History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

CHRISTIAN বা খ্রীষ্টান শব্দের অর্থ ও তার উৎপত্তির ইতিহাস ।


CHIRISTIAN বা বাংলায় খ্রীষ্টান । এই খ্রীষ্টান শব্দ বিষয়ে কম বেশি সকলেই বেশ পরিচীত । কিন্তু এই শব্দের অর্থ কি বা এই শব্দটি কোথাই থেকে এসেছে, সে বিশয়ে অনেকেই কিছুই জানে না , এমন কি আপনি যদি একজন খ্রীষ্টভক্তকেও এই শব্দের বিষয়ে জানতে চান তবে তারা এর বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবে না ।
বাইবেলে এই খ্রীষ্টান শব্দটি বাইবেলের "শিষ্যচরিত " এর ১১ অধ্যায়ের ২৬ অনুচ্ছেদে প্রথম বলা হয়েছে ।
***সেখানে শৌলের দেখা পেয়ে তিনি তাঁকে আন্তিয়খিয়াতে নিয়ে এলেন৷ তাঁরা সম্পূর্ণ এক বছর বিশ্বাসী সমাবেশে থেকে বহু লোককে শিক্ষা দিলেন৷ আন্তিয়খিয়াতেই অনুগামীরা প্রথম ‘খ্রীষ্টীয়ান’ নামে অভিহিত হলেন৷ ***
এছাড়াও এই শব্দটি বাইবেলের পিতর ১ম  লিখিত মঙ্গল সমাচারের ৪ অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ১৬ তেও বলা হয়েছে , এই ভাবে বাইবেলের তিনটি অনুচ্ছেদে খ্রীষ্টান শব্দটি বলা হয়েছে ।
বাইবেল,পবিত্র বাইবেল,
খ্রীষ্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেল
# CHRISTIAN বা খ্রীষ্টান শব্দের অর্থ
CHIRISTIAN বা খ্রীষ্টান পৃথিবীর সবথেকে বেশি দেশের মান্যতা প্রাপ্ত ধর্মের নাম । যারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আদর্শ বানি গুলোকে অনুসরণ করে তাদের জীবন অতিবাহিত করে । অর্থাৎ প্রভু যীশুখ্রীষ্টের দ্বারা প্রচারিত ধর্ম যারা পালন করে তাদের এক কথায় খ্রীষ্টান বলে । যাদের পবত্র ধর্মগ্রন্থের নাম "বাইবেল " । আর বাইবেল ও বাইবেলের অজানা তথ্য  নিয়ে আমি আগেও আলোচনা করেছি । তবে আজকের বিষয়টি আলাদা ।
উপরিউক্ত যা আপনি জানলেন তা ছিল সাধারন একটি ধারনা মাত্র , বাস্তবিক ভাবে CHRISTIAN শব্দের কয়েকটি বিশেষ অন্তর্নিহীত অর্থ রয়েছে । আর সেই অর্থ গুলির সঠিক বিশ্লেষন করতে হলে ,এই খ্রীষ্টান শব্দের উৎপত্তির ইতিহাস সম্পর্কে আপনাকে কিছুটা অবগত হতে হবে । আর সেই তথ্যগুলো রয়েছে পবিত্র বাইবেলের নতুম নিয়মের প্রেরিত  বা শিষ্যচরিতে ।
Christian শব্দটি মূলত দুটি গ্রীক শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে ,যার প্রথমটি
"CHRIST" যার বাংলা অর্থ হল ক্রোশ , এবং দ্বিতীয়টি হল "IANOUS" যার বাংলা অর্থ অনুসরণ করা । এই দুটি শব্দ একত্রিত হয়ে তৈরি করে "CHRISTIANOUS " শব্দটি , যেটির মূল অর্থ দাড়াই "যারা ক্রুশকে অনুসরন করে ।"
আবার একই ভাবে লাটিন শব্দে এই শব্দটিকে বলা হয় "CHISTIANUS " , যে শব্দটিকে লাটিন শব্দ আকারে সন্ধি- বিচ্ছেদ ঘটালে , যে দুটি পৃথক শব্দ দাড়াই সেগুলির অর্থ আরো প্রভাবশালি ও বিশ্লেষনাত্মক । লাটিন শব্দ "CHRIST "  বা খ্রীষ্ট , আর "IANUS" যার বাংলা অর্থ গ্রহন করা , কারো উপরে নিয়ন্ত্রন বা ভড় করা , অথবা ভেতর থেকে দখল করা , অর্থাৎ লাটিন ভাষা অনুযায়ী CHRISTIAN শব্দের অর্থ হল "যার মধ্যে খ্রীষ্ট রয়েছে । আপনারা যদি একটু ভালো করে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে গ্রীক ও লাটিন দুটি শব্দ প্রায় একি রকম তবুও ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করছে । তবে মান্যতা অনুযায়ী খ্রীষ্টান শব্দের অর্থ - যারা ক্রুশকে অনুসরন করে ।
খ্রীষ্টান,খ্রীষ্ট,খ্রীষ্ট ধর্ম,
খ্রীষ্টধর্ম ও খ্রীষ্টান

# খ্রীষ্টান শব্দের উৎপত্তি
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গরোহনের আগে প্রযন্ত এই শব্দটির উৎপত্তি হয়নি , কেননা
প্রভু যীশুর স্বর্গরোহনের পর এই খ্রীষ্টান শব্দটি একটি তিরষ্কার মূলক হিসাবে উৎপন্ন হয়েছিল । তাই এই শব্দটি উৎপত্তি হবার ঘটনাটি যতটা সহজ ও যতটা ছোট আকারে বলা যায় তার অফুরন্ত চেষ্টা করবো ।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থান করার পর , তিনি তার বারো জন প্রেরিত বা  শিষ্যদের আদেশ দেন , তারা যেন তার আদর্শ ও বানি গোটা বিশ্বে প্রচার করে , যেই শিষ্যগুলোর নাম পাওয়া যায় মথি লিখিত মঙ্গল সমাচারের ১০ অধ্যায়ের ২ - ৪ অনুচ্ছেদে ,সেই বারোজন শিষ্য বা প্রেরিতের নাম  হল  - ১ শিমোন বা পিতর বলা হয়, ২ আন্দ্রিয় , ৩ যাকোব , ৪ যোহন, ৫ ফিলিপ, ৬ মথি ,৭ বার্থলময়; ৮ থোমা , ৯ যাকোব, ১০ থদ্দেয়, ১১ শিমোন এবং ১২ ইস্কারিয়োৎ।”
এই বারোজন শিষ্যর মধ্যে পিতর ছিলেন বয়সজ্যেষ্ঠ্য , আর সেই হিসেবে সমস্ত প্রেরিতদের নিয়ন্ত্রন আর খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের মূল দায়িত্ব এসে পরে পিতরের উপর । প্রথম প্রথম প্রভু যীশুর প্রেরিতরা শুধুমাত্র ইজরায়েলীয়দের আর উচ্চ জাতির লোকেদের খ্রীষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করতেন । আর এই বারো জন শিষ্যদেরকে অন্যজাতি ও ধর্মের লোকেরা "খ্রীষ্টান " বলে বিদ্রুপ করতো । আর এই প্রসঙ্গে বাইবেল বলে পিতর ১ লিখিত ৪ অধ্যায়ের ১৬ অনুচ্ছেদে ***কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টীয়ান বলে দুঃখভোগ করে, তবে সে যেন লজ্জা না পায়, কিন্তু তার সেই নাম (খ্রীষ্টীয়ান) আছে বলে সে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক৷***
যাই হোক খ্রীষ্টধর্ম প্রচার পেতে তেমন সময় লাগেনি , উচ্চ বংশিয় মানুষ ছাড়াও খ্রীষ্ট ধর্ম কিছু রাজাও গ্রহন করেছিলেন , যাদের খ্রীষ্টান বলে ডাকা হত,  যাদের মধ্য একজন ছিলেন হেলিওডোরাস । কিন্তু তখনপ্রযন্ত এই খ্রীষ্ট ধর্ম নিচু সম্প্রদায়ের মানুষদের দিক্ষিত করা শুরু হয়নি , কেননা পিতর মনে করেছিলেন এই ধর্ম শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেনিদের জন্য । পরবর্তীকালে অনেক নিম্নবিত্তের লোকেরা পিতরের কাছে খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহনের উদ্দেশ্য আসলেও পিতর তাদের খ্রীষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করতেন না । ঠিক এই সময়ই পিতর তার ঘরে থাকা কালিন ঈশ্বরের স্বর্গীয় বানি শুনতে পান । যেখানে ঈশ্বর পিতরকে আহ্বান করেন আর বলেন পিতর যেন তাদেরকে তার কাছে আসতে দেন , কেননা তারাও ঈশ্বরের সন্তান । তারপর থেকে সকল প্রেরিতরা সকল জাতির লোকেদের খ্রীষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করতে শুরু করেন ।
যার ফলে শীঘ্র খ্রীষ্টধর্ম সকল প্রদেশে ছড়িয়ে যেতে শুরু করে , যারা নিজেদের "খ্রীষ্টান " হিসাবে অভিহিত করতে শুরু করে । এই ভাবে " খ্রীষ্টান"  শব্দটি একটি বিদ্রুপ কারি শব্দ থেকে ক্রমে একটি বিশেষ ধর্মের নামে পরিচয় লাভ করে ।
সবশেষে আমি যেটা বলতে চাই ,যদি কেও আমাকে প্রশ্ন করে খ্রীষ্ট ধর্ম বলতে আমি কি বুজি ,তাহলে আমার উত্তর হবে খ্রীষ্ট ধর্ম আমার কাছে গর্ব আর গর্বের কারন । তাই এই বিষয়ে আমি বাইবেলের একটি উদ্ধৃতি দিতে চাই ,যেটি রয়েছে , পিতর১ এর ৪ অধ্যায়ের ১৪ অনুচ্ছেদে -
*** তোমরা খ্রীষ্টানুসারী হয়েছ বলে কেউ যদি তোমাদের অপমান করে, তবে তোমরা ধন্য, কারণ ঈশ্বরের মহিমার আত্মা তোমাদের মধ্যে বিরাজ করছে৷***
তবে এর সাথে আরেকটি কথাও বলতে চাই ,খ্রীষ্ট ধর্ম গর্বের কারন ,কিন্তু কোন অন্য ধর্মকে ছোট করে নই । ঈশ্বরের আশিষ শুধু  আমাদের উপর নই তাদের উপরেও বর্ষিত হোক । ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক ।

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন