আমরা জীবনে একবার হলেও এমন একটি দ্বীপের কথা চিন্তা করি যেটা এখনো মানুষের কাছে অজানা ও রহস্যজনক । আর এই বিষয়টিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলের কোন অভাব নেই , ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক চলচিত্র মাধ্যম হলিয়ুড এই বিষয়টিকে নিয়ে অনেকগুলো ফিল্ম বানিয়েছে । যেগুলো চলচিত্র জগৎে বেশ সুনাম কামিয়েছে, যেমন- ইন্ডিয়ানা জোনস্ , কিং-কং, জার্নি টু দা মিষ্টিরিয়াস আইল্যান্ড , গুলিভার ট্রাভেল্স আরো প্রচুর ।
মানুষের মধ্যে বরাবরি অজানা না কে জানার প্রবনতা প্রথম থেকেই রয়েছে , তাই এমন রহস্যময় দ্বীপ যদি আদতে হয়ে থাকে তবে তার রহস্যভেদ ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া উচিত সেটা হয়তো অনেকেই মনে করছেন । কিন্তু এটা সম্পুর্নভাবে সঠিক নয় । আদতে এখনো পৃথিবীর বুকে এমন কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে যেগুলোর এখনো রহস্যভেদ হয়নি । আর এমনি একটি রহস্যজনক দ্বীপ রয়েছে আমাদের ভারতে । যেটি পরিচীত উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপ হিসাবে ।
মানুষের মধ্যে বরাবরি অজানা না কে জানার প্রবনতা প্রথম থেকেই রয়েছে , তাই এমন রহস্যময় দ্বীপ যদি আদতে হয়ে থাকে তবে তার রহস্যভেদ ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া উচিত সেটা হয়তো অনেকেই মনে করছেন । কিন্তু এটা সম্পুর্নভাবে সঠিক নয় । আদতে এখনো পৃথিবীর বুকে এমন কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে যেগুলোর এখনো রহস্যভেদ হয়নি । আর এমনি একটি রহস্যজনক দ্বীপ রয়েছে আমাদের ভারতে । যেটি পরিচীত উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপ হিসাবে ।
উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপ |
উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপের কিছু সাধারন তথ্য |
ভৌগলিক অবস্থান
বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত আন্দাবার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত । যার মধ্যে দুটি দ্বীপ উত্তর সেন্টিনাল নামে পরিচীত । যদিও এই দ্বীপটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ , কিন্তু তবুও এখনো পর্যন্ত এখানে কোন প্রকার তার প্রভাব পরেনি । এই দ্বীপটি সম্পুর্নভাবে জলদ্বারা বেষ্টিত আর এই দ্বীপটি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্যভাগের পশ্চিমে রয়েছে যার আয়তন লম্বায় প্রায় ৭.৫ আর প্রস্থ প্রায় ৭ রয়েছে । যার তটরেখা প্রায় ৩২ কি. মি এর কাছাকাছি । যদিও এই দ্বীপটি জেলা হিসাবে দক্ষিন আন্দামানের অভ্যন্তরে পরে তবুও এই দ্বীপটি স্বাধীন ।
এখানকার জনজাতি ও জিবীকা
ভারতে বিভিন্ন রকমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক বাস করে , যেমন - সাঁওতাল, মাহালি, হো, মুন্ডা প্রভৃতি ,কিন্তু রহস্যময় দ্বীপ হিসাবে এখানকার জনজাতিদের জাতিগত পরিচয় এখনো অজানা । তবে অনেক বিঙ্গানীদের মতে এরা দক্ষিণ এশীয় জনজাতীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে । সেন্টিনেলী হিসাবে পরিচীত এই জনজাতির ভাষা , ধর্ম, ও জীবিকা বিষয়ে তেমন কোন কিছুই জানা যায় না ,তবে স্যাটেলাইট দ্বারা গ্রহন করা চিত্রের মাধ্যমে এই দ্বীপে চাষবাসের কোনো প্রকার চিহ্ন খুজেঁ পাওয়া যাই নি । যার থেকে মনে করা হয় এই জনজাতির লোকেরা কৃষিকাজের পরিবর্তে এখনো সমুদ্রের মাছ ধরা ও শিকার করাকেই তাদের জীবিকা হিসাবে ধরে রেখেছে । এছাড়াও এটাও মনে করা হয় এই সেন্টিনেলীরা লতাপাতা ও ফলমূলো খাবার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে ।
ভারত সরকারের প্রচেষ্টা
ভারত ভূ-খন্ডের অংশ হিসাবে ভারত সরকার অনেকবারি এই জনজাতিকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু এই হিংস্র জনজাতির হিংস্রতায় সেটা এখনো সম্ভবপর হয়নি । এই দ্বীপের অধিবাসিরা এতটাই আক্রমনাত্মক যে ,দ্বীপের আশেপাশে কেউ এলে তাদের তীর দিয়ে মেরে ফেলে দেয় । ভারত সরকারের চেষ্টায় ১৯৬৭ সালের পর থেকে সেন্টিনেলদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল , যার মধ্যে খাদ্যবস্তু নারকেল ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করা , কিন্তু সবগুলোই বিফলে গিয়েছে । শুধুমাত্র সরকারিভাবেই যে এমন প্রচেষ্টা করা হয়েছিল এমনটি নই , এছাড়াও অনেক বেসরকারি সংগঠন এই জনজাতীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার বহু প্রচেষ্টা করেছে।
বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত আন্দাবার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত । যার মধ্যে দুটি দ্বীপ উত্তর সেন্টিনাল নামে পরিচীত । যদিও এই দ্বীপটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ , কিন্তু তবুও এখনো পর্যন্ত এখানে কোন প্রকার তার প্রভাব পরেনি । এই দ্বীপটি সম্পুর্নভাবে জলদ্বারা বেষ্টিত আর এই দ্বীপটি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্যভাগের পশ্চিমে রয়েছে যার আয়তন লম্বায় প্রায় ৭.৫ আর প্রস্থ প্রায় ৭ রয়েছে । যার তটরেখা প্রায় ৩২ কি. মি এর কাছাকাছি । যদিও এই দ্বীপটি জেলা হিসাবে দক্ষিন আন্দামানের অভ্যন্তরে পরে তবুও এই দ্বীপটি স্বাধীন ।
এখানকার জনজাতি ও জিবীকা
ভারতে বিভিন্ন রকমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক বাস করে , যেমন - সাঁওতাল, মাহালি, হো, মুন্ডা প্রভৃতি ,কিন্তু রহস্যময় দ্বীপ হিসাবে এখানকার জনজাতিদের জাতিগত পরিচয় এখনো অজানা । তবে অনেক বিঙ্গানীদের মতে এরা দক্ষিণ এশীয় জনজাতীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে । সেন্টিনেলী হিসাবে পরিচীত এই জনজাতির ভাষা , ধর্ম, ও জীবিকা বিষয়ে তেমন কোন কিছুই জানা যায় না ,তবে স্যাটেলাইট দ্বারা গ্রহন করা চিত্রের মাধ্যমে এই দ্বীপে চাষবাসের কোনো প্রকার চিহ্ন খুজেঁ পাওয়া যাই নি । যার থেকে মনে করা হয় এই জনজাতির লোকেরা কৃষিকাজের পরিবর্তে এখনো সমুদ্রের মাছ ধরা ও শিকার করাকেই তাদের জীবিকা হিসাবে ধরে রেখেছে । এছাড়াও এটাও মনে করা হয় এই সেন্টিনেলীরা লতাপাতা ও ফলমূলো খাবার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে ।
ভারত সরকারের প্রচেষ্টা
ভারত ভূ-খন্ডের অংশ হিসাবে ভারত সরকার অনেকবারি এই জনজাতিকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু এই হিংস্র জনজাতির হিংস্রতায় সেটা এখনো সম্ভবপর হয়নি । এই দ্বীপের অধিবাসিরা এতটাই আক্রমনাত্মক যে ,দ্বীপের আশেপাশে কেউ এলে তাদের তীর দিয়ে মেরে ফেলে দেয় । ভারত সরকারের চেষ্টায় ১৯৬৭ সালের পর থেকে সেন্টিনেলদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল , যার মধ্যে খাদ্যবস্তু নারকেল ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করা , কিন্তু সবগুলোই বিফলে গিয়েছে । শুধুমাত্র সরকারিভাবেই যে এমন প্রচেষ্টা করা হয়েছিল এমনটি নই , এছাড়াও অনেক বেসরকারি সংগঠন এই জনজাতীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার বহু প্রচেষ্টা করেছে।
তির দিয়ে আক্রমন |
এই প্রসঙ্গে আরেকটি জিনিস জানিয়ে রাখা ভালো ২০০৪ সালে আসা সুনামিতে আন্দামান নিকোবোর দ্বীপপুঞ্জের ব্যাপক ক্ষতি হয় ,যেহেতু এই সেন্টিনাল দ্বীপটি আন্দামানে অবস্থিত আর ভারতীয় ভূখন্ডেরি একটি অংশ তাই ভারত সরকার এই দ্বীপটির বিষয়ে চিন্তীত ছিলেন ,এবং এই মহুর্তেও ভারত সরকার তার অভিযান এই দ্বীপে পাঠান ,কিন্তু এটিও তেমন ফলপ্রসু ছিল না ।
রহস্যপুর্ন দ্বীপ হওয়ার পিছনে কারন ।
উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপ রহস্যপুর্ন হওয়ার পিছনে মুল কারনই হল এই সেন্টিনালীদের স্বভাব , যার ফলে এই দ্বীপের ধারে পাশে যাওয়াও প্রায় আসম্ভব । মনে করা হয় এখানকার অধিবাসীরা পস্তর যুগের ন্যায় এখনো জীবন যাপন করে চলেছে , এরা যে আগুনের ব্যবহার জানেনা তার প্রমানো পাওয়া গেছে । এরা দেখতে কেমন, এদের ভাষা বা কি, এদের আচার আচরনি বা কেমন ,এদের ধর্মই বা কি সেটা এখনো অজানায় থেকে গেছে । এই জাতির হিংস্রতার উদাহরণ স্বরুপ , একবার দুজন জেলে মাছ শিকারে বেড়োলে ভুল বশতঃ তারা এই দ্বীপের কাছে এসে পরলে , এখানকার বাসিন্দারা তাদের তীর দিয়ে মেরে ফেলে আর সৈকতের বালি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে ,পরে সেই মরদেহ গুলো হেলিকপ্টারের দ্বারা উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলে এই সেন্টিনালিরা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করেও তির ছুড়তে থাকে । শুধু তাই নই এই দ্বীপের উপর দিয়ে যাওয়া যে কোনো যান কে এরা তির দিয়ে আক্রমন করে থাকে । বেসরকারি ভাবে একবার একজন খ্রীষ্টান পাদরি খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের জন্য এই দ্বীপে গেলে সেই পাদরি এল্যান কেউ এরা মেরে ফেলে ।
এই সমস্ত কারনের জন্য বর্তমানে ভারত সরকার এই দ্বীপের উপর দিয়ে যেকোনো উড়োজাহাজ ও এই দ্বীপে প্রবেশের উপর বাধা নিষেধ আড়োপ করেছে ,এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বিচ্ছিন্ন এই জনজাতির মধ্যে বাইরে থেকে কোন প্রকার সংক্রমন না প্রবেশ করে এই স্থানে প্রবেশের নিষেধ রয়েছে ।
রহস্যপুর্ন দ্বীপ হওয়ার পিছনে কারন ।
উত্তর সেন্টিনাল দ্বীপ রহস্যপুর্ন হওয়ার পিছনে মুল কারনই হল এই সেন্টিনালীদের স্বভাব , যার ফলে এই দ্বীপের ধারে পাশে যাওয়াও প্রায় আসম্ভব । মনে করা হয় এখানকার অধিবাসীরা পস্তর যুগের ন্যায় এখনো জীবন যাপন করে চলেছে , এরা যে আগুনের ব্যবহার জানেনা তার প্রমানো পাওয়া গেছে । এরা দেখতে কেমন, এদের ভাষা বা কি, এদের আচার আচরনি বা কেমন ,এদের ধর্মই বা কি সেটা এখনো অজানায় থেকে গেছে । এই জাতির হিংস্রতার উদাহরণ স্বরুপ , একবার দুজন জেলে মাছ শিকারে বেড়োলে ভুল বশতঃ তারা এই দ্বীপের কাছে এসে পরলে , এখানকার বাসিন্দারা তাদের তীর দিয়ে মেরে ফেলে আর সৈকতের বালি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে ,পরে সেই মরদেহ গুলো হেলিকপ্টারের দ্বারা উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলে এই সেন্টিনালিরা হেলিকপ্টার লক্ষ্য করেও তির ছুড়তে থাকে । শুধু তাই নই এই দ্বীপের উপর দিয়ে যাওয়া যে কোনো যান কে এরা তির দিয়ে আক্রমন করে থাকে । বেসরকারি ভাবে একবার একজন খ্রীষ্টান পাদরি খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের জন্য এই দ্বীপে গেলে সেই পাদরি এল্যান কেউ এরা মেরে ফেলে ।
এই সমস্ত কারনের জন্য বর্তমানে ভারত সরকার এই দ্বীপের উপর দিয়ে যেকোনো উড়োজাহাজ ও এই দ্বীপে প্রবেশের উপর বাধা নিষেধ আড়োপ করেছে ,এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বিচ্ছিন্ন এই জনজাতির মধ্যে বাইরে থেকে কোন প্রকার সংক্রমন না প্রবেশ করে এই স্থানে প্রবেশের নিষেধ রয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন