History of dakshin dinajpur, bangla bible, DAKSHIN DINAJPUR, Uttar DINAJPUR, Malda, chiristanity, santhal,indian tribe,mahli tribe, unknown facts, tourist place of Malda, tourist place of Dakshin DINAJPUR ,bible, bible story, bible story in bangla,dakshin dinajpur news,adibashi,sautal,indian tribe culture,

TRANSLATE ARTICLE TO YOUR LANGUEGE

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

প্রভু যীশু মানবজাতির জন্য প্রেরিত উত্তম মেষপালক ।।JESUS CHIRST CALLED AS GOOD SHEPHERD

বাইবেলে প্রভু যীশুকে যে শুধু "ঈশ্বরের মেষ শাবক" বলা হয়েছে তেমনটি নই ,তার পাশাপাশি প্রভু যীশুকে উত্তম মেষপালক GOOD SHEPHERD হিসাবেও উল্লেখ্য করা হয়েছে বহুবার। প্রভু যীশুকে মেষ শাবক বলা হয় কেন সেটা আগেই বিশ্লেষণ করেছি। এবার প্রভু যীশুকে মেষ পালক বলা হয় কেন সেটা আলোচনা করতে চাই।
উত্তম মেষপালক
প্রভু যীশু নিজেই স্বয়ং নিজেকে অনেকবার উত্তম মেষপালক GOOD SHEPHERD  হিসাবে বর্ণনা করেছেন , যার মধ্যে একটি হল যোহন লিখিত ১০ অধ্যায়ের ১১ অনুচ্ছেদে - আমিই উত্তম মেষপালক৷ উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে৷
এছাড়াও রয়েছে যোহন লিখিত ১০ অধ্যায়ের ১৪ অনুচ্ছেদে - ‘আমিই উত্তম মেষ পালক৷ আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷ ঠিক যেমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই।

প্রভু যীশুকে মেষ শাবক বলার অর্থ

বাইবেলে প্রভু যীশুকে উল্লেখ্য করা "মেষ শাবক" এবং "মেষ পালক" দুটো ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে, কিন্তু দুটো অর্থেই মানুষের প্রতি ঈশ্বরের করুনা ও ভালোবাসা প্রকাশ পাই।
যেখানে "মেষ শাবক" বলতে প্রভু যীশুকে মানুষের পাপের জন্য বলি প্রদত্ত পবিত্র প্রানি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে , যার বিষয়ে লেখা হয়েছে উদ্ঘাটন ৫ অধ্যায়ের ৯ অনুচ্ছেদে  - তাঁরা মেষশাবকের জন্য এক নতুন গীত গাইছিলেন:‘কারণ তুমি বলি হয়েছিলে; আর তোমার রক্ত দিয়ে সমস্ত উপজাতি, ভাষা, সম্প্রদায় ও জাতির মধ্য থেকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে লোকদের কিনেছ৷
প্রভু যীশুকে মেষ পালক বলার অর্থ
প্রভু যীশু নিজেকে অনেকবার মেষ পালক হিসাবে বাইবেলে উল্লেখ্য করেছেন । "মেষ পালক" শব্দের স্বাভাবিক অর্থ যদি বের করি তবে তা দ্বারাই - যিনি মেষ পালন করেন বা লালন-পালন করেন বা পরিচালনা করেন।
প্রভু যীশু নিজেকে মেষ পালক হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং যোহন ১০ অধ্যায়ের ১১ ও ১৪ অনুচ্ছেদে বলেছেন - ‘আমিই উত্তম মেষপালক।
উত্তম মেষপালক ও মেষ শাবক
এখন প্রশ্ন একটি উঠে আসে তাহলে প্রভু যীশু মেষ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন ,সেটি একটু বোঝার চেষ্টা করি। যার উত্তর পাওয়া যাবে যোহন লিখিত ১০ অধ্যায়ে - আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷ ঠিক যেমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই৷
বিষয়টি জটিল তাই আপনাদের বোঝানোর স্বার্থে বাক্যটি খন্ডন করছি।
১ - আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷
সুতরাং প্রভু যীশু এই অংশটিতে মেষ বলতে তাদের বুঝিয়েছেন যারা প্রভু যীশুকে জানেন বা চেনেন এবং তাকে মানে।
২ =  আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই ৷
এখানে বাক্যটি অনুধাবন করলে দাঁড়াই প্রভু যীশু প্রয়োজনে সেই মেষদের জন্য জীবন দিতে পারেন, যেমনটা আমরা বাইবেলে লক্ষ্য করেছি ক্রুশে প্রভু যীশুর মৃত্যবরণ। প্রভু যীশুর মৃত্যবরণ যে কাকতালীয় ছিল তেমনটি নয় তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যে রাত্রে প্রভু যীশু তার শিষ্যদের সাথে অন্তিম ভোজ করেন তখন তিনি তার শিষ্যদের আগামি ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করে দেন এবং বলেন - মেষপালককে আঘাত করা হবে৷ তাঁর মৃত্যু হলে পালের মেষরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে৷’
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে তিনটি বাক্যে পেলাম , প্রথম - আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷, দ্বিতীয় - আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই ৷ , এবং তৃতীয় - মেষপালকের মৃত্য হলে পালের মেষরা ছড়িয়ে পরবে। সুতরাং ধারাবাহিকতার বিচারে প্রভু যীশু মেষ বলতে তার অনুগামী শিষ্যদের বুঝিয়েছেন বা যারা প্রভু যীশুকে অনুসরণ করেন বা মানেন। কারন প্রভু যীশুর শিষ্যরা প্রভু যীশুকে জানেন এবং মানেন, এবং প্রয়োজনে প্রভু যীশু তাদের জন্য আত্মত্যাগ করতে পারতেন এবং প্রভু যীশুর মৃত্যর পর তার শিষ্যরাই ছরিয়ে পরেছিল।
এবার এর দ্বিতীয় অংশে আসছি  কারন অবাক করার মত অনেক কিছুই রয়েছে বাইবেলে। প্রভু যীশু যে জন্ম গ্রহন করবেন এবং তাকে যে মানবজাতির পাপের ক্ষমার জন্য মরতে হবে সেটা প্রভু যীশুর জন্মের প্রায় ৭০০ বছর আগেই বলা হয়েছে বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেন্টে। বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেন্টে প্রায় ৩০০ এর উপরে প্রভু যীশুর উপর ভবিষ্যতবানি করা হয়েছিল। যার মধ্যে প্রভু যীশুকে মানুষের পাপের ক্ষমার জন্য ক্রুশে মৃত্যবরনের বিষয়ে বর্ননাও করা হয়েছে অনেক জায়গাই। যার উদাহরণ স্বরুপ ওল্ড টেষ্টামেন্টের  ইশাইয়া লিখিত ৫৩ অধ্যায়ের ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে -কিন্ত আমাদেরই ভুল কাজের জন্য তাকে আহত হতে হয়েছিল| আমাদের পাপের জন্য সে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল।।
ক্রুশে যীশুর মৃত শরির
যে ভবিষ্যতবানি সফল হয়েছিল ক্রুশে প্রভু যীশুর বলিদানের দ্বারা। সুতরাং বলা চলে মেষপাল বলতে যেটি বোঝায় মানব জাতীর সকলেই যারা প্রভু যীশুকে অনুসরণ করে বা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের।

 মেষ পালক হিসাবে প্রভু যীশু

প্রভু যীশু গোটা মানবজাতীর পাপের জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং একজন মেষ পালক হিসাবে সকল মানব জাতীকে মেষপাল রুপে গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায় মার্ক লিখিত ৬ অধ্যায়ের ৩৪ অনুচ্ছেদে -যীশু নৌকা থেকে বাইরে বেরিয়ে বহু লোককে দেখতে পেলেন, তাঁর প্রাণে তাদের জন্য খুবই দয়া হল; কারণ তাদের পালকহীন মেষপালের মতো দেখাচ্ছিল৷ তখন তিনি তাদের অনেক বিষয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন৷
তিনি চেয়েছিলেন তার বলিদানের দ্বারা সকল মানবজাতি পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে , যার দরুন প্রভু যীশু নিজেই বলেছেন যোহন লিখিত ১০ অধ্যায়ের ৭ অনুচ্ছেদে - ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমি মেষদের জন্য খোঁয়াড়ের দরজা স্বরূপ৷
এছাড়া আরো বলেছেন যোহন লিখিত ১০ অধ্যায়ের ১০ অনুচ্ছেদে -  আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর যেন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে৷’
প্রভু যীশুর চেয়েছিলেন তার বলিদান ও তার পুনরুত্থানের পরেও যেন তার অনুসরণ কারি মেষ পাল অনন্তজীবন পাই এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে তার জন্য প্রভু সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রুপে বলা যেতে পারে প্রভু যীশুর অন্তিম ভোজকালিন পিতরকে তার মেষপালের দেখাশোনা করতে বলা , যেখানে প্রভু যীশু পর পর তিনবার পীতরকে তার মেষপালকে তত্ত্বাবধান করতে বলেন , যেটি রয়েছে যোহন লিখিত ২১ অধ্যায়ের ১৫ থেকে ১৭ অনুচ্ছেদে -  ‘যোহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমায় ভালবাসো?’ পিতর তাঁকে বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রভু, আপনি জানেন যে আমি আপনাকে ভালবাসি৷’যীশু পিতরকে বললেন, ‘আমার মেষদের তত্ত্বাবধান কর৷’ তার পাশাপাশি প্রভু যীশু আরো বলেন যেটি রয়েছে পিতরের ১ম পত্রে  - যাদের দায়িত্বভার তোমরা পেয়েছ তাদের ওপর প্রভুত্ব চালিও না; কিন্তু পালের আদর্শ স্বরূপ হও৷
প্রভু যীশুর অন্তিম ভোজ
সর্বশেষে বলবো মেষপালক রুপে প্রভু যীশুকে বিশ্বাস করুন এবং গ্রহন করুন কারন স্বর্গ রাজ্যে সন্নিকটে ,তাই বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ দিয়েই এই প্রতিবেদন শেষ করতে চাই যেটি রয়েছে লুক লিখিত ১২ অধ্যায়ের ৩২ অনুচ্ছেদে - ‘ক্ষুদ্র মেষপাল! তোমরা ভয় পেও না, কারণ তোমাদের পিতা আনন্দের সাথেই সেই রাজ্য তোমাদের দেবেন, এটাই তাঁর ইচ্ছা৷
সুমন্ত মাহালী হেমরম
WhatsApp

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন