গঙ্গারামপুরে অবস্থিত রাজীবপুর ক্যাথলিক মিশনে খুব আনন্দ অনুষ্ঠান ও সাঁওতালী নাচের সাথে বরন করা হল রায়গন্জ ক্যাথলিক খ্রীষ্ট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ ফুলজেন্স আলেসিয়ুস টিগ্গা মহাশয়কে। সেই আনন্দে আয়োজিত হল গির্জা প্রার্থনা ও তার শেষ বিভিন্ন নৃত্য অনুষ্ঠান। মুলত রায়গন্জ থেকেই মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে অবস্থিত বিভিন্ন খ্রীষ্ট ক্যাথলিক মিশন এলাকাগুলির ধর্মিও আচার অনুষ্ঠান এখান থেকে নিয়ন্ত্রীত করা হয়।
বিশপবাবা বরণ |
রায়গন্জের অদুরে অবস্থিত ছোটপোরুয়া এলাকায় রয়েছে বিশপ হাউস ও একটি আকর্ষনিয় গির্জা যেটি সাধু যোসেফ মহাগির্জা নামে পরিচিত। দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর ও মালদার ক্যাথলিক খ্রীষ্ট ধর্ম নিয়ন্ত্রীত করা হয় সেটিকে খ্রীষ্টীয় ভাষাই রায়গন্জ ধর্মপ্রদেশ বা RAIGANJ DAICISE ডাকা হয়।
রায়গন্জ ধর্মপ্রদেশের সৃষ্টি
পুর্বে এই সমস্ত স্থানের ক্যাথলিক খ্রীষ্ট ধর্ম নিয়ন্ত্রীত করা হত ঝাড়খণ্ডের দুমকা ধর্মপ্রদেশ থেকে কিন্তু পরবর্তী কালে দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, ও মালদার ক্যাথলিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসিদের সংখ্যা বাড়লে ,এছারাও দুমকা ধর্মপ্রদেশ থেকে এই সমস্ত স্থান সমূহের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ার ফলে স্থানিয় ধর্মপ্রদেশের প্রয়োজন পরলে, রায়গন্জ ছোটপোরুয়া এলাকায় রায়গন্জ ধর্মপ্রদেশ গড়ে তোলা হয় , যে ধর্মপ্রদেশের প্রথম বিশপ ছিলেন বিশপ লিও টিগ্গা (1978 - 1986) । বিশপ লিও টিগ্গার পরবর্তী বিশপ , বিশপ আলফোনস ডিসুজা 2016 সাথে প্রয়াত হলে, রায়গন্জ ক্যাথলিক খ্রীষ্ট ধর্মপ্রদেশে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশপ ফুলজেন্স আলেসিয়ুস টিগ্গা মহাশয়কে বিশপ পদে নিযুক্ত করা হয় (2018) ।
রায়গন্জ গির্জা |
বরণ অনুষ্ঠান
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশপ পরে যুক্ত হওয়া ফুলজেন্স আলেসিয়ুস টিগ্গা মহাশয় এই প্রথম বার গঙ্গারামপুর রাজীবপুর ক্যাথলিক মিশনে প্রদার্পন করায় রাজীবপুর ক্যাথলিক খ্রীষ্ট ধর্ম বিশ্বাসীরা সাঁওতাল নাচের মাধ্যমে সানন্দে তাদের নতুন বিশপ ফুলজেন্স আলেসিয়ুস টিগ্গা মহাশয়কে আনয়ন করার পর জল দিয়ে পা ধুয়ে তাকে বরন করা হয়। এই বরন অনুষ্ঠানের পর আয়োজিত হয়েছে গির্জা প্রার্থনা, ও এই প্রার্থনার মাঝে চলে কয়েকটি বিশেষ ধর্মিও অনুষ্ঠান যেমন - হস্তার্পন, প্রথম খ্রীস্ট প্রসাদ গ্রহণ ইত্যাদি। বর্তমান গঙ্গারামপুর রাজীবপুর ক্যাথলিক মিশনের ভার প্রাপ্ত ফাদার বাবলা মণ্ডল বলেন - তিনি খুশি, উনারা অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করছিলেন এই বরণঅনুষ্ঠান আয়োজন করার, কিন্তু সেটা সময়ের অভাবে সম্ভব হচ্ছিল না, অবশেষে সেটা সম্ভব হওয়াই তিনি খুশি। এই বরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ক্যাথলিক মিশন থেকে আসা মোট 8 জন ফাদার। এই গির্জা অনুষ্ঠানের পরেই চলে একটি ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন