History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

শিবপুরান এ বর্নিত ঊষাতিটি এর কাহিনী । দক্ষিন দিনাজপুর ও গঙ্গারামপুরের পৌরানিক যোগসুত্র ।


দক্ষিন দিনাজপুর অনেকগুলো পৌরানিক আশ্চর্যে ভরে রয়েছে । আজ দক্ষিন দিনাজপুর ইতিহাসের যে অংশ নিয়ে বলছি , সেই অংশটির বিষয়ে বলা হয়েছে মূলত হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ " শিবপুরান " এর " রুদ্রসংহিতা" ই ।
তবে সেই বিষয়টি আলোচনা করার আগে কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা যাক -
শিবপুরান, শিব পুরাণ, শিব পুরান, বিরুপাক্ষ মন্দির,
শিব পুরান এর বীরুপাক্ষ মন্দির

# বানগড়
"বানগড় " গঙ্গারামপুর তথা দক্ষিন দিনাজপুর জেলার অন্যতম আকর্ষন । যার বিবরণ হিন্দু পুরাণ গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ঐতিহাসিক পান্ডুলিপিতেও পাওয়া যায় ।ভিন্ন ভিন্ন সময়ের পার্থক্যে এই স্থানটিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়েছে । তবে স্থানিয় লোকেদের মতে এই স্থানটি শিবপুরানে বর্ণিত বানরাজার ধ্বংসাবশেষ । তবে বানগড়ের ঢিঁবির কথা সকলে জানলেও এই শিবপুরানের সাথে জড়িত আরেকটি ঢিঁবি যে রয়েছে সেটা সকলে তেমন যানে না । সেই ঢিঁবির নাম "ঊষাতিটি" বা ঊষারানির ঢিঁবি নামে বেশ পরিচীত ।
# অন্নান্য বিষয়
এই ঊষারানির ঢিঁবির বিষয়ে বলার আগে এই ঢিঁবির অন্নান্য বিষয় সমূহ জেনে নেওয়া যাক । এই ঢিঁবিটি গঙ্গারামপুরের যে স্থানে রয়েছে সেই স্থানের নাম দেবীপুর । এই এলাকার স্থানিয় আদিবাসিরা এই ঢিঁবিটিকে "চুটিয়া বুরু" বা ইন্দুর দ্বারা তৈরি পাহাড় হিসাবে উল্লেখ্য করে থাকে । আবার অন্যদিকে স্থানিয় অধিবাসিরা এই টিলাটিকে ঊষারানির ঢিঁবি বলে থাকে ।
# ঊষারানি কে ?
ঊষারানির বিষয়ে আপনাদের নিশ্চয় জানা আছে - আর যার নিদর্শন হিসাবে রয়েছে - ধোল দিঘী , ঊষা রানির কলা গাছ , ঊষাহরন রোড ইত্যাদি ইত্যাদি । যেগুলো নিয়ে আমি এর আগে বিস্তারিত আলোচনা আগেই  করেছি , তবুও আপনাদের সুবিধার্তে খুবি সংক্ষিপ্ত আকারে সেগুলো বলার চেষ্টা করছি ।
শিবপুরান মতে ঊষা ছিলেন অসুর রাজ বানের রুপবতি কন্যা । যার স্নানের জন্য ধোল দিঘি খনন করা হয়েছিল , এবং যার জন্য ঘটেছিল ভগবান শ্রীকৃষ্মের সাথে অসুর রাজ বানের যুদ্ধ ।
# শিবপুরানে সাথে ঊষাতিটির যোগসূত্ৰ
এবার সেই যুদ্ধ কেন ঘটেছিল সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক । হিন্দু পুরান মতে "দ্বাপর " যুগে বর্তমানের বানগড় ছিল অসুররাজ বানের রাজধানি । এই বানাসুর বা বানরাজ ছিলেন শিবের চরম উপাসক । একবার শিব বানরাজের তপস্যায় মুগ্ধ হয়ে বানরাজাকে হাজার হাতের বর দেন এবং তার পাশাপাশি বানরাজা যাতে তার সাথে থাকতে পারে তার জন্য শিব নিজেকে আত্মলিংগ রুপে বিয়োজিত করে । যে লিংগ টিকে ঘিরে বানরাজা একটি মন্দিরো নির্মান করেন যেটি  বীরুপাক্ষ মন্দির নামে পরিচীত । 
শিবপুরান, শিব পুরান, শিবপুরাণ, শিব পুরাণ, বানগড়,ঊষা রানির কলাগাছ,
শিবপুরানে বর্নিত ঊষাতিটিতে আমি
এই মন্দিরের পাশে বয়ে গেছে পুনর্ভবা নদি , এবং মন্দিরের পাশে বয়ে যাওয়া নদীর ওপারেই রয়েছে ঊষাতিটি । রাজা বান শিবের আত্মলিংগের বিরুপাক্ষ মন্দির নির্মান করলে বানরাজা মন্দিরের সিমানার অন্তর্গত এলাকাই কোন প্রকার রক্তক্ষরন বা কাকেও হত্যা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু অসুর রাজ বানের কন্যা ঊষা ছিল অপুর্ব সুন্দরি । কিন্তু যুদ্ধকালিন সহযোগিতা চাওয়ার জন্য শ্রীকৃষ্মের নাতি অনিরুদ্ধ বানরাজার দরবারে এলে বানরাজ কন্যা ঊষার সাথে প্রেমবন্ধনে আবদ্ধ হন । অনিরুদ্ধ বানরাজাকে তার সুন্দরি কন্যা ঊষাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বানরাজা সেই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে ।
অনিরুদ্ধ কোন প্রকার উপায় না দেখে , অনিরুদ্ধ ঊষার সাথে গান্ধর্ব বিবাহ বা পালিয়ে বিয়ে করেন । যেহেতু বানরাজা ছিলেন খুবই শক্তিশালি রাজা , তাই অনিরুদ্ধ ঊষার সাথে আত্মগোপন থাকায় প্রয়োজন মনে করেন । যেহেতু বানরাজা বিরুপাক্ষ মন্দিরের সিমানাই কোন প্রকার রক্তক্ষরন বা হত্যা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন , তাই অনিরুদ্ধ আর ঊষা মন্দিরের সিমানার মধ্যেই  আত্মগোপন করা বুদ্ধিমানের কাজ মনে করে । মনে করা হয় ঊষারানি আর অনিরুদ্ধ গান্ধর্ব বিবহের পর , এই ঊষাতিটির স্থানে আত্মগোপন করেছিল । যেটি বর্তমানে একটি টিলার আকারে দেখা যায় । 
# বাড়তি তথ্য
এবার একটু বাড়তি তথ্যের দিকে এগোনো যাক । ঊষারানি ও অনিরুদ্ধ এই স্থানে কয়েকদিন থাকার পর অনিরুদ্ধ এই ঊষাতিটি ছাড়ার প্রয়োজন মনে করে এবং সেখান থেকে পলায়ন করার চেষ্টা করে । কথিত আছে যে রাস্তা দিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেছিল সেই রাস্তাটি এখন " ঊষাহরন রোড" নামে পরিচীত । কিন্তু অনিরুদ্ধের এই চেষ্টা বিফল হয় এবং বানরাজা অনিরুদ্ধকে কারাগারে নিক্ষেপ করে ।
পরবর্তিকালে ভগবান শ্রীকৃষ্ম তার নাতি অনিরুদ্ধকে রক্ষা করতে এলে বানরাজের সাথে শ্রীকৃষ্মের যুদ্ধ হয় । মনে করা হয় বানরাজার সাথে শ্রীকৃষ্মের যুদ্ধ গঙ্গারামপুরের নারায়নপুর গ্রামের বিস্তৃত এলাকাই ঘটে ছিল । যেটি এখন চাষবাসের জমিতে পরিনত হয়েছে ।
WhatsApp ,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন