History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

ভারতীয় আদিবাসি ও তাদের বর্তমানে যা প্রয়োজন । INDIAN TRIBE NEEDS ORGANISATION ।।


ছোট বেলাই একটি গল্প পরেছিলাম , যার সারাংশ ছিল " একতাই বল " । কিন্তু সেটা বোধ হয় ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো সেই বিষয়ে তিমিরেই রয়েছে । আমাদের ভারতের শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২৭ প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় যেমন - মেচিয়া ,মালপাহাড়ী, বেদে,মুন্ডা, উড়াঁও, মাহালি, হো, মালো, সাঁওতাল ইত্যাদি ।
প্রত্যেক আদিবাসি সম্প্রদায়  আজ চরম সংকটের দেড়গোড়াই রয়েছে । তার কারন বিশ্লেষন করলে যেটা কারন দ্বারাই তার সংক্ষিপ্তসার হল - দেশ তো প্রথম থেকেই আদিবাসিদের ছিল ,কিন্তু বর্তমানে রাজকার্যের একাংশো ও আদিবাসিদের কাছে নেই । 
আদিবাসি, আদিবাসি নাচ,আদিবাসি গান,
আদিবাসি মহিলা নৃত্য
যার ফলে আজ আদিবাসি সম্প্রদায়েরা কিছুটা হলেও কোন ঠাসা । কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ে আসা NRC গোটা ভারতে চালু করার লক্ষ্য CAA বা CITIZENSHIP AMENDMENT ACT বিল আইনে পরিনত হয়েছে  ।
সরকার বাহাদুর কি করছেন বা তাদের ইচ্ছাটাই বা কি সেটা নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না । যেটা নিয়ে বলার আছে সেটা হল - সরকার বাহাদুরেরর এটা বোঝা উচিত যে এই দেশের যদি প্রকৃত অধিবাসি যদি কেউ হয়ে থাকে তবে তারা হল আদিবাসি সম্প্রদায়ের লোকেরা । তাই তাদের আবার কিসের ভারতীয় হবার প্রমান । তারাতো প্রথম থেকেই ভারতীয় ভূ- খন্ডের বাসিন্দা ,এই দেশ তো তাদেরি ।
ভারতীয় আদিবাসিরা খুবই সহজ সরল প্রকৃতির । বর্তমানে ভারতে আদিবাসিদের জনসংখ্যা প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি । কিন্তু এই সহজ মনের আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা আজ অবহেলিত হবার পেছনে প্রধান কারন হল  আদিবাসিদের  শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের অভাব ,যেটি আদিবাসিদের মূল ধারাই ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে । কিন্তু অসুবিধাটি হল আদিবাসিদের মানষিকতায় । 
ভারতীয়,ভারতীয় আদিবাসি,আদিবাসি,আদিবাসি মহিলা,ভারতীয় মহিলা,
পাহাড়িয়া আদিবাসি

ভারতের সবকটি রাজ্যে মিলে ,ভারতের মধ্যে প্রায় ৬৪৫ প্রকারের কাছাকাছি আদিবাসি সম্প্রদায় রয়েছে । যাদের ১৯৫২ সালের আইন  অনুযায়ী ভারতীয় আদিবাসির তকমা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু মজার বিষয় হল এত প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় হওয়া সত্ত্বেও ,এবং তার পাশাপাশি ১৯৫২ সালের একই প্রকার সুবিধা ভোগ করলেও , এই আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে তেমন কোন একতা নেই । প্রত্যেক ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে যে জিনিসটি কাজ করে সেটি হল শুধুমাত্র সরকারি সহযোগিতায় চাকরি পেয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে একটা সুন্দর জীবন - যাপন পরিচালনা করা । বাকি সবার কি পরিস্থিতী ,সেটা জানার সময় নেই কারো কাছে ।
যদিওবা কিছু ব্যাক্তি দৃষ্টান্ত মূলক কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছেন , কিন্তু সেটি শুধুমাত্র তার নিজেস্ব আদিবাসি সম্প্রদায়ের জন্য করে থাকেন । আর অন্যদিকে সেই সমস্ত আদিবাসিরা বেশি অগ্রসর,  যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অন্য সমস্থ আদিবাসি সম্প্রদায়ের থেকে বেশি । সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে  আত্মকেন্দ্রিক সংগঠন বানিয়ে শুধুমাত্র তাদের সম্প্রদায়ের সুবিধাগুলো প্রাপ্ত করার চেষ্টাই মেতে উঠেছে । যেটির একটি বিরুপ প্রতিক্রীয়া পরছে ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে । আজ হঠাৎ এই বিষয়টি তুলে ধরছি কেন ? কেননা কিছু কিছু নিতি , যার কয়েকটি আইনে পরিনত হয়েছে আর যার কিছু খসরা আইনে পরিনত হওয়ার মুখে । 
আদিবাসি,আদিবাসি নৃত্য,আদিবাসি পুরুষ,পুরুষ,পুরুষ নৃত্য,
আদিবাসি পুরুষদের নৃত্য
ইতিমধ্যে  মধ্যপ্রদেশে পাশ হওয়া নিয়ম অনুযায়ি ডাক্তারি ও ইন্জিনীয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার সংরক্ষন থাকবে না । জমি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রে  আদিবাসিদের দমিয়ে রাখার একটা ষড়যন্ত্র চলছে বল্লে ভুল হবে না । গোটা ভারতেই এখন সংরক্ষন বিরোধী শ্লোগানে ছেয়ে পরেছে । এমনাবস্থায় ভারতীয় সকল প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় কে এগিয়ে আসতে হবে , এবং আদিবাসি সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে হবে । শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপর ভিত্তী করে নই , সকল আদিবাসির যুক্তমন্ঞ্চ হিসাবে রাজনৈতিক সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে । যাতে এই ভূমিপুত্ররা তাদের এই ভূমিতেই পরাধিনতাই না ভোগে ।
***সুমন্ত হেমরম***




Sautal

মাহালি

WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন