সংরক্ষন নিয়ে ভারতের জনগনের মধ্যে দুই রকমের মতবাদ দেখা যায় । কিন্তু আমি যেটা মনে করি সংরক্ষন নিয়ে কথা বলার আগে সংরক্ষন কি ? আর কেন দেওয়া হয়েছে ? সেটা জানতে হবে ।
আর সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে অবগত করতে গিয়ে যেটা বলেছিলাম - ** জাতিভেদ বাড়ানোর জন্যে সংরক্ষন দেওয়া হয়নি ,বরং জাতিভেদ আটকানোর জন্য সংরক্ষন আনা হয়েছে । **
অনেকেই হয়তো জানে না একসময় নিম্নশ্রেণীর ছায়াকেও অপবিত্র বলে মনে করা হত ।
আর সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে অবগত করতে গিয়ে যেটা বলেছিলাম - ** জাতিভেদ বাড়ানোর জন্যে সংরক্ষন দেওয়া হয়নি ,বরং জাতিভেদ আটকানোর জন্য সংরক্ষন আনা হয়েছে । **
অনেকেই হয়তো জানে না একসময় নিম্নশ্রেণীর ছায়াকেও অপবিত্র বলে মনে করা হত ।
সংরক্ষন |
সংবিধানে এই সংরক্ষন বিষয়টি এই জন্য আনা হয়েছে কারণ দেশ স্বাধীনের আগে উচ্চ কোন প্রশাষনিক এমনকি সামাজিক অন্য কোন পদে এই সকল নিম্নশ্রেনির লোকেদের SCHEDULED CASTE (S.C ) , SCHEDULED TRIBE (S.T) দলিতদের কোন প্রকার অধিকারি ছিল না , তাই এই নিম্ন শ্রেনিদের প্রতি শোষন আর শাষনের পরিমান ছিল অনেক বেশি । সমাজে কোন প্রকার অধিকার ছাড়াই বাঁচতে হত এই নিম্নশ্রনির লোকেদের SCHEDULED CASTE (S.C ) , SCHEDULED TRIBE (S.T) । আর সংরক্ষনের দ্বারা এই সমস্ত অবহেলিত সমাজকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে ।
# সংরক্ষন বর্তমানে কতটা যুক্তিযুক্ত
ভারতে সংরোক্ষন যে যে ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল ** - 1 = চাকরি , 2 = শিক্ষা , ও 3 = রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ।** যার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংরোক্ষন প্রতি 10 বছর পরপর রেনু করা হয় । বর্তমানে আমাদের ভারতে সংরক্ষন ব্যাবস্থা যেন জাতীয় সমস্যায় পরিণত না হয় তাই সাধারণদেরকেও সংরক্ষন প্রদান করা হয়েছে । তাই বর্তমান ভারতে S.T ,S.C ,O.B.C ছাড়াও আরেকটি নতুন শ্রেনী যুক্ত হয়েছে E.W.S । ভারতে সংরক্ষন হিসাবে প্রত্যেক শ্রেনীর অংশদারিত্ব S.T = 7.5 % ,S.C = 15 % ,O.B.C = 27 % , আর E.W.S =10 % ।
আমাদের ভারতীয় সংবিধানে প্রত্যেক শ্রেনীর ( তা সে ST হোক ,বা SC হোক , বা OBC হোক না কেন ) সংখ্যাগরিষ্ঠতার শতাংশ অনুসারেই পিছিয়ে পরা নিম্নশ্রেণীদের সংরক্ষন প্রদান করেছে । অর্থাৎ কেউ কারো অধিকার মেরে খাচ্ছে না । যদি আরো সঠিক ভাবে বলি তবে জনসংখ্যার শতাংশ নিরিখে প্রতিনিধিত্ব করাকেই সংবিধানে সংরক্ষন বলা হয়েছে । তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সংরক্ষন নিয়ে সমস্যাটা কোথায় । এই বিষয়ে বুঝতে হলে সংরক্ষন প্রদানের পদ্ধতি বুঝতে হবে ।
ভারতে সংরোক্ষন যে যে ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল ** - 1 = চাকরি , 2 = শিক্ষা , ও 3 = রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ।** যার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংরোক্ষন প্রতি 10 বছর পরপর রেনু করা হয় । বর্তমানে আমাদের ভারতে সংরক্ষন ব্যাবস্থা যেন জাতীয় সমস্যায় পরিণত না হয় তাই সাধারণদেরকেও সংরক্ষন প্রদান করা হয়েছে । তাই বর্তমান ভারতে S.T ,S.C ,O.B.C ছাড়াও আরেকটি নতুন শ্রেনী যুক্ত হয়েছে E.W.S । ভারতে সংরক্ষন হিসাবে প্রত্যেক শ্রেনীর অংশদারিত্ব S.T = 7.5 % ,S.C = 15 % ,O.B.C = 27 % , আর E.W.S =10 % ।
আমাদের ভারতীয় সংবিধানে প্রত্যেক শ্রেনীর ( তা সে ST হোক ,বা SC হোক , বা OBC হোক না কেন ) সংখ্যাগরিষ্ঠতার শতাংশ অনুসারেই পিছিয়ে পরা নিম্নশ্রেণীদের সংরক্ষন প্রদান করেছে । অর্থাৎ কেউ কারো অধিকার মেরে খাচ্ছে না । যদি আরো সঠিক ভাবে বলি তবে জনসংখ্যার শতাংশ নিরিখে প্রতিনিধিত্ব করাকেই সংবিধানে সংরক্ষন বলা হয়েছে । তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সংরক্ষন নিয়ে সমস্যাটা কোথায় । এই বিষয়ে বুঝতে হলে সংরক্ষন প্রদানের পদ্ধতি বুঝতে হবে ।
তপশিলী জাতি , উপজাতি সংরক্ষন |
# HORIZONTAL ও VERTICAL
ভারতে বর্তমানে দুই ধরনের সংরক্ষন রয়েছে , তবে সেটি জানার আগে আপনাদের বিশেষ অনুরোধ আমার আগের প্রতিবেদনটি তার আগে পড়বেন ,যার লিংক আমি দিয়ে রাখলাম **সংরক্ষন কি ? আর কেন দেওয়া হয়েছে ? **
ভারতের সংরক্ষনে VERTICAL ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে SCEDULED TRIBE ,SCEDULED CASTE , OTHER BACKWARD CLASSES দের , যেখানে এই সমস্ত শ্রেনীকে সামাজীক বৈষম্য থেকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষনের অধিকার দেওয়া হয়েছে ।
অন্যদিকে HORIZONTAL ক্ষেত্রে মহিলা , স্বাধীনতা সংগ্রামী , প্রাক্তন সৈনিক , প্রতিবন্ধী , এবং খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে ।
# সমস্যার কারণ
**প্রথমত** সংরক্ষনের বিষয়ে জনমানসে সঠিক তথ্যের একান্ত অভাবের জন্য আজ সংরক্ষনের বিষয়টি সমস্যার কারন হিসাবে দেখা হয়ে থাকে । তাই আমি যেটা মনে করি সংরক্ষন বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকলে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করাই উচিত না ।
**দ্বিতীয়ত**ভারতীয় সংবিধানে তপশিলী জাতি , তপশিলী উপজাতিদের VERTHICAL সংরক্ষনে রাখা হয়েছে । যেখানে সংরক্ষনের ব্যাবস্থাটি যথাক্রমে VERTICAL বা উলম্ব অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে । যেটি সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে । কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলে রাখি VERTICAL বা উলম্ব অগ্রাধিকার দেওয়ার পেছনে যে কারনটি রয়েছে সেটি হল - বিশেষ করে তাদের যারা অপেক্ষাকৃত দূৰ্বল , নিপীড়িত , শোষিত তাদেরকে অতিরিক্ত সুবিধাপ্রদানের মাধ্যমে সামনের সারিতে নিয়ে আসা ।
**তৃতীয়ত**মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি আজ অনেক অভাব ,যার জন্য জাতিগত বৈষম্য উগ্রতার সৃষ্টি করছে , যেটিও একটি সমস্যা ।
**চতুর্থত** উগ্র হিন্দুত্ববাদ আজ ভারতের মধ্যে একটি বিশেষ রুপ ধারন করেছে ,যার দরুন মনুবাদের উপর ভিত্তি করে সমাজ চালানোর দিকে কিছু শক্তি উঠে পরে লেগেছে , যেটি সংরক্ষনের উপর একটি বিরুপ প্রভাব ফেলছে ।
ভারতে বর্তমানে দুই ধরনের সংরক্ষন রয়েছে , তবে সেটি জানার আগে আপনাদের বিশেষ অনুরোধ আমার আগের প্রতিবেদনটি তার আগে পড়বেন ,যার লিংক আমি দিয়ে রাখলাম **সংরক্ষন কি ? আর কেন দেওয়া হয়েছে ? **
ভারতের সংরক্ষনে VERTICAL ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে SCEDULED TRIBE ,SCEDULED CASTE , OTHER BACKWARD CLASSES দের , যেখানে এই সমস্ত শ্রেনীকে সামাজীক বৈষম্য থেকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষনের অধিকার দেওয়া হয়েছে ।
অন্যদিকে HORIZONTAL ক্ষেত্রে মহিলা , স্বাধীনতা সংগ্রামী , প্রাক্তন সৈনিক , প্রতিবন্ধী , এবং খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে ।
# সমস্যার কারণ
**প্রথমত** সংরক্ষনের বিষয়ে জনমানসে সঠিক তথ্যের একান্ত অভাবের জন্য আজ সংরক্ষনের বিষয়টি সমস্যার কারন হিসাবে দেখা হয়ে থাকে । তাই আমি যেটা মনে করি সংরক্ষন বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকলে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করাই উচিত না ।
**দ্বিতীয়ত**ভারতীয় সংবিধানে তপশিলী জাতি , তপশিলী উপজাতিদের VERTHICAL সংরক্ষনে রাখা হয়েছে । যেখানে সংরক্ষনের ব্যাবস্থাটি যথাক্রমে VERTICAL বা উলম্ব অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে । যেটি সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে । কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলে রাখি VERTICAL বা উলম্ব অগ্রাধিকার দেওয়ার পেছনে যে কারনটি রয়েছে সেটি হল - বিশেষ করে তাদের যারা অপেক্ষাকৃত দূৰ্বল , নিপীড়িত , শোষিত তাদেরকে অতিরিক্ত সুবিধাপ্রদানের মাধ্যমে সামনের সারিতে নিয়ে আসা ।
**তৃতীয়ত**মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি আজ অনেক অভাব ,যার জন্য জাতিগত বৈষম্য উগ্রতার সৃষ্টি করছে , যেটিও একটি সমস্যা ।
**চতুর্থত** উগ্র হিন্দুত্ববাদ আজ ভারতের মধ্যে একটি বিশেষ রুপ ধারন করেছে ,যার দরুন মনুবাদের উপর ভিত্তি করে সমাজ চালানোর দিকে কিছু শক্তি উঠে পরে লেগেছে , যেটি সংরক্ষনের উপর একটি বিরুপ প্রভাব ফেলছে ।
মনুবাদে শ্রেনী বিভাজন |
এছাড়া আরো কারন রয়েছে যেটি ভারতের সংবিধানে সংরক্ষন প্রদানের বিষয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে ।
**সুমন্ত মাহালী হেমরম**
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন