History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ভারতে তপশিলী জাতি , উপজাতি সংরক্ষন বিষয়টি সমস্যা নাকি সমাধান । SCHEDULE CASTE TRIBE RESERVATION IN INDIA .


সংরক্ষন নিয়ে ভারতের জনগনের মধ্যে দুই রকমের মতবাদ দেখা যায় । কিন্তু আমি যেটা মনে করি সংরক্ষন নিয়ে কথা বলার আগে সংরক্ষন কি ? আর কেন দেওয়া হয়েছে ? সেটা জানতে হবে ।
আর সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে অবগত করতে গিয়ে যেটা বলেছিলাম - ** জাতিভেদ বাড়ানোর জন্যে সংরক্ষন দেওয়া হয়নি ,বরং জাতিভেদ আটকানোর জন্য সংরক্ষন আনা হয়েছে । **
অনেকেই হয়তো জানে না একসময় নিম্নশ্রেণীর ছায়াকেও অপবিত্র বলে মনে করা হত । 
সংরক্ষন
সংরক্ষন
সংবিধানে এই সংরক্ষন বিষয়টি এই জন্য আনা হয়েছে কারণ দেশ স্বাধীনের আগে উচ্চ কোন প্রশাষনিক এমনকি সামাজিক অন্য কোন পদে এই সকল নিম্নশ্রেনির লোকেদের SCHEDULED CASTE (S.C ) , SCHEDULED TRIBE (S.T) দলিতদের কোন প্রকার অধিকারি ছিল না , তাই এই নিম্ন শ্রেনিদের প্রতি শোষন আর শাষনের পরিমান ছিল অনেক বেশি । সমাজে কোন প্রকার অধিকার ছাড়াই বাঁচতে হত এই নিম্নশ্রনির লোকেদের SCHEDULED CASTE (S.C ) , SCHEDULED TRIBE (S.T) । আর সংরক্ষনের দ্বারা এই সমস্ত অবহেলিত সমাজকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে ।
# সংরক্ষন বর্তমানে কতটা যুক্তিযুক্ত
ভারতে সংরোক্ষন  যে যে ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল ** - 1 = চাকরি , 2 = শিক্ষা , ও 3 = রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ।** যার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংরোক্ষন প্রতি 10 বছর পরপর রেনু করা হয় । বর্তমানে আমাদের ভারতে সংরক্ষন ব্যাবস্থা যেন জাতীয় সমস্যায় পরিণত না হয় তাই সাধারণদেরকেও সংরক্ষন প্রদান করা হয়েছে । তাই বর্তমান ভারতে S.T ,S.C ,O.B.C ছাড়াও আরেকটি নতুন শ্রেনী যুক্ত হয়েছে  E.W.S । ভারতে সংরক্ষন হিসাবে প্রত্যেক শ্রেনীর অংশদারিত্ব S.T = 7.5 % ,S.C = 15 %  ,O.B.C = 27 % , আর E.W.S =10 % ।
আমাদের ভারতীয় সংবিধানে প্রত্যেক শ্রেনীর ( তা সে ST হোক ,বা  SC হোক , বা OBC হোক না কেন ) সংখ্যাগরিষ্ঠতার শতাংশ অনুসারেই পিছিয়ে পরা নিম্নশ্রেণীদের সংরক্ষন প্রদান করেছে । অর্থাৎ কেউ কারো অধিকার মেরে খাচ্ছে না । যদি আরো সঠিক ভাবে বলি তবে জনসংখ্যার শতাংশ নিরিখে প্রতিনিধিত্ব করাকেই সংবিধানে সংরক্ষন বলা হয়েছে । তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সংরক্ষন নিয়ে সমস্যাটা কোথায় । এই বিষয়ে বুঝতে হলে সংরক্ষন প্রদানের পদ্ধতি বুঝতে হবে ।

তপশিলী,উপজাতি,তপশিলী জাতি,তপশিলী উপজাতি,তপশিলী জাতি উপজাতি,
তপশিলী জাতি , উপজাতি সংরক্ষন
# HORIZONTAL ও VERTICAL
ভারতে বর্তমানে দুই ধরনের সংরক্ষন রয়েছে , তবে সেটি জানার আগে আপনাদের বিশেষ অনুরোধ আমার আগের প্রতিবেদনটি তার আগে পড়বেন ,যার লিংক আমি দিয়ে রাখলাম **সংরক্ষন কি ? আর কেন দেওয়া হয়েছে ? **
ভারতের সংরক্ষনে  VERTICAL ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে SCEDULED TRIBE ,SCEDULED CASTE , OTHER BACKWARD CLASSES দের , যেখানে এই সমস্ত শ্রেনীকে সামাজীক বৈষম্য থেকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষনের অধিকার দেওয়া হয়েছে ।
অন্যদিকে HORIZONTAL ক্ষেত্রে মহিলা , স্বাধীনতা সংগ্রামী , প্রাক্তন সৈনিক , প্রতিবন্ধী , এবং খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে ।
# সমস্যার কারণ
**প্রথমত**  সংরক্ষনের বিষয়ে জনমানসে সঠিক তথ্যের একান্ত অভাবের জন্য আজ সংরক্ষনের বিষয়টি সমস্যার কারন হিসাবে দেখা হয়ে থাকে । তাই আমি যেটা মনে করি সংরক্ষন বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকলে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করাই উচিত না ।
**দ্বিতীয়ত**ভারতীয় সংবিধানে তপশিলী জাতি , তপশিলী উপজাতিদের VERTHICAL সংরক্ষনে রাখা হয়েছে । যেখানে সংরক্ষনের ব্যাবস্থাটি যথাক্রমে VERTICAL বা  উলম্ব অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে । যেটি সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে । কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলে রাখি VERTICAL বা উলম্ব অগ্রাধিকার দেওয়ার পেছনে যে কারনটি রয়েছে সেটি হল - বিশেষ করে তাদের যারা অপেক্ষাকৃত দূৰ্বল , নিপীড়িত , শোষিত তাদেরকে অতিরিক্ত সুবিধাপ্রদানের মাধ্যমে সামনের সারিতে নিয়ে আসা ।
**তৃতীয়ত**মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি আজ অনেক অভাব ,যার জন্য জাতিগত বৈষম্য উগ্রতার সৃষ্টি করছে , যেটিও একটি সমস্যা ।
**চতুর্থত** উগ্র হিন্দুত্ববাদ আজ ভারতের মধ্যে একটি বিশেষ রুপ ধারন করেছে ,যার দরুন মনুবাদের উপর ভিত্তি করে সমাজ চালানোর দিকে কিছু শক্তি উঠে পরে লেগেছে , যেটি সংরক্ষনের উপর একটি বিরুপ প্রভাব ফেলছে । 
মনুবাদ,শ্রেনী,বিভাজন,শ্রেনী বিভাজন,
মনুবাদে শ্রেনী বিভাজন

এছাড়া আরো কারন রয়েছে যেটি ভারতের সংবিধানে সংরক্ষন প্রদানের বিষয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন