২ সালে তৈরি হয়েছিল । বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারে চিড়িয়াখানা দপ্তর এটিকে ছোট চিড়িয়াখানা হিসাবে আখ্যা দিয়েছে । মালদা থেকে প্রায় ২১ কিমি পুর্বে আর গাজোল থেকে প্রায় ৭ কিমি পশ্চিমে আদিনা ষ্টপেজ । সেখান থেকে দক্ষিনে প্রায় ১ কিমি দুরে রয়েছে । এই পার্কে যে শুধু হরিনই রয়েছে এমনটি নই ,তার পাশাপাশি রয়েছে নিল গাই , বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি , বিভিন্ন প্রজাতির গাছ , শিশুদের জন্য খেলার পার্ক , দুটি পুকুর এবং আরো কয়েকটি জিনিস যেটি ছড়িয়ে রয়েছে  মোটামুটিভাবে ১০০ হেক্টর জমির উপর ।
চিতল হরিণ
প্রথমে বলি চিতল হরিণের বিষয়ে । চিতল হরিণের বিজ্ঞানসম্মত নাম এক্সিস এক্সিস  । চিতল হরিণের বিশেষ বৈশিষ্ঠই হল এর শরিরে থাকা ছোপ আযারে দাগ । শরিরের এই দাগ বা চিত্রের জন্যই এই প্রজাতির হরিণকে চিতল হরিণ বলা হয় । এই হরিণটিকে মূলত বাংলাদেশ, নেপাল , শ্রীলংকা, ভূটান, পাকিস্তান, এছাড়া ভারতেও পাওয়া যায় । চিতল হরিণ বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায় প্রানির মধ্যে পরে ।
নিল গাই
নিল গাই বা ব্লু বুল প্রায় ঘোড়া ও গোরুর মাাঝামাঝি দেখতে এক প্রাণি । যার  বিজ্ঞানসম্মত নাম - বোসেলাফাস ট্রাগোকামেলাস । শান্ত স্বভাবের এই প্রানিটি তৃনভোজি প্রানি শ্রেনিতে পরে । এই প্রানিটি ভারত তথা পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই পাওয়া যায় । 
Blue bull, nil gai, নিল গাই, নীল গাই ,
নিল গাই

আদিনা পার্কে যাবেন কেন
টিকিট কাটার পরে বাইক নিয়ে ফরেষ্টে প্রবেশ করার কিছুক্ষন পরেই আপনার বাঁ হাতে পরবে একটি বিশাল পুকুর , এই পুকুরটির নাম পরানপুকুর । এই পুকুরে বিচরন করে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি , যার কয়েকটির বিজ্ঞানসম্মত নাম প্রিন্সিয়া ,ওরিয়ল ইত্যাদি । তাছাড়া এখানকার আশেপাশের এলাকাই রয়েছে আদিনা মসজিদ , গোল গোম্বুজ , ছোটসোনা মসজিদ ।
 পাখি প্রদর্শনের খাঁচা
মূল গৌন্তব্যস্থলে পৌছল্ সবার আগে আপনাদের চোখে পরবে বিশাল একটি পাখির খাঁচা ,যেটি দর্শনার্থিদের আকর্ষনের জন্য বানানো হয়েছে । যেই খাঁচায় রয়েছে - অষ্ট্রেলিয়ান কাকাতুয়া , ককাটেল , চাইনিজ গোল্ডেন ফিজিন্ট ও চাইনিজ সিলভার ফেজেন্ট ।
এই পাখির খাঁচা পার করলেই পরবে বাচ্চাদের খেলার জন্য বানানো পার্কটি । আপনি যদি শিতের সময় এই পার্কে যান তবে এই সময় আদিনা ডিয়ার ফরেষ্টের উচুঁ উচুঁ গাছের শাখায় পরযায়ি পাখি এশিয়ান ওপেনবিল বা শামুখখোল পাখিদের দেখতে পাবেন । যারা নিজ নিজ বাসায় বিচরন করছে ।
আপনারা যদি এবার আদিনা ডিয়ার পার্কে বনভোজন বা পিকনিকের জন্য  যেতে চান , তবে পিকনিকের জন্য বিশাল এলাকা পিকনিকের জন্য রয়েছে , যেখানে আপনারা বন্য পরিবেশে বনভোজনের আনন্দ নিতে পারেন ।

ও হ্যাঁ ! একটা কথাতো আপনাদের জানাতে ভুলেই গেছিলাম । সেটি হল আপনারা যদি আদিনা ডিয়ার পার্কে যান ,তবে তার পাশে অবস্থিত প্রত্নতান্ত্রিক নিদর্শন " হামাম খানা" টি দেখতে ভুলবেন না যেন । এই হামাম খানাটিকে স্থানীয় লোকেরা  " লুকোচুরি" ঘর বলে থাকে । যেটি ঠিক পিকনিক স্পটের ডান দিকেই রয়েছে ।

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন