ছোট বেলাই একটি গল্প পরেছিলাম , যার সারাংশ ছিল " একতাই বল " । কিন্তু সেটা বোধ হয় ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো সেই বিষয়ে তিমিরেই রয়েছে । আমাদের ভারতের শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২৭ প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় যেমন - মেচিয়া ,মালপাহাড়ী, বেদে,মুন্ডা, উড়াঁও, মাহালি, হো, মালো, সাঁওতাল ইত্যাদি ।
প্রত্যেক আদিবাসি সম্প্রদায় আজ চরম সংকটের দেড়গোড়াই রয়েছে । তার কারন বিশ্লেষন করলে যেটা কারন দ্বারাই তার সংক্ষিপ্তসার হল - দেশ তো প্রথম থেকেই আদিবাসিদের ছিল ,কিন্তু বর্তমানে রাজকার্যের একাংশো ও আদিবাসিদের কাছে নেই ।
প্রত্যেক আদিবাসি সম্প্রদায় আজ চরম সংকটের দেড়গোড়াই রয়েছে । তার কারন বিশ্লেষন করলে যেটা কারন দ্বারাই তার সংক্ষিপ্তসার হল - দেশ তো প্রথম থেকেই আদিবাসিদের ছিল ,কিন্তু বর্তমানে রাজকার্যের একাংশো ও আদিবাসিদের কাছে নেই ।
আদিবাসি মহিলা নৃত্য |
যার ফলে আজ আদিবাসি সম্প্রদায়েরা কিছুটা হলেও কোন ঠাসা । কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ে আসা NRC গোটা ভারতে চালু করার লক্ষ্য CAA বা CITIZENSHIP AMENDMENT ACT বিল আইনে পরিনত হয়েছে ।
সরকার বাহাদুর কি করছেন বা তাদের ইচ্ছাটাই বা কি সেটা নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না । যেটা নিয়ে বলার আছে সেটা হল - সরকার বাহাদুরেরর এটা বোঝা উচিত যে এই দেশের যদি প্রকৃত অধিবাসি যদি কেউ হয়ে থাকে তবে তারা হল আদিবাসি সম্প্রদায়ের লোকেরা । তাই তাদের আবার কিসের ভারতীয় হবার প্রমান । তারাতো প্রথম থেকেই ভারতীয় ভূ- খন্ডের বাসিন্দা ,এই দেশ তো তাদেরি ।
ভারতীয় আদিবাসিরা খুবই সহজ সরল প্রকৃতির । বর্তমানে ভারতে আদিবাসিদের জনসংখ্যা প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি । কিন্তু এই সহজ মনের আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা আজ অবহেলিত হবার পেছনে প্রধান কারন হল আদিবাসিদের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের অভাব ,যেটি আদিবাসিদের মূল ধারাই ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে । কিন্তু অসুবিধাটি হল আদিবাসিদের মানষিকতায় ।
সরকার বাহাদুর কি করছেন বা তাদের ইচ্ছাটাই বা কি সেটা নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না । যেটা নিয়ে বলার আছে সেটা হল - সরকার বাহাদুরেরর এটা বোঝা উচিত যে এই দেশের যদি প্রকৃত অধিবাসি যদি কেউ হয়ে থাকে তবে তারা হল আদিবাসি সম্প্রদায়ের লোকেরা । তাই তাদের আবার কিসের ভারতীয় হবার প্রমান । তারাতো প্রথম থেকেই ভারতীয় ভূ- খন্ডের বাসিন্দা ,এই দেশ তো তাদেরি ।
ভারতীয় আদিবাসিরা খুবই সহজ সরল প্রকৃতির । বর্তমানে ভারতে আদিবাসিদের জনসংখ্যা প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি । কিন্তু এই সহজ মনের আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা আজ অবহেলিত হবার পেছনে প্রধান কারন হল আদিবাসিদের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের অভাব ,যেটি আদিবাসিদের মূল ধারাই ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে । কিন্তু অসুবিধাটি হল আদিবাসিদের মানষিকতায় ।
পাহাড়িয়া আদিবাসি |
ভারতের সবকটি রাজ্যে মিলে ,ভারতের মধ্যে প্রায় ৬৪৫ প্রকারের কাছাকাছি আদিবাসি সম্প্রদায় রয়েছে । যাদের ১৯৫২ সালের আইন অনুযায়ী ভারতীয় আদিবাসির তকমা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু মজার বিষয় হল এত প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় হওয়া সত্ত্বেও ,এবং তার পাশাপাশি ১৯৫২ সালের একই প্রকার সুবিধা ভোগ করলেও , এই আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে তেমন কোন একতা নেই । প্রত্যেক ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে যে জিনিসটি কাজ করে সেটি হল শুধুমাত্র সরকারি সহযোগিতায় চাকরি পেয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে একটা সুন্দর জীবন - যাপন পরিচালনা করা । বাকি সবার কি পরিস্থিতী ,সেটা জানার সময় নেই কারো কাছে ।
যদিওবা কিছু ব্যাক্তি দৃষ্টান্ত মূলক কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছেন , কিন্তু সেটি শুধুমাত্র তার নিজেস্ব আদিবাসি সম্প্রদায়ের জন্য করে থাকেন । আর অন্যদিকে সেই সমস্ত আদিবাসিরা বেশি অগ্রসর, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অন্য সমস্থ আদিবাসি সম্প্রদায়ের থেকে বেশি । সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে আত্মকেন্দ্রিক সংগঠন বানিয়ে শুধুমাত্র তাদের সম্প্রদায়ের সুবিধাগুলো প্রাপ্ত করার চেষ্টাই মেতে উঠেছে । যেটির একটি বিরুপ প্রতিক্রীয়া পরছে ভারতীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের মধ্যে । আজ হঠাৎ এই বিষয়টি তুলে ধরছি কেন ? কেননা কিছু কিছু নিতি , যার কয়েকটি আইনে পরিনত হয়েছে আর যার কিছু খসরা আইনে পরিনত হওয়ার মুখে ।
আদিবাসি পুরুষদের নৃত্য |
ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে পাশ হওয়া নিয়ম অনুযায়ি ডাক্তারি ও ইন্জিনীয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার সংরক্ষন থাকবে না । জমি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রে আদিবাসিদের দমিয়ে রাখার একটা ষড়যন্ত্র চলছে বল্লে ভুল হবে না । গোটা ভারতেই এখন সংরক্ষন বিরোধী শ্লোগানে ছেয়ে পরেছে । এমনাবস্থায় ভারতীয় সকল প্রকার আদিবাসি সম্প্রদায় কে এগিয়ে আসতে হবে , এবং আদিবাসি সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে হবে । শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপর ভিত্তী করে নই , সকল আদিবাসির যুক্তমন্ঞ্চ হিসাবে রাজনৈতিক সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে । যাতে এই ভূমিপুত্ররা তাদের এই ভূমিতেই পরাধিনতাই না ভোগে ।
***সুমন্ত হেমরম***
***সুমন্ত হেমরম***
Sautal
মাহালি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন